বড়দিন উপলক্ষে খৃস্টান ধর্মালম্বীরা যতটা সম্ভব দ্রব্য মুল্যের দাম কমিয়ে দেয়। আর আমাদের দেশের মুসলমানরা যতটা সম্ভব দাম উচুতে উঠায়। সারা বছর আমাদের দেশের মুসলমানরা অপেক্ষা করে কবে আসবে রমজান মাস? কবে মানুষদের ঠকিয়ে দ্বিগুন মুনাফা করবে? বাস ট্রেন লঞ্চে বারতি ভাড়া নিবে? ট্রাক এর বিড বেড়ে যায়, মাস্তান পুলিশ সব এক কাতারে। কিভাবে রক্ত চোষা যায় ?
বাইরের দেশ সমূহ দেখলে বুঝা যায় যে অন্য দেশের সাথে আমাদের পার্থক্য কোথায়। শান্তির কথা যদি বলা হয়, তবে তা ঐ সব দেশেই আছে। আমাদের মত লক্ষ লক্ষ মসজিদ, মাদ্রাসা, মাওলানা নেই সেসব দেশে। কিন্তু সব সঠিক ভাবে চলছে ।
আমরা সবাই দুর্নীতিতে, অন্যায় কাজে এতই নিমজ্জিত যে, আমরা মনে মনে ভাবি ধর্ম আমাদের এই অন্যায় থেকে মুক্তি দিবে। তাই ধর্ম ব্যবসায়ীরা আমাদের উপর প্রভুত্ব করার সুযোগ পায়। তারা ৫ মে’র মত আমাদেরকে কব্জা করার সাহস পায়।
এদেশের মুসলমানদের মনোভাব ভালো করার জন্য খৃস্টান পাদ্রী দরকার। প্রচলিত মাওলানারা এই মনোভাব পরিবর্তন করতে পারবেনা। এটা প্রমাণিত ।
মুসলিম দেশ সমূহের মধ্যে মালয়েশিয়া অত্যন্ত ভাগ্যবান যে, তাদের দেশে কোন দেলোয়ার হোসেন সাইদি টাইপ, গোলাম আজম, বা মওদুদি মার্কা মাওলানা নাই ।
জুন ৩০ ২০১৪
১৬টি মন্তব্য
ইঞ্জা
খুবই সত্য বলেছেন ভাই, চট্টগ্রামের পাথরঘাটায় প্রচুর খ্রিষ্টান বাস করে, এরা সবাই জেলে সম্প্রদায় বলেই আমরা জাইল্লা (জেলে) খ্রিষ্টান বলি, তেমমি আমাদের দেশের মুসলিমদের জাইল্লায় বলা যায়, আমরা নামে মুসলিম কিন্তু কাজে কসাইই।
জিসান শা ইকরাম
বিভিন্ন কারনে আমাদের দেশের মানুষজন ধর্মভীরু, হুজুরগন যদি পরকালের সাথে সাথে ইহকালের কথা বলতেন তাহলেই দেশটি সোনার দেশ হতে পারত। তাঁদের হেদায়েত কেবল মাত্র বেহেশত লাভ কিভাবে হয় তার উপর।
ইঞ্জা
শুধু তাই নয়, হজুরগণ তাদের নিজ সার্থের কারণে মানুষকে ধর্মের নামে ভয় দেখায় কিন্তু ধর্ম নিয়ে ভয়ের কিছুই নেই ভাইজান।
ছাইরাছ হেলাল
আপনি বিধর্মীদের কাছ থেকে শিক্ষা নিতে বলছেন!! নাুজুবিল্লাহ!!
আপনার কেল্লা চাই বলে স্লোগান উঠল বলে।
জিসান শা ইকরাম
বিধর্মীরা যদি আমাদের ধার্মিকদের চেয়ে ভাল মানুষ বানাতে পারেন তবে তাঁদের কাছ হতে শিক্ষা নিতে সমস্যা নাই।
আমাদের দেশে এত মসজিদ মাদ্রাসা থাকতে আমরা কেন অসৎ থাকি?
মোঃ মজিবর রহমান
ধর্মের দোষ দিইনা, ধর্মবিদরা যখন ধর্মকে নিয়ে ব্যাবসা রাজনীতি করেন ধর্মের ফাক ফোকর দিয়া মানুষ ঠকায় তাঁদের দোষ দিই।
ভালো বলেছেন।
জিসান শা ইকরাম
ধর্মকে নিয়ে আমাদের দেশে সবচেয়ে বড় ব্যাবসা চলমান। আরব দেশে ইসলাম ধর্মের আবির্ভাব, ঐ সমস্ত দেশে কোনো ওয়াজ মাহফিল নাই কেন? আরা আমাদের দেশে মনে হয় ওয়াজ মাহফিল বাধ্যতা মুলক।
মোঃ মজিবর রহমান
বর্তমানে অয়াজ মাহফিলে মাওলানা মাওলানা শুরু হয়েছে গালি গালাজ।
https://youtu.be/RVPgRzvKL4A
জিসান শা ইকরাম
চলুক, আমরা মজা নেই 🙂
মায়াবতী
ভাইয়া আপনি এমন কন্টাড্রাক্টরি বিষয় নিয়ে লিখে ফেলেন যে মন্তব্য করতে ভয় লাগে জানি না কেন, আম্মা বলতেন খবরদার আমাদের ধর্ম নিয়ে মওলানা দের নিয়ে কক্ষনো নিজের ভিতর কি আছে মানুষের কাছে প্রকাশ করবি না বুঝলি , আমি একটা সময় আম্মার এই বাণী আসলে বুঝতাম না আর এখন যা বুঝি তা তে নানা রকম সংশয় কাজ কতে , আচ্ছা ভাইয়া সমাজের এই সব বৈষম্য কি আমরা যারা সাধারন জনগন তারা কি পারি না শোধরাতে ? একটু একটু করে ই না হয় আগাই * ভাল থাকবেন।
জিসান শা ইকরাম
এসব বৈষম্য সহজে দূর হবে না।
শুভ কামনা।
মৌনতা রিতু
চোরে না শোনে ধর্মের কথা!
আসলে আমরা এই চোরদের কাছে জিম্মি। আসলে মূল ধর্মের বাণী এরা আদৌ জানে কিনা সন্দেহ।
জিসান শা ইকরাম
তারা তেমন কিছু জানেনা বলেই ভয় দেখিয়ে তাঁদের রাজত্ব কায়েম রাখতে চায়।
নীলাঞ্জনা নীলা
নানা এভাবে লিখোনা। নাম কা ওয়াস্তে দেশে গণতন্ত্র আছে, কাজে গোল্লা।
জিসান শা ইকরাম
কি করবো, মাঝে মাঝে না লিখে পারা যায় না।,
নীলাঞ্জনা নীলা
তা ঠিক পারা যায়না।