
দু’দিন ধরে ট্রমায় আছি একরকম বলা যেতে পারে।আমার ফেসবুক ফ্রেন্ড+এক বড় ভাই আছেন। যথেষ্ঠ জনসচেতনতা মূলক কাজে নিয়োজিত থাকেন সবসময়। তিনি প্রায়ই কোনো না কোনো পোষ্ট আমাকে ট্যাগ করে থাকেন। শতবার নিষেধ করা সত্যেও তিনি অনঢ়। ওনার সবচে বড় পরিচয়, উনি একজন বড়সড় রকম বৃক্ষ প্রেমিক। গতকাল এক মহিলার অন্যায় ভাবে অন্যের বৃক্ষ নিধন বিষয়ক কর্মকান্ড বিশাল ক্ষোভের সহিত পোস্ট ট্যাগ করেছেন প্রায় তাঁর ফেসবুক ফ্রেন্ড ৯৭/৯৯ জনকে।তার মধ্যে আমি একজন।
এরপরে অনলাইন মিডিয়ায় নানাজনের টাইমলাইনে এই একই ভিডিও এবং কির্তী।
দেখতে দেখতে আমি ট্রমায়।
হ্যাঁ,একটু কিছুতেই আমি এমন ট্রমায় পড়ি।
বরগুণায় রিফাত হত্যাদৃশ্য, আবরারের পেটানো, কালশিটে পরা নিথর দেহ, এরকম আরো যাবতীয় ঘটনা আমাকে আহত করে প্রবল ভাবে।
গতকালের ওই মহিলার গাছ নিধন দেখে আমার বার বার মনে পড়ছিলো আমার আম্মা’র কথা। ফিরে গেছি সেই পুরোনো দিনে। ইচ্ছে হলো সেসব নিয়ে কিছু লিখি।
তখন কত আর হবে বয়স! বুঝতে দেখেতে শিখছি সবে।
আমাদের বাসাটা ছিলো বর্তমানের বাসা থেকে উল্টা দিকের রাস্তার পাশে। এটাও দাদুর করা বাড়ি।সামনে বেশ খানিক জায়গা ছিলো। আম্মা যা পান তাই রোপন করেন।তরতরিয়ে বাড়ে সেসব গাছ। সীমানায় ঘিরে কিছু কলা গাছের কন্দ কোত্থেকে সংগ্রহ করে এনে লাগিয়েছিলেন। আমার আম্মা যেদিন লোক ডেকে কলার কাঁদি কেটে ঘরে তুললেন, সেদিনের আম্মার উজ্জ্বল চোখ মুখ আজো চোখে ভাসে। এরপর আব্বা আম্মা দু’জনে মিলে প্রতিযোগীতা মূলক কিছু গাছ বুনলেন। বড় হয়ে ওঠার পরে আম্মা বিজয়ীর হাসি হাসছিলেন “দেখছো! তোমার চেয়ে আমার গাছ বেশি হইছে “আব্বা যেন এই হারাটাকে বড় বেশি উপভোগ করছিলেন আম্মার কাছে।
এরপর আমরা রাস্তার এপারে চলে এলাম দাদুর আরেক বাড়িতে।সেখানে আর তেমন জায়গা না থাকলেও পেছনের দিকে কিছু জায়গা আর সামনে সামান্য কিছু মাটির অংশ ছিলো। আম্মা থেমে নেই। আহাছার মধ্যে হয়তো কোনো ফলজ বা বনজ গাছ পেলেন, অমনি তা বুনে দিতেন। মৌসুমি ফলের বীজ যেখানে সেখানে পড়ে চাড়া গজাতো, আম্মা কি করতেন? পাহারায় থাকতেন, একটু বড় হতেই যত্ন করে আলাদা করে তুলে পছন্দমতো জায়গায় বুনে দিতেন। হঠাৎ করেই একদিন লক্ষ করলাম আমাকে খেলা থেকে ডেকে নিলেন, –“এদিকে আয়,
গেলাম, ধরিয়ে দিলেন গাছ হাতে,-“নে এই গাছগুলো এই গর্তে পুঁতে দে”
আমি হতবম্ভ! -‘আমি? দিলেন ঝাড়ি।
-“যা কইছি তাই কর।
ছোটো বেলা থেকেই আব্বা আম্মা দু’জনকেই বাঘের মতো ভয় পেতাম।
কথা না বাড়িয়ে চুপচাপ বুনে দিলাম গাছ।
এরপর থেকে অভ্যাসে পরিনত হয়ে গেলো যেন। গাছ আমাকেই বুনতে হবে।
অনেক পরে জেনেছিলাম এর রহস্য।হয়তো এখনো কেউ কেউ বিশ্বাস করেন, কারো কারো হাতে গাছ ভালো বাড়বাড়ন্ত হয়,ভালো ফল,ফসল হয়।আম্মাও হয়তো বিশ্বাস করতেন আমার হাতে গাছ ভালো বাড়ে। একবার কি হলো!
আষাঢ় মাসে আব্বাকে দিয়ে লাউ গাছের চাড়া আনালেন। যথারিতী আমাকে দিয়েই বোনা হলো। লাউগাছ তৃন জাতীয় গাছ।মাচান দিতে হয়। আব্বা জিজ্ঞেস করেছিলেন, এ লতা বাইতে দেবে কেমন করে? আমার মেজো চাচার ছাদ দেখিয়ে বলেছিলেন, ওই ছাদে উঠবে।ছাদে ওঠা সিঁড়ি নেই, দেয়ালের গায়ে ফাঁক ফোঁকরে পা রেখে রেখে আমিই উঠি যখন তখন।
এখানেও ভরসা সেই আমি। বাড়ির পেছনে
তিনটে নারকেল গাছ থেকে পাতা কেটে ছাদে বিছিয়ে দেয়া হলো। গাছগুলো ছাদ পর্যন্ত পৌঁছে যেতে যেতে।
অবাক করা বিষয় মহান স্রষ্টার অসীম কৃপায় সেবার আমি নিজ হাতে প্রতি সপ্তাহে ৪/৫টা করে লাউ কেটে নামিয়েছি।পাড়াপ্রতিবেশী কেউ বাদ যায়নি এই লাউ আর শাক নিতে।
মেহেদি, কাঠাঁল,পেঁপে কামিনী ফুলের গাছ,গন্ধরাজ,মিষ্টি কচু,কলাবতী, নানা রকম গাছে ছোট্ট আঙিনায় হেসে খেলে বড় হতে লাগলো।
আগাছার মতো একবার বেড়ে উঠলো একটা কুল(বড়ই) গাছ।বেশ অনেকটা বড় হয়েছে। কয়েকটা বড়ই ধরেছে গাছে প্রথমবারের মতো। আমি চুরিচুপি পেড়ে মুখে দিয়েছিলাম, ১৪০’ কারেন্ট ঝটকা খেয়েছি, এমন টক্। তখনও খেলতে যাই বিকেল হলেই সামনেই কিছু দুরে পুলিশ আর সি ও র মাঠে।সন্ধ্যায় বাসায় ফিরতেই দেখি আম্মা সমানে কাঁদছেন। কারন জিজ্ঞেস করতেও পারছি না উল্টো ঝাড়ি খাবার ভয়ে। কিছুক্ষন পরে যা বুঝলাম!!
আব্বা কৃষি অফিসার ডেকে কুল গাছটা কেটে ফেলেছেন অর্ধেকখানিক। যেহেতু কুল টক্! এটাকে কলম(গাছের বিষেশ একধরনের পদ্ধতি। এক গাছের বাকল অন্য গাছে বিষেশ ভাবে সেটিং করা)
করাবেন। উন্নত জাতের কুলবড়ই এর।
আর তাতেই আম্মার এই কান্না।
সেদিন বুঝেছিলাম আম্মা’র গাছের প্রতি ভালবাসার গভিরতা। সময়ের ক্রমে আমি নিজেও হয়ে উঠেছি বৃক্ষ প্রেমিক। আমিও এটা সেটা এনে লাগাতাম। ফুল গাছের প্রতি সেই ছোটবেলা থেকেই অমোঘ টান আমার। শহরের এই জনারন্যে বসবাস আমাদের।যে যেভাবে পারি সে সেভাবেই কোনো না কোনো ভাবে একটু গাছ লাগাবার চেষ্টায় থাকি।
ছাদকৃষি এখন সময়ের দাবি। বিশ্বউষ্ণায়নয়ের এই সময়ে যার যার অবস্থান থেকে সবাই চেষ্টা করে সামর্থ অনুযায়ী গাছ লাগানোর।
সেখানে গতকালের ওই মহিলার কর্মকান্ড দেখে যাস্ট কি বলবো? তাঁর দা হাতে নির্বিকার চিত্তে গাছকাটা দৃশ্য দেখে হতভম্ব হয়ে গিয়েছি।এই মহিলা তো মানুষ খুন করার মধ্যে পার্থক্য রাখেন নি কোনো!!
আমাদের নবী মুহাম্মাদ (সঃ) বলে গিয়েছেন, যখন কেয়ামত সংঘটিত আসন্ন হবে,আর তোমার হাতে একটিও গাছ থাকে তবে তা রোপন করে ফেলো ”
আরো আছে ” গাছের ফল পশু পাখি খেলে তা সাদাকা এবং অশেষ সওয়াব”
মহিলাকে দেখে মনে হয়েছে তিনি নামাজি এবং ধর্ম সম্পর্কে অবুঝ নন। তাহলে কি করে পারলেন এমন কাজ করতে?????
২৭টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
কেন বা কী-কারণে তা জানতে চাই না, তবে জীবন্ত গাছ কুপিয়ে কেটে
ফেলার দৃশ্য সহ্য করা সত্যি-ই কঠিন, গাছ প্রেমিক হলে তা আরো ভয়ংকর।
বন্যা লিপি
কি কারন তা স্পষ্ট এখনো জানি না। যেটুকু জেনেছি, তা এরকম ভাবে গাছকাটার কারন হিসেবে গ্রহনযোগ্য নয়।
কৃতজ্ঞতা রইলো মন্তব্যে।
শুভ কামনা।
আরজু মুক্তা
উনি মনে হয় মানসিক রোগি।
বন্যা লিপি
পাগলা গারদে পাঠানো উচিত মহিলাকে।
চাটিগাঁ থেকে বাহার
গাছ কাটার ঐ বিষয়টি এখনও আমার নজরে পড়েনি।
অনেকের হাতে রোপন করা গাছে ফলার বেশী হয় এটা আমারও মনে হয়। অনেকে পুকুরে মাছ বেশী পান। কারো গরু-ছাগল পালন লাভজনক হয়। কারো হাঁস-মুরগী ভাল হয়। এমনটা হতেই পারে।
আপনার সুন্দর বর্ণনায় বিষয়টি ভাল লেগেছে।
‘আহাছার’ মানে বুঝিনি!!
বন্যা লিপি
আগাছার স্থলে ‘আহাছা’এসে পরেছে। গ আর হ পাশাপাশি অবস্থানের বিভৎস উপস্থিতির মতো। সম্পদনা করার চেষ্টা করতে গিয়ে হিতেবিপরিত হলো শেষে। লেখা ট্রাশে চলে গেলো। টেকনিক্যাল বিষয়ে এখনো অপরিপক্ক।
অনিচ্ছাকৃত ভুলত্রুটির জন্য আন্তরিক দুঃখিত।
ধন্যবাদ জানবেন মন্তব্যের জন্য।
শুভ কামনা।
নাজমুল হুদা
ভিডিওটা দেখে গাছের মালিকের আর্তনাদ শুনে আমার শরীর কাঁটা দিয়ে উঠছে।
বাকরুদ্ধ আমি
সাখিয়ারা আক্তার তন্নী
আমার মনে হয় এই ভদ্র মহিলার মাথায় সমস্যা আছে।
শুভ কামনা আপনার জন্য
সাখিয়ারা আক্তার তন্নী
ভুল করে আমার মন্তব্য টি এই বক্সে চলে আসছে।
আমি দুঃখিত।
বন্যা লিপি
কোনো সমস্যা নেই। মন্তব্য যে ঘরেই পড়ুক।কিছু কিছু মানুষের আচরন এমনই আপু! আমরা বলি ‘মনে মানসিক সমস্যা আছে’ আসলে তা নয়। এরা মানবতা বিবর্জিত বোধহীন জানোয়ার সমতুল্য।
শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।
বন্যা লিপি
একবার ভেবে দেখো, ওই মহিলা কেমন নির্বিকার ছিলেন! দা উঁচিয়ে দম্ভের সাথে গাছগুলো কিভাবে কেটে যাচ্ছিলেন।
বন্যা লিপি
সাখিয়রা তন্নি,দুঃখিত হবার কিছু নেই আপু।
তৌহিদ
ভিডিওটি দেখেছি, আমার মনে হয় এখানে দু পক্ষেই অপরাধী। এক বিল্ডিং এ ছাদ ব্যক্তিগত হতে পারেনা। যিনি লাছ লাগিয়েছেন তাকেও যেমন অন্যদের ম্যানেজ করে গাছ লাগাতে হতো আর যিনি কেটেছেন তিনিতো মহা অন্যায় করেছেন। আমার খুবই খারাপ লেগেছে কিন্তু।
আপনার বাবা মা’র সাথে সুন্দর কিছু স্মৃতি লিখেছেন। পড়ে আবেগী হয়ে উঠলাম। গাছ লাগানো উচিত আমাদের প্রত্যেকেরই।
শুভকামনা।
বন্যা লিপি
ভাই,যেটুকু জেনেছি, তাতে যেটা মনে হয়েছে, ওই বিল্ডিংএ দুটো ফ্লাটের মালিক যাদের গাছ কাটা হয়েছে, তাঁদের।
তাঁরা যতটুকু অংশ ছাদের ভোগ করতে পারবেন, ততটুকুই ব্যাবহার করছিলেন এভাবেই।
গাছের পাতা ছেঁড়া, না বলে কয়ে গাছের ফলফলাদি অন্যায় ভাবে ছেরা নিয়ে কথা কাটাকাটি।পরিনতি এই মহিলা সমুলে নিকেষ করলেন এভাবে । দু’পক্ষের দোষ যাই থাক, তাই বলে এভাবে সমাধান?
একশত গাছ উপহার হিসেবে পেয়েছেন পরবর্তিতে গাছের মালিক ছিলেন যারা। আর ওই মহিলা অন্তত একদিনের জন্য হলেও শ্রীঘর দেখে এলেন কৃতকর্মের জন্য।
শুভ কামনা জানবেন ভাই।
সঞ্জয় মালাকার
দিদি ভিডিওটি দেখেছি, আমার মনে হয় এখানে দু পক্ষেই অপরাধী,তবে জীবন্ত গাছ কুপিয়ে কেটে ফেলাঠিক হয়নি।
বন্যা লিপি
দু’পক্ষের অপরাধ না এক পক্ষের অপরাধ, আমি তা খতিয়ে দেখে গাছ কাটার পক্ষে সহমত পোষণ করি না দাদা।
যে কোনোকিছুই হতে পারে।
সমাধান এটা নয় ।
ধন্যবাদ জানবেন।
রেহানা বীথি
ছোটবেলার গাছ লাগানোর স্মৃতিগুলো ভেসে উঠলো চোখে। এখনও লাগাই। রাগের মাথায় ওভাবে কেউ গাছ হত্যা করতে পারে, সত্যিই স্তব্ধ হতে হয়।
বন্যা লিপি
একবার আমার মেহেদি গাছের পাতা ছিঁড়েছিলো আমার পাশের ফ্লাটের একজন। আমার অনুপস্থিতিতে। আমার ভীষণ রাগ হলো। কিন্তু কিছুই বলতে পারিনি। বিরক্তিটুকুই শুধু প্রকাশ করেছিলাম আচরনে। তাতেই বুঝে গিয়েছিলো।
আপনাকে অসংখ্য কৃতজ্ঞতা।
নিতাই বাবু
লেখার মাঝে ঐ ভিডিওটার লিংক যদি দিয়ে দিতেন, তাহলে আরও ভালো হতো। আমরা যাঁরা ফেসবুক ব্যবহার করি না, তাঁরা আপনার পোস্টের মাধ্যমে দেখতে পারতাম।
বন্যা লিপি
বড্ড ভুল হয়ে গেছে দাদা ভিডিওটার লিঙ্ক জুড়ে দিতে পারলে ভালো হতো । ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
নিতাই বাবু
তা এখনও তো পারেন দিদি।
বন্যা লিপি
খুঁজে পাইনি আর দাদাবাবু।দুঃখিত।
সাবিনা ইয়াসমিন
ঐ নারী গাছগুলো কেন সেভাবে কেটেছেন তার কারন তিনি বলেছেন। যদিও তার কথাগুলো হাস্যকর, তবে চিন্তার খোঁড়াক যোগায়। তিনি গাছ মালিকের অভিশাপ থেকে নিজের সন্তানদের বাঁচাতে গাছ কেটেছেন বলে দাবী করেছেন, অথচ আল্লাহকে ভয় করেননি! যেখানে গাছের মালিকের বিনা অনুমতিতে ফল খেলে গুণাহগার হতে হতে, যেখানে গাছই কেটে ফেললেন!!
একেকজনের হাতে গাছ লাগালে ফল-ফুল বাড়ন্ত হয়। মুরুব্বীরা এটা বিশ্বাস করেন। তারা শিশুদের হাতে তাই গাছ লাগানোটা খুব নিষ্ঠার সাথে পালণ করেন। আর অবাক লাগলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এটা সত্যি হয়। আমার নানা ছোটবেলায় আমাদের ভাই-বোনদের দিয়ে প্রচুর গাছ লাগিয়েছেন। আমি প্রথমবার একটা কাঠাল গাছ, আর একটা মিষ্টি কুমড়া গাছ লাগিয়ে ছিলাম। 🙂
ভালো নিও। শুভ কামনা ❤❤
বন্যা লিপি
নিজের সন্তানদের অভিশাপ থেকে বাঁচাতে গাছ এভাবে কেটে ফেলা? এতে অভিশাপের হাত হতে বাঁচলেন না আরো অভিশপ্ত হলেন? আজব চিন্তাভাবনা।
ভালবাসা তোমার জন্য❤❤
জিসান শা ইকরাম
অনেক কথা মনে পরে গেলো।
আমার বড় ভাবি আর আম্মা যে গাছই লাগান তা হবেই হবে।
বাসায় অবহেলায় লাগানো আম, পেয়ারা, লকেট গাছে প্রচুর আম, পেয়ারা, লকেট হয়।
পাড়া প্রতিবেশী সবাই মিলেই খাই।
অথচ আমার ব্রীক ফিল্ডের ছাদে লাগানো গাছ তেমন একটা হয় না।
ভাবতেছি বড় ভাবি আর আম্মাকে নিয়ে নতুন করে সব লাগাবো 🙂
বৃক্ষবিনাশীনি ঐ মহিলা গ্রেফতার হয়েছে,
সে গাছ কাটায় অনুতপ্ত নয় বলে জানিয়েছে।
পাহাড়ি বেত দিয়ে ওনাকে পিটান দরকার।
বন্যা লিপি
আপনার বড় ভাবি, আম্মার হাতে সত্যি সত্যি গাছ গাছালী ভালো হয়।আপনার আম্মার বড় নাতনীটাও তাঁদের গুণটুকু পেয়েছে আল্লাহর অসীম কৃপায়।।
যাদের গাছ কেটে ফেলেছে তারা পেয়েছে, গ্রীন সেভারের পক্ষ থেকে শতাধিক গাছ উপহার হিসেবে।
রুমন আশরাফ
গাছেরও জীবন আছে। আর সেই জীবনকে হত্যা করেছে ঐ পাষাণী মহিলা। আমার বাড়ির ছাদে, ঘরে, বারান্দায় এবং বাড়ির চারপাশে আমার মা বাবা দুজনেই খুব যত্ন করে গাছ লাগিয়েছেন। নিয়মিত গাছের পরিচর্যা করেন। গাছের প্রতি তাঁদের মায়া দেখে মনে হয় এসব গাছগুলোও যেন তাঁদের সন্তান। জন্মের পর হতে আজ অবধি এমনটিই দেখে আসছি। আমার মাথায় ঢুকে না ছাদে গাছ লাগানোয় ঐ পাষাণী মহিলার সমস্যা কি ছিল।