
বারান্দায় খাবারের দানা দেখে,কোথা থেকে যেন চারটি শালিক এসেছে।
পরম যত্নে খুটে খুটে দানাগুলো খাচ্ছে,
আমি আড়ালে দাঁড়িয়ে বিমুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে দেখছি।
শালিকগুলো নিজেদের মধ্যে খুনসুটি করছে ,
ছুটোছুটি করছে।
আড়চোখে এদিক-ওদিক দেখছে যদি কেউ এসে তাড়িয়ে দেয় এইভেবে কিছুটা শঙ্কিত।
খাওয়া শেষে গাছের ডালে বসলো দুটো শালিক পাশাপাশি,
আর দুটো জানি কোথায় হারিয়ে গেল;
আচ্ছা ওরা দুজন কি কপোত-কপোতী নাকি বর-বৌ?
খুব জানতে ইচ্ছে করছে।
কি সুন্দর একজন আরেকজনের শরীরে ঠোকাঠুকি করছে।
শুনেছি চার শালিক দেখলে প্রিয়জন কাছে আসে, কৈ আজো তো এলো না কেউ!
ভালোবাসার খুনসুটি নিয়ে কাছে বসলো না।
তিন শালিক দেখলে কারো না কারো চিঠি আসে –
কৈ কারো চিঠিতো এলোনা, এলোনা বায়বীয় কোনো বার্তা।
অপেক্ষার প্রহর কি আদৌ শেষ হবে কভু?
ভালোবাসার বার্তা না-হোক, বন্ধুত্বের বার্তা, আপনজনের বার্তা।
এখন তো খামে-মোড়ানো, ডাকটিকেট লাগানো
কালো,নীল অক্ষরে কোনো ভরাট কাগজ আসে না।
দুটো শালিক দেখলে নাকি আনন্দ, দরজা-জানালা সবদিক দিয়েই আসে;
কৈ আমার তো আনন্দ-বার্তা আসে না কোনো!
আনন্দ জানি কোথায়, কার দ্বারে টোকা দিচ্ছে অনবরত?
এক শালিক দেখলে নাকি দুঃখ আসে, সে আর আসবে কি !
সেতো কাঁঠালের আঠার মতো লেগেই আছে আমার জীবনে।
তবুও কিসের এই অপেক্ষা, কেন অবচেতন মনে এসব প্রচলিত কথার ভরসায়-
ব্যর্থ পথচেয়ে থাকা মিথ্যে সান্ত্বনায়?
৩০টি মন্তব্য
ফয়জুল মহী
পাখিদের নিয়ে সুন্দর একটা ব্যতিক্রম লেখা পড়লাম
সুপর্ণা ফাল্গুনী
প্রথম মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ও অভিনন্দন। ভালো থাকবেন সবসময় শুভ কামনা রইলো
নিতাই বাবু
“এক শালিক দেখলে নাকি দুঃখ আসে , সে আর আসবে কী!
হাহাহা দিদি, আমি মনে হয় রোজ এক শালিক দেখি। কারণ আমার যে দুঃখ বারোমাস।
এক শালিক দুই শালিক, তিন শালিক আর চার শালিক নিয়ে দারুণ বর্ণনা দিয়েছেন। শুভকামনা থাকলো।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
কি জানি দাদা আমিও তো সত্যি মিথ্যে কিছু বুঝলাম না। ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য। অনুপ্রেরণা আর আশীর্বাদের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন শুভ কামনা অহর্নিশি
প্রদীপ চক্রবর্তী
রোজ পাখি দেখার আনন্দই আলাদা।
বিশেষ করে সকালবেলা।
খুবি সুন্দর লেখনী দিদি।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
পাখি আমার সবসময়ই ভালো লাগে। ভালো লাগলো মন্তব্য খানি। ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন শুভকামনা অবিরাম
সুরাইয়া পারভীন
নিত্য দুঃখ জরাজীর্ণ জীবনে
এই সব প্রবাদবাক্য
নতুন করে ফেলতে পারে না কোনো প্রভাব
তবুও আমরা অপেক্ষায় থাকি
অন্য রকম কিছু ঘটার
দারুণ লিখেছেন দিদি
ভালো লাগা রইল
সুপর্ণা ফাল্গুনী
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু। আপনার কথার সাথে একমত। ভালো লাগলো। শুভ কামনা রইলো
সুরাইয়া পারভীন
ভালো থাকুন সবসময় দিদি
আলমগীর সরকার লিটন
সেতো কাঁঠালের আঠার মতো লেগেই আছে আমার জীবনে। ———সুন্দর ভাবনা কবি দিদি
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ধন্যবাদ ভাইয়া ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন। নিরন্তর শুভেচ্ছা ও শুভকামনা
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
চমৎকার লেখা – প্রেম ভালবাসা সবার মাঝেই আছে — আচ্ছা ওরা দুজন কি কপোত-কপোতী নাকি বর-বৌ?
খুব জানতে ইচ্ছে করছে।
কি সুন্দর একজন আরেকজনের শরীরে ঠোকাঠুকি করছে।
শুভ কামনা রইলো দিদি।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া প্রতিনিয়ত পাশে থাকার জন্য। ভালো থাকবেন সবসময় শুভ কামনা রইলো অহর্নিশি
সাবিনা ইয়াসমিন
কিছু কুসংস্কার বিশ্বাস করতে ভালো লাগে, যদি তা ইতিবাচক সুরে বলে উঠে। নয়তো শালিক/কোকিলের সব ডাকেই কু-ডাক ভাবতে মন চায় 🙁
আপনার কবিতা এবার একটু সহজ লেগেছে, মাঝে মাঝে আমার মতো অসহায় পাঠকের জন্যে এমন সহজ করে লিখবেন প্লিইইজ 🙏🙏
ভালো থাকুন,
শুভ কামনা অবিরাম ❤❤
সুপর্ণা ফাল্গুনী
আচ্ছা লিখবোনে সহজ করে 🙂🙂 । অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। ভালোবাসা অবিরাম 🌹🌹
সুরাইয়া নার্গিস
অসম্ভব ভালো লিখছেন দিদি ভাই।
কবিতাটা পড়ে আমার মনটাও আনন্দে ভরে গেল একটা বয়সে আমিও ভোরে দু -পাখি দেখার অপেক্ষা করতাম।
কারন জোড়া পাখি দেখলে নাকি দিনটা ভালো যায়, অনেকেই বলতো জোড়া মিলে ☺
আমার তো জোড়া মিলেই না আমি একাই আছি 😄
তারমানে কি কথাটা মিথ্যা ছিলো! যাইহোক কথাটা ভেবে তো জীবনে কিছুটা সময় আনন্দে কাট্তাম সেটাই বা কম কিসে।
দিদি ভাই আমি এখনো ভোরে ঘুম ভাঙ্গলে চোখ খুলে যাই দেখি জোড়া দেখার চেষ্টা করি 😍
ভালো থাকবেন দিদি ভাই।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
আপু আপনার এতো সুন্দর কথাগুলো দারুন লাগলো। ভালো থাকার চেষ্টা করছি সবাই। বাকীটা বিধাতার হাতে। ভালো থাকবেন সবসময়
পর্তুলিকা
এক শালিক ঠিক আছে
দুই শালিক দেখলে বিয়ে হয়
তিন শালিকে মারামারি, কিন্তু চার শালিকের ব্যাপারটা আগে জানা ছিলো না। এখন থেকে শালিকের দল দেখলেই গুনতে হবে। প্রিয়জনকে কাছে পেতে এর চাইতে ভালো সান্ত্বনা আর কই পামু!
সুন্দর কবিতা।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
হা হা হা। গুনেন। আপডেট দিয়েন কোনদিন কয়টা দেখলেন , কি হলো ফলাফল। ভালো লাগলো মন্তব্য। শুভ কামনা রইলো
ছাইরাছ হেলাল
বানিয়ে-ছানিয়ে দুঃখ-দুঃখী ভাব নিয়ে একটু-একটু/এক চিমটি দুঃখ বিলাস, চাটনির মতই উপাদেও।
শালিক-ফালিক কিচ্ছু না।
আপনি অনেক দিন পর ফকফকা লিখলেন!!
সুপর্ণা ফাল্গুনী
🤔🤔 এতো দিন কি কালা কালা, ময়লা ময়লা লিখেছি! ☹️☹️ অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একখানা মন্তব্য গিফট দেয়ার জন্য। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন
সুপায়ন বড়ুয়া
এক শালিকে কষ্ট
দুই শালিকে জয়
তিন শালিকে চিঠি
চার শালিকি মেয়মান।
ছেলেবেলায় দেখেই দিন কাটালাম সার।
তাই মনে পড়ল। ভাল লাগলো। শুভ কামনা।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
1 Martin sorrow,
2 Martin joy,
3 Martin letter,
4 Martin boy. দাদা আমরা এটাই জেনেছি। ধন্যবাদ দাদা। ভালো থাকবেন সবসময়। নিরন্তর শুভকামনা
তৌহিদ
শালিকের এই বিষয়টি যে লেখার একটি মাধ্যম হতে পারে আপনার লেখা না পড়লে জানাই হতোনা। বিস্মিত হলাম আপু। ছোটবেলায় জোড়া শালিক বা ফিচকে দেখে চিল্লিয়ে উঠতাম। যে আগে দেখে বলবে তার ভাগ্য ভালো এরকম বিশ্বাস থেকেই বলা আর কি!
আপনার সকল মনোবাসনা পূর্ণ হোক। শুভকামনা রইলো।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া। ভালো লাগলো এতো সুন্দর মন্তব্য পেয়ে। আপনার মনের বাসনাও পূরণ হোক। শুভ কামনা রইলো
সৌবর্ণ বাঁধন
অসাধারণ লিখেছেন দিদি।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ধন্যবাদ আপনাকে। খুব ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পেয়ে। শুভ কামনা অবিরত। ভালো থাকবেন সবসময়
ইঞ্জা
কিছু কুসংস্কার আমাদের বংশ পরাম্পরায় শুনে আসছি যা কচিৎ কখোনো দৈবক্রমে মিলে গেলেও যা আসলেই সত্যি নয়, শুধু মাত্র আত্মপ্রসাদ লাভ করা যায়।
লেখাটি বেশ লাগলো আপু।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
সহমত ভাইয়া। অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। নিরাপদে থাকুন সুস্থ থাকুন। ঈদের শুভেচ্ছা রইলো
ইঞ্জা
ঈদ মুবারক আপু।