খৃষ্টীয় মিশন ,আমাদের সংখ্যালঘু এবং আমারা মুসলিমরা
নবি হযরত মুসার (আঃ) পর বনি ইসরাইল গোষ্ঠীর জন্য আল্লাহ এর একজন নবি পাঠালেন তিনি হ্লেন নবী হযরত ঈসা মাসিয় (আঃ)। সে সব ঘটনা আমরা জানি । বর্তমান খৃষ্টান সম্প্রদায় তাকে আল্লাহ্র পুত্র বলে এবং তাকে ক্রুশ বিদ্ধ করে হত্যাও করা হয়েছে এ বিশ্বাস পোষণ করে। আমরা মুসলিমরা তার উল্টা বিশ্বাস করি এবং কোরআন ও তাই বলে। নবী হযরত ঈসা মাসিয় (আঃ) একজন নবী, তাকে আল্লাহ্ তার কুদরতি ক্ষমতা বলে পিতা ছাড়া জন্ম দিয়েছেন।
@@{কথা হল ঈসা (আঃ) এর বর্তমান অনুসারি খৃষ্টানরা সারা বিশ্বে তাদের মিশন স্থাপন করে তাদের ধর্ম প্রচার করছে। এই বিষয়টিও ঠিক আছে। কিন্তু তাঁরা তাদের ধর্ম প্রচার করতে গিয়ে নানারকম ছল চাতুরীর আশ্রয় নিচ্ছে।
আমাদের বাংলাদেশ এই খৃষ্টিয় মিশন গুলি হতে নানারকম প্রলভন ও আর্থিক সাহায্য করার নাম করে আমাদের বিশেষ করে আদিবাসী জনগণকে ধোঁকা দিচ্ছে। আর তাদের ধোঁকায় পড়ে এবং আর্থিক প্রলোভনের ফাঁদে পা দিয়ে আজ তাঁরা খৃষ্ট ধর্মে দীক্ষা নিচ্ছে। এর ফলে আদিবাসীরা যেমন তাদের নিজ সংস্কৃতি হারিয়ে ফেলছে তেমনি তাদের প্রাচিন ধর্ম ত্যাগ করছে।
আদিবাসীরা যদি ভালবেসে তাদের ধর্ম গ্রহন করত তাতে আমাদের বলার কিছু ছিল না। কিন্তু এই মিশন গুলি সেবার নামে আর্থিক সাহায্যের প্রলভনের ফাঁদ পেতে তাদের ধর্মান্তরিত করছে তা খুব ভাবনার বিষয়।( এই তথ্য গুলি পত্রিকা হতে পড়া) }
@@এবার আসি মুসলিম হিসেবে আমাদের ব্যর্থতার কথায়…………………
আমরা ৪৭ এ ভারত হতে স্বাধীন হয়েছিলাম মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে। ৭১ এ আবার স্বাধীন হলাম মুসলিম নামধারী হায়েনা পাকিস্তানীদের হাত হতে। স্বাধীন বাংলাদেশে আমরা দাবি করি ৮৮.৩% মুসলিম। ১০.৫% হিন্দু,০.৬% বদ্ধ,০.৩% খৃষ্টান.উপজাতি ০.৩%………………………..
অথচ খৃষ্টান… বুদ্ধে বাদে এই ১১ % ধর্মের লোকদের কাছে আমাদের ইসলাম ধর্ম বাদে পুপলার ধর্ম খৃষ্টান ধর্ম। অথচ যুগের পর যুগ আমরা তাদের প্রতিবেশী। তাদের বাস আমাদের পাসের বাড়িতে বা পাশের গ্রামে ।
এত বছর পাশাপাশি বসবাস করার পরও আমরা তাদের আমাদের শান্তির ধর্ম ইসলামের ছায়ায় আনতে পারিনি। অথচ ১ সমুদ্র ১৩ নদী পার হতে এসে জাকিয়ে বসা খৃষ্টিয় মিশন গুলি কি অবলীলায় তাদের কাছে টেনে নিয়েছে। নিয়েছে তাদের ধর্মের ছায়াতলে।
আমরা কখনই এদের মানুষ মনে করিনি। ইসলামের শিক্ষায় আমরা শিক্ষিত হতে পারিনি। মানুষ হিসেবে সকলে সমান তা আমরা মুসলিমরা এই শিক্ষা কাজে লাগাতে পারিনি। তাই আজও দেশের কোথাও কোথাও হোটেলে তাদের খেতে গেলে শুনতে হয় ১ নম্বার না ২ নম্বার( ঘটনা রাজশাহীর তানরের, এখানে আদিবাসীরা খেতে গেলে তাদের জন্য আলাদা প্লেট বাটি এবং বলতে হয় ২ নম্বর)। বা কাজের সাঁওতাল বা হিন্দু লোকটাকে খাবার দেন বাহিরে। তার জন্য আলাদা প্লেট ও বাটি ও গ্লাস।
আর অন্য দিকে তাঁরা (খৃষ্টিয় মিশন গুলি )তাদের মানুষ হিসেবে মেনে নিয়েছে এবং আর্থিক সাহায্য দিচ্ছে তাদের স্বাবলম্বী করতে।
আমরা কি মুসলিম হিসেবে এই কাজ গুলি জীবনে একটিবারও করেছি?
উত্তরঃ না , করিনি।
তাহলে মুসলিম হিসেবে আমাদের দাবি করার কি সার্থকতা, যে আমরা সারা জীবন একজন কে নিজ ধর্মে টানতে পারলাম না । এটি কি মুসলিম হিসেবে আমাদের চরম ব্যর্থতা নয়।
আমাদের অনেকের স্কুল জীবনের অনেক সাঁওতাল ও হিন্দু বন্ধু বা পরিচিত জন, তাঁরা খৃষ্টীয় ধর্ম গ্রহন করেছে। কই তাঁরা তো এতদিন আমাদের সঙ্গে চলাফেরা করেছে, কই তাঁরা তো আমাদের ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হয় নি, পারিনি কোনভাবে তাদের মণ জয় করতে। যা খৃষ্টানরা করে দেখাচ্ছে।
তা হলে আমরা কি আমাদের মুসলিম হিসেবে দাবি করতে পারি?
ইসলামের ইতিহাসে তাকালে আমরা দেখতে পাই মুসলিমদের আচার ব্যবহারে মুগ্ধ হয়ে দলে দলে মানুষ ইসলাম কবুল করেছে। খৃষ্টান শাসনের অধীনে যেতে অস্বীকৃতি জানিয়ে ইসলামের শাসন ক্ষমতায় ছায়া তলে আশ্রয় নিয়ে নিজ ধর্ম পালন করেছে।
অথচ হায় আমাদের সোনার বাংলাদেশে ৮৮% মুসলিমদের কাছে অন্য ধর্মের মানুষ ও তাদের উপাসনালয় আজ কেন এমন নির্যাতনের শিকার। কেন কিছুদিন আগে বুদ্ধদের উপাসনালয় পুড়িয়ে দেওয়া হল ?
এই তো চলছে হিন্দুদের উপর হামলা । কেন ধর্ষিতা হতে হচ্ছে হিন্দু মহিলাকে। কেন একজন হিন্দুর কাছে শুনতে হয় “ মুখে গামছা বাঁধা থাকলেও আমি স্পষ্ট ওদের অনেক কে চিনতে পেরেছি। এই আগের দিনও তারা কেও কেও আমাকে দাদা, কেও বা জেঠু বলে ডাকত।“ সুত্র—পত্রিকা
@এই কাজ কে করেছে ?
@@কি গর্ব করে বুক ফুলিয়ে বলব আমারি এক মুসলিম ভাই।
বিঃদ্রঃ % এর হিসেব গুলি বাড়তে বা কমতে পারে।
২৬-০১-১৪ইং
৭টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
মুসলিমরা ব্যর্থ হয়েছে আস্থাবান হিসেবে নিজেদের প্রমানে ।
স্বপ্ন
জামাত ইসলাম যতদিন ইসলামের পতাকা বহন করবে , ততদিন এ দেশের সংখ্যালগুগন নিরাপদ থাকবে না ।
ভোরের শিশির নীতেশ
কোন জাতিকে প্রভাবিত করতে হলে তার দূর্বলতাকে কাজে লাগাতে হয়- ব্ররীটিশদের এই থিওরি মেনেই খৃষ্টান ধর্মের প্রসার ঘটেছে। ওরা জানে জাতিগতভাবে আমরা অনেক আবেগী। আর আমাদের আবেগকে দূর্বল করে তোলে আমাদের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপট। আর এই আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটের মূলে রয়েছে জ্ঞানের আলোর অভাব। এইগুলোকেই পুঁজি করেছে ওরা।
শুন্য শুন্যালয়
ধর্মান্ধতা আমাদের মনের শেকড়ে রয়েছে ..উপড়ে ফেলা কস্টকর হবে.
মোঃ মজিবর রহমান
”আমরা কখনই এদের মানুষ মনে করিনি। ইসলামের শিক্ষায় আমরা শিক্ষিত হতে পারিনি। মানুষ হিসেবে সকলে সমান তা আমরা মুসলিমরা এই শিক্ষা কাজে লাগাতে পারিনি। তাই আজও দেশের কোথাও কোথাও হোটেলে তাদের খেতে গেলে শুনতে হয় ১ নম্বার না ২ নম্বার( ঘটনা রাজশাহীর তানরের, এখানে আদিবাসীরা খেতে গেলে তাদের জন্য আলাদা প্লেট বাটি এবং বলতে হয় ২ নম্বর)। বা কাজের সাঁওতাল বা হিন্দু লোকটাকে খাবার দেন বাহিরে। তার জন্য আলাদা প্লেট ও বাটি ও গ্লাস। ”
আমাদের দেশের মাওলানা ও অতি সুচতুর ভাবে মুস্কিমদের এখন ব্যাবহার করছে।
গত ৫ই এপ্লির মতিঝিলে ঘটে যাওয়া কাহিনিতে দেখুন কি ঘটলো না ঘটলো কিছু দল কিছু ইসলামি দল এতাকে নিয়ে রাজনিতি করল অতি ন্যাক্কার জনক। অনেকে ইসলামি দায়িত্ব মনে করেছে। একটি রাষ্ট্রের নিকট রাস্ট্রোকে এভাবে জিম্মি করে দেশের প্রতিরধ করে কি আপনি তা করতে পারেন।
রাজনৈতিক কোন দল কি বলেছে আমরা ক্ষমতায় গেলে এটা বাস্তবায়ন করব। না তা বলেনি।
কিন্তু তারা তাঁদের সাথে থেকে ঐ হেফাজতকে কলঙ্কিত করেছে কিন্তু এখানে জামাত ও বিএনপি ফায়দা লুটতে গিয়েছিলো এবং এক সময় বিএনপির সরকারী এটর্নি জেনারেল মিস্টার আদিল সাহেব নামধাম কথাকার ভুয়া তথ্য তুলে দেশি ও আন্তর্জাতিক ভাবে সরকারকে হেয় করার আপ্রান চেষ্টা করে যাচ্ছে কিন্তু ধরমকে সবার মাঝে তুলে ধারার জন্য কিত্নু কাজ করছে ন।
মোঃ মজিবর রহমান
আর আমাদে র কুসংস্কার দূর করার জন্য তারা কোন ইসলামি কাজ করছে না, কারন তারা ধরমান্দ ও অশিক্ষিত মুসল্মান্দের ব্যাবহার করার ধান্দা জিয়ে রাখতে চায়।
নীলকন্ঠ জয়
সবার অবস্থান এখনো ক্লিয়ার না। তাই এই অন্ধত্ব।