
চিরাচরিত অসুখের নিয়ম ভেঙে আমরা নিয়ন আলোয় শব্দ সাজাই।
প্রতিটা নির্ঘুম রাত যখন নাম না জানা পড়ন্ত বিকেলের আলো খোঁজে,আমরা তখন পৃথিবীর কক্ষপথে চলে যাই।
সে সুবাদে আমাদের আর শিউলি ফুলের সুগন্ধি নেওয়া হয়না। পড়া হয়না সুনীলের কবিতা।
একে একে ফুল ঝরে পড়ে। অন্তরালে মেঘ লুকিয়ে থাকে বৃষ্টি ঝরার অপেক্ষায়।
কেউ কবিতা লিখে নগর নির্মাণ করে।
কেউ ব্যারিকেড সাজিয়ে প্রেমের প্রতিমূর্তি তৈরি করে।আমরা শতাব্দীর শূন্যতা নিয়ে পথ চলি।
বুক জুড়ে বিবর্তন আর পরিবর্তনের ছায়াসঙ্গীরা ছুটে বেড়ায়। যেমন করে আকাশের বুকে মেঘ উড়ে বেড়ায়।
সবুজমাঠের আলপথ দিয়ে পূজোর গন্ধ মাখতে গিয়ে আমি বারবার কুয়াশায় ভিজে যাই।
সেই কবে আগমনী মা এলো সবার ঘরে ঘরে, তাবৎ পৃথিবীর জরাজীর্ণতা দূর করবে বলে।
আমি যে দৈবনন্দনের মতো নগর নির্মাণে ব্যস্ত থাকি।
শতকষ্ট গোপনে রেখে জয়ন্তী ফুলের মতো হেসে হেসে যাই। তবুও শূন্যতা আমায় ছাড়েনা।
সেই ভোর হলে ছুটে বেড়াতাম আগমনী মায়ের পুষ্পাঞ্জলি কুড়োতে।
বেলা পড়েছে অনেক, দৈনন্দিন জীবনের ব্যস্ততা একে একে এসে গ্রাস করেছে।
এ যেন দিনের পর দিন একেকটা বিদ্রোহ আর জরাব্যাধির গন্ধ তীব্রতর হয়ে উঠছে।
আগমনীর গন্ধ পেলে পাখিরাও গান গায়।
ভোর হলে মৃণালিনী শিউলি ফুলের মালা গেঁথে রাখে। গুনগুন সুরে ফুলের গায়ে ভ্রমর এসে বসে।
মন্ত্রমুগ্ধে আগমনীর চরণকমলে ফুল গুলো লুটিবার তরে প্রাণ খুলে হাসে।
মাঠেঘাটে নামে গোধূলির আলো ছায়া।
আগমনী তখন বোধনের আমন্ত্রণ সাজে সজ্জিত হয়।
এতসবের মাঝে শূন্যতা আর মনখারাপের একেকটা অসুখ আমাদের এসে গ্রাস করে।
আমরা আর পারিনা শূন্যতার বুকে পূর্ণতার আলো মাখতে।
বরং সে শহরে আজ কারফিউ জারি।
১৯টি মন্তব্য
ফয়জুল মহী
নিপুন ভাবনায় সুবিজ্ঞ চয়ন । বিমুগ্ধ অবিরাম ।
প্রদীপ চক্রবর্তী
ধন্যবাদ,দাদা।
রোকসানা খন্দকার রুকু
ভালো লাগলো।
শুভ কামনা রইলো।
প্রদীপ চক্রবর্তী
ধন্যবাদ,দিদি।
আপনিও ভালো থাকুন।
সুপায়ন বড়ুয়া
কেউ কবিতা লিখে নগর নির্মাণ করে।
কেউ ব্যারিকেড সাজিয়ে প্রেমের প্রতিমূর্তি তৈরি করে।আমরা শতাব্দীর শূন্যতা নিয়ে পথ চলি।
এই শুন্যতার মাঝে ও জীবন সচল রেখে চলি।
ভালই হলো। শুভ কামনা।
প্রদীপ চক্রবর্তী
একদম,
সাধুবাদ,দাদা।
আলমগীর সরকার লিটন
খুব সুন্দর এক অনুভূতির গল্প কবি দা
প্রদীপ চক্রবর্তী
অজস্র ধন্যবাদ,দাদা।
ছাইরাছ হেলাল
সব কিছুর পরে, সব কিছু ছাপিয়ে শূন্যতা আমাদের সাথেই থাকে অনতিক্রম্যভাবে।
প্রদীপ চক্রবর্তী
হ্যাঁ,দাদা।
সাধুবাদ আপনাকে।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
শূণ্য থেকে আসি, শূণ্যতায় বাঁচি, শূণ্যে যাই হারিয়ে। চমৎকার কবিতা। একরাশ শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইলো। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন
প্রদীপ চক্রবর্তী
খুবি ভালো মতামত।
ভালো থাকুন, দিদি।
আরজু মুক্তা
শূন্যতার বুকে অপার শূন্যতা!
কারফিউ উঠে নতুন ভোরে জাগুক নতুন প্রাণ।
তৌহিদ
আগমনী শব্দে কেটে যাক সকল শুন্যতা। অনেকদিন পরে আপনার চমৎকার একটি লেখা পড়লাম দাদা।
শুভকামনা রইলো।
প্রদীপ চক্রবর্তী
আগমনীতে ধরণী পবিত্র হোক।
সাধুবাদ,দাদা।
শামীম চৌধুরী
অসাধারন দাদাভাই।
শুভ কামনা রইলো।
প্রদীপ চক্রবর্তী
সাধুবাদ,দাদা।
ভালো থাকুন অনেক।
রেজওয়ানা কবির
শুন্যতা আছে বলেই আমরা হয়ত বেঁচে আছি।ভালো লিখেছেন। শুভকামনা।
জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব
অতুলনীয় প্রকাশ