** আমি গ্রামের মুখ্য সুখ্য মানুষ, এত বড় বড় রথি মহারথীদের সাথে বিশেষ অতিথি হয়ে পাশাপাশি চেয়ারে বসে তাদের অসম্মান করা ঠিক না। আমি কবিতার কি বুঝি?
# আমি এসবের কিছু শুনতে চাইনা, আমার কবিতার বই প্রকাশনী অনুষ্ঠানে তুমি থাকবে বিশেষ অতিথি হয়ে।
** তোর প্রকাশনী অনুষ্ঠান আমার কারণে অনুজ্জ্বল হয়ে যাবে।
# হলে হোক, তুমি থাকছো অনুষ্ঠানে। কথা শেষ, ব্যাস।
তাঁর প্রথম কাব্য গ্রন্থ প্রকাশনী অনুষ্ঠানে কবি অসীম সাহা, ভাস্কর চৌধুরী, জাপান দূতাবাসের একজন বাঙ্গালী কর্মকর্তা এমন সব গুনী জনের সাথে একই সারিতে একজন জিসান গিয়ে বসলো তার শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা মাথায় নিয়ে। এই শ্রদ্ধা কতটা আন্তরিকতা থাকলে অর্জন করা যায়? আমি এক সাধারণ বলতে গেলে গ্রামে থাকা একজন মানুষ। এমন শ্রদ্ধা পেলে তা রক্ষা করা তো আমার প্রধান দায়িত্ব হয়ে পরে। যাকে সে ভালোবাসে এমন উচ্চতায় নিয়ে বসায় সে।
পরিচয়ের পরে প্রথম দেখা হবে তার সাথে। অতি স্নেহের একজন আসছেন প্লেনে উড়ে। অভ্যর্থনা তো জানাবোই আমি। মানুষের উপরে বিশ্বাসী মন তার, আমাকে বলে ‘দেখবে অনেক বন্ধু পরিচিত মানুষ রিসিভ করবে বিমান বন্দরে আমাকে’। তাঁকে তখন বলিনি ‘যাদের বন্ধু ভাবিস তারা আসলে কতটা আন্তরিক, তা তুই বুঝবি না, কারণ মানুষের কথায় আস্থা রাখো তুই, বিশ্বাস করো। আজ বললাম এই কথা। এই মানুষদের মধ্যে ‘ দিদি তোমার জন্য প্রয়োজনে রক্ত দিয়ে দেবো’ বলা মানুষও ছিলো।
বরিশাল হতে ঢাকা গিয়ে গাড়ি নিয়ে পথে আর একজনকে ফোন করে গাড়িতে নিয়ে ছুটলাম বিমানবন্দরে। আমি নিশ্চিত আমি তাঁকে গাড়িতে না নিয়ে নিলে নিজের ইচ্ছায় সে একা যেতো না বিমানবন্দরে।
ঐতো আমার স্নেহের আনন্দময়ী একজন, যেন কত জনমের চেনা। আমাকে এসে খুশীতে উড়ে এসে জড়িয়ে ধরলো।ভিতরে আমার আনন্দাশ্রু। আনন্দে কাঁদাও কত আনন্দের তা আমি প্রকাশ করতে অক্ষম। অভ্যর্থনা জানাতে আসা আমি আর অন্য জনকে দেখে হতাশ কি হয়েছিল সে?
বই প্রকাশনী অনুষ্ঠানে আমি সপরিবারে গিয়েছিলাম। এর পূর্বেই সে আমার স্ত্রীর সাথে স্কাইপিতে কথা এবং কথা বলেছে। যেদিন আমরা ঢাকা থেকে ফিরবো, ঐ দিন বলে আসতে গিয়েছি যে চলে যাচ্ছি। শুনেই কেমন চোখ ছলছল।আমার ভিতরটাও কেমন শূন্য শূন্য লাগছিলো, আবার কবে দেখা হয়। বিদায়ের সময়ে আবার জড়িয়ে ধরে কান্না। অনেক চেষ্টা করেও আমার চোখ থেকে পানির প্লাবন বন্ধ করতে পারিনি।
২০০৯ এর সম্ভবত সেপ্টেম্বরের কোন এক দিন, ফেইসবুকের গ্রুপ’ তুই রাজাকার বা এমন একটি গ্রুপে আমি পোষ্ট দেই ‘ নিজামির দুই গালে জুতা মারো তালে তালে’ – সে পোষ্টে তিনি এসে মন্তব্য দিলেন ‘ ছেড়া জুতা মারতে হবে ‘। ঐ সময়ে নারীরা রাজাকারদের বিরুদ্ধে খুব কম লিখতো।তার এই মন্তব্য দেখে খুঁজতে গিয়ে তাঁকে পাওয়া। ধীরে ধীরে জানি যে তার মা এর বাড়ি বরিশাল। বরিশাল তার নানা বাড়ি। বলি আপনার মা তো আমারই মেয়ে। সেই শুরু– নানা হয়ে গেলাম, নানা রয়ে গেলাম, থাকবো যতদিন বেঁচে আছি।
প্রচন্ড রকমের হিংসুটে সে। আমাকে নানা ডাকার পরে অন্য কাউকে সে আর নানা ডাকতে দিবেনা। ঐ সময়ে তার ছোট বোন মিতু ( তার আপন বোন না এটি জেনেছি আমি ৬ মাস পরে) কে পর্যন্ত নানা ডাকতে দেয়নি। শেষ পর্যন্ত মিতু আমাকে দাদু ডাকতে বাধ্য হয়।
অন্য একটি ব্লগে তাঁকে লিখতে বললাম, লেখাও শুরু করে দিলো। ব্লগে সাধারণত অন্য ব্লগারকে আপনি বলেই সম্মোধন করা হয়। বিশাল পরিসরের ব্লগে এটিই করা হয়ে থাকে। যখন তার পোস্টে আপনি বললাম তাঁকে মন্তব্যে, তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলেন তিনি।’ তুই কেন বলছি না? এটি আবার কেমন সম্বোধন? বুঝিয়েও কোণ লাভ হয়নি তাকে। কী এর ব্লগ কিসের কি? আমি তার নানা, তাঁকে তুই ডাকতে হবে।
এই সোনেলায় তাঁকে তুমি বলি আমি, মাঝে মাঝে এজন্য ঝাড়ি শুনতে হয় 🙂 কত শ্রদ্ধার আর সম্মানের নির্ভরতার ডাক ; বুইড়া।
২০১২ সনে হঠাৎ তার আবদার, তার ছবি দিয়ে ভিডিও বানাতে হবে। নাতনী জামাইও সাবধান করে দেয় আমাকে ‘ নানা অবস্থা কিন্তু ভালো না, ভিডিও বানিয়ে দাও জন্মদিনের আগে, নইলে দেশে গিয়ে তোমার মাথার চুল ছিড়ে ফেলবে সব, মাথায় হেলমেট দিয়ে তার সামনে আসলেও রক্ষা পাবে না।’ অবশেষে কি আর করা চুলের মায়ায় ( তার প্রতি স্নেহ ভালোবাসার নয় ) এই ভিডিওটি বানালাম… নীলাঞ্জনা ঐ নীল নীল চোখে চেয়ে দেখোনা / ঐ সময়ে এই গুন্ডিটাকে গার্লফ্রেন্ড ও ডাকতাম। কিন্তু এখন গার্ল ফ্রেন্ড পাল্টাইছি, পেতনিরে গার্ল ফ্রেন্ড রাখার মত পাগলা আমি না, তাই আর ডাকি না :p
গতকালকে আবার হুমকি এসেছে ‘ আর একটা ভিডিও বানাতে হবে নচিকেতার নিলাঞ্জনা-১ গান দিয়ে, নিজের কণ্ঠে গান গাইয়ে শুনালো, কোন গানটা দিতে হবে। নইলে কানাডা হতে ভেজালমুক্ত ঘি এনে আমার চুলে মেখে দিয়ে সব চুল সাদা করে দিবে ^:^ ইডেনের এই মাস্তানের হাত হতে আমাকে কেউ বাঁচান। প্রকাশ্যে ফেইসবুকের আমার স্ট্যাটাসে হুমকি দিয়েছে। প্রমাণ আছে ফেইসবুকেই।
আনন্দের মাঝে থাকতে চান তিনি। যতদিন দেখেছি মুখে হাসি, কষ্ট দুঃখকে কবে গুড বাই জানিয়েছেন তিনি। সব কিছুর মাঝে আনন্দ খুঁজে নেন তিনি। একজন আনন্দময়ী।
মানুষকে একান্ত আপন ভাবেন তিনি। অধিকার নিয়ে বলে, নানা ঐ ছেলে পাসপোর্ট করবে তাঁকে টাকা পাঠাও, মিতুকে একটা কিছু করে দাও যাতে সে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে।এক বন্ধুকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা, রাত ৩ টায় ফোন ‘নানা তুমি একটু দেখো, ওকে পাওয়া যাচ্ছে না’ ( কান্না তো আছেই সাথে ), কয়েকদিন আগে জগৎ থেকে চলে গেলো ওর এক বন্ধু, কান্না কাটি করলো খুব, আমি এ সময় সময় দিচ্ছি না, খুব অভিমানও আমার উপর।
কত লিখবো আর তাঁর সম্পর্কে?
আত্মায় আত্মায় সম্পর্ককেই তো আত্মীয় বলে। রক্তের সম্পর্ক তো রক্তীয় সম্পর্ক। সে তো আমার পরমাত্মীয় বনে গিয়েছে বহু আগেই।
আজ এই আনন্দময়ীর জন্মদিন
আজকের দিনে প্রার্থনাঃ
হাসি খুশী আনন্দে পূর্ণ থাক তোর জীবন, নিজে আনন্দের মাঝে থেকে সবাইকে আনন্দ বিলি করবি আজীবন। ( সবার সামনেই তুই বললাম তোকে পেতনি)
শুভ জন্মদিন নাতনী
শুভ জন্মদিন নীলাঞ্জনা নীলা
-{@
৭০টি মন্তব্য
অরুনি মায়া
ওওওও আজ তবে নীল পরি টার জন্মদিন। কিন্তু আপু গেলেন কোথায়। বুঝছি যদি কেক খেতে চাই তাই পালিয়েছে। কোনই অসুবিধা নাই নাত্নীর কেক নানা খাওয়াবে আজ।
গুরু রেডি থেকেন আমরা আসিতেছি,,,,,,,,, 🙂
জিসান শা ইকরাম
আচ্ছা আচ্ছা আসেন,
কেক রেডি আছে -{@
অরুনি মায়া
আপনি এত্ত বড় একটা পোস্ট দিলেন কেক এর ছবি ছাড়াই।
নীল আপু তোমার নানা বড়োই কিপ্টা
নীলাঞ্জনা নীলা
অরুনি মায়া আমার নানা কিন্তু কিপটা না।
তবে আপনি অনেক ভালো, অনেক মায়া আপনার চোখে-মনে আপু। -{@ (3
ছাইরাছ হেলাল
সোনেলায় সে প্রথম থেকেই, তার লেখা পড়তে পড়তেই এক সময় নিয়মিত পাঠক হয়ে যাই।
আগে হয়ত ব্যস্ততার জন্য এখানে কম সময় দিতো, এখন শত ব্যস্ততার মধ্যেও প্রচণ্ড আবেগময়তা নিয়ে
তার শক্তিশালী কলম চালিয়ে যাচ্ছেন। যেমন লিখছেন অনেক তেমনই পড়ছেন ও অনেক।
তার সুস্থ জীবন ও লেখা কামনা করছি, সমৃদ্ধি সহ। পাঠক হিসাবে এ অনেক প্রাপ্তি।
জিসান শা ইকরাম
২০০৯ থেকেই তার লেখার পাঠক আমি।
ফেইসবুকে একমাত্র সে তার লেখায়/ছবিতে ট্যাগ করে
ও ট্যাগ না করলে ভালোলাগেনা।
তবে অন্য কেউ আমাকে ট্যাগ করলেই তাকে ত্যাগ করি 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
নানা সেই সাহস আছে নাকি তোমার? আমার লেখা ট্যাগ মোঁছার? :@
জিসান শা ইকরাম
তুই ট্যাগ না করলে ভাবি, ঘটনা কি ট্যাগ দিলো না কেন?
লেখায় নিশ্চয়ই অন্য কিছু আছে,যা আমারে দেখাইতে চাও না 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
বুইড়া নানা চোর কিন্তু অন্যরেও চোর ভাবে :p
নীলাঞ্জনা নীলা
কবি ভাই আপনাদের লেখার কাছে আমি অনেক তুচ্ছ একজন।
আপনারা সবাই অনেক উদার, তাই এভাবে আমার প্রশংসা করছেন। আসলে আমি খুউব সাধারণ,
আর যা কিছু লিখি সেসব নিজেরই বমি আসে।
শুধু ধন্যবাদ নয়, সাথে কৃতজ্ঞতাও জানাচ্ছি আপনার বড়ো এবং উদারমনে করা প্রশংসার জন্যে।
ভালো থাকুন। -{@
সীমান্ত উন্মাদ
এমন একটি আবেগময়ী পোষ্টে জন্মদিনের শুভেচ্ছা পেলে এর চেয়ে বড় উপহার আর কি হতে পারে। নীলাঞ্জনা আপুকে জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা। বাইজানন্টাইন সম্রাজ্ঞীর মত আপু আপনাকে ঘীরে থাক পৃথিবীর সমস্ত সুখ।
আপনার জন্মদিনে কি গিফট দিব আমার তরফ থেকে তাই ভাবছিলাম। নীলাঞ্জনা নিয়ে শেখ ইশতিয়াক ভাই গান লিখেছেন, অন্যদিকে নচি দা তো একে একে চারটি ভার্সন করেছেন নীলাঞ্জনা নিয়ে আমি আর কি দিবঃ তাই ভাবলাম এই লাইনগুলো দেই, আমাদের জামাইবাবুকে অর্থাৎ দুলাভাইকে বলবেন গাইতেঃ
ঘুম নেই দু’চোখে ঘুম নেই, বড় আঁধার
বৃষ্টি অঝর বৃষ্টি, চোখে আমার
এলোমেলো দিন কাটে অসময়
বেঁচে আছি তবু আজো আশায় আশায়
কাছে এসো, কাছে এসোও, কাছে এসোও ও ও
নীলাঞ্জনা……………………………..
দুলছে, হাওয়ায় দুলছে, তোমার স্মৃতি
জ্বলছে আমার বিশ্বাস আর অনুভূতি!
লাল ফিতে সাদা মোজা ধূসর এখন
হাজার কবিতারা সব বেকার এখন!
কাছে এসো, কাছে এসোও, কাছে এসোও ও ও
নীলাঞ্জনা……………………………..
অনেক অনেক শুভেচ্ছা এবং শুভকামনা থাকলো আপনার জন্য নীলাঞ্জনা আপু।
জিসান শা ইকরাম
তার সম্পর্কে লিখতে গেলে অনেক গুলো পোষ্ট দরকার হবে আমার।
নীলাঞ্জনা নীলা
ভাইয়া গো জামাইবাবুর কন্ঠ এতোই বিখ্যাত যে আমার মতো শ্রোতাকে উনি পাত্তা দেন না। 🙁
উনি গান গাইলে, নচিকেতার ওই নীলাঞ্জনা যে কিনা হাওয়ায় দুলছিলো আমার অবস্থা তাই হবে। :p
সেটা চাইলে ঠিক আছে অবশ্যই গানটি গাইতে বলবো? ঠিক আছে?
আর ভাইয়া অফুরান ভালোবাসা। বড়ো আবেগাপ্লুত হয়ে পড়ছি। নানা লিখেছে আমি কেঁদেছি, আমার কান্না যে জলহীন সেটা লেখেনি। -{@
মেহেরী তাজ
নীলা আপুউউউউউউউউউউউউউউউউউ
শুভ জন্মদিন। -{@ (3
মা মেয়ের একই মাসে জন্ম?
তাহলে তো আপনি মামনির তিন দিনের ছোট মাত্র। :D)
জিসান শা ইকরাম
হ, নীলার মা নীলার চেয়ে তিন দিনের বড় 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
পিচ্চি আপু গো হুম সেই কথা আমিও বলি মামনিকে। :D)
অনেক অনেক আদর। উম্মাআআআআআআ। লাভ ইয়্যু। -{@
মেহেরী তাজ
ইয়া হু……. \|/
নীলাঞ্জনা নীলা
😀 -{@ (3
রাসেল হাসান
জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানায় “নীলা” আপুকে।
ভালো লাগলো ভাইয়া এতো সুন্দর একটা সম্পর্কের কথা জানতে পেরে।
ভিডিওটা দেখলাম। ভালো লেগেছে খুব। আপনি তো খুব সুন্দর এডিট করতে পারেন।
:c
জিসান শা ইকরাম
আত্মার আত্মীয় সে আমার।
ইউটিউবে গান আপলোড করার একটা শখ ছিল এক সময়, এখন আর নেই।
নীলাঞ্জনা নীলা
রাসেল হাসান আমার নানা আমাকে কেন যে এতো ভালোবাসে, নিজেও বুঝিনা।
আসলে আমার সম্পর্কে নানা যা কিছু ভালো বলেছেন, সেসব তার স্নেহ জড়ানো।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। 🙂
রাসেল হাসান
ভাইয়া, আত্মার আত্মীয়ের সম্পর্কই পৃথিবীতে সব থেকে বড় সম্পর্ক। আপনাদের সম্পর্ক সারাটা জীবন অটুট থাকুক। প্রার্থনা রইলো।
নীলা আপু,
পৃথিবীতে ভালো মানুষেরাই খুব সহজেই অন্যকে আপন করে নিতে পারে। এই গুনটা সবার মাঝে থাকে না।
প্রতিউত্তর করার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকুন সব সময়। শুভকামনা রইলো। 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
আপনিও ভালো থাকুন। ধন্যবাদ রাসেল হাসান। 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
নানা আজ কথা খুঁজে পাচ্ছিনা। আমার সমস্ত অনুভূতি তোমার এই লেখাটা পড়ার পর থেকেই কেমন জানি স্থির। আর তোমার নাত্নী স্থির হয়ে এই লেখার মন্তব্য করতে চায়না।কারণ অনেক কথা বলার আছে, যা আজ পারছিনা লিখতে আবেগটুকু জমে আছে।
অনেক ভালোবাসি নানা তোমায়। অনেক। -{@ (3
জিসান শা ইকরাম
তোকে নিয়ে এই একটি পোষ্টে লিখতে কষ্ট হয়েছে
কত স্মৃতি তোকে নিয়ে।
জানি আমি, আমিও ভালোবাসি তোকে নাতনী।
নীলাঞ্জনা নীলা
আমারও অনেক গল্প আছে, মন্তব্যে বলবো কাল নয়তো পরশু। ভোরে দৌঁড় কাজ আছে। ভালো থেকো নানা। অনেক ভালো থেকো। -{@
জিসান শা ইকরাম
আচ্ছা, শুভ কামনা -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
নানা মনে আছে বসুন্ধরায় আমার স্যান্ডেল হঠাৎ ছিঁড়ে গেলো? তুমি সেদিন নানীর জন্যে স্যান্ডেল কিনেছিলে? ভাগ্য ভালো, তা নইলে কি যে হতো!
তবে এবার আমি অবাক হয়েছি। ফোনে আমার কন্ঠ বুঝে পাওয়া, তারপর হাসপাতালে আসা। অনেকটা সময় থাকা। তোমায় সময়টুকুও দিতে পারিনি। তাও বসেছিলে। তবে রেষ্টুরেন্টে খাওয়া, মা গো কি যে ঝাল ;( ।
বুইড়া তোমার ভাগ্যেই নেই। একটা দারুণ পারফিউম পেতে পরের বার এলে। :p
আমার ভিডিও কই? সেটা কবে দেবে? আর এমন মিথ্যা কথা!!! কবে কাঁদছি? এ চোখের জল আনন্দে পড়ে, দুঃখে চোখের জল ফেলিনা বুইড়া। ভুলে গেলে কি করে?
এজন্যই তোমায় ভালো-টালো বাসিনা। বুঝেছো? সবার সামনে বলতে হয় তাই বলি ভালোবাসি। -{@ (3
জিসান শা ইকরাম
সব মনে আছে আমার।তোমার কণ্ঠ আজ থেকে পঁচিশ বছর পরেও চিনতে পারবো। ঝালে তুমি খেতেই পারলেনা 🙂 পারফিউম আমার মেয়ের কাছে,সে ব্যবহার করুক তা।ভিডিও বানাবো আবার দ্রুতই।তোমার নানি স্বাক্ষি তোমার চোখে পানি এসেছিলো কিনা 🙂
ও আচ্ছা,সবার সামনে বলতে হয় তাই দেয়া?
নীলাঞ্জনা নীলা
আনন্দে চোখের জল পড়াকে কান্না বলে না। বুঝেছেন আপনি?
নানা একটা স্বপ্ন জানিনা কখনো পূর্ণ হবে কিনা। একদিন জ্যোৎস্না রাতে পদ্মায় সারারাত আড্ডা-গল্প। ইস। আর গরম গরম কড়কড়ে ইলিশ মাছ ভাঁজা। :p
ভালোবাসি কোনোদিন বলেছি? ;?
জিসান শা ইকরাম
হুম বুঝেছি, দেশে আসো, পদ্মায় আড্ডা দেবো সারারাত বসে।
অনিকেত নন্দিনী
শুভ জন্মদিন নীলাদি!
অনেক কিছুই বলতে চেয়েছিলাম, কিছুই গুছিয়ে বলতে পারছিনা। সবকিছু মিলিয়ে মাথা পুরাই স্থবির হয়ে আছে।
অদ্ভুত বিষণ্ণতারা গ্রাস করে নিয়েছে বুনোফুলের অন্তঃকরণ। ঝাঁজালগন্ধী পাঁপড়িরা ঝরে পড়ে একের পর এক। ফুরিয়ে আসে মাদকতা, বেড়ে চলে নৈঃশব্দের হাহাকার। শরতের শিশির মাখিয়ে ভেজা পাঁপড়িরা পড়ে থাকে ঘাসের উপর, আটকে থাকে কাঁটাঝোপে ঠিক যেমন করে কিছু দীর্ঘশ্বাস আটকে থাকে বুকের পাঁজরে, চোখের নিচের কালিতে।
জিসান শা ইকরাম
আপনার এই কাব্যিক মন্তব্যের জবাব আমার দেয়ার সাধ্য নেই।নীলা দিক এর জবাব 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
মন এতো খারাপ কেন? আলো ফুঁটে উঠুক, শরতের শিশিরের মতো দ্যুতি ছড়িয়ে পড়ুক সমস্ত মনে।
অফুরান ভালোবাসা নন্দিনী দিদি। -{@ (3
লীলাবতী
শুভ জন্মদিন নীলাদি -{@ -{@ আপনাদের নানা নাতনীর সম্পর্ক দেখে মুগ্ধ হলাম।আত্মায় আত্মায় সম্পর্ককেই তো আত্মীয় বলে। রক্তের সম্পর্ক তো রক্তীয় সম্পর্ক। (y) নীলাদির জন্য এত্তগুলো (3 (3 (3 (3
জিসান শা ইকরাম
সে আমার আত্মার আত্মীয়।
নীলাঞ্জনা নীলা
লীলাদি কে বলেছে আত্মার সম্পর্ক? ঘোর শত্রু আমার।
জিসান শা ইকরাম
আমি তোমার শত্রু? আচ্ছা জানা থাকলো।
আজিম
পড়লাম; জন্মদিনের আখ্যান ভাল হয়েছে।
জিসান শা ইকরাম
ভালো থাকুন -{@
অরণ্য
তাই তো বলি আজ সকালে রবীন্দ্র সরোবর কেন এত চমৎকারভাবে সেজে ছিল!
অনেকদিন পর আজ কেন এত দারুন সকাল!
এখন বুঝেছি।
https://www.youtube.com/watch?v=Wm4QAbdzEm4
নীলা আপুকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা এবং ভালোবাসা। -{@
সাধুবাদ জিসান ভাইকে। 🙂
জিসান শা ইকরাম
শুভেচ্ছা আপনাকে -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
এই গিফট নেবোনা। অরণ্য ভাইয়া আপনার গাওয়া গান চাই।
তা নইলে ;(
অরণ্য
আপনার জন্য সম্মতি দিলাম। কিন্তু আমি কোন মিউজিসিয়ান নই। আমি গেয়েছি খালি গলায় এটা ওটা বাড়িয়ে। আপনাকে একটা পাঠানো যেতে পারে আপনার ভাল লাগুক বা না লাগুক। 😀 তবে আমাকে একটু সময় দিতে হবে। খেয়ালী মেয়ের মত একটা পোস্ট দিয়ে দেব একদিন আপনাকে মেনশন করে। 🙂
বি হ্যাপি। 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
সুর কন্ঠের হলেই চলবে। মিউজিক তো বাজানোর, কন্ঠ হলো অনুভবের।
আমি তো মিউজিকের অপেক্ষা করিনা? যখন যেমন মন চায় সুরকে নিয়েই উড়ি
আর সুরের মধ্যে নিজেকে ভাসাই
“মনে করি অমনি সুরে গাই,
কণ্ঠে আমার সুর খুঁজে না পাই”—–
ব্লগার সজীব
শুভ জন্মদিন নীলাদি। -{@ আপনাদের দুজনার মাঝে এই সম্পর্ককে শ্রদ্ধা জানাই।এমন আত্মীক সম্পর্ক সবার মাঝে ছড়িয়ে পরুক।
জিসান শা ইকরাম
এমন আত্মীয়তার প্রসার ঘটুক
নীলাঞ্জনা নীলা
আত্মিক সম্পর্ক কে বললো? সজীব ভাইয়া মারাত্মক শত্রুতা। কেউ জানেনা। :p
শুন্য শুন্যালয়
নীলাপুউউউউউইউউ কাল তোমার জন্মদিন ছিলো আর আমি এলাম না!! কি দিই তোমাকে বলতো! আমার তো দেবার কিছু নেই। বাংলায় নাও ভালবাসা হিন্দীতে নাও প্যায়ার। হাজার বছর বেঁচে থাকো আঙ্গুলে হয়ে নীলা। সবার কষ্ট মুছে দিয়ে 32 অথবা 28 দাঁত বের করে দিও আজীবন। লাভ ইউ আপু। শুভ জন্মদিন -{@
জিসান শা ইকরাম
এই মন্তব্যের জবাব নীলা দেবে -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
শুন্য আপু কে বলেছে তোমার দেয়ার নেই? আছে অনেক কিছু। বলবো? তোমার লেখা দেবে রোজ। আর রোজ হাজিরা দেবে। আমি মিস করি তুমি না এলে। যাক দাঁত আছে ২৮ টা। ৩২ দাঁত আমার মামনির।
ভালোবাসা-প্যায়ার-লাভ সব নিলাম। এবার তোমায় -{@ (3
ভালো থেকে ভালো রেখো। 🙂
শুন্য শুন্যালয়
নীলাপু তোমার নানা তোমাকে এইটা বলছে, পেতনিরে গার্ল ফ্রেন্ড রাখার মত পাগলা আমি না। কিছু একটা কও। ফাইটিং এ আমি রেফারি হইতে রাজি।
জিসান ভাইয়া, কি সৌভাগ্য আপনার এত কিউট একটা নাতনী আপনার। লেখায় আবেগ, উচ্ছ্বাস, মমতা যেকোন রিলেশনের জন্য ঈর্ষণীয়। এমনি থাকুক নানা নাতনীর অকৃত্তিম প্রেম। আপনার ভিডিও করার গুনের কথাতো ভুলেই গিয়েছিলাম। আহারে আবার কবে জুলাই আসবে 🙂
জিসান শা ইকরাম
অবশ্যই আমার সৌভাগ্য যে এমন ভালো একজন নাতনী পেয়েছি।সর্ব গুনে গুণান্বিত সে।
জুলাই এলে কি হবে?আপনার কোন ফটো নেই আমার কাছে।কিছু ফটো পাঠিয়ে দিয়েন মে মাসে।জুলাইয়ের আগেই ভিডিও দেখতে পাবেন।
নীলাঞ্জনা নীলা
** শুন্য আপুকে — আরে শুন্য আপু তুমি জানো না। কতো যে পিছু নিয়েছিলো, পাত্তা পায়নি। এখন আঙ্গুর ফল টক তো হবেই। পেত্নী যদি হতাম তাহলে ভিডিও বানিয়েছিলো কেন? কেনইবা আমায় নিয়ে এমন আবেগময়ী পোষ্ট লেখা? জানে আমি ছাড়া এই “বুইড়া”কে বাঁচানোর কেউ নেই। :p
**নানাকে — শয়তান বুইড়া আমি পেত্নী? সত্যি কথা কও। আমার বয়ফ্রেন্ড হবার যোগ্যতা আছে তোমার? কত্তো সাহস! :@
শুন্য শুন্যালয়
ঠিক ঠিক ভিডিও কেন বানায় ছিল, তাও আবার গার্লফ্রেন্ড লিখে!! না আমি বুঝতে পেরেছি আপু। দেখলো অইভাবে কাজ হয়নি, তাই এবার ভিন্ন পন্থা, তবে এইবার তুমি কিন্তু ধরা খেয়েই গেছ আপু 😀
হ্যাঁ এইভাবে শাসাবা। বলে কি!! গার্লফ্রেন্ড নাকি পাল্টাইছে।
এই নীলা আপু শোন, তোমাকে কিন্তু আমার বিশ্বাস নেই, নানাকে বকছি বলে ঠিক এরপর দুজনে মিলে যাবে আর আমার উপর ক্ষেপে যাবে। থাক বাবা, কাজ নেই। তোমরা তোমরা বুঝে নাও 🙁
নীলাঞ্জনা নীলা
শুন্য আপু তোমার উপর ক্ষেপবো, এ তো অসম্ভব! এই মানুষ(বুইড়া) মানে নানার সাথে আজও কথা বলি, যোগাযোগ রাখি একটাই কারণ। আমি সরে গেলেই বুঝবে কতো ধানে কতো চাল। তবে তুমি পাশে থাকলে আমি এই পেত্নী বলা বের করবো।
জিসান শা ইকরাম
এহ,কবে ঘুড়ছি তোর পিছনে?পেত্নীর মুখে বড় কথা।পেত্নীর ভিডিও বানিয়েছি,পেত্নী যাদু মন্তর দিয়েছিল ঐ সময়।
তবে একটা সত্য বলতেই হয়, পেত্নীটার মায়া খুব বেশী 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
:@ :@
দেখো নানা জন্মদিনে একখানা পোষ্ট দিয়ে এরপর আমায় পেত্নী বলা।
ঘাড় মটকে খাবো। বুঝেছো? :@ :@
জিসান শা ইকরাম
পেত্নীকে পেত্নী বলাই উত্তম 🙂
খেয়ালী মেয়ে
শুভ জন্মদিন নীলা আপু -{@
একটু দেরি হয়ে গেছে তো কি হয়েছে–শুভেচ্ছাটা একেবারে প্রথমদিন জানালে যেমন তাজা থাকে তেমনই তাজা আছে 🙂
অনেক ধন্যবাদ জিসান ভাইয়া, এভাবে শুভেচ্ছা জানানোর সুযোগ করে দেওয়ার জন্য 🙂
জিসান শা ইকরাম
শুভেচ্ছার কোন দিনক্ষণ নেই,যখন ইচ্ছে দেয়া যায়
শুভ কামনা -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
পরী আপু ভালোবাসা কি পুরোনো হয়?
ভালোবাসা নিও আপু। -{@ (3
খেয়ালী মেয়ে
সবাই এত্তো ভালো কেনো (3 -{@ (3 -{@
জিসান শা ইকরাম
তুমিও ভালো তাই 🙂
মিথুন
নীলা আপুর নানা মানে আপনি আমারো নানা। আপু বলতে দিবে কিনা কে জানে। নীলা আপুর শুভজন্মদিন চলে গেলো, আর কেকের কোন নামগন্ধ পেলাম না, আমারো আসা হলোনা সোনেলায় এতদিন। Happy birthday to you আপ্পি। ফুলে ফলে মৌমহিত হোক চারিপাশ আপনার স্পর্শে। শুভ জন্মদিন…… -{@
জিসান শা ইকরাম
কেক খাওয়া শেষ।এতদিন থাকে নাকি?
নীলাঞ্জনা নীলা
মিথুন জন্মদিনের শুভেচ্ছা নিলাম আর অনেক ভালোবাসাও দিচ্ছি সাথে। (3 (3
তবে একটি কথা, ওটি হবে না। আমার নানা শুধুই আমার নানা। এই ভাগ কাউকে দেবোনা। বড়ো হিংসুটে আমি।
নানাকে একা আমি-ই নানা ডাকবো, বলে রাখলাম কিন্তু। :@
জিসান শা ইকরাম
লেখার মাঝে লিখেছি নানায় কোন ছাড় নেই,
কথার প্রমান এখানেই দিলো 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
নানা আমি তোমারে আর বুইড়া ডাকবো না।
এটা তোমার শাস্তি। :p
জিসান শা ইকরাম
হা হা হা হা ,ভালোই তো 🙂