এবার আসি কথা বলায়। কথাই মানুষের বন্ধু, আবার এই কথাই মানুষের শত্রু। জীবনের এ সময়ে এসে দেখছি প্রচুর মানুষ আমায় খুবই অপছন্দ করে। যা আগে কখনো দেখিনি। এক সময় আমায় যারা চিনতো-জানতো, ভালো যা লাগতো না বলে দিতো। এমনকি বকুনীও দিতো। আর এখন চেনা-জানা মানুষগুলো যাদের জন্য মঙ্গল কামনাই করি। তারা পেছনে কথা শোনায়। ভুল ধরিয়ে দেয়না, শাসন করেনা। কে বলে দূরত্ত্ব কমিয়ে দিয়েছে আর্ন্তসংযোগ? বরং সমালোচনা বাড়িয়ে দিয়েছে। আপন-পর শিখিয়ে দিয়েছে। আর ভুল বোঝা তো এখন জলভাত। মনে আছে ছোট্ট বেলার বান্ধবী ভারতীর কথা। সারাটি দুপুর ওর বাড়ীতে, তাও রোজ। এমনকি সেও। কিন্তু কখনো এমন কথা শুনিনি আমাদের বন্ধুত্ত্ব আমাদের পরিবারের সাথে দূরত্ত্ব বাড়িয়ে দিয়েছে।
এবার আসি আমার নিজের চরিত্রের কথায়। বিদ্রূপ করা, খোঁচা দিয়ে কথা বলা শিখেছি। না, না কারো থেকে নয়। আমি কখনো আমার খারাপের জন্য কাউকে দায়ী করিনা। আমি না চাইলে কেউ আমাকে খারাপ কিংবা ভালো করতে পারবে না। নিজের চেষ্টা থাকতে হবে। সময় আমাকে অনেক রাগী করে দিয়েছে। যদিও আমার রাগ হাতে গোণা মানুষের জন্য। আর হাসিটুকু সকলের।আজ সকালে অনেক বৃষ্টি আর ঝড় ছিলো এখানে। য়ার এখানকার ঝড়টা বাইরে বেড়ুলে বোঝা যায়, এর তীব্রতা কতোটুকু। উইকএন্ডে কাজ করা তাও এই আবহাওয়ার মধ্যে। যারা করে আমি বলি তাদের বড়োই ভাগ্যহীন। কারণ এসব মুহূর্ত ওমের মধ্যে ডুবে থেকে আড়মোড়া ভাঙ্গার সময়। তারপর উঠে সকালে সব্জী-পরোটা এবং নীলা স্পেশ্যাল ওমলেট, সাথে উষ্ণ উষ্ণ কফি। আহ আর কি আছে জীবনে? ওহ আর পাশে থাকলে প্রিয় মানুষটার দুষ্টু দুষ্টু আহ্লাদী পাগলামো, জীবনে পাওয়া-না-পাওয়া নিয়ে কি আর আফসোস থাকে? এটা কি সিনেমা ছাড়া দেখা যায়? হুম যায়, যায়। আমার বাবা-মাকে দেখেছি তো। তাই তো এতো রোমান্টিক আমি। আর রাগীও। অনেকেই প্রশ্ন রেডি করে ফেলেছেন, আমার জীবনে এমন নেই? আসলে আমি এতো বেশী মাত্রার রোমান্টিক এবং আবেগী যে, আমার মনকে ডিঙ্গানো কি অতো সহজ কাজ? যাক রোমান্টিকতার কথা আবার পরে বলবো।
এখন আসি নীলা স্পেশ্যাল ওমলেটে। সবাই যেভাবে তৈরী করে, আমিও তাই। কিন্তু সবাই বলে আমার হাতের ছোঁয়ায় অন্যরকম স্বাদ। রেসিপিটা দিলাম, তবে ভাব মারতে নয় কিন্তু। আরেকটি কথা এ জন্মে কোনোদিন রেসিপি লিখিনি, এই প্রথম লিখছি। আর রেসিপির নামটা আমার দেয়া না, বন্ধুরা দিয়েছে।
রন্ধনপ্রণালীঃ
কাটারবোর্ডে পেঁয়াজ দুটো এবং কাঁচা মরিচও কুচি কুচি করে কাটুন। আদা বেটে নিন। তারপর টমেট্যো-ক্যাপসিকাম(সব রঙের না পাওয়া গেলে সমস্যা না) কুচি করে কেটে একটা কাপে রেখে দিতে হবে। এবার ফ্রাইপ্যানে চুলায় ওঠান, সর্ষে/অলিভ তেল ঢালুন। ওর মধ্যে টমেট্যো-ক্যাপসিকাম-মরিচ কুচি-অল্প পেঁয়াজ-কারি পাতা গুঁড়ো হাল্কা করে ভেঁজে নিন। একটু ভাঁজা হলে উঠিয়ে বাটিতে রাখুন। আরেকটি পাত্রে ডিমগুলো ভেঙ্গে, তার মধ্যে পেঁয়াজ-কাঁচা/শুকনো মরিচ-আদা পেষ্ট-কারি পাউডার-লবণ-ধনেপাতা-দুধ সব একসাথে মিশিয়ে নিন। আমি ইন্ডিয়ান কারি পাউডার ব্যবহার করি। ফ্রাইপ্যানে আবার তেল ঢালুন, ফেঁটানো ডিম ছেড়ে দিন যেভাবে ওমলেট ভাঁজা হয়। আগুণের আঁচ খুব হাল্কা জ্বালে রাখতে হবে। আর উপরে ওই টমেট্যো-ক্যাপসিকাম ছেড়ে দিন। আস্তে আস্তে ডিমটা শুকিয়ে যাবে। হাল্কা ভেঁজা ভেঁজা থাকতে আরোও একবার ধনেপাতা ছড়িয়ে দিন। হয়ে গেলো নীলা স্পেশ্যাল ওমলেট।
মনে পড়ে গেলো অনেক বছর আগে ১৯৯৬/’৯৭ সালে একটা মেয়ের সাথে পরিচয় হয়েছিলো, নাম সাবা আহমেদ। ওর জন্ম, বড়ো হওয়া পাকিস্তানে। কিন্তু আসলে বাংলাদেশী। ওর বাবা চাকরীসূত্রে পাকিস্তান ছিলেন। ওঁদের পরিবারের সাথে আমার ভালো পরিচয় ছিলো। তো অসম্ভব সহজ-সরল মেয়েটি। শমশেরনগর এলে আমাদের বাসা ছাড়া আর কোথাও যেতো না, কারো সাথে মিশতো না। ওর চশমার পাওয়ার ছিলো ভয়ংকর। আর ও না হাসলেও মুখ ভরা হাসি। যাকে বলে স্মাইলিং ফেস। একদিন আমাদের বাসার মন্দিরে (ঠাকুর ঘরে) ও ঢুকলো। যদিও আমাদের পরিবারে এসব নিয়ে কোনো মাথা ব্যথা নেই। কিন্তু চা’ বাগানের একজন ইমাম উনি এসে দেখলেন, সঙ্গে সঙ্গে উনি বলছেন “নাউজিবিল্লাহ।” মেয়েটির ধর্ম নাকি গেছে। ঠিক একই সময়ে একজন হিন্দু ষ্টাফ জাতে ব্রাহ্মণ উনি তো মামনিকে বলেই ফেললেন মুসলিম মেয়েকে মন্দিরে ঢুকিয়ে আমাদের জাত নাকি নামিয়ে নিয়েছি। সাবার মুখের দিকে চেয়ে দেখছিলাম আমি, কি অসহায় মেয়েটি তখন। মামনি সেই মুহূর্তে ওই দুজনের সামনে সাবাকে ডেকে বললো, “দেখা হলো মন্দির?” সাবা মাথাটা দুলিয়ে হ্যা করলো। ওই ব্রাহ্মণ আর ইমাম দুজন অবহেলা পেয়ে চলেই গেলো। কিছুদিন পর ইমামের চাকরীও গেলো উনি নাকি একটা ক্লাশ থ্রী-এর বাচ্চা মেয়েকে আরবী শেখাতে গিয়ে শরীর ছুঁয়েছিলো। আর ব্রাহ্মণ পরে স্যরি বলেছিলো এসে।
যাক হঠাৎ শুনলাম সাবার বিয়ে। সাবার চাচু এসে আমায় খবর দিলেন। ওদের বাসায় যেতেই দৌঁড়ে এসে বললো, “নীলা তোমাকে আমি খুব বেশী মিস করবো। আমার হবু বরকে বলেছি তোমার কথা।” তারপর ওর লেহেঙ্গার সেট, অনেক অনেক কাপড় দেখিয়ে বললো এসব কবে, কখন পড়বে। ওর মা এসে বললেন, “নীলার জন্যে যে রেখেছো, সেটা দেখাও।” আমায় একটা লেহেঙ্গা দিয়ে বললো, “নীলা এটা তোমার জন্য। তুমি নীল ভালোবাসো জানি আমি।” প্রথম কথা পাকিস্তানী কোনো জিনিস আমি ব্যবহার করিনা, আর লেহেঙ্গা পড়ার মন-মানসিকতা নেই। কিন্তু ওর মুখের দিকে চেয়ে নিলাম, বললাম বুঝিয়ে। এতো ভালো মানুষ কেন আসে আমার জীবনে? আজ ওকে খুব মনে পড়ছে। তখনও ই-মেইল কি বুঝতাম না। ও আমাকে ওর ই-মেইল দিয়েছিলো, বললো “এটা রাখো, যখন তোমার ই-মেইল হবে আমায় লিখো।” প্রথম ইয়াহুতে মেইল করেছি আমি সাবাকে। উত্তর আসেনি। পরে শুনেছি ও নাকি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। কাউকে চিনতে পারেনা। ও কোথায় আছে ওর পরিবার জানে, আমি জানতে চাইনি। সহজ-সরল আর মায়ায় ভরা মুখটা অমনই থাকুক না মনে আজীবন। এখনও ইয়াহু মেইলে ওর ঠিকানা আছে। কেন এমন অবস্থা ওর জানতে ইচ্ছে করছে? ওর সেই হবু বর, যাকে সে ভালোবেসেছিলো তার অত্যাচারে। হায়রে পুরুষ, এদের ভালোবেসে কি না বিসর্জন দেই আমরা নারীরা!
ভালোবাসি।
আর কোনো শব্দ জানা নেই আমার।
তোমাকে ভালোবাসি।
সে তুমি আমায় বিসর্জন দিলেও,
গোপনে রাখলেও,
কাছে না ডাকলেও,
ভালোবাসি।
আর কোনো শব্দ জানা নেই আমার।
শুধু জানি তোমাকে ভালোবাসি।
হ্যামিল্টন, কানাডা
২৮ জুন, ২০১৫ ইং।
৩২টি মন্তব্য
রিমি রুম্মান
সাবা’র কাহিনীটুকু পড়ে আমারও মনটা বিষণ্ণ হয়ে উঠলো … … এইতো নারী জীবন।
নীলাঞ্জনা নীলা
জীবন কেন যে এসব আমায় দেখায়। কেন পরিচয় হয়েছিলো, আর কেনইবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন?
মরুভূমির জলদস্যু
ডিমের সাথে দুধ !!!
নীলাঞ্জনা নীলা
হুম ডিমের সাথে দুধ, দিয়ে দেখুন না। কেক/পুডিং যখন তৈরী করা হয়, তখনও কিন্তু ডিমের সাথে দুধ মেলানো হয়। 🙂
সিকদার
বি————– শা——–ল একান্ত অনুভুতি । পাঁচমিশালি চিন্তা ও চেতনার পোস্ট । ভাল লেগেছে।
নীলাঞ্জনা নীলা
অসংখ্য ধন্যবাদ। রান্নায় পাঁচফোড়ন ব্যবহারের ফল বোধ হয়। 😀
মেহেরী তাজ
নীলা আপু এটা তো মেটেই ঠিক না। রোজার মাস আর আপনি ওম্লেট রেসিপি দিচ্ছেন। রোজা হালকা হলে আপনার দোষ।
সাবা’র কথা শুনে খুব খারাপ লাগলো… 🙁
নীলাঞ্জনা নীলা
এটাই তো পরীক্ষা। রোজা মনের নাকি চোখের? :p
সাবা জানতেও পারলোনা ওকে সোনেলার সোনালী মানুষগুলো কতো ভালোবেসে ফেলেছে।
রাসেল হাসান
ভালো লেগেছে। রেসিপিটা বানিয়ে টেস্ট করার দরকার! 🙂 ;?
নীলাঞ্জনা নীলা
টেষ্ট করার জন্যেই তো দিলাম। মনে হয়না খারাপ লাগবে। 🙂
অনিকেত নন্দিনী
এইরকমই একটা ওমলেট আমি করি। নেপাল থেকে শিখে এসেছিলাম। তবে আমি দুধ দেইনা।
সাবার জন্য বুকের ভিতরটায় কেমন মোচড় দিয়ে উঠলো। আমরা মেয়েগুলি এমনই বোকা। ভালোবাসার জন্য সর্বস্ব ছেড়ে দেই, সর্বনাশের আগুনে ঝাঁপ দেই। পরিণামে যা পাই তা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। 🙁
নীলাঞ্জনা নীলা
ওমলেটে দুধ এবং অন্যান্য উপাদানসহ(কারী পাউডার-কারী পাতা-ক্যাপসিকাম ছাড়া)খেয়েছিলাম ১৯৮০ সালে বরিশালে দাদুর(মায়ের বাবা) বাড়ীতে।
সাবা এমন একটি মেয়ে যার চোখ কথা বলতো।
লীলাবতী
এলোমেলো কথাতো ফুরাতেই চায় না।কত প্রসঙ্গ এলো। এত প্রসঙ্গ না এলে এলোমেলো কথাই বা হবে কিভাবে 🙂
সবটুকু ভালোই লাগলো,কেবল সাবার কথা পড়ে মনটা খারাপ হলো। -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
আমি বড্ড এলোমেলো। মাথায় যে কতোকিছু একই সাথে ঘুরতে থাকে।
সাবাকে মাঝে-মধ্যে বড়ো মিস করি আমি।
জিসান শা ইকরাম
একটি পোষ্টে কত কিছু আনলে।হাসি কান্না রান্নাবান্না।ডিম ওমলেট এ নীলা বিশেষজ্ঞ এটি তো আগে জানতাম না। সাবা সুস্থ্য হয়ে যাক। ভুলবোঝাবুঝি কেটে যাক তোমাকে নিয়ে। তোমার জীবনটা সুন্দর কাটুক।
নীলাঞ্জনা নীলাকে বুঝতে হলে তার এলোমেলো কথা পড়তে হবে 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
নানা আমি অসাধারণ চা+কফি বানাই। নিজের বিজ্ঞাপন দিচ্ছি না, বুঝলা? দেশে গেলে খাওয়াবো।
আর ভুল বোঝাবুঝি কাটবে কিনা জানিনা। তবে ভেবে দেখলাম কেউ যদি আমায় ভুল বোঝে, তাকে বোঝানোর পরও না বোঝে। তাহলে বাবা রাস্তা মাপো। অমন মানুষ জীবনে না থাকাই ভালো। এরা হলো বিষফোঁড়া। 😀
আমাকে বোঝা কঠিন নাকি সহজ কও তো? ^:^
ব্লগার সজীব
বিকেলেই পড়েছি আপনার লেখা।লেখায় রঙধনুর সাত রঙ দেখলাম।সাতটি বিষয় এনেছেন সুন্দর ভাবেই 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
সাতটি বিষয় এনেছি, হিসেব করিনি। অবাক হয়ে গেলাম, এতো মন দিয়ে পড়েছেন! 😮
ধন্যবাদ এবং ফুল। -{@
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
বিশাল এক পোষ্ট অনেক কিছুই আনলেন বৃষ্টি রোমান্টিকতা মা মায়ের আদর অতপর রেসিপি।নীলা স্পেশাল ওমলেট”লাইসেন্স আছে তো?ভাল লেগেছে ।
নীলাঞ্জনা নীলা
লাইসেন্স লাগবে না। যখন মন চায় তখনই গ্যাসের চুলা জ্বালিয়ে নিন।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
স্বপ্ন
আপনার লেখা পড়ে শিখছি আপু।সাবার কথা পড়ে মনটা খারাপ হয়ে গেলো।
নীলাঞ্জনা নীলা
শেখার কি আছে? ;?
সাবার মতো মেয়েদের জন্য এ পৃথিবী নয় আসলে। সৃষ্টিকর্তা তবুও কেন যে পাঠান!
খেয়ালী মেয়ে
দারুন পোস্ট (y)
রেসিপিটা সংগ্রহে রাখলাম…….
সাবার কথা জেনে খারাপ লাগলো……
শেষের কবিতাটুকু না দিলে মনে হয় পুরা পোস্টটাই অসম্পূর্ণ থেকে যেতো……….
নীলাঞ্জনা নীলা
খেয়ালী মেয়ের মনটা খুব নরম, তাই না? সংগ্রহে কেন, এখুনি চুলায় বসিয়ে দিন।
কবিতাটি সাবা লিখিয়ে নিলো। -{@
খেয়ালী মেয়ে
আমি যে রান্না করতে পারি না আপু, রান্নাঘর আমার ভালো লাগে না ;(
নীলাঞ্জনা নীলা
একই অবস্থা তো আমারও। রান্না করতে ভালো লাগেনা ;( 🙁
কিন্তু বন্ধুরা এলে রান্না যেনো উৎসব উৎসব লাগে। \|/
শুন্য শুন্যালয়
এই পোস্টে অনেক অনেক কিছু। শুধু কএকটা লাইনে মন্তব্য করা সম্ভব নয়। তবে সব মিলিয়ে জানা হলো নীলা আপুকে। রাঁধুনী, হাসিখুশি, বকবকানি নীলা আপুও মন খারাপ করে। সাবার কথা শুনে মনটা খুব খারাপ হলো। কএকটা লাইন ভাবালো। অনুশোচনা বা ক্ষমা চাওয়া মানুষগুলো একা হয়ে যায়, এভাবে তো ভাবিনি কখনো আপু।
রেসিপি কি ছবি ছাড়া চলবে? ছবি দেখে না কিচেনে ছুটবো!!!
এলোমেলো সব ভাবনা এমন করে কথা হয়ে যাক। (y)
নীলাঞ্জনা নীলা
মন খারাপ তো লেখা শেষ করার পরেই শেষ। আমার মন খারাপ আর কুমীরের অশ্রু প্রায় এক। দমবন্ধ হয়ে যায় মন খারাপ করে ৩০ মিনিট থাকলে। ^:^
শাস্তিস্বরূপ যদি বলা যায় দাঁত কেলিয়ে রাখতে ৫ ঘন্টা, সেটা রাখতে পারবো। এ নিয়ে একটা ঘটনা আছে। কখনো বলবো। অনেক মজার। আবার যখন এলোমেলো কথা লিখবো, সেদিন কেমন? তবে হুম মনে করিয়ে দিতে হবে কিন্তু। 🙂
সাবা ওর সাথে একটা ছবিও তুলিনি কোনোদিন, কি অদ্ভূত না?
এই রে ছবি তো নেই। মানে কখনো তোলা হয়নি। ঠিক আছে একদিন ছবি দেবো। এখন বাসায় ক্যাপসিকাম নেই। কাল কানাডা ডে, তাই কিছুই খোলা থাকবে না। এরপর আবার কাজ 🙁
শুন্য শুন্যালয়
অবশ্যই মনে করিয়ে দেবার জন্য আমি তো আছিই। ৩০ মিনিট মন খারাপ করে থাকলে আপনার দমবন্ধ হয়ে যায়? হা হা, ঠিকাছে কখনো পানিশমেন্ট স্বরূপ দাঁত কেলিয়ে রাখতে বলবো ৫ ঘন্টাই। 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
😀
😀
😀
😀
😀
এখনও আছি দাঁত কেলিয়ে।
তানজির খান
আপি,বিশ্বাস ঘাতক মানুষ মাত্রই শুধু পুরুষ নয় কিন্তু। খুব সুন্দর অনুভূতি প্রকাশ পেয়েছে। ওমলেটের ব্যাপারটা জিবে জল এনেছে।এত অগোছাল ভাবে এত গোছাল অনুভূতি কিভাবে সৃষ্টি করতে পারেন জানিনা। অসাধারণ লেগেছে শব্দ চয়ন ও আবেগের তীব্রতা। সাবার জন্য মন খারাপ হয়ে গেল।
নীলাঞ্জনা নীলা
অবশ্যই তা নয়। কিন্তু এটা ঠিক বেশীরভাগ পুরুষই বিশ্বাসঘাতকতা করে মেয়েদের তুলনায়।
আর ওমলেট সবচেয়ে সহজ একটা রান্না, যে কোনো সময় করে নিও। কেমন?
ভাইয়া আমি ঘর সাজানোতে খুব গোছালো, কিন্তু অন্যসব কিছুতেই বড্ড অগোছালো। ভাবতেও পারবেনা। :p