
আবার বিজ্ঞাপন প্রসঙ্গে আসা যাক।বিজ্ঞাপন নারীদের কতোটা সম্মানিত করেছে, তা নিয়ে বিতর্ক ঢের। কিন্তু প্রশ্ন তো এসেই যায়, যখন পণ্যের গুণগত মানের থেকে শরীরী ভাষা প্রাধান্য পায়।তবে কি আধুনিক সভ্য সমাজে নারীও এক পণ্য?
ক্ষমা চাইছি।
কিন্তু সত্যকে এড়াই কী করে।সম্ভবত, মডেল নির্বাচনের সময় শারীরিক গঠন বেশ প্রাধান্য পায়।কারণ, দর্শকের চোখ না জুড়ালে পণ্য চলবে কী?
তাই হয়তো নারীকে ঢেলে দিতে হচ্ছে সাধ্যের সবটুকু।স্বচ্ছলতা, জনপ্রিয়তা আসছে অনায়াসে…কিন্তু সম্মান?
তপ্ত ঠোঁট, ঘর্মাক্ত নাভী, উন্নত স্তন কতোটা শ্রদ্ধাশীল করে তোলে, তা আমার বোধগম্য নয়।
এখন প্রশ্ন হলো, শরীর কি শুধু নারীর?
পুরুষের নেই?
শুধু নারী দেহ এতোটা টানছে কেনো?
তবে এটা কি নব্য পুরুষ শাসিত সমাজের “সংস্কার মুখোশ”?
হলেও হতে পারে!
লোকশ্রুতি আছে, নারীদের এখনো নাকি কিছু কম্প্রোমাইজ করতে হচ্ছে। “কিছু তো দিতেই হবে…”
আসলে সমাজ কী প্রত্যাশা করে নারীর কাছে?
নারীও তো স্বয়ংসম্পূর্ণ একটা মানুষ।কিন্তু তার মেধা বা যোগ্যতার থেকে শরীর এতোটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে কেনো?
এই প্রশ্নের উত্তর কে দেবে?
না, কেউ দিতে চাই না।নারী আজ ঘর থেকে বেরিয়ে আসছে…যেটি তার কাছে কারাগার মনে হতো।কিন্তু সে পালিয়ে কোথায় এলো?
এখানে ব্লাক হোল ছড়িয়ে আছে সর্বত্র।শুধু হা করা পশুর চোয়াল।
নারী মুক্তি পেলো কই?
ক’জন সম্মান দিয়ে নারী কাজের মূল্যায়ন করেন, আমার জানা নেই।তবে এখনো নারীর শ্রেষ্ঠ দক্ষতা রূপ।এরচে বড় গ্লানি আর হতে পারে না। যে সমাজ নারীর যোগ্যতা বন্দী করেছে “জিরো ফিগারে”, যে সভ্যতা নারীর সাথে “হট” শব্দটা জুড়ে দিয়েছে….তারা কী করে নারীকে সম্মান করবে?
নারী এখনো মুক্ত নয়।নারী এখনো তার যোগ্য সম্মান পায়নি।
নারী যেনো বিজ্ঞাপন।নারী বিকৃত যৌনতার খোরাক।নারী পুরুষের নব্য কারাগারে বন্দী!!
১৫টি মন্তব্য
সুরাইয়া পারভিন
যে সমাজ নারীর যোগ্যতা বন্দী করেছে “জিরো ফিগারে”, যে সভ্যতা নারীর সাথে “হট” শব্দটা জুড়ে দিয়েছে….তারা কী করে নারীকে সম্মান করবে?,,,এমন সমাজ থেকে সম্মানিত হবার প্রত্যাশা করাটাই মূর্খতারই শামিল।
নারী এখনো মুক্ত নয়।নারী এখনো তার যোগ্য সম্মান পায়নি।
নারী কখনোই মুক্ত হবে না। আর যোগ্য সম্মান এর চেয়ে যোগ্য অসম্মানই হচ্ছে, হবেও চিরজীবন
শফিকুল ইসলাম
ঠিক বলেছেন আপু, নারী এখন প্রগতির নব্য শেকলে বাঁধা।
এস.জেড বাবু
আধুনিক পণ্য
পুরুষ রা যে তেমন কাজটা করে যাচ্ছে তা শুধু নয়,
বরং তেমন অর্ধনগ্ন রঙিন জীবনের জন্য অনেক মেয়েরা ও ওঁত পেতে থাকে।
ভাল মন্দ থাকবেই। তবুও মেয়েদের মধ্যে পণ্য হওয়ার প্রতিযোগিতা মোটেও কম না।
ভেবে দেখার মত চমৎকার পোষ্ট।
তবে বোধোদয় ও হওয়া উচিত।
শফিকুল ইসলাম
সহমত পোষণ করছি।
সবাই যেনো তার নিজ সম্মান বুঝতে পারে, সেই প্রত্যাশা রইলো।
নিতাই বাবু
আমিও এর উত্তর খুঁজে বেড়াই। উত্তর মেলে না।
আপনার এই গুরুত্বপূর্ণ সমসাময়িক পোস্টের জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
শফিকুল ইসলাম
আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
আমাদের বিবেক জাগ্রত হোক।
মোঃ মজিবর রহমান
সমাজে পুরুষের স্বার্থেই নারীদের এমন পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছে আবার যখন রুপ লাবন্য শেষ তখন নারী আবার ডাস্টবিনে। সুতরাং কি হচ্ছে বুঝবার প্রারিনা।
ের চেয়ে ধর্মের মাঝে ঘরেই মনে হয় নারী মানান। প্রকাশ্য ইজ্জত নিচ্ছে আধুনিকতা। ঘরে হইত কিছু পুরুষের খামখেয়ালিপনাই নিরযাচিত হচ্ছে তবে উলংগ হয়ে ন্যাংটা হয়ে সবার সামনে মান যায়না।
সুন্দর একটি পোস্ট। ধন্যবাদ আপনাকে।
শফিকুল ইসলাম
চমৎকার কথা বললেন।
তবে আমি মনেকরি, ঘরে নারী তার যোগ্য সম্মান পেলে নারীর পন্য হবার প্রবণতা কিছুটা হলেও কমবে।
মোঃ মজিবর রহমান
পর্দায় দিতে পারে নারেকে মুক্তি।
মনির হোসেন মমি
বিষয়টা ভাবলে অনেক কিছু না ভাবলে কিছুই নয়। অনেক শিল্পীর ছবিতেও নগ্নতা থাকে অনেক সর্ট ফিল্মেও নগ্নতা দেখায় । এ সব নগ্ন ভাবলেই নগ্ন নতুবা এক একটা রত্নময় কাজ। নগ্নতা কাজে নয় মনে। মনের নগ্নতা নারীকে অসন্মান করে তার অধিকার হতে দুরে সরিয়ে দেয়। তবে হ্যা নারীদের এখনো আমরা সেই সন্মানজনক স্থানে বসাইতে পারি যা তাদের প্রাপ্য।
ভাল লাগল।
শফিকুল ইসলাম
সহমত পোষণ করছি।
তবে এটা অস্বীকার করা যায় না যে নগ্নতা নারীর ক্ষেত্রেই বেশী প্রয়োগ হয়।
পুরুষের নগ্ন চিত্র শিল্পে আসে না কেনো?
এটাও একটু ভেবে দেখা প্রয়োজন।
মনির হোসেন মমি
বিজ্ঞাপনের মুল যে থিমটি তা হল-অন্যকে যে করে হোক আকর্ষিত করা।আর স্বভাবতঃ আমরা সৌন্দর্য্যর একটু ভিন্নতা খুজিঁ সে ক্ষেত্রে নারীকে তারাঁ বেছে নেয় তবে কোন ক্রমেই আমি খোলাখুলি নগ্নতাকে সমর্থন করছি না। কিছু কবিতা আছে যেমন সবার পক্ষে এর অর্থ বুঝা মুশকিল তেমনি নগ্নতা যেন হয় তদরূপ।আর এটাই হল আর্ট। ধন্যবাদ।
ছাইরাছ হেলাল
প্রচারে প্রসার, এর হাত ধরেই উঠে এসেছে বিজ্ঞাপন। আর বিজ্ঞাপন মানেই চটকদার কিছু।
স্বভাবতই উঠে আসে নারী! আর আমরা তা চাচ্ছিও।
অতএব ইচ্ছা বা অনিচ্ছা সত্ত্বেও তা চালুই থাকছে।
সঞ্জয় মালাকার
আধুনিক পণ্য
পুরুষ রা যে তেমন কাজটা করে যাচ্ছে তা শুধু নয়,
বরং তেমন অর্ধনগ্ন রঙিন জীবনের জন্য অনেক মেয়েরা ও ওঁত পেতে থাকে।
বিষয়টা ভাবলে অনেক কিছু না ভাবলে কিছুই নয়। অনেক শিল্পীর ছবিতেও নগ্নতা থাকে অনেক সর্ট ফিল্মেও নগ্নতা দেখায় ।
অতএব ইচ্ছা বা অনিচ্ছা সত্ত্বেও তা চালুই থাকছে।
ধন্যবাদ সমসাময়িক পোস্ট ভালো লাগলো।
নুর হোসেন
‘নারী তো পন্য না,
নারী হলো মা;
পন্য হলো পতিতা’
একজন তামিল আর্টিস্ট আমাকে বলেছিলো।
আপনার ব্লগ পড়ে আজ কথাটা বার বার আওরাচ্ছি কিছুক্ষন আগে টিভিতে দেখা কনডমের এক বিজ্ঞাপন চোখে সামনে ভেসে উঠছে কামুক এক পন্য পতিতার চেহারা!
একটু ভাবুন তো অদ্ভুত না!?