
মুহুর্মুহু বিষন্ন পাখোয়াজ বেজে চলে –
আমি কান পেতে রই তারও গভীরের ডাক শুনব বলে।
নীল শুন্যতায় ছাওয়া আকাশে আজ শরতের ডাক ডাকছে ভীষণ সাদা মেঘে।
হরবোলা পাখিও বলে আমার নামটি কোথাও কী আছে পড়ে!!
উত্তর – দক্ষিন- পূর্ব – পশ্চিমের দিক, কখন গিয়েছে মুছে কালের বয়স মেপে!!
রোজ সকালে ঘুম জাগানিয়া দোয়েলের ঠোঁটে আয়ু কমানোর বার্তা শুনি….
কাঠের চেয়ারে নকশা আঁকি
চায়ের কাপে আলতো করে ঠোঁট রাখি….
তারও পরে…. মার্কিন কাপড় আর কর্পূরের গন্ধ শুঁকি।
দুপুর এলে রৌদ্র দেখি
রোদের চোখে শাসন দেখি
উষ্ণতার পারদ দেখি
বানের জলের গভীর মাপি
সঞ্চয়িতার উল্টোপিঠে মরা গোলাপের লাশ দেখি
বিকেল হলেই উত্তুরে হাওয়ার কাঁপন দেখি
ক্লান্ত রোদ হাঁটতে দেখি
কমলা আর ধুসর রঙের দাপট দেখি!!!!
দেখতে দেখতে আপন বিবর সাজতে দেখি….
হাওয়ার কাগজ খুলতে গিয়ে নামের হরফ বিলোপ দেখি…. কোথায় ছিলাম
আছি কোথায় ভাবার আগেই হৃৎপিণ্ড চমকে বলে….কোথাও কী ছিলাম আমি???
নোট@ অনেকদিন লিখতে পারিনা তেমন কিছু। মাঝে আমাদের ছেড়ে গেলো আমাদেরই আপনজন….শোকার্ত অনুভূতি প্রগাঢ হতে হতে মিশে যাচ্ছে বিষন্নতায়। এই লেখাটা বলা যেতে পারে এক রকম জবাব পোষ্ট। ব্লগার সাবিনা ইয়াসমিনের জানালায় শরৎ লেখাটা পড়ার অনুভূতি দৌড়লো ঠিক এমন করে।
ছবিঃ নিজ
১৭টি মন্তব্য
সাবিনা ইয়াসমিন
প্রথম হইসি!!
একটা গিফট দাও, তারপর কমেন্ট দিবো 😉
বন্যা লিপি
তোমার উপযুক্ত কি উপহার দেই তোমায় সখী?
আমি আকাশ ছুঁতে চাইলেই তুমি বলো- আমায় ছুঁয়ে দেখো! নিকটে অসীম রেখে কেন যাও দূরে সরে?
আমি রেখেছি যতটা আপনার করে তুচ্ছাতিতুচ্ছ ঋণ! তুমি তার নিয়ে ভার আমারে করেছো দীণ–”
তোমার জন্য❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️
বোরহানুল ইসলাম লিটন
তারপরও বেঁচে থাকা
যেন মৃত্যুরই প্রতিক্ষায়।
প্রকৃতির ছোঁয়ায় সুন্দর নিবেদন।
আন্তরিক শুভ কামনা জানবেন সতত।
বন্যা লিপি
মন্তব্যে ধন্যবাদ
মোঃ মজিবর রহমান
মন নেই মনে, কি বারিত চাপে আছি জানি না! কিছুই করতে ইচ্ছে জাগে না। হয়ে গেছি অধম থেকেও অধম বুঝতে ও ভাবতে ও পারি না। তয় সবাই মৃত্যুর দুয়ারে ঠাই দাঁড়িয়ে ! যাবে কখন জান পাখি উড়ে।
অসম্ভব লাগল কাব্য। কিন্তু উত্তর ভালো হলো না। ঐ যে বললাম এখন কিছুই ভাবতে করতে ইচ্ছে জাগে না।
বন্যা লিপি
মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।
আলমগীর সরকার লিটন
ভাবনার জানালাই উকি দিয়ে যায় কোন কিছু
তবুও সাদা মেঘ ভাসে কালোমেঘের আশায়
সুতি কিংবা টেটন কাপড়ে মুড়ান মাটির গন্ধ
একদিন সামনে দাঁড়াবে অথচ কিছুই বুঝব না——————চমৎকার কবি লিপি আপু
বন্যা লিপি
ধন্যবাদ লিটন ভাই।
রোকসানা খন্দকার রুকু
এভাবেই চলছি আমরা সবাই।
“কাঠের চেয়ারে নকশা আঁকি
চায়ের কাপে আলতো করে ঠোঁট রাখি….
তারও পরে…. মার্কিন কাপড় আর কর্পূরের গন্ধ শুঁকি।”
বন্যা লিপি
এগুলো করছি বলেই লিখে রেখে ও যাচ্ছি….
শুভ কামনা
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
জীবনের চলার পথের একদিন সমাপ্তি হবে। তবুও অপেক্ষায় আছি — “ক্লান্ত রোদ হাঁটতে দেখি
কমলা আর ধুসর রঙের দাপট দেখি!!!!
দেখতে দেখতে আপন বিবর সাজতে দেখি”….
বন্যা লিপি
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইজান। ভালো থাকবেন সবসময়।
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
সুস্থ আর ভালো থাকবেন আপু। শুভ কামনা রইলো।
সাবিনা ইয়াসমিন
আমি যেটা লিখেছিলাম সেটা ছিল একান্ত অনুভূতির আদলে রাখা এক অ-কবিতা। আর তুমি যা কিছু লিখেছো তাও একান্ত অনুভূতি। তবে পার্থক্য অনেক। একান্ত অনুভূতির সীমা ছাড়িয়ে লেখাটি পরিপূর্ণ কবিতায় রুপান্তরিত হয়েছে।
এমন কবিতায় মতামত দিতে নেই। পড়তে হয়, প্রিয় তালিকায় নিয়ে সযতনে সংরক্ষণ করতে হয়।
ভালো থেকো সারাক্ষণ। শুভ কামনা 🌹🌹
বন্যা লিপি
কি করে কবিতা হয়! আমি তা জানিনা,,,, সোজা কথাকে কিছু অন্য শব্দ দিয়ে ঢেকে দেই। ব্যস্…. কবিতাও বুঝিনা অ-কবিতাও বুঝিনা। কিযে বুঝি! তাও বুঝিনা….।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
আপনার লেখায় একাকী, অলস সময়ের ছবি ফুটে ওঠে যাতে থাকে নিজের সাথে নিজের বোঝাপড়া, হিসাব নিকাশ মেলানোর বৃথা চেষ্টা। দিনশেষে আমরা ওপাড়ের একাকী যাত্রী। নিরন্তর শুভকামনা রইলো
প্রদীপ চক্রবর্তী
অনেকদিন পর আপনার লেখা পড়লাম, দিদি।
আপনার ভাবনায় সবসময় সত্যিটা প্রকাশিত হয়।
ভাবনার জগৎ আর এ ভাবনা বহুবিধ।
আর তা বাস্তবতা অনুসরণ করে নিজের ভাবনার জগৎকে পরিপূর্ণ করতে হয়।
আর আমরা দিনশেষে যে একা তা এই লেখনীতে প্রমাণিত।
যথার্থ লিখেছেন, দিদি।