
অনিকের সেলফোনে রিং হচ্ছে দেখে ফোন রিসিভ করে হ্যালো বললো, অপর প্রান্ত থেকে ছায়া বললো, অনিক বাবার সেন্স আসতেছে, ডাক্তাররা বললো সেন্স আসার ঘন্টা খানেক পর ঘুম পারাবে, আপনি আসবেন?
তাই, আচ্ছা আমি এখনই রওনা দিচ্ছি, বলেই ফোন ডিস্কানেক্ট করে এলভিনকে বললো, মাই ফ্রেন্ড আমার বেরুতে হচ্ছে, দ্রুত ফিরে আসবো।
ওকে টেইক কেয়ার, জবাবে এলভিন বললো।
অনিক বেরুনোর সময় দেখলো আফরিন মেয়েটি বসে আছে মামা লুসির সামনে, অনিক বললো আমি বেরুচ্ছি, ঘন্টা দুয়েক পর আসবো।
কিন্তু এপয়েন্টমেন্ট লেটারে তোমার সিগনেচার লাগবে অনিক।
ওটা কি রেডি?
না মাত্র ধরলাম।
ওকে আফরিন তুমি কাল এসে নিয়ে গেলে চলবে?
নো প্রবলেম, মিষ্টি হেসে আফরিন বললো।
ওকে মামা তুমি রেডি করে আমার টেবিলে দিয়ে দাও, আমি আসছি।
ওকে সি ইউ।
সি ইউ।
ওহ আফরিন আপনার গাড়ী আছে সাথে, অনিক জিজ্ঞেস করলো?
না আমি আনিনি, আমি বাসে চলে যাবো, এইতো উডল্যান্ড এস্টেইটে যাবো।
ওহ, তাহলে আমার সাথে চলুন, আমি ঐ পথ দিয়েই যাবো।
ধন্যবাদ।
আফরিনকে নিয়ে গাড়ী পার্কিংয়ে এসে গাড়ীর দরজা খুলে দিলো অনিক, আফরিন উঠে বসলে অনিক নিজে উঠে গাড়ীর চাবি দিয়ে এরপর ইগনিশনে চাপ দিলো, এরপর পার্কিং থেকে বেড়িয়ে গলি পথ পেরিয়ে হাইওয়ে উঠে গাড়ীর স্পীড বাড়ালো।
আপনার ফ্যামিলিতে কে কে আছে, অনিক জিজ্ঞেস করলো।
আমার ড্যাড নেই, উনি কয়েক বছর আগে ইন্তেকাল করেছেন, মম আর আমি এক সাথে থাকি।
আপনি একাই আপনার মমের সাথে থাকেন?
আমার কোন ভাই বোন নেই, বলে একটা নিশ্বাস ফেললো আফরিন।
আই এম সরি।
না না অসুবিধা নেই, আমার ড্যাড এই দেশে এসেছিলেন খুব অল্প বয়সে, আমার মমকে বিয়ে করে নিয়ে আসেন এইখানে, আমার জন্ম এইখানেই।
হুম, আচ্ছা আমি কোন লেইন ধরলে ভালো হয়, আমরা কাছাকাছি চলে এসেছি।
আপনি আরো দুই কিলোমিটার পর বামে লেইন পাবেন।
কিছুক্ষণের মধ্যেই অনিক বামের লেইন দিয়ে প্রবেশ করে আফরিনের দেখানো পথে পোঁছে গেল ওর বাসার সামনে।
মি. অনিক আসুননা বাসায়, এক কাপ কফি হতে পারে আমার মমের সাথে?
সরি আজ না, আমাকে দ্রুত যেতে হবে, আপনার মমকে আমার সালাম জানাবেন।
ওকে ধন্যবাদ লিফটের জন্য, বলে আফরিন নেমে গেল।
অনিক দ্রুত গাড়ী ছোটালো হাসপাতালের উদ্দেশ্যে, মনে মনে খুশি সে, অনেকদিন পর আনকেলের সাথে দেখা হবে, লাস্ট মুহূর্তে আনকেলের সাথে দেখা করে না আসাতে নিজের মনে অনু সূচনা ছিলো অনেক, উনি কখনো অনিককে দেখে বিরক্ত বোধ করতেননা, বরঞ্চ রওশনের থেকে যেন ওকেই বেশি পছন্দ করতেন।
আফরিন কলিংবেল চাপ দিতেই ডিংডং করে শব্দ হলো, একটু পর আফরিনের মা দরজা খুলে ধরলে আফরিন মাকে খুব করে জড়িয়ে ধরলো।
আরে আরে ছাড়, ছাড়, কি হয়েছে তা বল, আফরিনের মা হাসতে হাসতে জিজ্ঞেস করলেন।
ওহ মম, তুমি বিশ্বাস করবেনা আজ কি হয়েছে।
কি হয়েছে তাই বল, দরজা লাগিয়ে প্রশ্ন করলেন উনি।
মম, আমার চাকরি হয়ে গেছে, ইয়াহু বলেই আবার মাকে জড়িয়ে ধরলো।
আগে চল বসি এরপর তোর গল্প শুনবো, আমি পানি নিয়ে আসছি।
একটু পর পানি নিয়ে এসে আফরিনকে দিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, কোনটাতে বল?
এবি বায়ো ইন্ডাস্ট্রিতে, তুমি জানো ওরা এই মুহূর্তে খুব ভালো করছে এই লাইনে, হয়ত আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ওরা টপে চলে আসবে।
তাই, তা কত দেবে তোকে, আপাতত ২৫০০, ডলার দেবে প্রবেশনাল হিসাবে, সাথে ফ্রিঞ্চ বেনেফিট তো আছেই।
মাত্র ২৫০০ এতে কি হবে, উদ্বীগ্ন হলেন আফরিনের মা।
মম তুমি তো জানোই এই দেশে এই টাকা অনেক, এছাড়া আমার কাজ দেখে ওরা শর্টলি বাড়াবে বলেছে।
তাহলে ঠিক আছে।
আরেকটা খবর আছে মম, বলে চোখের ভ্রু নাচালো আফরিন।
কি, বলেই অধীর আগ্রহে তাকালেন উনি।
এই কোম্পানিতে যে মালিকের সেক্রেটারির জব হয়েছে আমার, উনি বাঙ্গালী।
কি বলিস?
হাঁ… এবং খুব হ্যান্ডসাম।
বিবাহিত?
না মম, তা জানিনা, কিন্তু যেমন উনি তেমন উনার গাড়ী, অডি A3।
আর এতেই তুই ফিদা হয়ে যাসনা, বাংলাদেশের ছেলেরা অত সুবিধার না, বলেই উনি গন গন করে চলে গেলেন কিচেনের উদ্দেশ্যে।
অনিক আর ছায়া অপেক্ষা করছে তাদের ডাক আসার জন্য, দশ মিনিট পর নার্স এসে ডাক দিলো, দুজনেই এক সাথে এগিয়ে গেল, রুমের ভিতরে প্রবেশ করে ওরা রওশনের বাবার বিছানার পাশে গিয়ে দাঁড়ালো।
রওশনের বাবা খুব ধীরেধীরে ছায়াকে বললেন, কেমন আছিস মা।
বাবা কেমনে ভালো থাকি তোমাকে ছাড়া?
পাগল মেয়ে আমার বলে উনি ছায়ার মাথায় হাত দিয়ে চুল এলোমেলো করে দিলেন, তোর পিছনে কে ছেলেটা?
ছায়ার পিছনেই দাঁড়িয়ে ছিলো অনিক, সামনে এগিয়ে এলো ও, বললো আনকেল আমি অনিক।
অনিক, অনিক, বাপ আমার তুই কোথা থেকে বলে হাত বাড়ালেন, চোখে উনার জল।
অনিক উনার হাত ধরে বললো, আনকেল আপনি কান্না করবেননা, আমি আছি।
নার্স এসে উনাকে ইঞ্জেকশন দিলো ঘুমের, সাথে এও বললো, উনার ঘুমের প্রয়োজন।
বাবা তুই ফিরে এসেছিস, আবার প্রশ্ন করলেন উনি।
আনকেল আমি আছি।
তুই আমার মাকে দেখে রাখিস।
আপনি চিন্তা করবেননা।
ছায়া আমার ব্যাগে টাকা আছে, বলতে বলতে বলতেই উনার ঘুমে চোখ জড়িয়ে এলো, কিছুক্ষণের মধ্যে উনি ঘুমিয়ে পড়লেন।
ছায়া, চলো বাইরে বসি, অনিক বললো।
আপনি যান আমি আসছি, বলেই ছায়া রওশনের বাবার মাথায় হাত ভুলাতে লাগলো।
আমি নিচের পার্কিংলটে আছি, বলে অনিক বাইরে বেরিয়ে এলো, পার্কিং লটের পাশেই স্মোকিং রুমে গিয়ে একটা সিগারেট ধরালো, চোখের পানি বাধ মানছেনা ওর, বাবার কথা মনে পড়ছে, ঘড়ি দেখলো ও, বাংলাদেশে মধ্যরাত এখনো, পাশে রাখা টিস্যু বক্স থেকে টিস্যু নিয়ে চোখ মুছলো, সিগারেটটা বিস্বাদ লাগায় এস্ট্রেতে চেপে আগুন নিভিয়ে দিলো।
………… চলবে।
ছবিঃ গুগল।
৫৪টি মন্তব্য
শুন্য শুন্যালয়
মা কিন্তু ঠিক বলেছে আফরিন, বাংলাদেশের ছেলেরা অত সুবিধার না, সাবধান 🙂
অডি A3, হুম্ম হু, গল্প ছাড়া এমন হ্যান্ডসাম, পয়সাওয়ালা জেন্টেলম্যান কই পাবো ভাইজান? খবর পাইলে আমারে জানাইয়েন 🙂
গল্প ভাল্লাগতেছে 🙂
তৌহিদ
হ শুন্য আপু আন্নেরে কইছে? দেশের পোলাপাইন কি জিনিস জানেননা তো!!
ইঞ্জা
ভাই, অনেকে অনেক কারণেই এইসব কথা বলে থাকেন, এতে যে দেশের ছেলেরা সুবিধার নয় তা কিভাবে হয়, কারণটা আমি আপুর কমেন্ট রিপ্লাইতে ব্যাখ্যা করেছি।
ইঞ্জা
মা ঠিক বলেছে কেমনে বুঝলেন, মা হয়ত মেয়েকে ঝামেলায় না জড়াতে এমন কথা বলেছেন। 😄
অডি A3 আমেরিকায় এমন কি দাম আপু, যে দেশে কোন ইম্পোর্ট ডিউটি নেই, সেলস ট্যাক্সও অত বেশিনা, আপনি তো জানেন বাংগালী অনেকেই বিভিন্ন দেশে খুব ভালো উন্নতি করেছে, এমন পয়সাওয়ালা হ্যান্ডসাম মানুষ নিশ্চয় আপনার আসেপাশেই আছে। 😃
জিসান শা ইকরাম
গল্প এগিয়ে যাচ্ছে স্বাভাবিক গতিতে।
যা অবস্থা তাতে আফরিন মা এর উপদেশ না শুনে ফিদা হয়েই যায় কিনা কে জানে।
পরের পর্ব দ্রুত চাই।
ইঞ্জা
হতেই পারে ফিদা, কথায় আছেনা ভাইজান “প্রেম মানেনা কোন রীতি”।
ধন্যবাদ ভাইজান, চেষ্টা করবো দ্রুত দেওয়ার জন্য।
জিসান শা ইকরাম
কত ঘটনা আমাদের চারপাশে।
এসব নিয়ে যদি লিখতেন, ভাল হতো খুব।
ইঞ্জা
ভাইজান, লিখবো তো অবশ্যই, আজ একটা পোস্ট দিয়েছি ফেইসবুকে, দেখবেন একবার।
মাহমুদ আল মেহেদী
চমৎকার চলুক। চলুক তাঁর নিজ পথে।
ইঞ্জা
ইনশা আল্লাহ্, চলবেই।
মাহমুদ আল মেহেদী
ধন্যবাদ ভাই।
ইঞ্জা
শুভেচ্ছা
প্রহেলিকা
আগা মাথা আসলেই বুঝতে পারিনি, আগে থেকে পড়ে আসতে হবে। মনে হচ্ছে ইন্টারেস্টিং কিছু অবশ্যই আছে, কিছুটা আঁচ করতে পারছি৷ পড়ে ফেলব একদিন হুট করে।
ইঞ্জা
ভাই দ্রুত পড়ে ফেলুন, আপনার আলোচনা আমার লেখার জন্য খুবই দরকার।
মনির হোসেন মমি
মা বাবার কিছু হলে সন্তানের মনও নারভাজ থাকে।চলুক গল্প বেশ ভাল লাগছে।
ইঞ্জা
খুবই সত্য কথা ভাই, ধন্যবাদ অনিঃশেষ।
ইঞ্জা
😍
নিতাই বাবু
আগের সাত পর্ব মিস হয়ে গেল দাদা। ৮ম পর্ব থেকে পড়া শুরু করলাম। আশা করি সাথে থাকতে পারবো।
ইঞ্জা
আন্তরিক ধন্যবাদ দাদা, পাশে থাকবেন প্লিজ।
নিতাই বাবু
বর্তমানে সোনেলা আগের চেয়ে অনেক ভালো। এখন সোনেলায় দ্রুত প্রবেশ করা যায়। খুব সহজেই পোস্ট সহ মন্তব্য করা যায়। যা হচ্ছে, খুবই দ্রুত হচ্ছে। তাই ভালো লাগছে সোনেলাকে।
ইঞ্জা
সোনেলার এই চেইঞ্জেসের জন্য আমরা নিশ্চয় @Sonelablog.com কে ধন্যবাদ জানাতে পারি, ধন্যবাদ সোনেলা ব্লগ কতৃপক্ষ।
তৌহিদ
আফরিনের মায়ের কথা মোট্টেও ভালো লাগেনাই, প্রেস্টিজ পাংচার হইয়া গেল দাদা!! চট্টগ্রামের ছেলে দেখে বিয়া দিয়া দেন আফরিনের ☺☺
গল্পটি ভালো লাগছে দাদা, পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
ইঞ্জা
ভাই আফরিনের মা কোন উদ্দেশ্যে কথাটি বলেছেন তা যদি আপনি না বুঝেন, তাহলে কে বুঝবে?
উপরে শুন্য আপুর কমেন্ট দেখুন তাহলে বুঝে যাবেন।
ভাই চট্টগ্রামের ছেলে কেন, রংপুরের ছেলেরা কম কিসে? 😂
ধন্যবাদ অশেষ, দ্রুতই দেওয়ার চেষ্টা করবো। 😆
তৌহিদ
হুম দেখলাম দাদা
ইঞ্জা
ধন্যবাদ ভাই
ছাইরাছ হেলাল
আফরিনের মা বিদেশিদের পছন্দ করেছেন অভিজ্ঞতা দিয়ে,
মন্দ না!!
চলুক চলুক।
ইঞ্জা
আফরিনের মা বিদেশি ছেলে পছন্দ করেন কিনা তা তো বলেননি ভাই, মেয়ে যেন অপাত্রে সময় নষ্ট না করে এই জন্যই হয়ত বলতে পারেন, আমাদের মনে রাখতে হবে আফরিনের বাবাও বাঙ্গালী এবং ওর মাও বাঙ্গালী। 😉
নীলাঞ্জনা নীলা
বাঙালি পোলারা অসুবিধার, লেখক বলেই দিয়েছেন। আর আমি পাঠক হিসেবে সাপোর্ট করতে বাধ্য হোলাম।😁 আর বাঙালি মেয়েরা কেন যে এতো ফুড়ুৎ করে আবেগাপ্লুত হয়!!!
এতো তাড়াতাড়ি শেষ করে দিলেন হ্যান্ডপাম্প ভাইয়া? এজন্য মেজাজ বিগড়ে গেলো। (রাগের ইমো)
ইঞ্জা
আপু, আফরিনের মার বলাটাকে কেন সবাই মূখ্য হিসাবে নিচ্ছেন, হয়ত উনি মেয়েকে আপাতত নিবৃত্ত করার জন্যই বলেছেন, হতে পারেনা?
উনার হাসবেন্ড এবং উনি দুজনেই বাঙ্গা, তাহলে কেন এই কথা বলবেন মেয়েকে, নিশ্চয় মেয়ে যেন বুঝে শুনে পা ফেলে এমন চিন্তা করেই বলেছেন, আর আপনি ঠিকই বলেছেন আফরিন ফুরুৎ করেই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়ছে, এতে মা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন মেয়ের ক্ষতি হতে পারে। 😆
আপু আমি গল্প একটু ছোট করেই লিখছি এইবার থেকে, কারণ হাতে সময়ের অপ্রতুলতা এবং একি গল্প অন্য এক গ্রুপে দেবো, তাই একটু ছোট করেই লিখছি। 😃
নীলাঞ্জনা নীলা
ভাইয়া পরের পর্ব তো দিন।
শুভ নববর্ষ ভাইয়া।
ইঞ্জা
নববর্ষের শুভেচ্ছা ও শুভকামনা নিরন্তর প্রিয় আপু। 😍
সাবিনা ইয়াসমিন
এই প্রথম দেখলাম বাঙালী ছেলের কথা শুনে কোনো প্রবাসী মা দ্বিধাগ্রস্থ মতামত দিলো। অথচ অন্য গল্প, সিনেমায় দেখি নিজ দেশের ছেলে শুনলে বাবা–মায়েরা খুশিতে আট/ নয় খানা হয়ে পড়ে ☺
গল্পে টুইস্ট এনে ফেলেছেন ভাইজান, এখন থেকে রুদ্ধশ্বাসে গল্প পড়তে হবে। কে পাবে অনিক কে? ছায়া না আফরিন!! কার মন ভেঙে কারটা জোড়া দেন দেখার অপেক্ষায় রইলাম।
শুভকামনা 🌹🌹
ইঞ্জা
আপু, সবারই একি কথা আফরিনের মা কেমনে এই কথা বললো, কিন্তু আমাদের নিজেকেই ভাবতে হবে একজন মার প্রধান কর্তব্য হলো নিজের মেয়েকে রক্ষা করা, মেয়ে যদি ভুল পথে পা বাড়ায় তাহলে ক্ষতি উনারই।
আপু আমার প্রতিটি গল্পেই কিছুনা কিছু টুইস্ট থাকে, যদি টুইস্টই না থাকে তাহলে গল্প পড়ে মজায় পাওয়া যায়না, কেমন যেন এক ঘেয়ে হয়ে উঠে।
পাশে থেকে অনুপ্রাণিত করার জন্য অনিঃশেষ ধন্যবাদ প্রিয় আপু। 😆
সাবিনা ইয়াসমিন
সবাই মিলে আফরিনের মা কে নিয়ে কেন লিখেছে তাতো আমি বলতে পারবো না ভাইজান। আমি কেন লিখেছি সেটা বলি…
গল্পের শুরু থেকে মেইন ক্যারেক্টরে ছিলো অনিক, ছায়া, ছায়ার অসুস্থ বাবা। পরে পর্ব গুলোর সাথে সাথে ক্যারেক্টর বেড়েছে, সর্ব শেষে এসেছেন আফরিনের মা। সে এসে সম্পূর্ণ ব্যাতিক্রম একটি উপদেশ আফরিনকে দিয়েছে। আমার কাছে তার কথাটি যেমন ভালো লেগেছে তেমনি অবাক লেগেছে। তাই কমেন্ট তার বক্তব্যটা রেখেছি। 😊😊
পাশে না থেকে উপায় নেই ভাইজান, এই গল্পের শেষ পর্যন্ত না পড়ে আমার শান্তি নেই। চেষ্টা করবেন বেশি দেরি না করে পরের পর্বটা দিয়ে দিতে।
শুভ কামনা 🌹🌹
ইঞ্জা
ধন্যবাদ আপু, আপনার প্রশ্নের জবাব আমার আজকের পোস্টে আশা করি পেয়ে যাবেন।
ধন্যবাদ এমন বিস্তারিত মন্তব্যের জন্য।
রিমি রুম্মান
বাংলাদেশের ছেলেরা অতো সুবিধার না … লাইনটি পড়ে হাসলাম। ছেলেরা না আবার তেড়ে আসে ! ভালো লেগেছে গল্পটি। আগের পর্ব রাতে শুরু করব পড়া।
ইঞ্জা
আপু, মা নিশ্চয় মেয়েকে নিবৃত্ত রাখার জন্যই কথাগুলো বলেছেন, কারণ উনি নিশ্চয় উনার শেকড়কে ভুলবেননা। 😆
ইঞ্জা
আপু, আগের পর্ব গুলো পড়া না থাকলে গল্প পড়ে মজা পাওয়া যায়না, দ্রুত পড়ে ফেলুন, অপেক্ষায় রইলাম। 😆
অপার্থিব
নায়ক হ্যান্ডসাম, নায়িকাও নিশ্চয়ই বেসম্ভব সুন্দরী ? ইমদাদুল হক মিলনের প্রেমের উপন্যাস টাইপের মনে হচ্ছে। ফিনিশিং না পড়ে কেমন লাগছে মন্তব্য করতে পারছি না।
আর একটা প্রশ্ন- ভালবাসা কি মুঠোতে ধরা যায়?
ইঞ্জা
ধন্যবাদ প্রিয়জন, গল্পে এমন মন্তব্য পেলে লেখকের লেখার মান বাড়বে শতভাগ, কিন্তু ইমদাদুল হক মিলনের মতো তো নয়ই, উনারা অনেক উঁচু মাপের লেখক আর আমি হলাম কলা গাছ কাটতে কাটতে চোর, ডাকাত নই। 😜
ভালোবাসা মুঠোই ধরা যায়না নিশ্চয় কিন্তু অনেকেই খুঁজে ফিরে এক মুঠো ভালোবাসা, যখন ভালোবাসা মুঠোয় ধরা দেয়না। 😊
মোঃ মজিবর রহমান
ছি! আমি বাংগালী এতো খারাপ!
ইঞ্জা
হা হা হা, পরের পর্ব পড়লেই উত্তর পেয়ে যাবেন। 😆
মোঃ মজিবর রহমান
থাকলাম অপেক্ষায়
ইঞ্জা
পরের পর্ব পড়ে নিন ভাই। 😂
রেজওয়ান
আফরিনের মায় কিন্তু সেই চালাক! বাঙালী সম্পর্কে বলে দিলো, যদিও নায়কেরা অমন হয় না..😜
ইঞ্জা
হাঁ মায়েরা মেয়ের চিন্তা করেই চালাক হয়। ☺
কামাল উদ্দিন
আছি সাথে, পড়ে পড়ে এগোচ্ছি…….
ইঞ্জা
😍😍
কামাল উদ্দিন
এই ইমোগুলো কোথ্থেকে দেন ভাইজান?
ইঞ্জা
কেন আপনার রিডমিক কিবোর্ডেই তো আছে সব।
কামাল উদ্দিন
রিডমিক কিবোর্ড কোনটা? সত্যি বলতে কি আমি সোনেলায় এখনো বাংলা লেখা শিখতে পারিনি। সবই অন্য জায়গায় লিখে তারপর কপি পেষ্ট মারছি।
ইঞ্জা
আপনার স্মার্ট ফোনের প্লে স্টোরে রিডমিক কিবোর্ড লিখলেই পেয়ে যাবেন, তা ডাউনলোড করে একবার সেটিংস করে নিলেই বাংলায় লেখা, ইমোটিকন সব পাবেন।
কামাল উদ্দিন
আসলে স্মার্ট ফোনে ব্লগিং করতে আমার ভালোলাগে না। আমি ল্যাপটপে ব্লগিং করি।
ইঞ্জা
শুভকামনা ভাই