এ কোন দেশে আছি আমরা, ভাবতেই শিউরে উঠি, মুক্তিযুদ্ধ স্বপক্ষীয় সরকার থাকার পরও দেশে এইসব কি হচ্ছে?
১) সরকার জানে, সাধারণত প্রতি বছর প্রচুর বৃষ্টিপাত হয় দেশে এবং এই বৃষ্টিপাতের কারণে পাহাড় ধসে অনেক মানুষের মৃত্যু হয়, এইক্ষেত্রে কি সরকারের উচিত ছিলোনা পাহাড়ি জনগণদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া, যদি আগে থেকেই সরকার সচেষ্ট থাকতো, তাহলে নিশ্চয় এতো মানুষ নিহত হতোনা।
সরকার হয়ত বলতে পারে, পাহাড়ে বাস করা জনগণ বিপদের কথা জানার পরেও, জোর করে পাহাড়ে থেকে যায়, সরতে চাইনা, তাহলে আমি বলবো, সরকারের পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, র্যাব, বিজিবি, আর্মি দিয়ে কি তাদের সরানো যেতোনা, অবশ্যই যেতো।
সরকার অর্ডার দিলে কোনটা হয়না আমাদের দেখান, আজ রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, চট্টগ্রাম সহ বিভিন্ন এলাকায় মানুষ যেভাবে মানবেতর দিন কাটাচ্ছে, এর দায়ভার সরকারকেই নিতে হবে, জনগণের অনুরোধ রাখুন, দয়া করে দ্রুত দুর্গত এলাকা ঘোষনা করে, সকল দুর্গত মানুষকে ডাক্তার, ঔষধ, খাদ্য, পানিয় দিয়ে সহয়তা করুন আর ভবিষ্যতে যেন এমন বিপদের আগেভাগেই সরকার যেন তৈয়ার থাকেন এমন ব্যবস্থা গ্রহন করুন।
২) চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা আজ নতুন কিছুই নয়, কিন্তু কেন এই জলাবদ্ধতা তা কি সরকার জানেনা?
না জানলে আবার বলি, এর প্রধান কারণ অপরিকল্পিত নগরায়ণ, যত্রতত্র খাল, নালা ভরাট করে ঘরবাড়ী, দোকানপাট বানানো, চট্টগ্রামের দুঃখ চাক্তাই খাল বেদখল, চাক্তাই কগান খনন না করে অযথা সময় ক্ষেপণ।
দুঃখজনক ভাবে এইসবের পিছনে স্থানীয় সরকারই বেশি দায়ি, যেখানে চাক্তাই খাল দখল করে সিটি কর্পোরেশন নিজেই অফিস করে, তাহলে বাকিদের কথা কি আর বলবো, আরো আশ্চর্যের কথা হলো, আগের মেয়রের প্রাক্কালে বেশির ভাগ নালার উপর দোকান তুলে সেইসব ভাড়া দেওয়া হয় সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে, এছাড়া যত নালা খাল আছে তার সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়না, যদি করা যেতো তাহলে এই পানিবদ্ধতা কখনোই হতে পারতোনা।
সরকার নিজে যদি সচেতন হতেন, তাহলে দ্রুত চাক্তাই খাল খননের ব্যবস্থা হয়ে যেতো, চট্টগ্রামে হাজার কোটি টাকার ফ্লাইওভার করার দরকার এই মূহুর্তে দরকার ছিলোনা, যতনা এই চাক্তাই খান খনন করা উচিত ছিলো।
চট্টগ্রামকে দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী বলা হয়, এমন সুন্দর শহর আজ সরকারের অমনোযোগীতার কারণে সাগরে বিলীন হতে বসেছে, যা এই সরকারের জন্য খুবই লজ্জাজনক, সরকার চাইলে করতে পারে কিন্তু জানিনা সরকার কেনো এতো উদাসীন?
৩) হাওড় অঞ্চলকে অবহেলা করার খেসারত শুধু সরকার নয়, সাথে সাথে জনগণও ভুগছে তা কেউ অস্বীকার করতে পারবেনা।
সরকার কন্ট্রাক্টরদের কাজ দেয় বাঁধ নির্মাণে, এরপরে কন্ট্রাক্টর কাজ কিছু করলো, কিভাবে করলো, সঠিকভাবে করেছে কিনা তা দেখা সরকারের, কিন্তু দুঃখজনক ভাবে কন্ট্রাক্টর কাজ কিছু করেই বিল নিয়ে চলে যায় লক্ষ কোটি শত টাকার, সরকারের স্থানীয় মহল চেক করে দেখেনা তারা কি কাজ করেছে, ফলশ্রুতিতে হাওড় অঞ্চলে ব্যাপকভাবে বন্যার পানি প্রবেশ করে পাকা, আধ পাকা ধান সব তলিয়ে যায়, ক্ষতি হয় পাঁচ লক্ষের অধিক মেট্রিকটন ধান।
চলবে…..
১০টি মন্তব্য
মোঃ মজিবর রহমান
সরকারের আর রাজনিতি কলুষিতর জন্য দেশটা ধংস্ব ভংগুর হচ্ছে। এসব লিখলে আবার ৫৭ ডুবাবে। কোন জাচাই বাচাই নায়। এর প্রতিবাদ আর মৈনতা দিয়ে সম্ভব বলে মনে হচ্ছে না। একই ঘটনা প্রতিনয়ত ঘটছে আর পানি মন্ত্রী বলে এথেকে শিক্ষা নেওয়া ছাড়া কিছু করার নায়।
ইঞ্জা
এইসব মন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত।
অপ্সরা
কদিন আগেই রাঙ্গামাটি থেকে ঘুরে এলাম! সেই রাঙ্গামাটির এমন দূর্দশা। ভীষন কষ্ট হয়!
ইঞ্জা
দুঃখজনক ভাবে অপরিকল্পিত গাছ কাটা, পাহাড় গুলো মালিকানায় দেওয়া, জুম চাষই আজ এই বিপদ ডেকে এনেছে আপু।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
পুরে চট্রগ্রামটাই বেহাল অবস্থা।মনে হয় এর কোন মা বাপ নেই।
ইঞ্জা
থেকেও নেই ভাই।
নীহারিকা
কিচ্ছু বলার নেই। এদেশে জন্মেছেন যখন, তখন ভুগতেই হবে।
ইঞ্জা
দাদী, আমরা এতো লোভী কেন, এতো কুসংস্কার কেন মানি, ছিঃ লজ্জা হয়। 🙁
ছাইরাছ হেলাল
দেখে যাওয়া ছাড়া আমরা আর কী-ই বা করতে পারি।
অপেক্ষায় থাকি, এমন মানবিক বিপর্যয়ের পর যদি নূতন কোন ভাবনা আসে।
ইঞ্জা
ভাইজান, সরকারের কিছুই যায় আসেনা আর আমাদের চুপ থাকার সুযোগে সরকার যা ইচ্ছা তাই করে যায়।