ক্যানভাসে কোনো মুখ নেই, কেবলই আঁকিবুকি।
যেনো শেষ প্রহরের অশনিসংকেত
এখানে এই বিদগ্ধ হৃদয়ের জলপ্রপাতে।
ওখানে কি এখন ধূ ধূ চর নাকি মরুভূমি?
পথ হারিয়ে ধূলোর ভেতর কাৎড়ে থাকা তৃষ্ণার্ত এক প্রাণ—
‘জল দাও, আমায়, জল দাও।’
ও ছবিকর এমন দৃশ্য কোথায় পাবে তুমি?
আঁকো। এখুনি এঁকে নাও।
পেতে রেখেছি হৃদয়;
তোমার তুলি-ব্রাশ দিয়ে কাঁটাছেঁড়া করো—
মাখাও রঙ;
বিখ্যাত হবে।
জানো না, যতো ক্ষত-বিক্ষত করা যায়,
ছবি যে ততোই রঙ ছড়ায়!
হ্যামিল্টন, কানাডা
২৪ জুলাই, ২০১৫ ইং।
**চেষ্টায় থাকে প্রতিটি লেখার সাথে ছবির মিল। কি জানি ঠিক মেলে কিনা, তবে এ দুটো ছবিও আমারই এই সেলফোনে তোলা। একটি প্রকৃতি, অন্যটি রক্ত।
৩৬টি মন্তব্য
আবু খায়ের আনিছ
পেতে রেখেছি হৃদয়;
তোমার তুলি-ব্রাশ দিয়ে কাঁটাছেঁড়া করো—
মাখাও রঙ;
বিখ্যাত হবে।
জানো না, যতো ক্ষত-বিক্ষত করা যায়,
ছবি যে ততোই রঙ ছড়ায়!
কথাগুলো অনেক ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ
নীলাঞ্জনা নীলা
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুনিপুণ মন্তব্য দিয়ে রাঙিয়েছেন কবিতাটিকে। -{@
ইমন
সারমর্ম “এখানে এই বিদগ্ধ হৃদয়ের জলপ্রপাতে।” :p -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
মন্তব্য বুঝিনি ভাইয়া। কবির এন্টেনার তার মনে হয় ছিঁড়ে গেছে। 😀 ^:^
শুন্য শুন্যালয়
শেষ দুটো লাইনযে অসাধারন হলো আপু। পরের ছবিটার দিকে তাকিয়ে ভাবছি কেমন করে তুললেন। আশ্চর্য্যের হলো আজ আমি রক্ত নিয়ে ভেবেছি, এই কিছুক্ষন আগেও। ছবিগুলো মেলে কিনা? সব কি মেলাতেই হবে?
নীলাঞ্জনা নীলা
পরের ছবিটা তো খুব সহজ তোলা। ক্যামেরার ফ্লাশের নীচে আঙ্গুলটা রাখলেই হলো। রক্ত কেবল লাল নয়, ক্ষত-বিক্ষত হবারও রঙ। তাই না আপু? -{@
জিসান শা ইকরাম
ক্যামেরার ফ্লাশের নীচে আঙ্গুলটা রেখে ছবি তুললে এমন হবে? এমন আইডিয়া পেলে কোথায়?
নীলাঞ্জনা নীলা
আরে মাথা ভর্তি আইডিয়া। তাইতো ঘুম কম। 😀 ^:^
আরোও অনেক আইডিয়া আছে নিতে চাইলে ঘুষ দিতে হবে। \|/
লীলাবতী
জিসান ভাইয়া ঘুষ দিতে দিতে ফতুর হয়ে যাবেন।ফেইসবুকেও দেখলাম কে জানি ঘুষের জন্য মিস কল দিয়েই যাচ্ছে :D)
নীলাঞ্জনা নীলা
ফ্রীতে আজকাল উপদেশও পাওয়া যায়না। বাজার এমনই। :D)
ছাইরাছ হেলাল
ছবিকর! মর এবার, কচু খাও।
এমন ক্যানভাস আহ্বান যে দেখেও দেখে না।
চাতক ছবিয়াল হয়ত মেঘজলের অপেক্ষায় নদীজল উপেক্ষা করে
অথবা আশঁবঁটির ভয়ে প্রাণ ইজারা দিয়ে বসে আছে অন্য কোন খানে।
নীলাঞ্জনা নীলা
ছবিকরকে নিয়ে আসুন ছাইরাছ হেলাল ভাই। এরপর ধরে কিছু উত্তম-মধ্যম দেই। কি বলেন? 😀
আপনার মন্তব্য পেয়ে নেচে উঠলো কবিতাটি। ধন্যবাদ নয়, কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। -{@
ছাইরাছ হেলাল
আমার আশংকা ই সত্যি মনে হচ্ছে, আপনাদের জবরজঙ্গিপনার জন্যই
ওষ্ঠাগত প্রাণ নিয়ে পালিয়ে বাঁচতে চাচ্ছে।
তা নাচুক না, কে করেছে মানা?
অষ্টবক্র হলেও সমস্যা নেই, তবে ভাঙ্গা ঠ্যাংয়ের দায় কেউ নিতে চাইবে বলে মনে হয় না।
নীলাঞ্জনা নীলা
ওহ এমনই নাকানি-চুবানি খেয়েছে ছবিকর যে পালাচ্ছে? আপনি তাহলে আশ্রয় দিন, এতো মহানুভব মানুষ থাকতে ছবিকরের এই দূর্দশা কি করে হলো?
ঠ্যাং এমনিতেই ভেঙ্গে আছে বয়স হচ্ছে না? :p
তানজির খান
পেতে রেখেছি হৃদয়;
তোমার তুলি-ব্রাশ দিয়ে কাঁটাছেঁড়া করো—
মাখাও রঙ;
বিখ্যাত হবে।
কবিতায় এত রঙ যার তার কবিতা ভাল না লেগে পারে!! অসাধারণ (y)
নীলাঞ্জনা নীলা
এটা আবার বেশী বেশী। ভাইয়া রঙ তো পাই তোমাদের থেকে, সেটাই আঁকি। তা নইলে কি পারতাম?
অফুরান ভালোবাসা। -{@
স্বপ্ন নীলা
যেমন কবিতা ঠিক তেমনি ছবি !! এত সুন্দর — মুদ্ধ আমি
নীলাঞ্জনা নীলা
মুগ্ধতায় ঋদ্ধ হলো পংক্তিগুলো।
তাই দিলাম -{@ (3
খেয়ালী মেয়ে
জানো না, যতো ক্ষত-বিক্ষত করা যায়,
ছবি যে ততোই রঙ ছড়ায়! (y) ———–শিল্পীরা বুঝি এতো নিষ্ঠুর হয় ;?
চিত্রপটে শেষ টান প্রকৃতির ছবিটা চমৎকার (y)
নীলাঞ্জনা নীলা
শিল্পীদের মতো এতো নিষ্ঠুর আছে নাকি?
প্রকৃতি সবচেয়ে বেশী নির্দয়। যতো দেয়, কেড়ে নেয় তার থেকে অনেক বেশী যে!
খেয়ালী আপুর খেয়ালে
নাচছে মেয়ে তালে তালে। \|/ -{@
জিসান শা ইকরাম
” জানো না, যতো ক্ষত-বিক্ষত করা যায়,
ছবি যে ততোই রঙ ছড়ায়! ” ——— তাই নাকি? আজ থেকে তাহলে শুরু করলাম।
ভালো লিখেছো।
ছবি মিলে গিয়েছে।
নীলাঞ্জনা নীলা
শুরু করেছো নানা? উত্তর কি পেলে জানিও কিন্তু!
ছবি না মিলে যাবে কই? মাইরের ভয় আছে না ছবির? 😀
অরণ্য
গ্রেট! (y)
নীলাঞ্জনা নীলা
আমি তো গ্রেট অরণ্য ভাইয়াকে দেখছি। 🙂
অরণ্য
ঠিক না মোটেই। 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
সে তো আমি জানি। 🙂
লীলাবতী
কবিতার প্রেমে পড়ে যাচ্ছি নীলাদি (y)
নীলাঞ্জনা নীলা
কবিতাকে তাহলে ছুটি দিতেই হয়। :p
কবিতাকেই সবাই ভালোবাসে, আমাকে কেউ ভালোবাসেনা। 🙁 ;(
নীতেশ বড়ুয়া
যে ক্যানভাসে রঙ নিয়ে ক্ষত বিক্ষত করে আঁকা হয় সেই ক্যানভাসকে কি কেউ ভালবাসে বলে? অথচ সেই ক্যানভাসটি না হলে আঁকা হতো কোথায় আর কোথায় বা পড়তো সেই রঙ!! 😀 (3 -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
এই সেরেছে নিজেই প্রশ্ন করে উত্তর দিয়ে দিলেন। সাথে ঝকঝকে দাঁতের বিজ্ঞাপনীয় হাসি, এরই পাশে সবল-সুস্থ হার্ট, একেবারে শেষে ফুল।
তপনের গান মনে পড়ে গেলো এসব পেয়ে,
“আমি কি বেঁচে আছি, নাকি মরে বেঁচে আছি!” 😀 -{@
নীতেশ বড়ুয়া
কার যেন এই গানটি? “ফুল নেবে না অশ্রু নেবে…” আরে ফুল নিয়ে যদি কাঁতা লেগে অশ্রুই ঝরে তবে কি হবে!!
ইয়ে মানে, ফুল দেখে মনে দোলা লাগে আর তাতে ঝাঁ চকচকে না হলে যা আছে সেইসব দাঁত বিকশিত করে বলে বারেবারে
“রাগ: বিলাতি ভাঙা
তাল: দাদরা
রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): 1289
রচনাকাল (খৃষ্টাব্দ): 1882
স্বরলিপিকার: জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর, ইন্দিরা দেবী
ফুলে ফুলে ঢ’লে ঢ’লে বহে কি’বা মৃদু বায় ।।
তটিণী-র হিল্লোল তুলে কল্লোলে চলিয়া যায় ।
পিক কি’বা কুঞ্জে কুঞ্জে ।।
কুউহু কুউহু কুউহু গায়,
কি জানি কিসের লাগি প্রাণ করে হায় হায় ।
ফুলে ফুলে ঢ’লে ঢ’লে বহে কি’বা মৃদু বায় ।।
তটিণী-র হিল্লোল তুলে কল্লোলে চলিয়া যায় ।
পিক কি’বা কুঞ্জে কুঞ্জে ।।
কুউহু কুউহু কুউহু গায়,
কি জানি কিসের লাগি প্রাণ করে হায় হায়।”
আর এই গানের জন্যঃ
Phoole Phoole Dhole Dhole -Kanika Banerjee
https://youtu.be/BZV6i21E4UM -{@ (3 -{@ 😀
নীলাঞ্জনা নীলা
নজরুল গীতি ওটা।
“নয়ন ভরা জল গো তোমার
আঁচল ভরা ফুল
ফুল নেবে না অশ্রু নেবে
ভেবে হই আকুল।”
“ফুলে ফুলে ঢ’লে ঢ’লে” গানটির সাথে ছোটবেলায় নেচেছিলাম স্কুলে। আহা ফুলে ফুলে সাজিয়ে দিয়েছিলো মামনি। ড্যান্স ডিরেক্টারও ছিলো মামনি। 🙂
দাদা এইবার আবার ফুলেল শুভেচ্ছা। -{@ -{@
নীতেশ বড়ুয়া
” আমি তো মরে যাবো, আমি তো মরে যাবো রেখে যাবো সবই” ইয়ে মানে কবরে ফুল দিয়ো, হবো তবে সুখী… নাইলে ঘাড় মটকামু, মাথায় দিমু ঘুষি… :D)
আমার খুবই পছন্দের হচ্ছে। ফুল দেখলেই হাত নিশপিশ করে কিনে নিয়ে উপহার দেওয়ার জন্যে :p
আপনাকে এত্তোগুলা ফুলের পাতা (ফুল নিয়ে নিলাম তাই পাতাটুকুই রইলো পরে) \|/ :D)
নীলাঞ্জনা নীলা
আমার তো কবরও হবে না।
মরণোত্তর দান করে দিয়েছি নিজেকে।
তাই এখনই ফুল দিলে দিয়ে দিন গো দাদা। পরে কিন্তু ;( ও ফুল আর দিতে পারবেন না।
নীতেশ বড়ুয়া
আমিও মরণোত্তর দিয়ে দেবো… যদি না করে দেওয়ার আগে চলে না যাই ;?
পরিযায়ী পাখী হয়ে চলে আসেন… ফুল উপহার পাবেন নিশ্চিত…
ধার করে বই পড়া আর ধার করে ফুল দেওয়ার মতো বিলাসীতা আর কিছুতেই নেই 😀 -{@ -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
ধার করে ফেরত না দেয়া এটাও একটা আর্ট, তাই না?
কারণ আমি এ জীবনে এসব দেখেছি তো! কতো বই যে নিয়ে গিয়ে আর আমার কাছে ফেরত আসেনি। 🙁
আর ফুল? নিজের হাতখরচের টাকা জমিয়ে জমিয়ে ফুল কিনতাম।
আসবো, কিন্তু কবে কে জানে! ;?