
ঘুণে ধরা মানুষের বিবেক দেখে
মনে পড়ে পলাশীর প্রান্তরের কথা।
রাস্তায়, গ্রামে কিংবা মেঠো পথে
এখনও উপেন ও ভবানীকে হেঁটে যেতে দেখি।
আমি নাকি লোক দেখানি ফকির হয়েছি
গলায় রুদ্রাক্ষ, হাতে তসবীহ্, আবার লাঠিও
জোসনা রাতে চাঁদ দেখে ; হাসি বাঁকা হাসি।
উপেনরা এখনও কৃষক!
মালেক, সাহেদ, খালেকের প্রশ্ন শুরু হয়
” বুঝেছো উপেন? ”
তামাসা পাটকলে, নীলকর ও আছে চুপিচুপি।
সিরাজ, এ সমাজে বেঁচে থাকলেও
আলো ছায়ার খেলায়, মাঝে মাঝে মেঘের ঘনঘটা
আর ডমরু রূপ দেখে ; ইঁদুরের মতো লেজ গুটিয়ে পালায়।
শস্যের সিন্ডিকেট, পিঁয়াজ, রসুন, আদা
এসব দেখে আমি প্রীতিলতা ওয়েদ্দার হয়ে
বিপ্লব ঘটাবো কিনা ভাবতেই,
মনে পড়ে, আমি তো ফকির।
বড়লোকের পায়ের নীচে শস্য হয়ে থাকি ;
গেরিলা হয়ে জাগবার কথা ; না থাকবার কথা।
আবার ভাবি!!
২৫টি মন্তব্য
নাজমুল হুদা
ঘুণপোকার উৎপাত দিন দিন বাড়বে। এর থেকে উত্তরণ, মনে হয় না সম্ভব হবে।
আরজু মুক্তা
না! উপায় নাই। কলুষিত সবকিছু।
রোকসানা খন্দকার রুকু
করার অনেককিছু না থাকলেও যার যার অবস্থান থেকে একটু একটু করে প্রতিবাদী হতে হবে। একদিন হয়ত কিছুটা হলেও পরিবর্তন আসবে ইনশাআল্লাহ।
শুভ কামনা রইলো আপুনি।
আরজু মুক্তা
এমনটি আশা করি। পরিবর্তন আসবে।
ছাইরাছ হেলাল
উপেনের চিরকাল ই উপেনদের জীবনে ই বাস করে। সেখানে সেকাল একাল, একই কাল।
আমরা জাগতে চাইলে ও খুব একটা সুবিধে হবে বলে মনে হয় না।
আরজু মুক্তা
জাগলেই তো পিষে মারবে।
সুপায়ন বড়ুয়া
সিন্ডিকেট ভাঙতে এ যুগের প্রীতিলতা
হওয়ার স্বপ্ন দেখা কম বা কিষে
তাইতো আমি আপুর জন্য
শুভ কামনা করি বসে।
আরজু মুক্তা
মুখে ফুল চন্দন পড়ুক।
আলমগীর সরকার লিটন
মুক্তা আপু শুধু স্যালুট জানাই—————–
আরজু মুক্তা
ওরে বাবা! আমি কিন্তু কবিতা লিখতে পারিনা।
ধন্যবাদ আপনাকে
রেজওয়ানা কবির
তবু্ও স্বপ্ন দেখি জেগে ওঠার, প্রতিবাদ করতে করতেই একসময় ঘুন ধরা বিবেক ও জাগ্রত হবে ইনশাআল্লাহ।
আরজু মুক্তা
অবশ্যই সব কালিমা দূর হবে।
সাবিনা ইয়াসমিন
বেচারা সিরাজ! জীবনটাই গেলো পালিয়ে/ পালাতে গিয়ে। ইতিহাস থেকে বের হতে চাইলেও বের হওয়া যায়না, প্রতিদিনের যুদ্ধে এদের তৈরি হয় নব ইতিহাস!
বোধগম্য শব্দে চমৎকার কবিতা লিখেছেন।
আরও লিখুন। শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা নিরন্তর 🌹🌹
আরজু মুক্তা
এতো সুন্দর কমেন্ট! ধন্যবাদ অশেষ।
আমি কবিতা লিখতে পারি না। সবার দেখাদেখি চেষ্টা করি।
শুভকামনা
সুপর্ণা ফাল্গুনী
সমাজের এসব ঘুনপোকা প্রতিনিয়ত সমাজ, সংস্কার এর পটভূমি বদলে দিচ্ছে। আমরা চাইলেও এসব ধ্বংস করতে পারছিনা, নীরব দর্শক হয়েই উপভোগ করছি এসব অন্যায়, অত্যাচার। নবাব যেমন পালাতে চেয়েও পালাতে পারেনি আমরাও তেমন পারছিনা ছিন্ন করতে এই বন্দীদশা। এসব ইতিহাস নবরুপে ধরা দেয় শেষ হয়ে যায় না একদম। শুভ কামনা রইলো
আরজু মুক্তা
কে জীবন দিবে? আইনের জবাবদিহিতা নাই। ভরসা নাই। তাই লেজ গুটিয়ে পালাই ভালো।
সুরাইয়া পারভীন
চলুন না একবার প্রীতিলতা ওয়েদ্দার হই
বজ্র কন্ঠে আওয়াজ তুলে ঝাঁপিয়ে পড়ি
সমস্ত অন্যায় অত্যাচার শোষন শাষন নিপীড়নের বিরুদ্ধে।
চমৎকার লিখেছেন আপু
আরজু মুক্তা
আমি তো আছি। আপনারা আওয়াজ তুলুন।
তৌহিদ
সমাজে ভালো কাজও হচ্ছে। তবে গুটিকয়েক লোকের জন্য সব ভালো জলে ভেসে যাচ্ছে। সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে কৃষক ন্যায্যমূল্য পাবেনা কখনো।
চমৎকার লিখেছেন আপু। শুভকামনা জানবেন।
আরজু মুক্তা
খারাপ মানুষের সংখ্যা বেড়ে গেছে। তাই ভালো কাজ নীরবে।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাই
মনির হোসেন মমি
বাববাহ্
সাহিত্যেের সব অধ্যাায় যেন বিচরণ আপনার।কবিতা লেখায় স্বাগতম।
সকল আধাঁর কেটে আসুক আলোয় আলোকিিত মুখ।
আরজু মুক্তা
ইনশাল্লাহ্। সব আঁধার কেটে যাক।
ভাই, আমি চেষ্টা করি সাহিত্যের সব জায়গায় বিচরণ করতে। বড় কথা আমি প্রচুর পড়ি।
দোয়া করবেন, লোখা যেনো না থামে।
মনির হোসেন মমি
অবশ্যই শুভ কামনা থাকল।
উর্বশী
হোক প্রতিবাদ যার যার অবস্থান থেকে।যে কোনো কাজে নিয়ন্ত্রণ থাকা জরুরী । তা না কৃষকের মতই অবস্থার স্বীকার হতে হবে।ন্যায্য অধিকার ন্যায্য পাওনা না পাওয়া।
এক লেখায় প্রতিবাদী সুরের ঝংকার তুলে নিয়ে এসেছেন মা শা আল্লাহ।
সামিয়া —– জিন্দাবাদ🌷🌷🌺🌺🏵️🏵️🥀🥀🍀☘️
আরজু মুক্তা
প্রতিবাদীরা গুমড়ে মরে। তবুও পৃথিবী শুদ্ধ হোক।