
** জয় শ্রীরাম বলে বলে চেঁচান আপনারা!! রামের কথা বললেই আসে রামরাজ্যের কথা, রামচন্দ্রের প্রজাপালনের কথা। খালি রামমন্দির প্রতিষ্ঠা করলেই সেইটা হয়না। এই আপনাদের প্রজাপালন? যে রামের কথা এতো বলেন তাঁর থেকে এই তাইলে শিক্ষা? রামচন্দ্র রাজার দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে পরিবারের প্রতি অন্যায়ও করেছিলেন আর রামভক্তরা কি করলো? খালি বিশাল ভুড়ি বের করে কূম্ভমেলার স্নানে গেলেই হয়ে গেলো? এই করোনার মধ্যে লক্ষ লক্ষ মানুষ নিয়ে কূম্ভমেলা, বিশাল বিশাল নির্বাচনের র্যালী যখন এতো এতো দেশ লকডাউনে, করোনার থাবা থামেনি, সারা পৃথিবী বিপর্যয়ের মধ্যে। দুনিয়ার মানুষ বেকুব হয়ে গেছে আপনাদের এই মূর্খতা দেখে। এতো যে ধার্মিক সবাই, যে ভগবানের কথা এতো করে বলেন তিনিও স্থীতধী হইতেই বলেছেন, মূর্খের মতো কান্ডরারখানা করতে বলে নাই! গতোবারের করোনা শুরু হবার পর এতোগুলো মাস ধরে কিসের প্রস্তুতি নিলো আমাদের উপমহাদেশে আমি জানি না! ইন্ডিয়াকে দেখে আরও ভয়, বাংলাদেশে যদি এমন শুরু হয় কি হবে!
ইন্ডিয়াতে কল করতেও ভয় করছে! ভিডিওগুলো কি নির্মম। দেখলেই কান্না পাচ্ছে। একটু অক্সিজেনের জন্য কি আকুতি! ধরিত্রী মা আর কতো চিতা জ্বালিয়ে শান্ত হবে কি জানি! এইসময় অন্য সব দেশের উচিত ইন্ডিয়ার এই বিপর্যয়ে এগিয়ে আসা, অক্সিজেন সাপ্লাই দেওয়া, মানুষ মরছে মানুষ… প্লিজ এভাবে অক্সিজেনের জন্য মানুষ মারা যাবে…!
#IndiaNeedsOxygen
** অক্সিজেন এর জন্য একটি মানবিক হাহাকার যুক্ত ছবি।
একটু অক্সিজেনের অভাবে স্বামী মারা যাচ্ছে চোখের সামনে, করোনা আক্রান্ত স্বামী রবিকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য ভারতের উত্তর প্রদেশের নারী রেণুর শেষ চেষ্টা নিজেই স্বামীর মুখে মুখ দিয়ে অক্সিজেন দেবার চেষ্টা করছেন, যদিও জানেন এভাবে হবে না। হয়ও নি, মারা গেছেন রবি। এই ছবি দেখে আমি সত্যি কান্না করে দিয়েছি। চোখের সামনে ভালবাসার মানুষ মারা যাচ্ছে, এভাবে অক্সিজেন দিলে রেণু নিজেও করোনাক্রান্ত হতে পারে জেনেও রেণু চেষ্টা করেছে। তবু মানুষ পারে না, হেরে যায়। যদি সত্যি এমন হতো আমরা নিজেরা আয়ু ভাগাভাগি করতে পারতাম আমাদের প্রিয় মানুষগুলোকে বাঁচিয়ে তুলতে ..। এমন শত শত রেণুর দীর্ঘশ্বাসের জন্য যাদের অবহেলা দায়ী তারা যেন ভাল থাকে। আহারে ইন্ডিয়া সুস্থ হয়ে যাও, ফাইট ব্যাক করো।
** বাংলাদেশে আমাদের সচেতনতা
ঈদের শপিং না করতে পারলেই বরং এদের করোনা হবে। করোনা থেকে বাঁচার জন্য শপিং করতে এসেছেন ইনারা। প্রতিবেশি দেশকে দেখেও শিক্ষা হইলো না।
——————-
পুস্পিতা আনন্দিতা
নিউইয়র্ক
৭টি মন্তব্য
বন্যা লিপি
চোখের সামনে ভালবাসার মানুষ মারা যাচ্ছে, এভাবে অক্সিজেন দিলে রেণু নিজেও করোনাক্রান্ত হতে পারে জেনেও রেণু চেষ্টা করেছে। তবু মানুষ পারে না, হেরে যায়। যদি সত্যি এমন হতো আমরা নিজেরা আয়ু ভাগাভাগি করতে পারতাম আমাদের প্রিয় মানুষগুলোকে বাঁচিয়ে তুলতে ..। “”
এই উক্তির চেয়ে বড় কোনো উক্তি আর হয়না।
ঢেউ এলে ভাসিয়ে নেবেই সব। ঢেউ আসার আগে সতর্কতা জরুরী। মানুষ এখনো নির্বোধ।
সর্বস্তরে সচেতনতা এখন আদর্শলিপির মত পাঠ দেয়া দরকার। তাতেও কাজ হবে বলে মনে হয় না।
যা হবার তাইই হবে।
আপনার প্রতিটি পোষ্টে আপনার মনের ক্রোধ উপলব্ধি করা যায়। নিজেকে কতটা অসহায় লাগে, টের পাওয়া যায়। আপনার জন্য আন্তরিক শুভ কামনা।
আলমগীর সরকার লিটন
এটাই এক বাস্তবতারমুখোমুখি এটাই এক জ্ঞানশুন্যতার মানুষ
ঈশ্বর সবাই কে হেদায়েত দেক আমিন——–
রোকসানা খন্দকার রুকু
আমাদের শিক্ষা কোনকালেই হবে না। আমরা এমনই অসচেতন । বলে কয়ে গলা শুকিয়ে লাভ নেই।
হালিমা আক্তার
ভারতকে দেখেও আমাদের শিক্ষা হচ্ছেনা ।
জিসান শা ইকরাম
ধর্মীয় আবেগই আমাদের এই উপমাহাদেশকে ডুবাবে। হিন্দু আর মুসলিম ( অতি ধার্মিক ) হচ্ছে একই মুদ্রার দুই পিঠ।
করোনা গুরুত্ব পায়না ধর্মীয় আবেগের কাছে।
স্বামীকে বাঁচানোর রেনুর চেস্টার ছবি দেখে স্তব্দ হয়ে গিয়েছি।
বাংলাদেশের অবস্থা ভয়াবহ হতে পারে যে কোনো সময়।
আপনার জন্য শুভ কামনা।
আরজু মুক্তা
জ্ঞানী মুর্খ।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
সত্যিই এই উপমহাদেশে ধর্মীয় আবেগ অনুভূতির চেয়ে বড় কিছু নেই! ঈশ্বর কেও এরা বৃদ্ধাঙ্গুল দেখাচ্ছে। এইযে এতো প্রচারণা, লকডাউন তবুও এদের হুঁশ হচ্ছে না। শপিং নিয়ে হৈচৈ, এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ছোটাছুটি জীবন বাজি রেখে অদ্ভুত এদের মানুষিকতা। ভালো থাকবেন নিরাপদে থাকবেন