
দুপুর ১২ টা।
বান্ধবীর বাসা থেকে বের হয়ে কালামের বাসায় গেলাম। ওর বৌ বললো, ” আফা ওনার তো ব্যবসা, আসতে ৩/৪ টা হবে।”
কিসের ব্যবসা ওর?
ডিস আর হোটেলের।
আচ্ছা।
ভাবলাম, এই ফাঁকে রমযানের বৌদের খবর নিলে কেমন হয়? কিন্তু এমন এক মহিলা দরকার যাকে সবাই এক নামে চেনে। একটু খু্ঁজতে পেয়েও গেলাম। আসিয়া বেগমকে।
আফা, আমি একটু রেডি হয়ে নিই। বললো, তিন জন বৌকে এখানে পাবেন। দুইজন বাজারে। আর দুইজন ওদের বাপের বাড়িতে থাকে। ঐ ধরলার চরে।
প্রথম বৌ এর নাম শামসুন। উনি কিশলয় স্কুলের দপ্তরি। রমযানের কথা শুনতে চাইলে, বললো, ” কি বলবো আফা! এই ব্যাটা এমন জানলে বিয়াই করতামনা! আমি তো চাকরি করি। বলছি, বৃহস্পতিবার করে আসতে। বোঝেনি তো আফা সব।”
হুম, বুঝি। ছেলেমেয়ে নাই?
একটাই মেয়ে। নাইনে পড়ে।
২য় জনের নাম সকিনা। ঐ যে কম্বল গায়ে দিয়ে একটা শিশু আসছিলো, ওর মা। ও উকিল পাড়ার দুই আপা (কেয়ারে চাকরি করেন) ওনাদের বাসায় কাজ করেন। খাওয়া দাওয়া সব ওখানে। ওর রান্নার ঝামেলা নাই। শুধু যেদিন রমযান আসে, সেদিন রান্না করেন। বুঝলাম খুব ভালোবাসেন রমযানকে।
৩য় জনের নাম গোলে। দেমাগে মাটিতে পা পরে না। প্রিন্সিপ্যাল স্যারের বাসায় কাজ করে। ও নাকি রমযানের ফেভারিট বৌ। দশ কথা বললে, একটার জবাব দেয়।
গেলাম ৪র্থ বৌ এর কাছে। ওর নাম ববিতা। রমযানের নাম শুনে, গুষ্টি উদ্ধার করলো। “গোলামের ব্যাটা, মোর বাড়িত আসলে হয়। দা দিয়া টুকরা করার কথা আছে।” ওর দুই ছেলে। একজন কাঠগোলায় কাজ করে।
৫ম বৌ এর নাম সুমি। একদিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। শুনলাম, জ্বীনের আছর আছে। জ্বীনের নাম উত্তম। এই জ্বীন আবার রমযানকে সহ্য করতে পারেনা। রমযান ঢুকলেই জ্বীনের আছর বাড়ে। সুমি এটা সেটা ভাঙ্গতে থাকে। এক কথায় সতীন সতীন ভাব।
কলম থেমে যায়, মানুষের জীবন থামেনা।
যেজন্য এই বস্তিতে আসা। কালামের গেটে ঢুকতেই, দেখলাম ও খাচ্ছে। চোখাচোখি হতেই বললো, সাম্বাদিক আফা! দরজা লাগা।
চলবে——-
২৭টি মন্তব্য
সুপর্ণা ফাল্গুনী
কি সুন্দর করে তাদের বউদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিলেন, বর্ণনা দিলেন। ধন্যবাদ আপনাকে। রমযানের বিয়ে বিলাসিতা নিয়ে দারুণ লিখছেন। এগিয়ে যান। শুভ কামনা রইলো
আরজু মুক্তা
ধন্যবাদ,আপু।
ভালো থাকবেন।
শামীম চৌধুরী
রমজান কি ভিলেন? ভালই লাগলো।
আরজু মুক্তা
হা হা। না, বিয়ে পাগল।
ফয়জুল মহী
অনন্যসাধারণ লেখা। ভালো লাগলো।
আরজু মুক্তা
ধন্যবাদ ভাই
কামাল উদ্দিন
শুনেছিলাম রমজান চার বিয়া করছে, পাঁচ বউ হলো কোথা থেকে? সাংবাদিক দেখে দরজা লাগাতে বললো ক্যন ব্যাটা?
আরজু মুক্তা
না, ১ ম পর্বে তো বলা আছে। সাত বিয়ে।
সাসপেন্স তো রাখতে হয়। এটা ধারাবাহিক।
কামাল উদ্দিন
তাহলে আমার মেমোরি লস হয়ে গেছে, আমার কেন জানি মনে হচ্ছে চার বিয়ে পড়েছিলাম, শুভেচ্ছা জানবেন আপু।
ছাইরাছ হেলাল
সাত নম্বরের কথা তো কিছু কইলেন না!
ভাবছি, সামলায় ক্যামনে!
দেখি কালাম কী করে এবার সাম্বাদিক আফার লগে।
আরজু মুক্তা
ওরা নদীর ঐ পারে থাকে। তাই যাওয়া সম্ভব হয়নি।
দেখা যাক কি হয়!
সাবিনা ইয়াসমিন
রমজানের মাত্র এই কয়টা বউ!! আর নেই? তাদের কথা কবে লিখবেন? আর কালাম সাম্বাদিক আফারে দেখেই গেট লাগিয়ে দিলো কেন? রহস্য কি?
আরজু মুক্তা
হা হা।
আপা পরের পর্বে জানতে পারবেন।
সুপায়ন বড়ুয়া
চার বিয়া পাঁচ বৌ শুনতে ভারী মজা
আর কয়টা বৌ থাকলে রমজান পাবে সাজা ?
ভাল লাগলো। শুভ কামনা।
আরজু মুক্তা
হা হা। দারুণ বললেন
শুভকামনা দাদা
তৌহিদ
বৌদের নামগুলি কত্ত কিউট!! আহা আহা। আচ্ছা জীন আর রমযানের ঘটনা কি!! রহস্য রহস্য গন্ধ পাচ্ছি।
পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
আরজু মুক্তা
নামগুলো লিখার সময় আপনার কথা মনে হয়েছিলো। এবং মিলে গেছে।
৩য় ও শেষ পর্ব আসছে।
তৌহিদ
মনে পড়েছে বলছেন!! কাম সারছে! পরের পর্বে কি লিখেবেন কে জানে!!
রেহানা বীথি
রমজানের তো রমরমা অবস্থা! তা নধর গোপালটির দেখা পাওয়া যাবে কখন?
শেষের রহস্যে উৎসুক হলাম।
আরজু মুক্তা
হা হা।
দেখি লাইভ শো করা যায় কিনা?
সঞ্জয় মালাকার
বৌদের নামগুলি কত্ত কিউট!
পড়ে বেশ ভালো লাগলো, ভালো থাকবেন দিদি শুভ কামনা।
আরজু মুক্তা
আপনাকে ধন্যবাদ আমার পোস্টটটা শেয়ার করেছেন।
ভালো থাকবেন।
সঞ্জয় মালাকার
ধন্যবাদ দিদি, আপনিও ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন নিরাপদে থাকবেন সবসময়।
হালিম নজরুল
আহা রমজান! এত্তগুলো বউ! কি সুন্দর সুন্দর নাম!
আরজু মুক্তা
ধন্যবাদ, ভাই
জিসান শা ইকরাম
রমাযানের ইতিহাস পড়ে তো পুরাই তব্দা খেয়ে হা হয়ে গেলাম,
সাম্বাদিক আফারে ঘরে ঢুকতে দেবে না কালাম?
ভালোই লাগছে।
পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।
শুভ কামনা।
আরজু মুক্তা
হা হা। আমাদের সমাজ। আমাদের ভাবনা