
দেয়ালের সাথে কথা বলা যায়-না, হয়-ও-না কোন কথা,
চারিদিকে শুধুই অভেদ্য দেয়াল, ডানে-বায়ে সামনে-পিছনে উপর-নীচে,
পাহাড়-দেয়াল পথ আগলে দাঁড়িয়ে আছে দাঁত চেপে, বৃত্তাবদ্ধ জীবনে,
নিঃশব্দ নিষ্প্রভতার চাদর মুড়ে;
ফুলের-সুঘ্রাণ-দেয়াল কাঁটা আগলে বসে আছে, পথ-জুড়ে,
দেবে-না, নেবে-ও-না, কাগজ/কাগজের ফুল হলেও না।
আমার তো কথা কৈ-তে ইচ্ছে করে, কথা না-বলে, কথা না-লিখে,
চোখে, চোখের মাপ না-জেনে;
তবুও কথা হয়, কথা বলি, পাহাড় ডিঙ্গিয়ে, কাঁটায় কাঁটা ফুঁড়ে, চোখ বুজে,
ঐ নীলাচলের সাথে, বিকেল দুপুর সন্ধ্যা বা রাতের একদম শেষ প্রহরে।
কোন কথা না-বলেই, বোবার বেশে।
দেয়াল বেষ্টনে আজান ধ্বনি অবলীলায়, নমনীয় আনন্দ-শিহরণ অতিরেকে,
দেয়ালে-হৃদয়ে গভীর গোপনে তান তোলে বোশেখের ঘূর্ণি-বেগ,
সত্যিই কী বৃষ্টি নামের কেউ আছে!! দেয়ালের ওপারে!! ছিল কী কেউ!!
কালো চোখের ছোঁয়াচ নিয়ে বিরল-চুমুকে!!
এক হত্যাকারীর দারুন-মানচিত্র দেয়ালে সেঁটে,
দেয়াল লেপ্টে আছে দেয়ালে আলুথালু হয়ে,
হত্যাকারী/আত্নহত্যাকারীর কপট বেশে।
২১টি মন্তব্য
প্রহেলিকা
আমি আসলে আপনি ভাগেন, আর আপনি আসলে আমি ভাগি।
ছাইরাছ হেলাল
আহা ভাগাভাগি,
ঠিক আছে জংশনে আবার দেখা হবে।
প্রহেলিকা
রাতে এসেই তাহলে দেয়ালের সাথে বাইড়াবাইড়ি করবো। যাই এখন।
লেখা কিন্তু দেয়ালের মত শক্ত হয়েছে।
ছাইরাছ হেলাল
ঠিক আছে, তেমন কথাই থাকল।
মোঃ মজিবর রহমান
অন্ধকারে ডক্কর খাইয়েন না ভাইজানেরা।
মোঃ মজিবর রহমান
হায়রে দেওয়াল কত কিছুই বহিবার পার! কত কিছুর স্বাক্ষি তুমি হে দেওয়াল!!!
ছাইরাছ হেলাল
হ্যা, মজিবর ভাই, দেয়াল দেয়াল হয়েই অনেক কিছুর সাক্ষী।
মাহমুদ আল মেহেদী
দেয়াল কি ঝুলে থাকবে ওয়ালে।
ছাইরাছ হেলাল
ওয়ালে ঝুলবে কেন!!
দেয়াল দেয়ালেই ঝুলবে!
মাহমুদ আল মেহেদী
ধন্যবাদ ভাই। আমার দেয়ালে রাখলাম বারবার পড়বার জন্য।
ছাইরাছ হেলাল
সে আপনার ইচ্ছে, তবে এটি বারেবারে পড়ার মতন কিচ্ছু না।
সাবিনা ইয়াসমিন
দেয়াল লেপ্টে থাকে দেয়ালে
ভাষাহীন ভাষায় কথা হয় নিঃশ্বব্দ নিঃশ্বাসে,
প্রতিধ্বনিত বর্ণমালা জেগে উঠে
দেয়ালের খাঁজে–দেয়াল পৃষ্ঠে–শৈবাল সবুজে।
দেয়ালের অশ্রু ঝরে অব্যক্ত বেদনায়!!
নির্জন–নির্জনে দেয়াল কেঁদে উঠে
পেরেকের নির্মমতায়…
দেয়ালে দেয়াল লেপ্টে থাকে
বোঝা না–বোঝার অস্থিরতায়।
ছাইরাছ হেলাল
বোঝা না-বোঝার স্থির-অস্থিরতায় ও
দেয়াল দেয়ালে-ই থেকে যায়,
পেরেকের নির্মমতায় আতর-ঘ্রাণ জমায়
অ-লক্ষ্যেকে লক্ষ্য করে, ধীরের ধীরতায়;
দেয়াল দেয়ালেই ঘুমায়, নিঃসাড় স্থিরতায়।
অ-নিশপিশ নিবির্ষ নিষ্পন্নতায়।
সাবিনা ইয়াসমিন
এটা আবার কি !! এটার উত্তর দিতে পারবো না। এতো শক্ত কথায় প্রতিউত্তর!! মাথা খারাপ করে দিবেন নাকি?
ছাইরাছ হেলাল
বালাই শাট!! আপনার মাথা খারাপ করে সোনেলা বাঁচবে না!!
আপনার এত্ত সুন্দর মন্তব্য দেখে একটু এলমেলো কিছু লিখে দিলাম, লেখা-ইচ্ছে তো থাকেই/হয়-ও।
নীলাঞ্জনা নীলা
প্রতিবাদের কবিতা, অভিমানের কবিতা নাকি গভীর ক্ষোভ নিয়ে কবিতা? যা-ই হোকনা কেন, না বললেই নয়!
নীরব দেয়ালে জড়িয়ে থাকে একেকটি সময়ের গল্প
সে পড়ে এবং তার পরে ধারণ করে দাগ
তার গায়ে শ্যাওলা সেঁটে থাকে, জরাজীর্ণ হয়ে পলেস্তারা খসে পড়ে
তার শরীর জ্বলেপুড়ে গিয়ে পোড়া ইটের ইতিহাস হয়
একদিন, তারপর ভুলে যায় এখানে শিক্ষার আড়ালে অশিক্ষার জুলুম ছিলো,
প্রতিবাদী পুড়েছিলো আগুনে।
ছাইরাছ হেলাল
ইস্ সব দেয়ালে শ্যাওলা ধরে না, জন্মায় ও না।
সাহসী সময়ের হাত ধরে দেয়াল দেয়ালের গায়ে জড়িয়ে দাঁড়িয়ে থাকে।
ফুলের দেয়াল জড়িয়ে ছড়িয়ে থাকে দেয়ালের দেয়ালে।
ফুলে ফুলে।
প্রহেলিকা
একেকজন যে যে মন্তব্য করা শুরু করেছেন, সেখানে আমি কোন ছাতা। সবার মন্তব্য একত্রিত করে যা পাবেন সেটাই আমার। কবিদের আনাগোনা বেশি বেড়ে গেছে। সব সব স্বজনপ্রীতি তা বুঝি আমরা। দেয়ালের মত পোড়া ইটের লেখা কিভাবে নামাতে হয় তা আগে শিখতে হবে। কঠিন করে লিখে খালি নিজেই মজা নিচ্ছেন! খুব খ্রাপ
ছাইরাছ হেলাল
ঠিক আছে, সব মন্তব্য জুড়ে-জুড়ে জোড়া লাগিয়েই আপনার মন্তব্য,
শান্তি শান্তি।
স্বজনদের প্রীতি খুবই লক্ষ্য করা যাচ্ছে, চোখ না মেলেই, গপ্পো গড়িয়ে যাচ্ছে
হরিপদের ঘাড়ে চড়ে চড়ে।
কঠিন লেখা বুঝি আমি দেই, আর কে কে দেয় জাতি জ্বল জ্বল করে দেখতে পাচ্ছে।
খুব সাবধান কিন্তু।
পানি কোবতে লিখবেন লিখবেন আমার মত মনে থাকে যেন।
জিসান শা ইকরাম
সবকিছুতে দেয়াল আছে, থাকবে।
দেয়াল ভেদ করে দেয়ালের ওপাড়ে যাবার কৌশল জানতে হয়,
যে জানে দেয়াল তার কাছে দেয়ালই না।
তবে কবিতায় বুঝা যাচ্ছে স্পষ্ট যে কবি দেয়ালের এপার ওপার সবই দেখতে পারেন।
এত সহজ কবিতা লেখা আরম্ভ করলেন!
ছাইরাছ হেলাল
দেয়ালের ওপাশে কী আছে তা কেউ জানলেও জানতে পারে।
তবে দেয়ালে মই চালনা করার হেকিমি ক্ষমতা সবার হয় না, থাকেও না।