
প্রতি শীতে পরিযায়ী পাখিদের আড্ডায় ভরে উঠে প্রকৃতির অপরূপ রূপে সজ্জিত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। শীত আসার আগেই পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে নানা রকম পরিযায়ী পাখি আসতে থাকে এবং আবাস হিসেবে তারা বেছে নিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকগুলো। অবশ্য শুধু পাখি দেখার জন্যই জাহাঙ্গীরনগর যেতে হবে এমনটি ভাবার কোন কারণ নেই, শুধু প্রকৃতি দেখার জন্যও একদিন ঘুরে কাটানো যায় জাহাঙ্গীরনগরে অবলীলায়।
(২) বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকার মুখেই পড়বে ‘অমর একুশে’ ভাস্কর্য।
(৩) বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন বেশ কিছু পুকুর আছে, যেগুলোতে পাখির জন্য রয়েছে প্রচুর খাবার, যার জন্য পরিযায়ী পাখিরা এখানে এসে আবাস গড়ে তোলে।
(৪) এই শীতের সময় দূর থেকেই দেখা যায় ওখানে প্রচুর পাখির উড়াউড়ি এবং শোনা যায় কিচির মিচির ডাক।
(৫) ওখানে এই সময় দেখা যায় ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি পুকুরে এসে নামছে।
(৬) অনেক পাখি পানির উপর পানাতে বসে বসে ঝিমাচ্ছে।
(৭) পাখি ছাড়াও এখানের বাগানগুলোতে রয়েছে নানা রকম ফুলে ভরপুর।
(৮) এমন রঙিন ফুলের সান্নিধ্য পেলে ক্লান্তি দূর হয় নিমেষে।
(৯) ফুলের সুবাসে ক্লান্তি না কাটলে এমন কিছু খেয়ে দেখতে পারেন, এতে কাজ না হলে টাকা ফেরৎ 😉
(১০) কাঠ বাদাম গাছের পাতাগুলোকে কেমন অসাধারণ লাগছে দেখছেন?
(১১) ডাহুক পাখিরা খেলছে রক্ত কমলের মাঝে।
(১২) ডাহুক পাখিদের সাথে অন্য পাখিগুলো কি কালিম নাকি আমি ঠিক বুঝতে পারছিনা।
(১৩) ভাট শালিকটাকে শীতে কাবু মনে হচ্ছে।
(১৪) চৌরঙ্গীর মোড়ের ভাসমান পিঠা বিক্রেতারা পিঠা নিয়ে অপেক্ষায় আছে পাখি প্রেমিদের জন্য।
(১৫) নানা রকম পিঠা, রসনা তৃপ্তি হবে নিশ্চিৎ।
(১৬) একটা ধ্যানমগ্ন কানি বক।
(১৭) এমন পরগাছা ফুলগুলো দেখেও মনটা ফ্রেস হবে সবার।
(১৮) জাহাঙ্গীর নগরের কেএফসিতে না খেলে জীবনটাই বৃথা।
(১৯) সরাদিন ঘুরে ক্লান্ত দেহে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের ফুল বাগানে জিরিয়ে একটু রিফ্রেস হয়ে বাড়ি ফেরার কথা ভাবা যায়।
(২০) পিছনে আ ফ ম কামাল উদ্দিন হল। নিজের নামের সাথে মিল থাকায় এই হলের সামনে অন্য দু’জন ব্লগারের সাথে একটা পোজ।
২৫টি মন্তব্য
মোঃ মজিবর রহমান
বাহ! দারুন কামাল ভাই। সুন্দর মন ভোলানো বাক্যবানে আমন্ত্রণ পরিযায়ী পাখি দেখার আমন্ত্রন। খুব ভাল লাগল।
কামাল উদ্দিন
ধন্যবাদ মজিবর ভাই, ভালো থাকুন, সব সময়।
মোঃ মজিবর রহমান
🇧🇩💚
ছাইরাছ হেলাল
সক্কাল বেলা কইলজাডা ছবি দেইখ্যা ফাৎ ফাৎ করে।
কামাল উদ্দিন
কন কি বড় ভাই, দৌড় লাগাবেন নাকি?
এস.জেড বাবু
বেষ্ট ছবি ছয়
পিঠার দোকানের ছবি দেখলেই “খেতে ইচ্ছে করে।
যাওয়া হয়েছে বেশ কয়েকবার এই এলাকায়। ছবিগুলি দেখে আবারো যেতে হবে মনে হচ্ছে।
কামাল উদ্দিন
হুমম, বার বার দেখেও আবার যেতে ইচ্ছে করে……..শুভেচ্ছা।
সুরাইয়া পারভিন
দুর্দান্ত ছবি আর চমৎকার উপস্থাপন
সত্যিই অতুলনীয় আপনার ভ্রমণ কাহিনী।👏👏
কামাল উদ্দিন
শুভেচ্ছা জানবেন আপু
মাহবুবুল আলম
চমৎকার ফিচার! দেখে ও পড়ে ভাল লাগলো।
কামাল উদ্দিন
উৎসাহিত হলাম আপনার মন্তব্যে বড় ভাই।
নুর হোসেন
আমার প্রিয় জায়গা, এখনও মাঝে মাঝে আড্ডা দেই…
চমৎকার ফটোব্লগ সাঁজিয়েছেন চিরচেনা জায়গাটাকেও অচেনা মনে হচ্ছে!
কামাল উদ্দিন
ওহ্ তাহলে আপনি তো সূখী মানুষ ভাই।
নিতাই বাবু
২০১৬ সালে ব্লগ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকের ব্লগারদের এক আড্ডায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় গিয়েছিলাম। তবে তখন ছিল গ্রীষ্মকাল। তাই আর পরিয়ারি পাখি দেখা হয়নি। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শুধু পাখি দেখার জন্যই নয়, সেখানকার মনোরম সৌন্দর্য প্রতিটি মানুষকেই পাগল করে দেয়। আপনার পোস্টের ছবি দেখেও পাগল না হয়ে উপায় নেই! সত্যি মুগ্ধ হয়েছি।
কামাল উদ্দিন
ধন্যবাদ নিতাই দাদা, জাহাঙ্গীর নগর আমারও খুব পছন্দের একটা জায়গা।
মনির হোসেন মমি
চেনা জানা বিষয়গুলো আবারো জানা হল আপনার পোষ্টের মাধ্যমে। আসলে জাবির মতন আরো অভায়ারণ্য পরিযায়ী পাখিদের জন্য গড়ে তুলা প্রয়োজন। পরিযায়ী পাখিরা পরিবেশকে সৌন্দর্যমন্ডিত করে। খুব ভাল লাগল।
কামাল উদ্দিন
হুমম, এই পাখিরা এখন খুবই অনিরাপদ। এইতো কয়েকদিন আগে সিলেট যাওয়ার পথে গাড়িতে থেকে দুই জায়গায় দেখলাম এই পরিযায়ী পাখিদের ধরে বিক্রি করা হচ্ছে।
তৌহিদ
ওএমজি! কাদের ফুড সেন্টার! এর কথা ভুলেই গিয়েছিলাম। কয়েকবার সৌভাগ্য হয়েছিলো জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবার। আমার ইউনিভার্সিটির ডিবেট ক্লাবের প্রেসিডেন্ট হবার সুবাদে অনেক জায়গায় গিয়েছি। আজ আবার নতুন করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৃতি দেখে মন ভালো হয়ে গেলো ভাই।
ধন্যবাদ আপনার প্রাপ্য।
কামাল উদ্দিন
তাহলে ধন্যবাদটা দিয়েই দেন তৌহিদ ভাই 😀
তৌহিদ
দিলামতো।
কামাল উদ্দিন
কষ্ট করে আবার আসায় আপনাকে ডাবল ধন্যবাদ তৌহিদ ভাই।
জিসান শা ইকরাম
আপনার চোখের মাধ্যমে দেখলাম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।
ধন্যবাদ ভাই।
এই পাখিগুলো হাজার হাজার মাইল অতিক্রম করে আমাদের দেশে আসে। শামীম ভাইর পোস্ট হতে জেনেছিলাম।
কামাল উদ্দিন
হুমম, শীতে ওরা আমাদের দেশে আবাস গড়ে, আবার গ্রীষ্মে অন্য কোথাও। কিন্তু ওদের নিরাপত্তা দিতে আমাদের ব্যর্থতায় ক্রমান্বয়ে ওরা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে, এটা আমাদের প্রাণপণে ঠেকানো উচিৎ……….ধন্যবাদ ভাই।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
লেখাটির আসল অলংকার হলো ছবিগুলো। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর উপস্থাপনা করেছেন বলে
কামাল উদ্দিন
লেখার হাত নাই আপু, তবে ছবি তোলার চেষ্টা করে থাকি খুব, ধন্যবাদ।