দাদির নারকেল গাছ@ এজহারুল এইচ শেখ
দাদির চারটে নারকেল গাছ ছিল,
এই ভিটে বাড়ির চার কোনায়,দাড়িয়ে
আকাশের সঙ্গে নীল মেখে,বলল
নাকি পেয়ে ছিলো গলায় মালা পরিয়ে…
চারটে ছেলে দুটো মেয়ের মা উনি
মেয়েরা যখন আসে দুই হাতে নিয়ে
আসে দুই ব্যাগ,একটাতে ভর্তি কাহিনি
অন্যটাতে গাছের ফল নারকেল কাজু,
মায়ের আর লোকজনদের ও খোঁজ
রাখে,ভিটে বাড়ি কেন হল এত উচু!
তোমার ছেলেদের, ভাইদের এত কাগজ
এত দলিল,পাচ্ছিনে দেখতে শুধু
কোনো ঋজুর!এখন আর কোনো উঠোন
নেই,পাখিদের বেলা-অবেলার ভিক্ষা নেই !
দাদি কিন্তু আজ নেই,আছে সব ভিন-যান!
তালপাতা নারকেলপাতা বেশতো সই
মুখ দেখার টান,দেবে সন্ধান …
এখন চার লেনের রোড আছে,ভীড়
আছে সঙ্গে দৌড়,কার্নিশের চড়ুই
মাটির পিঁপড়ে দেখে কম!নীড়
আর কেউ চাই না ঘাসের,রঙীন টাই!
ওজোন গর্তে ভাঙা বাড়ির ইট ফেলবে
দাদির কবরেও,চলবে ফর্সা নারী
পণ না পেলে ছুড়ি ত্রি-কালের বুড়ি হবে,
পরণে নেই দাদির সেই শাড়ী!
@ বাড়ি,
তারিখ-২৪/০৪/১৩
সময়-৩ঃ০৫ বিকেল
৩টি মন্তব্য
নীহারিকা
আমার দাদীকে আমি চোখে দেখিনি। অনেক বছর আগে মারা যান তিনি যখন আমার আব্বা খুব ছোট। ওনার কোন স্মৃতি নেই আমার কাছে। ভালো লাগলো কবিতাটি।
জিসান শা ইকরাম
কবিতা ভালো লেগেছে।
বনলতা সেন
খুব ভালো লেগেছে ।