
মাথাভাঙা নদী ডানে, বায়ে এক বিল,
ঘুঘু, শ্যামা, দোয়েল ওড়ে, ওড়ে গাঙচিল।
মাছরাঙা, শালিক আর ডাহুকের বন,
ডাকে যেন স্বর্গের মাতা সারাক্ষণ।
আম, জাম, কাঁঠালের শ্যামল ছায়া,
সবখানে ছড়ানো অপরূপা মায়া।
নদীটি যে বয়ে চলে কুল কুল কুল,
বাঁকে বাঁকে ফুঁটে আছে রঙধনু ফুল।
ভ্রমরেরা গায় সেথা গুন গুনা গুন,
মায়ার বাঁধনে যেন হই শুধু খুন।
কদম কেয়ার বনে পাখিদের মেলা,
লুকোচুরি খেলে যেন সারাটিবেলা।
নদীটির কুলঘেষে দু’টি স্কুল,
সেইখানে ফোঁটে কত শত শত ফুল।
ডাকঘর হেঁকে যেন বলে খোকা শোনো,
এই গাঁয়ে সুখেদের ইতি নেই কোন।
বৈশাখী মেলা বসে যেই বটতলে,
প্রতি রবি-সোমবার, বুধও হাঁট চলে।
আলু, পেঁপে, কলা, মুলা, পান, সুপারি,
সব মেলে, সাথে আছে জারী-জুকারি।
বিলটির নীলজুড়ে মাছেদের ঝাঁক,
“কাছে এসো, কাছে এসো” মারে যেন হাঁক।
চিতল, কাতল, রুই, টাকি, সরপুঁটি,
বোয়ালের সাথে করে কত খুনসুটি।
মসজিদ, মন্দির, গীর্জার ধ্বনি,
একসুরে গাঁথা যেন এক হারমনি।
এইসব সুখ নিয়ে আমাদের গ্রাম,
ঐযে ডাকছে ধরে তোমাদের নাম।
এসো ভাই এসো বোন আমাদের গাঁয়ে,
নিশ্চিত ভাসাবোই সুখেদের নায়ে।
প্রতিদিন এই গাঁয়ে চাঁদ-সুরুজ ওঠে,
আনন্দ হাসি তাই চিরকাল ঠোঁটে।
১০টি মন্তব্য
সাবিনা ইয়াসমিন
এক সুন্দর ছবির মতো স্বপ্ন-গ্রামের দেখা পেলাম আপনার কবিতায়।
সব গুলো লাইন ভালো লেগেছে,,, তবে
” নদীটির কুলঘেষে দুটি স্কুল,
সেইখানে ফোঁটে কত শত শত ফুল।”
এই দু-লাইনের কথন সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে।
শুভ কামনা 🌹🌹
সুরাইয়া পারভিন
কবিতার মধ্যে একটি গ্রাম বাংলার চমৎকার সুন্দর প্রতিচ্ছবি দেখতে পেলাম। দারুন উপস্থাপন
চাটিগাঁ থেকে বাহার
ছন্দ মিলের কবিতায় গ্রামের বর্ণনা অনেক সুন্দর হয়েছে। তবে কমার পরে স্পেস এবং প্রতি চার লাইন পর পর গ্যাপ দিলে আবৃতি করতে আরো সাবলিল হতো। দেখতেও ভালো লাগতো।
…………………………………………………
মাথাভাঙা নদী ডানে, বায়ে এক বিল,
ঘুঘু, শ্যামা, দোয়েল ওড়ে, ওড়ে গাঙচিল।
মাছরাঙা, শালিক আর ডাহুকের বন,
ডাকে যেন স্বর্গের মাতা সারাক্ষণ।
আম, জাম, কাঁঠালের শ্যামল ছায়া,
সবখানে ছড়ানো অপরূপা মায়া।
নদীটি যে বয়ে চলে কুল কুল কুল,
বাঁকে বাঁকে ফুঁটে আছে রঙধনু ফুল।
ভ্রমরেরা গায় সেথা গুন গুনা গুন,
মায়ার বাঁধনে যেন হই শুধু খুন।
কদম কেয়ার বনে পাখিদের মেলা,
লুকোচুরি খেলে যেন সারাটিবেলা।
নদীটির কুলঘেষে দু’টি স্কুল,
সেইখানে ফোঁটে কত শত শত ফুল।
ডাকঘর হেঁকে যেন বলে খোকা শোনো,
এই গাঁয়ে সুখেদের ইতি নেই কোন।
বৈশাখী মেলা বসে যেই বটতলে,
প্রতি রবি-সোমবার, বুধও হাঁট চলে।
আলু, পেঁপে, কলা, মুলা, পান, সুপারি,
সব মেলে, সাথে আছে জারী-জুকারি।
বিলটির নীলজুড়ে মাছেদের ঝাঁক,
“কাছে এসো, কাছে এসো” মারে যেন হাঁক।
চিতল, কাতল, রুই, টাকি, সরপুঁটি,
বোয়ালের সাথে করে কত খুনসুটি।
মসজিদ, মন্দির, গীর্জার ধ্বনি,
একসুরে গাঁথা যেন এক হারমনি।
এইসব সুখ নিয়ে আমাদের গ্রাম,
ঐযে ডাকছে ধরে তোমাদের নাম।
এসো ভাই এসো বোন আমাদের গাঁয়ে,
নিশ্চিত ভাসাবোই সুখেদের নায়ে।
প্রতিদিন এই গাঁয়ে চাঁদ-সুরুজ ওঠে,
আনন্দ হাসি তাই চিরকাল ঠোঁটে।
এস.জেড বাবু
সুন্দর ফরমেটিং এন্ড কারেকশান।
শুভেচ্ছা
বন্যা লিপি
ছবির মতো এক দৃশ্যবর্ননায় উপস্থাপন করলেন আপনার গ্রাম।
ঠিক যেন ছোটবেলায় পড়া ছড়াটির মতো ” আমার বাড়ি যাইও ভ্রমর, বসতে পিঁড়ে
জলপান যে করতে দিবো শালী ধানের চিড়ে”।
জিসান শা ইকরাম
কবিতার মাঝে সুন্দর এক গ্রাম বাংলাকে পেলাম।
এডিট করে প্যারা গুলো আলাদা করে দিন ভাই।
শুভ কামনা।
সঞ্জয় মালাকার
এক সুন্দর ছবির মতো স্বপ্ন-গ্রামের দেখা পেলাম আপনার কবিতায়।চমৎকার উপস্থাপন।
মসজিদ, মন্দির, গীর্জার ধ্বনি,
একসুরে গাঁথা যেন এক হারমনি।
এইসব সুখ নিয়ে আমাদের গ্রাম,
ঐযে ডাকছে ধরে তোমাদের নাম।
কামাল উদ্দিন
চমৎকার আপনার গ্রাম, এমন গাঁয়ে যেতে পারলে নিজেকেই ধন্য মনে হবে, সবলীল ছন্দে মুগ্ধতা
কামরুল ইসলাম
অসম্ভব ভাল হয়েছে।
ছন্দের অন্তমিল চমৎকার হয়েছে ।
অনেক শুভ কামনা, ও
আরো লেখা চাই , পড়ে যেন তৃপ্তি মিটে ।
এস.জেড বাবু
বিলটির নীলজুড়ে মাছেদের ঝাঁক,
“কাছে এসো, কাছে এসো” মারে যেন হাঁক।
চিতল, কাতল, রুই, টাকি, সরপুঁটি,
বোয়ালের সাথে করে কত খুনসুটি।
কি মিষ্টি অনুভুতি। সত্যিকার মাটির টান, নাড়ির টান না থাকলে এতো সুন্দর লিখা হবে না ।
দারুন