# দর্শন/
এক অদ্ভুত দর্শন পৃথিবীর জন্য আরাধ্য হতে চলেছে
যাদের আলোক সান্নিধ্য নেই,
যারা কোনোদিন শিল্প প্রিয়ার শৈল্পিক হাতে হাত রেখে পৃথিবীর মুক্ত ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়নি
কোনোদিন চুম্বন আঁকেনি তরুণীর তুলোল ঠোঁটে,
জল মুছে দেয়নি বিরহকাতর প্রিয়ার_
তারা বহুদূর প্রান্তর ঘুরে আপন নিবাসে ফিরে আসে অসহায় শকুনের মতন
মৃত খাদ্যের জোগান তাঁহাদের জন্য!
অথৈ অন্ধকারে যাপনের স্কেচ এঁকে যায় কে যেনো
কাগজের বুকে ফুঁটেছে বিস্মৃত স্মৃতিরা।
না জানি কতো সহজেই জল আসে,
কতো সহজেই আনন্দের প্রেক্ষাগৃহে বেদনার কালিমা ধেয়ে আসে
কতো সহজেই রুপ রঙ বদলায় জীবন নদীর অববাহিকায়_
যদিও স্বপ্নরা স্বর্গ থেকে আসে,
যদিও মন কয় স্বপ্ন আছে স্বপ্নে বাঁচি_
আসলে স্বপ্ন এক মহাকাল রহস্য_
আকাশ থেকে নেমে এসে মহাশুন্যে অদৃশ্য হয়ে যায়,
একদিন সে হারিয়ে যাবেই,স্বপ্ন মানে জীবন পটে মৃত্যু নিয়ে খেলা-
স্বপ্ন হলো ভয় ধরাবার তান,
লক্ষ স্বপ্ন ভুল হয়ে যায়,একটু আধটু থাকে!
আশার দোলাচলে স্বপ্নহীন বয়ে চলা তাই!
মধ্য রাতের পাখিরা ঘুমায়,
সবুজ বৃক্ষরা নিয়ম ভেঙে ঘুটঘুটে আঁধারে বর্ণীল আভা ছড়ায়_
চোখ যারে পায় মন পায়না কেনো!
মুক্ত আকাশের দিকে চেয়ে ভাবি_
একদিন ওই শুন্যপটে লীণ হয়ে যাবো,
জীবনের সমস্ত লেনদেন থেমে যাবে!
—
(অবক্ষয়ের নামতা)
যাদের শক্তি নেই তারা ভক্তির দাসত্বে নিমগ্ন হতে চায়
আমি চাই মুক্ত করতে সাহস দিতে-
ছুটে চলো হায়েনার হিংস্রতা নিয়ে,হিংস্র হায়েনার থাবায় পুঁজিবাদী সিংহরা পালিয়ে যাক,
ধর্মকে ধর্ষণ করে যে স্মৃষ্টির অনুশাসণ_
ধর্মকে অন্ধাত্বের গন্ডিতে আঁকড়ে ধরে যে অভাগার দল
তারা উভয়ি সাম্প্রদায়িক নপুংসূক,
তারাই মানুষের ভীড়ে অন্ধকার ছড়িয়ে দেয়,
স্বার্থের গন্ধ হৃদয়ে লেপ্টে দেয় শিল্পের মতন_
তাই অসাম্প্রদায়িকতার স্নিগ্ধ সকাল দেখেনি পৃথিবীর আলো আজও!
আর সাম্যস্বচ্ছ আহবান,কবিতার কাব্যিক মূর্ছনায় রয়ে যায়,!
কতো পথ এভাবে পেরুলো!
কতো দেহের রক্তের ইতিহাস অজানায় রয়ে গেলো!
শুধু জানি,করুণার উদ্রেক হয়নি এখনো!
পৃথিবীতে স্বার্থের তানপুরা বেজে চলেছে অনাদিকাল_
বিচ্ছেদ আরাধনায় নিমগ্ন মনুষ্যকূল!
ঈশ্বর বোবা,ঈশ্বর এতো নিরুপায়,
এক অদ্ভুত শৈশব লালন করে যায় অদৃশ্য অজানায়-
(মাসুদ চয়ন)
১৭টি মন্তব্য
তৌহিদ
আমাদের দর্শন একেকজনের কাচগে একেক রকম। তবে দর্শনকে আপনি যেভাবে পজিটিভ ভাবে উপস্থাপন করলেন আপনার লেখায় আমিও তাই চাই। একদিন সবাই বিলীন হয়ে যাবো, শুধু রয়ে যাবে জীবন দর্শন।
অবক্ষয়ে নিমজ্জিত হয়ে আছি, ইশ্বর বুঝি সব দেখেও দেখেননা। তবে মাঝেমধ্যে মনে হয় তিনি সবই দেখেন, এই অবক্ষয় থেকে আমরা নিজেরাই উঠতে চাইনা। সকল অবক্ষয় দূরে সরে যাক। মানুষ হয়ে উঠুক মানুষের মতন।
ভালো লাগলো লেখা চয়ন।
বানান দু’ একটি সংশোধন করে দিন- অদ্ভুৎ – অদ্ভুত, আধতু- আধটু, মধ্য রাত- মধ্যরাত, দাষত্বে- দাসত্বে, শৈসব- শৈশব এরকম আরও আছে।
শুভকামনা জানবেন।
তৌহিদ
কাচগে নয়- কাছে হবে।
মাসুদ চয়ন
ধন
মাসুদ চয়ন
ধন্যবাদ প্রিয়
ইঞ্জা
দারুণ দর্শন, লেখাটি আমাকে বেশ টেনেছে, বিমোহিত হলাম লেখার ছোঁয়ায়। 😍
মাসুদ চয়ন
ধন্যবাদ ভাই
ইঞ্জা
শুভেচ্ছা ভাই
রাফি আরাফাত
পৃথিবীতে স্বার্থের তানপুরা বেজে চলেছে অনাদিকাল_
বিচ্ছেদ আরাধনায় নিমগ্ন মনুষ্যকূল!
ঈশ্বর বোবা,ঈশ্বর এতো নিরুপায়,
এক অদ্ভুত শৈশব লালন করে যায় অদৃশ্য অজানায়-
কথাগুলো ভালো লাগার মতো।
পুরাটা পরে মনে হলো খুবই উচ্চতর ভাষাশৈলী ব্যবহার করছেন ভাই।
ভালো কিছু উপহার দিলেন।
আন্তরিক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন
মাসুদ চয়ন
ধন্যবাদপ্রিয়
শিরিন হক
জগৎ, জীবন, মানুষের সমাজ, তার চেতনা, সামাজিক চেতনার বিকাশের একটা পর্যায়েই মাত্র মানুষের পক্ষে বিশ্লেষণী দৃষ্টি নিয়ে জগৎ এবং জীবন সম্পর্কে চিন্তা করা সম্ভব হয়েছে। মানুষ তার নিজের উদ্ভব মুহূর্ত থেকেই চিন্তার এরূপ ক্ষমতা দেখাতে সক্ষম ছিল না। মানুষের চেতনার বিকাশের একটা স্তরে মানুষ তার পরিবেশ সম্পর্কে চিন্তা করতে আরম্ভ করে। নিজের জীবনকে অধিকতর নিশ্চিত করে রক্ষা করার প্রয়োজনে মানুষ প্রকৃতি জগতের রহস্য সম্পর্কে জ্ঞান অর্জনের চেষ্টা করে। প্রকৃতি, জগৎ এবং পরবর্তীকালে মানুষের নিজের দেহ এবং চেতনা সম্পর্কেও সে চিন্তা করতে শুরু করে।
আপনি সুনিপুণ ভাবে ভাবে মানব দর্শনের নেতিবাচক দিকটি তুলে ধরলেন। প্রতিটি মানুষের রেখে যাওয়া জীবনের দর্শন অনুসরণ যোগ্য হোক।
অনেক শুভকামনা। বানানে সতর্ক থাকবেন।
মাসুদ চয়ন
ধন্যবাদ প্রিয়
জিসান শা ইকরাম
জোড়া কবিতা ভালো হয়েছে।
চয়নকে নিয়মিত পাচ্ছি না,
মন বিক্ষিপ্ত কোনো কারণে? বা ব্যস্ততা?
শুভ কামনা।
মাসুদ চয়ন
মানসিকভাবে ভালো নেই দাদা।অনেক ধন্যবাদ
তৌহিদ
মন ভালো করে তাড়াতাড়ি ফিরে আসুন। রংপুরেই আছেন? সোনেলায় আপনাকে মিস করছি চয়ন।
আরজু মুক্তা
অসাধারণ। আপনার কবিতাগুলো আমি আগেই পড়ে ফেলি পোয়েম ভেইনে।
শুভকামনা
মাসুদ চয়ন
ধন্যবাদ আপু
মনির হোসেন মমি
জীবন দর্শন।চমৎকার ভাবে ঊপাস্থাপন করলেন। খুব ভাল লাগল।