কবিতায় আর কি লিখবো তোমাদের নিয়ে??
ঢাকা ছেড়ে আসার পর ভেবেছিলাম আমার আমিকেই বুঝি হারিয়ে ফেললাম,
তবু চলতে হবে বেঁচে থাকার তাগিদে, তাই শুরু করলাম
প্রথম প্রথম আমার গন্তব্যস্থল যেতে একা একা বাসের পিছনে দৌড়ানো,
তারপর গাড়িতে উঠেই আমার একমাত্র সঙ্গী হেডফোন কানে দিয়েই পার করতাম টানা ৫০ মিনিট।
এইভাবেই কাটছিল আমার জীবন,,,,,,
হঠাৎ তোমার সাথে দেখা,পরিচয়
,শুরু হলো আমাদের একসাথে যাওয়া -আসা।
এরপর ২ জনের অপেক্ষা, বাসে
তোমার আমার মত এত দুষ্টুটাকে সহ্য করা,
ভুরুঙ্গামারীর ” চম্পাকলি “তে মালাই চা খাওয়া, তারপর ২ জনের ২ টি আলাদা কলেজে যাওয়া,ফেরার সময় বাসে একা একা লাগত খুব অসহ্য।
তুমি জানো,সব জায়গায় চা টেস্ট করা আমার চিরাচরিত অভ্যাস।
এখনো যে লিখছি আমার হাতে এক কাপ চা।।।কোনরকম পরিবেশের সাথে খাঁপ খাওয়াচ্ছি
ঠিক সেই সময় পেলাম আমার কিছু আপনমানুষ, গুরু,বুবু,বইন,ভাই,বন্ধু আর শুভাকাঙ্ক্ষী।।
সময় আবার শুরু হলো আগের মতো চঞ্চল।
সবচেয়ে যেটা বেশি টানছিল,
আমার স্নিগ্ধ, সহজ, সুন্দর বাচ্চাদের মুখ,
যারা অধীর আগ্রহে আমার জন্য অপেক্ষা করত।।।
আমার কথা শোনার জন্য আমার দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকত
,কিভাবে ৪০ মিনিট চলে যেত টেরই পেতাম না,
কিন্তু করোনার ভয়াবহ ছোঁবল আমাকে থামিয়ে দিল,পিছিয়ে দিল অনেকগুলো সময়।।।
আমার সুন্দর সময়গুলো কেড়ে নিল,
হয়ে পরলাম নিথর, নিস্তেজ আর,
তারপরও অপেক্ষায় আছি, সুন্দর, সুস্থ পৃথিবীর,
যখন আবার শুরু হবে দৌড়ে গাড়িতে ওঠা,যখন থাকবে না কোন ভয়,থাকবে না কোন আতঙ্ক,
যখন হবে আড্ডা,হবে খুনসুটি,আর আমি তোমাদের শুধু জ্বালাবো,
আর বলবো, প্লিজ, একটা ছবি তুলি,
তখন তোমরা বিরক্ত হলেও বলবে আসো ছবি তুলি😋😋😋শেষ পর্যন্ত সেই দিনের অপেক্ষায়।।।।।
যখন আবার হবে তোমাদের সাথে দেখা,সুস্থ সুন্দরভাবে তোমাদের সাথে চলা।।
তাই কবিতায় আর নতুন কি লিখবো তোমাদের নিয়ে।।।।
অপেক্ষার প্রহর গুনছি।।।।
২৪টি মন্তব্য
সুপর্ণা ফাল্গুনী
আমরাও তেমন অপেক্ষায় আছি ছবি তোলার জন্য। করোনা কাল শীঘ্রই কেটে যাবে এই কামনা রইলো। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন শুভকামনা রইলো
রেজওয়ানা কবির
ধন্যবাদ আপু।শুভকামনা।
বন্যা লিপি
একান্ত অনুভূতি খুব ভালো লাগলো। অপেক্ষায় আছি আমরা সবাই এই করোনাকালের উত্তরনের। সবার জন্য মঙ্গল কামনা।
শুভ কামনা।
রেজওয়ানা কবির
ধন্যবাদ আপু।
ফয়জুল মহী
ভালো থাকুন, শুভ কামনা রইল I
রেজওয়ানা কবির
ধন্যবাদ।
মোঃ মজিবর রহমান
আসলেই আমার কথা এখানে লিপিবদ্ধ। ঢাকা ছেড়ে অনেক অনেক কষ্ট কিন্তু কাউওকে বলতে সাহস যোগায়নি।
ভাল লাগল।
রেজওয়ানা কবির
ধন্যবাদ ভাইয়া।
মোঃ মজিবর রহমান
হুম! ভাল
কামাল উদ্দিন
আমরা সবাই এমনিভাবে অপেক্ষার প্রহর গুনছি, কখন আবার আমাদের সুদিন ফিরবে। একদিন তো অবশ্যই ফিরবে, তখন কে থাকবো কে থাকবোনা সেটাই ভাবায় মনকে……..শুভ সকাল।
রেজওয়ানা কবির
আল্লাহ ভরসা ভাইয়া।
কামাল উদ্দিন
আল্লাহ ভরসা
রোকসানা খন্দকার রুকু।
কফি হলে ভালো হতো।মালাই চা অসাধারণ।
রেজওয়ানা কবির
তোমাকে নিয়েই তো লেখা,,,,তুমি তো আমার সেই সঙ্গী কলেজে যাওয়ার।
রোকসানা খন্দকার রুকু।
ও আচ্ছা। বুঝতে পারলাম। আন্দাজ করেছিলাম।পরে ভাবলাম কার না কার সাথে যায়। ধন্যবাদ।
সুরাইয়া পারভীন
সুসময়ের অপেক্ষায়
বদ্ধ ঘরে কেটে যাচ্ছে দিন রাত্তির
তবুও অপেক্ষায় উত্তেজনায় বেঁচে তো আছি
ভালো লাগলো লেখাটি
রেজওয়ানা কবির
ধন্যবাদ আপু।
ইঞ্জা
সত্যি এই করোনা আমাদের জীবন থেকে অনেক কিছুই নিয়ে গেছে সুপ্রিয় ব্লগার, আল্লাহ যদি চান নিশ্চয় এই করোনা দূর হবে এবং আমাদের নিত্য চাঞ্চল্য আবার শুরু হবে।
রেজওয়ানা কবির
আল্লাহ ভরসা ভাইয়া।
ইঞ্জা
শুভকামনা।
তৌহিদ
করোনাকে জয় করে যেদিন আমরা মুক্ত বাতাসে বের হবো সেদিন সব ইচ্ছেই পূরণ হবে। সেদিন খুব বেশি দূরে নয়!
শুভকামনা আপু।
আরজু মুক্তা
আহা!! সেই দিনগুলি ফিরে আসুক
সাবিনা ইয়াসমিন
কিভাবে পার হয়ে যেতো চল্লিশ মিনিট! অবশ্যই ছোট ছোট মায়াময় মুখ গুলোর অনবরত ডাক শুনে-শুনে। কবির আরেকটা পরিচয় জানা হলো। করোনার এই দুঃসহ্য দিনগুলোতে শুধু শিক্ষার্থীরাই তাদের শিক্ষাক্ষেত্র মিস করছে তা নয়। শিক্ষিকাও অপেক্ষায় আছে তার কোমলমতি শিশুদের জন্য। লেখার এই অংশটির মূলভাব খুবই ভালো লাগলো।
সুদিনের প্রত্যাশার দিন ফুরিয়ে আসুক দ্রুত। অপেক্ষার অবসান হোক আমাদের সবার। ভালো থাকুন। অনেক অনেক শুভ কামনা 🌹🌹
রেজওয়ানা কবির
ধন্যবাদ আপু,কিন্তু ওরা আমার কাছে বাচ্চা কিন্তু ওরা কলেজ স্টুডেন্ট। আমি একজন প্রভাষক।ভালো থাকবেন, শুভকামনা।