কথোপকথন-২
—প্রায় তো ভোর হয়ে এলো। এবার একটু ঘুমাও।
—- নাহ। ঘুৃম আসছে না। আমার এই একাকি জীবনে ঘুমটাই ছিলো। সেও আস্তে আস্তে আমার সাথে বিট্রে করা শুরু করেছে।
—– শরীর তো খারাপ করবে।
—— করবে না। সয়ে গেছে।
—— সারা জীবন কি এভাবেই থাকবে।
—– জীবন তো চলেই গেলো দেখতে দেখতে। আর ত মাত্র কটা বছর!
——-তোমার জন্য কষ্ট হচ্ছে।
—— পেয়ো না। কষ্ট যে জানালা দিয়ে ঢুকবে, সেটা বন্ধ করে দাও। ঢুকতে দিও না।
—–আচ্ছা, তোমার প্রিয় কবিতাটা একবার আবৃত্তি করে শোনাবে?
—–একটা সময় কবিতাটা বুকে ধারণ করতাম। এখন করি না। আবৃত্তি ভালো হবে না।
—– শোনাবে না?
—– নাহ।
—— আমার কষ্ট তো বাড়ছে?
—— কষ্টের রেগুলেটরটা ঘুরিয়ে শূণ্যে নিয়ে এসো। আর কষ্ট পাবে না।
—— এভাবে বলো না।
—— আচ্ছা বলবো না। ভোর হয়ে গেছে। বাইরে পাখির কিচির মিচির শুনতে পাচ্ছো? কি অদ্ভুত সুন্দর, তাই না?আমি একটু ছাদে গেলাম, ভোর দেখবো। তুমি ঘুমিয়ে পরো, তোমার তো অফিস আছে আবার। এখন রাখলাম, কেমন?
—–শোন না, আরেকটু কথা বলি।
—–আরো কথা বলবে?এত কষ্টের ওজন কি নিতে পারবে আমার মতো!!!
৩টি মন্তব্য
সাবিনা ইয়াসমিন
দুই পর্ব একসাথে পড়লাম। প্রথম পর্বে মনে হয়েছে কথপোকথন নিজের সাথে।
কষ্ট পরিমাপের রেগুলার থাকলে মন্দ হতো না।
শুভ কামনা 🌹🌹
বন্যা লিপি
কষ্টের রেগুলেটর….. সত্যি যদি এমন একটা রেগুলেলটর থাকত! কী সুবিধাটাই না হত জন কল্যাণে।
হালিমা আক্তার
কষ্টের ওজন টা সয়ে যায়। শুধু পরিমাপ করা যায় না। শুভ কামনা রইলো।