এই সূর্যকরোজ্জ্বল নদীর স্নিগ্ধ কলরবে জেগে উঠে প্রাণের অপব্যয়ী অক্লান্ত আগুন,
প্রয়াত মন অনন্যোপায়, দারুচিনি বনানীর ফাঁক গলে দূরতম দ্বীপের খোঁজে,
ক্রমমুক্তির ঢেউয়ের কল্লোলে রূপোর দাঁতে ছায়া হাসে নিঃশব্দে স্বর্ণ বিস্ময়ে,
ক্লান্ত নাবিক ভাবে এই বুঝি শুরু হল!!
এও হয় নাকি! ছায়াঋণ রয়েই যায় উত্তাল বিহ্বল বাতাসে,
এই তো বিকেল এলো বলে, ছায়ারা দীর্ঘতর থেকে দীর্ঘতম হয়
আধারে হারানোর পথ বেয়ে, অপেক্ষার আকাশ ছুঁতে চায় সমুজ্জ্বল ভোর।
৩০টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
ও আচ্ছা গ্রীন লাইনের পিছনে যাইয়া, চোখের অন্তরালে এই সব ফটুক তোলা তুলি হইছে?
বাসায় জানে? এই প্রশ্ন আর কর্লাম না,
অবশ্য কি জবাব দেবেন জানা আছে, ” নদী ও নারী প্রকৃতির অংশ, একারনে এই ফটুক”
😀
ছাইরাছ হেলাল
সবাই সব জানে, এটি গুপন কুন বিষয় নয়।
শুধু লঞ্চের পেছেন না, ছায়ার ও পেছনের ছবি তোলা হয়েছে।
এটাই আসলে দেখার বিষয়, বোঝারও।
নদী নারী থেকে বা নারী নদী থেকে আলাদা কিছু না।
জিসান শা ইকরাম
অনেক সময় বললে কম বলা হবে, প্রায় সব সময়ই ছায়া আমাদের পরিচালিত করে
ছায়া দিয়েই প্রভাবিত হই আমরা,
অবশ্য যদি তেমন ছায়া হয়……
লেখা আর ছবি দুটোই অনেক সুন্দর
শুভকামনা।
ছাইরাছ হেলাল
সবই ছায়া -মায়ার কম্ম, আর কিছু না।
অরুনি মায়া
ছায়া নিয়ে আপনার লেখা আগেও পড়েছি, আজও পড়লাম।
আপনি যেন ছায়ার ভাষা বোঝেন। ছায়ার চাওয়া পাওয়া বোঝেন।
ছায়ার হাসি কান্না আবেগ অনুভূতি বোঝেন।
ফাঁক ফোকর গলে ক্যামেরার লেন্স সঠিক জায়গায়ই পৌঁছেছে। রক্ত মাংসের মানুষের সাথে ছায়ার নিবিড় মিলন। একজন নারী দেহ আর তার ছায়া কি একই আবেদন রাখে? নাকি দেহের সাথে ছায়াও একদিন হারিয়ে যায়?
কবি ভাল জানেন।
সুন্দর আরেকটি লেখা -{@
ছাইরাছ হেলাল
ছায়া-ফায়া নিয়েই আছি, যদিও জুত মত কিছুই হচ্ছে না, হয়ও না।
আপনি জানেন ছায়ার আসলে আলাদা অস্তিত্ব নেই, ছায়া -কায়া দু’জনে দু’জনার।
তাই তাদের অনুভুতি আমারা চাইলেই বুঝতে পারি, বুঝিও।
আমার থেকে ঢের জ্ঞানী আশেপাশে বিদ্যমান, একটু স্থির হন ও উপলব্ধিতে আনুন।
জ্ঞানের গড়াগড়ি দেখতে পাবেন!
অরুনি মায়া
হুম ছায়া কায়া নিয়ে আছেন জেনে ভাল লাগল। তাদের অনুভূতিও বোঝেন জেনে আরও ভাল লাগল।বুঝলাম ছায়া কায়ার খুব কাছেই আপনার অবস্থান। থাকুন এভাবেই শান্তির মাঝে। চলুক জীবন আনন্দে। অভিনন্দন রইল -{@
ছাইরাছ হেলাল
ওম শান্তি,
তবে সব ছায়ারা কায়া হয়ে ধরা দেয় না, ছায়া ছায়া হয়েই থেকে যায়।
কিছু কায়াদের ছায়া দেখা-ছোঁয়াদের বাইরেই থেকে যায়।
আপ্নাকেও অভিনন্দন ব্যাপারটি বুঝতে পারার জন্য!
মুহাম্মদ আরিফ হোসেইন
এও হয় নাকি! ছায়াঋণ রয়েই যায় উত্তাল বিহ্বল বাতাসে,
এই তো বিকেল এলো বলে, ছায়ারা দীর্ঘতর থেকে দীর্ঘতম হয়
আধারে হারানোর পথ বেয়ে, অপেক্ষার আকাশ ছুঁতে চায় সমুজ্জ্বল ভোর।
কবিতা ভালো লাগিলো।
ছাইরাছ হেলাল
আচ্ছা বুঝতে পেরেছি, তবে নুতন টেকনিক দরকার!!
আপনাকে তো এদিকে দেখাই যায় না।
ব্যস্ততা আছে বুঝতে পারি।
ব্লগার সজীব
ছায়াঋণ রয়েই যায়, রয়েই যাবে। আপনার লেখায় মন্তব্য করার মত যোগ্যতাই নেই আমার। শুধু ভাল লেখা বলার মত সাহস নেই।
ছাইরাছ হেলাল
এখনই সাহস হারালে তো হবে না।
আপনি ঋণখাতা রেডি রাখুন, কড়ায়গণ্ডায় হিসাব হবে।
আবু খায়ের আনিছ
ছায়ায় দাড়িয়ে ক্লান্ত নাবিক বিশ্রাম করে, আবার পুরুদমে কাজ শুরু করে।
ভাইয়ার কবিতা আর কি বলা যায়, ভালো।
ছাইরাছ হেলাল
বিশ্রাম আমাদের লাগেই, খুব দরকারি বিষয় ওটি।
বেশি বলার এমন কী ই বা আছে।
আবু খায়ের আনিছ
কিছু নেই, তাই ভালো। ইংরেজীতে হলে বেষ্ট,গুড, বেটার তিনটা শব্দ ব্যবহার করা যেত।
ছাইরাছ হেলাল
হা হা, সেখান থেকেই কিছু একটা বলে ফেলুন।
খসড়া
অতি দূর সমুদ্রপথে যে নাবিক হারিয়েছে দিশা
ছাইরাছ হেলাল
অতি দূর সমুদ্রপথে যে নাবিক হারিয়েছে দিশা
ডাকে তারে দারুচিনি দ্বীপ দূর ইশারায়!
শুন্য শুন্যালয়
আমিতো এখনো প্রপঞ্চময়তাতেই শেষ করতে পারিনি, হাঁটলে আর চলবেনা বুঝতে পেরেছি, দিতে হবে দৌড়, ম্যারাথনে কাজ হবেনা 🙁
কেমন হবে যদি শুধু ছায়াই রয়ে যায় শেষ নাগাদ!!
অপব্যায়ী আগুন, প্রয়াত মন? তবে তো ঠিকই বলেছিলাম, শরীর নেই, আছে শুধুই ছায়া।
আকাশ ছুঁতে চায় সমুজ্জ্বল ভোর, আঁধারে হারানোর পথ ধরে চলতে থাকলে পাওয়া কি সত্যিই যায়? কি জানি!!
লেখাটিতো ভারী সুন্দর, এ অবশ্য নতুন কিছু নয়। নতুন হচ্ছে আপনার একটা একটা করে ছবির দেখা পাওয়া। ছায়াটা অদ্ভূত সুন্দর লাগছে, বিশেষ করে, ছায়ার পাশ দিয়ে সাদা পানির স্রোত, যেটা মেইন অংশটুকুতে আসেনি। আবার ছায়ার মধ্যে নৌকাদুটোও মিশে যাওয়া, খুবই সুন্দর।
এইভাবে এক একটা ছায়া এসে আরো আরো তাড়িয়ে বেড়াক আপনাকে, আরো কিছু পাবো তবে। 🙂
ছাইরাছ হেলাল
আপনি দশভূজা, কোন ব্যাপার না।
ছায়া খুব দামী, সেটা পেলেই বর্তে যাই।
পাওয়া না পাওয়ার হিসাব করে কে কবে কী পেয়েছে! তবুও আমরা সবাই আকাশটা ছুঁতেই চাই।
দেখুন নেটে আজকাল এমন ছবি লেখা সহ ম্যালা কিছু পাওয়া যায়, সেখান থেকেই এনে দেই আরকি,
ছবি তোলা তো কেউ আমাকে শেখাবে না! তাই অনেক ‘বেদানায়’ নেট ই ভরসা।
আপনি যখন বলছেন, দেখি নেট খুঁজে আরও কিছু যায়জোগার করতে পাড়ি কীনা।
মেহেরী তাজ
কে এটা? না মানে ছবিটা তে?
মন্তব্য টা পরে!!
ছাইরাছ হেলাল
এতো ছায়া মাত্র, আপনি কি আর কিছু দেখছেন!
অপেক্ষা করতেই আছি।
মেহেরী তাজ
নাহ অন্য কাওকে দেখেই বা কি লাভ। সে আগে ছিলো এখন সে ছায়া! আপনি তো বলেই দিলেন! এটা মানায় শ্রেয়!
ছাইরাছ হেলাল
সবই ছায়া, সবই কায়া!!
বেশি করে লিখে না লেখাকে পুষিয়ে দিন।
ব্লগার সজীব
ছায়া কোথায় দেখে সবাই? অদেখা ছায়া নিয়ে সবাই কত সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করে যায়। না এই চোখ পাল্টে ছায়া দেখার চোখ লাগাতে হবে দেখছি। ছবিটা খুবই সুন্দর। আর লেখা তো গিলে খেতে ইচ্ছে করছে।
ছাইরাছ হেলাল
এখানে শুধুই ছায়া আর ছায়া।
চোখ পাল্টাতে হবে না, তবে একটু রগড়ে নিলেই সব ক্লিয়ার হয়ে যাবে।
একটু আস্তে, গলায় বিঁধে যাবে তো!!
মৌনতা রিতু
ছায়া ঋণ,বাহ! ভাল তো।সবকিছুর ভাষা বোঝা দুষ্কর।আপনার এই গুনটা আছে।মহাগুনি আপনি।
মন্তব্য আর কি লিখি,থাক এখন এক কাপ চা খাই।
ছাইরাছ হেলাল
আমি গুণী!! বলেন কী?
ধুর, আমিও কী সব কিছু বুঝি নাকি!
একা খাওয়া ঠিক হচ্ছে না কিন্তু।
নীলাঞ্জনা নীলা
ছবি দেখবো নাকি লেখা পড়বো?
এসব তো ঠিক না। ছায়া তো দেখলামই না।
ঋণ আসলো কোত্থেকে? ;?
ছাইরাছ হেলাল
সব কিছুই দেখতে ও পড়তে হবে।
ছায়ার কাছে ঋণ থাকেই।