
সা দা মা ঠ…..
তুমি কার জন্য লিখছ, আর কার জন্য কাঁদছ,
হয়নি তো আজ জ্ঞান চর্চা
লাজ লজ্জার নেই যে ঘোমটা,
দেখতে যেন কেমন লাগে
সত্য ভুলে মিথ্যে চলে,!
চালচলনে মাসী পিসী
করছে কতই কুটি নাটি,
পরিপাটি অজ্ঞানে, করছে রান্নাবাড়ি!
হয়নি তো আজ জ্ঞান চর্চা
সত্য পথে চলা,
মা কাকীরা দেখছি এখন
সাজেই হারায় বেলা!
নেয় নি তো আজ ঘোমটা তুলে
নতুন বউয়ের সাঁজ,
নষ্ট হবে যে শালিনির চাল
চলনের স্বভাব।
হয়নি তো আজ জ্ঞান চর্চা
পূর্ব পুরুষে বিরাজ,
নিয়ম ভাঙা স্বভাব হলো
কলিযোগের নাচ!
যুগে যুগে কমে যাচ্ছে
মায়ের আচল ছায়া
ট্রলির উপর শিশু নাচে!
যোগে চিহ্ন পাড়া।
সঞ্জয় মালাকার//
২৬টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
প্রকৃত জ্ঞান চর্চা আমাদের অন্দর মহলে ক্রমেই কমে যাচ্ছে
তা আমরা ঠিক-ই বুঝতে পারছি।
সঞ্জয় মালাকার
ধন্যবাদ হেলাল দাদা ,
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইলো।
মনির হোসেন মমি
এগিয়ে চলায় শুভেচ্ছা শুভ কামনা রইল।
নিতাই বাবু
মানুষের জ্ঞানচর্চা মৃত্যুর আগপর্যন্ত চলছেই। কেউ জ্ঞানী হচ্ছে, কেউ আবার নাকি অজ্ঞানীই থেকে যাচ্ছে। যদিও এখনো তেমন কোনও বিশেষ জ্ঞান অর্জন করতে পারিনি, তবুও আপনার লেখা “জ্ঞান চর্চা” পড়ে খুবই ভালো লেগেছে।
ভালো থাকবেন আশা করি।
সঞ্জয় মালাকার
ধন্যবাদ দাদা,
অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা রেখে গেলাম,
আপনিও ভালো থাকুন শুভ কামনা রইলোো।
জিসান শা ইকরাম
মায়ের আচল ছায়া কি আসলেই কমে যাচ্ছে?
শুভ কামনা।
সঞ্জয় মালাকার
হয় তো বা-না, কিন্তু এ-ই সময়ে
বর্তমান কালির যোগে তেমন একটা মিথ্যেও না,
ধন্যবাদ ভাইয়া , অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইলো।
রোবায়দা নাসরীন
ভালো লাগলে কবিতা।
সময় সভ্যতার সাথে কিছু পরিবর্তন আসবেই। তবে তা শুদ্ধ পরিবর্তন হোক সেটাই কাম্য ।
সঞ্জয় মালাকার
অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা
শুভ কামনা জানাবে
শাহরিন
শেখার কোন শেষ নেই, মরন এর পূর্ব পর্যন্ত মানুষ শেখে। মা কিন্তু মা ই।
যে মা সারাদিন চাকরি করে সে সন্তানকে ভালোবাসে না? বাসে সন্তানকে সুখ দিতেই দূরে থাকে। আগে সন্তানরা নানি দাদীর কোলে কোলে বড় হত কিন্তু কাজের সমাজের পরিবেশের বিবর্তনে একান্নবর্তী পরিবার আর নেই মা বেচারী একা হাপিয়ে উঠে স্ট্রলার এর সাহায্য নেয়। মায়ের আদর কখনোই প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ার অবকাশ হওয়ার কথা নয়। এখনো পৃথিবীতে খাটি শুধু মায়ের ভালোবাসা। ধন্যবাদ।
সঞ্জয় মালাকার
দিদি, মা চাকরি করেন বলে কি সন্তান কোলে নেওয়া যাবেনা ,
আপনার কথাতে আমি এক মতো না?
ধন্যবাদ দিদি শুভ কামনারইলো।
মাছুম হাবিবী
জ্ঞান চর্চা কবিতাটা বেশ ভালো লাগলো
মনে নাড়া দিল, শুভ কামনা আপনার তরে
সঞ্জয় মালাকার
ধন্যবাদ দাদা
শুভেচ্ছা রইলো।
ইঞ্জা
চমৎকার লিখেছেন দাদা, ভালো লাগা রইলো।
সঞ্জয় মালাকার
ধন্যবাদ দাদা, অনেক অনেক ভালো লাগা রইলো।
ইঞ্জা
শুভেচ্ছা
সাবিনা ইয়াসমিন
মায়ের আদর বা নারীদের শিক্ষা নিয়ে এইযুগে প্রশ্ন রাখাটা যুক্তি সংগত মনে হলো না। মধ্যযুগে একটা সময় ছিলো, যখন নারীরা শিক্ষা বলতে ধর্মীয় পুস্তক অধ্যায়ন আর গৃহ সজ্জার পাশাপাশি নিজেদের সাজিয়ে রাখাটাকেই মনে করতো। কিন্ত এখন সময় পাল্টেছে। সব ক্ষেত্রেই মেয়েরা/ মায়েরা শিক্ষা-দীক্ষায় এগিয়েছে। একজন পুরুষের চেয়েও নারীর শিক্ষা তার সংসারে বেশি কাজে লাগছে।
দুঃখিত দাদা, এই লেখাটির সাথে একাত্ব হতে পারলাম না।
শুভ কামনা 🌹🌹
সঞ্জয় মালাকার
সবি’ই ঠিক আছে দিদি, কিন্তু কিছু মা এখনে পাল্টায়নি, তারা এখনে সাজগোজে নিজে কে ব্যেস্ত রাখে সন্তানের খেয়ালই নেয়না।
ধন্যবাদ দিদি, শুভ কামনা রইলো।
শামীম চৌধুরী
মায়ের আঁচলের ছায়া এখন শুধু কবি সাহিত্যিকের গল্প বা কবিতায় ঠাঁই পায়। বাস্তবে এখন মায়ের আঁচল নেই। এখন বাচ্চারা ওড়নার আঁচলে স্বাদ মিটায়।
সঞ্জয় মালাকার
হুম ঠিকই বলেছেন দাদা,
ধন্যবাদ দাদা শুভ কামনা।
রেহানা বীথি
মেয়েদের ঘোমটা দিয়ে বসে থাকার দিন শেষ। আজকের এই সময়ে মেয়েরা মেধার পরিচয়ে পিছিয়ে নেই। সংসার, চাকরি, সন্তান সবকিছুই সামলাচ্ছে দক্ষ হাতে। তবে উগ্রতা আর উশৃঙ্খলতা কাম্য নয় কোনোভাবেই।
মায়ের স্নেহ মমতা, অর্থাৎ আঁচলের ছায়া, সেটা তো প্রশ্নাতীত সৃষ্টির শুরু থেকেই!
সঞ্জয় মালাকার
দিদি দিন পাল্টেছে বলে কি ঘোমটা দেয়া যাবেনা
আমি কিন্তু আপনার কথাতে একমত না।
ধন্যবাদ দিদি সুন্দর মন্তব্যের জন্য শুভ কামনা অবিরাম।
আরজু মুক্তা
সব শিক্ষাই তো মায়ের কাছ থেকে শুরু হয়।।
মিললো না আপনার সাথে।
সঞ্জয় মালাকার
দিদি মিলা না মিলার প্রশ্ন উঠে না,
বাস্তবের সাতে চোখঘুরিয়ে দেখবেনা, কতটুকু সত্য আর কতটুকু মিথ্যে।
ধন্যবাদ দিদি শুভ কামনা রইলো।
মনির হোসেন মমি
শিক্ষা বা জ্ঞান চর্চা অন্দর মহল হতে থাকলে তৃণমুল জনগনের জ্ঞানের প্রসার ঘটে।কিন্তু পরিতাপের বিষয় যে তা আজ ক্রমেই লোপ পাচ্ছে।সুন্দর লেখা।
সঞ্জয় মালাকার
ধন্যবাদ দাদা,
অনেক অনেক শুভ কামনা রইলো।