Attack
কন্যারা, দ্বার রুদ্ধ করে বসে থাকা নয়, এবার প্রস্তুত হয়েই পথে নামো……

নিজেকে লুকিয়ে রেখে কখনো হায়েনার হাত থেকে বাঁচা যায় না। বাঁচতে গেলে যথাসময়ে ছোবল দিতে হবে। পৃথিবীটা মানুষের জন্য। আর নারী-পুরুষ সমন্বয়েই সুন্দর পৃথিবী। মাত্র গুটিকয়েক পুরুষ নারীকে হেনস্থা করতে পথে নামে। তারা চায় নারীকে গৃহবন্দী করে সবকিছু নিজেদের কব্জায় রেখে নিজেদের পশুত্বকে জাহির করতে। শুধু একবার রুখে দাঁড়াও, দেখো কতো হাজারে হাজারে নারী-পুরুষ তোমার পাশে এসে দাঁড়িয়ে গেছে। মনে রেখো, বৃহত্তর জনগোষ্ঠী কিন্তু তোমারই পক্ষে।
আরো একটি ব্যাপার, যদিও আমি মনে করি ধর্ষিতার সম্মান হারানোর কিছু নেই, কারন সে নষ্ট পুরুষের শিকার, এতে তার কোন দোষ নেই। তবুও সমাজের কাছে উল্টো ধর্ষিতাই যেনো পরিত্যক্ত হয়। কাজেই সম্মান হারিয়ে ধুঁকেধুঁকে মরার চেয়ে লড়ে মরাই শ্রেয়। কাজেই বাঁচতে হলে লড়তে হবে।

সেবার রমনায় বোমা মেরে ওরা মানুষকে ভয় পাইয়ে দিতে চেয়েছিলো। পরেরবার দ্বিগুন জনস্রোত পথে নেমে তাদের জানিয়ে দিয়েছিলো, ভয় পাইয়ে বাঙালীকে দাবিয়ে রাখা যায় না। ভয়কে জয় করাই বাঙালীর ধর্ম। এবার তাই পরিকল্পনায় একটু পরিবর্তন এসেছে। এবার টার্গেট তুমি (নারী)। পুরুষের মনস্তাত্ত্বিক শক্তি নারী। কাজেই নারীকেই দমানো দরকার। কিন্তু তারা জানেনা, নারী চাইলে প্রয়োজনে ভয়ঙ্করও হয়ে উঠতে পারে। লজ্জা নারীর ভূষণ। কিন্তু সে ভূষণকেই যখন তোমার দুর্বলতা মনে করে তোমার উপর আক্রমণ করতে আসে তখন পালটা আক্রমণে জানিয়ে দাও, অস্তিত্বের প্রয়োজনে ভয়কে জয় করে অবগুণ্ঠিত না থেকে রুদ্রমূর্তি ধারণ করতে তুমি জানো। এবার সময় এসেছে তা জানিয়ে দেবার।

আমাদের সমাজব্যবস্থা পুরুষতান্ত্রিক বিধায়, ধর্ষণের পর ধর্ষিতার জীবন কোনভাবেই স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যায় না। কাজেই ধর্ষিতা হবার আগেই হিসাব মেটাতে হবে।
★ রাস্তায় কোন বদপুরুষ তার পুরুষত্ব দেখাতে আসলে আক্রমন করো তার পুরুসাঙ্গে।
★ একটু সাহস করে আক্রমণকারী পুরুষের অণ্ডকোষটা হাঁটু দিয়ে থেতলে দাও অথবা পায়ের পাতা দিয়ে সজোরে আঘাত করো আক্রমণকারীর দু’পায়ের মাঝখানে। প্রয়োজনে হাত ব্যবহার করে মুচড়ে দাও।
★সর্ব শক্তি দিয়ে একবার আঘাত করতে পারলেই শিকারি ধর্ষক হয়ে যাবে তোমার শিকার।

বদপুরুষগুলো জানে না, যতই শক্তিশালী সে হোক, তার গর্বের অণ্ডকোষটাই তার সবচেয়ে বড় অভিসাপ। নারীদের দুর্বল ভাবা আক্রমণকারী সেসব শক্তিমান পুরুষের দুর্বল অণ্ডকোষটাই হোক আক্রান্ত নারীর একমাত্র লক্ষ্য। কয়েকজন পুরুষ অণ্ডকোষ হারালে বাকিরা আর নারীর সম্মানে হাত দেয়ার সাহস তো দূরের কথা, ইতরামি করতেও আসবে না এবং এটাই সত্য।
আমাদের সমাজের প্রতিটা মেয়েই নিজের সম্মান রক্ষা করতে হয়ে উঠুক ভয়ঙ্কর শক্তিশালী। জেনে রাখুক আত্মরক্ষার কৌশল। জনাকীর্ণ স্থানে নারীরা হাতে সেফটিপিন আর মনে সাহস এবং নিজের উপর আত্মবিশ্বাস নিয়ে পথ চলো। যেমন পরিমান আক্রমণ তেমন পরিমান শাস্তি নিজহাতেই দেয়া শুরু করো। কিন্তু সাবধান, কোন সুন্দর মনের সভ্য পুরুষের গায়ে যেনো আচঁড় না লাগে।

বাংলা-নববর্ষ-১লা-বৈশাখ
এবারের বর্ষবরণ হোক বাঙালী নারীর আত্মবিশ্বাসের জাগরণ। শুভ কামনা রইলো।

নববর্ষ সকলের জন্য শুভবার্তা বয়ে নিয়ে আসুক।

৬০৭জন ৬০৭জন
0 Shares

১৭টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ