বন্ধুত্বের সংজ্ঞা হয়না, থাকে-ও না,
বন্ধুত্বের লিঙ্গ হয়না, তাই বলে তা ক্লীব-ও না
বন্ধুত্বে ষড় ঋতু হয়না, সে-ভাবে চির বসন্ত-ও না
বন্ধুত্বে বন্ধুত্ব হয়, থাকে, টেকে-ও,
বন্ধুত্বের জিন-পরী হয় না,
বন্ধুত্বে ভূত-পেত্নী খেলা হয় না
বন্ধুত্বে খুল্লাম-খুল্লা চলে না
বন্ধুত্বে বন্ধুত্ব থাকে, টেকেও।
এক ঝাঁক আলোর উজ্জ্বল জ্যোৎস্নায়
চোখে ঠার মেরে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে।
বন্ধুত্বে বিন্দু থেকে সিন্ধু গড়ে
বন্ধুত্বে অতল স্বপ্ন জেগে ওঠে বাতিঘর হয়ে।
দীর্ঘ-দীঘল চাঁদের আলোয়
বন্ধুত্বই শস্য-সোনা ফলায়,
গাছ বলে………
“ এই যে আখাম্বা, না-আঁকাবাঁকা শির উঁচু করে ক্রমাগত দাঁড়িয়ে থাকা,
মাটির বুকে পা সেঁধিয়ে, বার্ধক্য-লেপনে সেই কতকাল দাঁড়িয়ে আছি
জুত মতো, না-দুর্দৈবে, মন-ছুঁয়ে-যাওয়া অনাবিল আনন্দে, কৈ-কাতরানির পিছুটানটুকু এড়িয়ে, থাকব-ও অনন্তকাল; ঝলমলে স্তব্ধতায়;”
১২টি মন্তব্য
মোঃ মজিবর রহমান
বন্ধুত্বে বিন্দু থেকে সিন্ধু গড়ে
বন্ধুত্বে অতল স্বপ্ন জেগে ওঠে বাতিঘর হয়ে।
দীর্ঘ-দীঘল চাঁদের আলোয়
বন্ধুত্বই শস্য-সোনা ফলায়,
বন্ধুত্বের কোন জাত বেজাত নায়, বন্ধুত্বের কোন উচু-নিচু নায়…………… খুব ভাল লাগা রইল ভাইয়া। ।
ছাইরাছ হেলাল
প্রকৃত বন্ধুত্ব-ই বন্ধুত্ব,
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
ইঞ্জা
বন্ধুত্ব হোক নির্মল, বন্ধুত্ব হোক হৃদয়ের।
বাহ ভাইজান বাহ, খুব ভালো এক কাব্য পড়লাম আজ, খুব ভালো লাগলো। 🙂
ছাইরাছ হেলাল
খরা-বৃষ্টি ঝড়-জল উজিয়ে যা কিছু টিকে থাকে তাই বন্ধুত্বের বন্ধুত্ব,
ভাল থাকবেন.অবশ্যই।
ইঞ্জা
বন্ধুত্বের জয় হোক।
আপনিও ভালো থাকবেন ভাইজান।
ছাইরাছ হেলাল
আল্লাহ আমাদের সহায় হবেন নিশ্চয়-ই,
মিষ্টি জিন
বন্ধুত্বে শুধু বন্ধুত্ব হয় এবং হওয়ার উচিত। খুল্লাম খুল্লা হয় যে বন্ধুত্বে সেটাকে আর যাই হোক আর বন্ধু নামে ডাকা যায় না।
জিন – পরী , ভূত পেত্নী তেও বন্ধুত্ব হয় বুঝি?
:D) :D) হতেও পারে । কুবিরাজের পালা পোষা বলে কথা। :D) :D)
কতদিন পর আসলেন , কুবিরাজের লেগ পুলিং না করতে পেরে আমার হজম শক্তি পুরোই লোপ পেয়ে গিয়েছিল। :p
তা কবিতা ভাল হয়েছে তবে কোথায় জানি একটু বিষাদের ছোয়া পাচ্ছি।
মিষ্টি জিন
আচ্ছা গাছ কথন তাহলে , তো কি গাছ তাল গাছ না তো আবার!!! ঐটা কিন্তু জিনের আবাসস্হল , সুতরাং :D)
ছাইরাছ হেলাল
তাল গাছে শুধু প্যাত্না-প্যাত্নী থাকে না, তাল-রস ও থাকে,
কতদিন তাল-বনে যাই না!!
ছাইরাছ হেলাল
বন্ধুত্ব কোন সহজিয়া পাঠ বা জিপিএ ফাইভ নয়
যা হাত বাড়ালেই পাওয়া যায়, পাওয়া হয়,
মানি বা না-মানি, বুঝি বা না-বুঝি,
অধরা বন্ধুত্ব সবার হয় না, সবার জন্য-ও না।
বন্ধুত্ব বুঝলে/জানলে জিন-পরী ভুত-পেত্নী গাছ-পাথর ও বাঙময় হয়ে ওঠে।
যা খুশি করুন অসুবিধা নেই, তয় বয়স মনে-মাথায় রাখলেই হয়, যদিও উহা নিতান্তই সংখ্যা মাত্র।
বিষানন্দ আমাদের থাকে, লাগেও!!
শুন্য শুন্যালয়
ব্লগে ঢুকেই ভিরমি খেয়েছি। যে গাছ নিয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে গত দুদিন ধরে, লিখবো বলে বেজায় আয়েশ করে বসেও কাউকে বুঝতে দেবোনা ভেবে, কী নাম দেয়া যায়!!! উহ্। সেই গাছ কথন? আপনি মাইন্ড রিডার নয়তো বাপু? সত্যি করে বলুন।
সে যাই হোক, গাছ কিন্তু বেজায় রসে রসে ভরপুর মনে হচ্ছে। বর্ষাকালে আবার রসের হাড়ি পাতলো কে?
বন্ধুত্বে জমিয়ে জেঁকে বসা কবিতায় ফিরে পেলাম আপনাকে। কোথাও গিয়েছিলেন বলে যদিও মনে পড়ছে না। বন্ধুত্বে জিন-পরী, ভুত-পেত্নী হয়না বটে, তবে স্বভাব যখন ঘাড়ে ওঠার, তখন যারা সামহালকে।
শেষ নাগাদ গাছের গল্প পড়ে বুঝতেই পারলাম এ গাছ আর গেছোর বন্ধুত্বের কথা বলা হয়েছে। তবে বন্ধুত্বের আর ভাগাভাগি কী? চির বসন্ত। ভালো হইছে কবিতা ভাউ 🙂
ছাইরাছ হেলাল
কোথায় না কোন কোঠায় ছিলেন তা না বলে ভিরমিটুকু ব্লগের উপ্রে দিয়ে চালিয়ে দিলেন!!
এটি কিন্তু বেজায় ছোট-অন্যায়!!
ভাই, রিড-ফিড সে আর হলো কৈ!! তবে বড়জোর তাল-কাক বলে ফেলাই যায়, তাল-কোকিল না কিন্তু!!
ঠিকাছে, আপানার গেছো কথন শুনেই না হয় সিরিজের পরের গুলো প্রকাশ করি বা লিখি।
দেখি গাছের সাথে কদ্দুর কোন পর্যন্ত কী কী করতে পারলেন, তার থেকে কিছু নকল যদি করতে পারি!!
আচ্ছা, আপনাকে-তো বন্ধু-বিশারদ মনে হচ্ছে, আপনই বুঝি এ লাইনেও দাক্তারি করেন!!
দেখুন,
প্রকৃতি ভালোবাসার জন্যই সব কিছু বুকে ধারণ করে রাখে,
অন্য ভাবে যদি বলি,
ভ্রষ্ঠা ও সৃষ্টির বন্ধুত্ব-ই বন্ধুত্ব, বুঝি-বা না-বুঝি। অনুভবে আনি বা না-আনি।