
ড্রাইভার হঠাৎ ক্রমশতঃ গাড়ীর এতো স্প্রীড তুলছিলেন যে তা নিয়ন্ত্রণে অনেকটা রিক্স হয়ে গিয়েছিল।অবশেষে শেষ রক্ষা পেলেন।এই স্প্রীড এর সময় তাদের বর যাত্রীর সব গাড়ীগুলো বহু পিছনে পড়ে যায়।কিন্তু ড্রাইভারের হঠাৎ এতো স্প্রীড তুলার কারন বুঝতে পারলেন যখন কিছুক্ষণ পর গাড়ীটি আবারো জ্যামে পড়ল।গাড়ীগুলো যেখানে যে অবস্থায় আছে সেখানে সে অবস্থায় স্টপ।বাদ যায়নি বরের এ গাড়ীটি।ড্রাইভার বরের গাড়ীর পুরোপুরি ইঞ্জিন স্টপ করে বসে আছেন।এর মধ্যে ড্রাইভার বরকে অনুরোধ করে বললেন।
-জামাই বাবু কী ড্রাইভ জানেন?
-হুম।জানি।
-একটু হেল্প করবেন?
-কী বলুন?
-আমার দুই নম্বরের প্রচুর বেগ ধরছে…একটু ড্রাইভারের সিটে বসতে পারবেন?
-মানে?
-মানে হল এখন যেই জ্যাম লেগে আছে তাতে গাড়ী সহজে স্প্রীডে এগুবে না।হালকা হালকা এগুবে।আপনি একটু হেল্প করলে আমি আরামে দুই নম্বর কাজটা সারতে পারি তাতে আমার দেহ ঠিক থাকবে ড্রাইভও ঠিকঠাক মত হবে এই আর কী! এসবের বেগ নিয়েতো আর বাহাদূরী চলে না।
উপায় না দেখে বর মাথার পাগড়ীটা সিটে রেখে দরজা খুলে বের হয়ে ড্রাইভারের সিটে গিয়ে বসলেন।ড্রাইভার ধন্যবাদ জানিয়ে দ্রুত হেটে একটু সামনের দিকে ছোট একটি কালবাটের ঢালুতে নামলেন।দূর হতে লক্ষ্য করেও বর তার কার্যকলাপ সম্পর্কে কিছুই বুঝতে পারলেন না।এর মধ্যে জ্যামে শ্লো ভাবে গাড়ী ড্রাইভে বর এগুতে লাগলেন।গাড়ী কালবার্টের নিকটে গেলে ড্রাইভার ঢালু হতে উপরে উঠে তার ড্রাইভিং সিটে বসলেন।বর তার আগের জায়গায় এসে বসলেন। গাড়ী চলছে শ্লো গতিতে।এর মধ্যে কনে বাহিরে জল বিক্রেতাকে জল পানে আগ্রহ প্রকাশ করলে বর নিষেধ করে বললেন।
-না,এসব জল কিংবা শশা টশা আইসক্রীম কিছুই খাওয়া যাবে না।কারন এ গুলো দোষিত -জার্ম থাকে।
-হঅ তোর খালি আছে যত উদ্ভট কথা!দুনিয়ার মানুষ খাইতাছে!(বোন বললেন)
-তুই জানবি কী তুইতো আর দেশী খবরা খবর দেখছস না শুধুতো পইরা থাকিস ঐ যে কী জানি চ্যানেল ও’হ্যা স্টার জলসা জি বাংলা নিয়া।খালি মহিলাগ কাইজ্জাকাটি আর কুটবুদ্ধিগুলো দেখস! তুই বুঝবি কী করে এ সব!
বোনতো এবার রেগে আগুন।ঘাড় ঘুরিয়ে নতুন বৌয়ের দিকে একটু অভিযোগের সূরে তাকিয়ে বললেন।
-আচ্ছা কওতো ভাবী স্টার জলসায় কী খারাপ কিছু দেখায়!
-তোর ভাবীকে জিজ্ঞাস করে লাভ নাই,তোর ভাবী ওসব ছাইপাস দেখে না।
নতুন বউ মিটমিটিয়ে হাসছে সাথে নূসরাতও।ড্রাইভার স্থির দৃষ্টিতে গাড়ী চালাচ্ছেন।গাড়ীর স্প্রীড আবারো ক্রমশতঃ বাড়তে থাকল।মাঝে মাঝে কষে ব্রেক কিংবা চাকা গর্তে পড়া ঝাকুনিতে তাদের কোন খেয়াল নেই।
-না তুইতো জানস!কী হল ভাবী কথা কননা কেন? ছোট আমারে অপমান করছে আর তুমি হাসছো? নূসরাত তুমিতো দেখো তাই না? তুমিই কিছু কওনা?
নূসরাত মুখে হাসি নিয়ে বোন শায়লাকে একটু শান্তনা দিল।
-থাক বাদ দেনতো ছেলেরা এমনি একটু বাড়িয়ে বলে।
-হঅ ঠিক কইছো,,,এই তুই আমার সাথে আর কোন কথা কইবি না।তোর সাথে কথা আমার এখানেই শেষ।
ভাইবোন দুজনেই চুপ হয়ে গেলেন।নতুন বৌ ভাইবোনের এমন রসময় ঝগড়া দেখে নিজেকে ধন্য মনে করে স্রষ্টার কাছে শুকরিয়া আদায় করলেন।তার ভাগ্য বলতে হবে যে এতো সুন্দর একটি পরিবারের সে বউ হয়ে যাচ্ছেন।
শাকিবের মাথা নষ্ট।কত দূরে যে বরের গাড়ী তা অনুমান করাও তার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না।কিছুক্ষণ পর পর গ্লাস ওপেন করে ঐদিক ঐদিক উকিঁ মারছিলেন। ড্রাইভারকে বার বার তাগাদা দিচ্ছেন স্প্রীড বাড়িয়ে এ্যানি হাউ বরের গাড়ীটিকে ধরতে।ড্রাইভারও খুব চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।রং সাইটে গিয়ে সামনে থাকা গাড়ীগুলোকে একের পর এক অতিক্রম করছেন।কিছু ক্ষণের মধ্যে বরের গাড়ীটি ড্রাইভারের দৃষ্টি সীমানায় এলে শাকিবকে ড্রাইভার আসস্ত করলেন।
-ঐতো বরের গাড়ী…সমস্যা নেই বরের গাড়ীটিও অতিক্রম করে ফেলব।
এক সময় তাদের রং সাইট হতে গাড়ী আসতে দেখে তাকে রাইট সাইট যেতে বাধ্য হলেন তবে বরের গাড়ী হতে তাদের দূরত্ব খুব কাছাকাছি।
বরের গাড়ীর ড্রাইভার ক্রমশতঃ স্প্রীড বাড়িয়ে যাচ্ছেন।তাদের ফলো আপে আছে শাকিবদের গাড়ীটি।কিছু দূর যাবার পর ড্রাইভার বুঝতে পারলেন তারা কোন একটা বড় জ্যামে আটকা পড়তে যাচ্ছেন।রোডের পাশের লাইন রং সাইট দিয়েও কোন গাড়ী এ দিকে আসছে না।তার সামনের গাড়ীগুলোর গতি কমে আসতে দেখে তার গতিও কমাতে লাগলেন।ঐদিকে শাকিবদের গাড়ীটি তাদের গাড়ী হতে চার পাচটা গাড়ীর পিছনে শ্লো গতিতেই আসছে।এ ভাবে শ্লোগতিতে চলতে চলতে কেটে যায় প্রায় ঘন্টা খানেক।এখন আর করোর ধৈর্য ধরে রাখতে পারছেন না।সবায় কেমন যেন হাফিয়ে উঠছেন।
শায়লা এক সময় বরের গাড়ীর ড্রাইভারের দিকে চেয়ে দেখলেন ড্রাইভারের কপাল বেয়ে পুরো শরির ঘামে ভীজে একাকার যা হবার কথা নয় কারন গাড়ীতে এসি অন ছিল।সে তখন আড় চোখে তার চোখের দিকে চেয়েও দেখলেন,চোখের কোটাগুলো ফুলে চোখ লাল টকটকে হয়ে আছে।শায়লা দেখেও কাউকে কোন কথাই বললেন না।চোখ ফিরিয়ে নিয়ে চুপ করে বসে রইলেন।ভাবলেন ড্রাইভার জাতটাই এমন।
ড্রাইভারের ধৈর্য আর ধরে রাখতে পারলেন না।সে তার গাড়ীটি হঠাৎ পাশে ফ্রি লাইন রং সাইট দিয়ে স্প্রীড বাড়িয়ে দিলেন টান সামনের দিকে।এদিকে শাকিবদের গাড়ীর ড্রাইভারও তাদের দেখা দেখি রং সাইট দিয়ে দিলেন টান সামনের দিকে।বর এবং শাকিবদের গাড়ীর মাঝে চলল প্রতিযোগীতা।যে করে হোক বরের গাড়ীটিকে ওভারটেক করতে হবে শাকিবদের গাড়ীটি।এ মনোভাব নিয়ে ড্রাইভাররা একের পর এক গীয়ার চেঞ্জ করে সামনের দিকে ছুটে চলছেন।
এদিকে বরের গাড়ীর ড্রাইভারে ব্রেন হতে উদাও হল তার গাড়ী রং সাইট চলছে, জ্যাম,সিগনালের ভাবনাগুলোতো না দেখারই কথা।নেশায় ভূত হয়ে যাওয়া তার চিন্তা শক্তি লোপ পেল।তার চিন্তা কেবল কী ভাবে জ্যামে আটকে থাকা গাড়ীগুলো অতিক্রম করে সব গাড়ীর সামনে রাইট সাইটে আসা যায়।সামনে ট্রেন আসার একটি সিগন্যাল জোন ছিলো তাও তখন তার মনে ছিল না।এমনকি সিগনালম্যান সিগনালও তার চোখে পড়েনি।তাই স্প্রীড নিয়ে এগিয়ে চলা বরের গাড়ীটি ডান পাশ হতে আসা একটি চলন্ত ট্রেনের মাথায় লেগে ছিটকে পরে বহুদূর।সেই সময়েই এক জনের অর্ধেক দেহ ছিটকে পড়ে রাস্তার এক পাশে বাকী লোকগুলোর অবস্থাও একই ভাবে ছিন্নভিন্ন হয়ে দেহগুলোর কিছু অংশ গাড়ীর ভেতর কিছু অংশ বাহিরে ছিটকে পড়ল। সেই সাথে সেই মুহুর্তে ফলো করে আসা বরের গাড়ীর গতিতে শাকিবদের গাড়ীটিরও পুরো মাথাটাই ঢুকে পড়ে চলন্ত ট্রেনের ভেতর। মুহুর্তে ট্রেনে লেগে হেচড়ে বহুদূর চলে যায়।
গাড়ী দুটোর কেউ আর বাচেনি।দুই গাড়ীর দুইজন ড্রাইভার সহ বর কনে শাকিব-নূসরাত বরের বোন এবং তার ছোট ছেলে,বরের ভাই ভাবী সহ একমাত্র ভাতিজা সহ সবার লাশ রক্তাক্ত অবস্থায় ছিন্নভিন্ন হয়ে বিভিন্ন স্থানে পড়ে থাকল।এর মধ্যে বরের বোন জামাইয়ের গাড়ী সহ দুএকটা গাড়ীর লোকজন ঘটনাস্থলে আসল।বোন জামাই হায়দারের হৃদটা মোচড় মারল ফুল সজ্জিত বরের গাড়ীটির অংশ বিশেষ দেখে।পাগলের মতন হন্যে হয়ে খুজঁতে লাগলেন তার ওয়াইফ এবং ছেলেকে।এই মুহুর্ত সমস্ত আকাশটাই যেন তার মাথায় ভেঙ্গে পড়ল।মানুষের ভীরে হায় হায় এর করুণ আত্মনাতের সূর সেই মুহুর্তে স্থানটটিতে একটি ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হল।কিছুক্ষণের মধ্যে এ্যাম্ভুলেন্স সহ প্রশাসনের লোকজন এসে জায়গার উৎশৃংখল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেন।
গাড়ীর সাথে গাড়ীর প্রতিযোগীতা,নেশাখোর ড্রাইভার এবং জ্যামের অতিষ্টতায় নিমিষেই কয়েকটি পরিবারকে শেষ করে দিল অস্বাভাবিক মৃত্যুতে।হঠাৎ শেষ করে দিল সদ্য সৃষ্টি হওয়া একটি ভালবাসার স্বপ্নগুলো।এই ভাবে চলতে দেয়া যায় না।ফিরে আসুক রাস্তাঘাটের নিয়ম শৃংখলা ড্রাইভিং এর শত ভাগ স্বচ্ছতা,দূর হোক জ্যামের ভয়াবহতা।
(সমাপ্ত)
গত পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন।
২৩টি মন্তব্য
নৃ মাসুদ রানা
জামাই বাবু কী ড্রাইভ জানেন?
-হুম।জানি।
(জামাই আবার বাবুও হয়….)
মনির হোসেন মমি
ধন্যবাদ প্রিয়
অনেক অঞ্চলে জামাইকে জামাইবাবু বলে ডাকেন।
সুপায়ন বড়ুয়া
গল্পের শেষ হল
বিয়োগান্তক ঘটনায়
লেখকের শুভ কামনায়
মনির হোসেন মমি
ধন্যবাদ প্রিয় ভাইয়া।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
পুরো পরিবার টাই শেষ সাথে নতুন সম্পর্ক, নতুন স্বপ্ন ও শেষ। এভাবে মৃত্যু কারোরি কাম্য নয়। সড়ক দুর্ঘটনা আমাদের জন্য অভিশপ্ত হয়ে উঠেছে প্রচন্ড গতিতে। ধন্যবাদ সুন্দর একটি ম্যাসেজ দেবার জন্য । ভালো থাকুন
মনির হোসেন মমি
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ফয়জুল মহী
কথায় অসাধারণ
পাঠে একরাশ মুগ্ধতা
মনির হোসেন মমি
ধন্যবাদ ভাইয়া।
প্রদীপ চক্রবর্তী
অবশেষে সারভাগে গল্পের পূর্ণতা।
একরাশ মুগ্ধতা ছাড়া আর কিছু দেওয়ার নেই।
গল্পটা আবারও পড়বো।
প্রথম পর্ব থেকে।
মনির হোসেন মমি
ধন্যবাদা দাদা।আপনার নতুন উপন্যাসও চাই।
তৌহিদ
ড্রাইভারদের অসতকর্তার জন্য প্রতিদিন কত জীবন ঝরে যাচ্ছে। আপনার গল্পটি বাস্তবতার নিরিখে লেখা চমৎকার একটি কাহিনী। বিয়ে করতে যাওয়া থেকে নতুন বউ নিয়ে ফেরা, এরই মাঝে প্রেম, কথোপকথন কত কিছুই এনেছেন লেখায় যা গল্পটিকে পাঠক মনে নাড়া দিয়ে যাবে নিশ্চিত।
প্রতিটি গল্পে লেখক পাঠকের জন্য একটি মেসেজ রেখে যান। এই গল্পে যেমন এসেছে জ্যাম এবং অসতর্কভাবে গাড়ি চালালে কি পরিণতি হতে পারে। এটাইতো একজন ভালো লেখকের অন্যতম গুন। যা,আপনি পেরেছেন।
ধন্যবাদ আপনার প্রাপ্য ভাই।
মনির হোসেন মমি
একজন গুণী লেখকের গঠনমুলক মন্তব্য ক্ষুদে লেখাকে অনুপ্রাণীত করে।সময়ের স্রোতে যতটুকু সময় হাতে থাকে তা কাজে লাগানোর চেষ্টায় আমার এ লেখালেখি কেবল আপনাদের ভালবাসার খাতিরে।অসংখ্য ধন্যবাদ প্রিয় ভাইটি।
মোঃ মজিবর রহমান
বিয়োগান্তক ঘটনা। ড্রাভারের ভুলে কত ঘটনায় ঘটে আর হারায় কত প্রান। তার কোন খোজ নাই।
বাস্তবতার কোন বাস্তব স্রিংখলা ফেরাবার কোন পথ দেখিনা।
সুন্দর লেখা
মনির হোসেন মমি
প্রায় প্রতিদিন নিউজে দেখি কোথাও না কোথাও রোড এ্যাকসিডেন্টে ঝরে পড়ছে তরুণ বৃদ্ধপ্রান।এখন কোথাও বেড়াতে যাওয়াই যেন পাপা।সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই।
মোঃ মজিবর রহমান
আপনার প্রতি রইল অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
ছাইরাছ হেলাল
আমাদের সচেতনতা না আসলে কিছুতেই কিছু হবে না,
এ মৃত্যু মিছিল শুধু এগিয়েই যাবে, যাবে।
মনির হোসেন মমি
ধন্যবাদ ভাইজান।
সুরাইয়া পারভীন
মর্মান্তিক ঘটনার মধ্য দিয়ে শেষ হলো জ্যাম গল্প। ড্রাইভারের অসচেতনতা জন্য নিঃশেষ হয়ে কতো গুলো মানুষ। বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে লেখা গল্প। অহরহ ঘটছে এই ঘটনা গুলো।
মনির হোসেন মমি
ধন্যবাদ আপু।
জিসান শা ইকরাম
আহারে, গল্পের সমাপ্তি হলো বিয়োগ বেদনায়,
ভাবিনি যে এমন পরিনতি আছে শেষ পর্বে।
রাস্তায় গাড়ী চালনা আইন সঠিক ভাবে পালিত হোক।
গল্প ভাল হয়েছে।
মনির হোসেন মমি
ধন্যবাদ ভাইজান।
সঞ্জয় মালাকার
পুরো পরিবার টাই শেষ সাথে নতুন সম্পর্ক, নতুন স্বপ্ন ও শেষ। এভাবে মৃত্যু কারোরি কাম্য নয়।
এই ভাবে চলতে দেয়া যায় না।ফিরে আসুক রাস্তাঘাটের নিয়ম শৃংখলা ড্রাইভিং এর শত ভাগ স্বচ্ছতা,দূর হোক জ্যামের ভয়াবহতা।
আমাদের সচেতনতা না আসলে কিছুতেই কিছু হবে না,
এ মৃত্যু মিছিল শুধু এগিয়েই যাবে, যাবে।
ড্রাইভারদের অসতকর্তার জন্য প্রতিদিন কত জীবন ঝরে যাচ্ছে!
ধন্যবাদ দাদা আপনার জন্য অনেকঅনেক শুভ কামনা।
মনির হোসেন মমি
ধন্যবাদ দাদা।