
এক বছর পরঃ
ছায়া গোসল সেরে বের হলো টাওয়াল জড়িয়ে, ঘুমন্ত অনিকের দিকে তাকিয়ে হাসলো, চোখে ওর দুষ্টামি খেলে গেলো, অনিকের পাশে গিয়ে ওর মুখের উপর ঝুকে অনিকের মুখে ভেজা চুল গুলো দিয়ে ভুলিয়ে দিলো, এতেই অনিকের ঘুম ভেঙ্গে গেলো।
চোখ খুলে বললো, গুড মর্নিং বিউটিফুল।
ভেরি গুড মর্নিং, সাহেবের ঘুম ভাঙ্গলো?
তোমাকে খুব সুন্দর লাগছে।
অনিকের মনের কুবুদ্ধি বুঝতে পেরে ঝট করে উঠে পড়তে চাইলো ছায়া, অনিক খপ করে ধরে বললো, কই যাও আমার বুলবুলি।
না না এখন ছাড়ো, আমি গোসল করে এসেছি।
তাতে কি, বলেই ছায়াকে এক টানে বুকে নিয়ে নিলো।
এই এইসব ঠিক না, বাবা নিশ্চয় উঠে পড়েছে।
আনকেল যে উঠে নাই তা আমি খুব জানি, বলেই ছায়ার টাওয়েল ধরে টান দিলো।
ছায়া হেরে গিয়ে অনিকের বুকের মাঝে নিজেকে ধরা দিলো।
দুজনে গোসল সারলো এক সাথে, ছায়া বেরিয়েই দ্রুত কাপড় পড়ে নিয়ে টাওয়াল দিয়ে চুল ঝেড়ে আঁচড়াতে লাগলো, অনিককে বেরুতে দেখে ঠোঁট বাকিয়ে বললো, কি না করো তুমি বাচ্চাদের মতো?
অনিক কাছে গিয়ে ড্রেসিং টেবিলের পাশে ঝুকে বললো, এতো সুন্দরী বউ থাকলে মাথা আর ঠিক থাকে?
আচ্ছা আমি ব্রেকফাস্ট রেডি করছি, তুমি আসো।
যাও আসছি বলে অনিক মাথার চুল আঁচড়ে নিলো, এরপর কম্পলিট স্যুট একটা বের করে পড়তে শুরু করলো।
ওদিকে ছায়া বের হয়েই ব্যস্ত হয়ে পড়লো ব্রেকফাস্ট রেডি করতে, সেলফোনে রিং হচ্ছে দেখে ছায়া রিসিভ করে হ্যালো বললো।
আমার মা কেমন আছে, অনিকের মার কণ্ঠ।
ভালো আছি মা, আপনি বাবা সবাই কেমন আছেন।
আমরা ভালো আছি, ব্রেকফাস্ট করেছো?
না মা এখন করবো, আপনার ছেলে আসলে করবো।
আচ্ছা ভালো, তোমার বাবা কেমন আছে?
বাবা ভালো আছে, আজকে দেশের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন।
কেন দেশে আসছেন?
মা ওখানেই তো সব উনার, আচ্ছা ভালো কথা মা, আপনাদের সবার জন্য কিছু গিফট পাঠাচ্ছি বাবাকে দিয়ে।
মা শুনছেন?
হাঁ শুনছি, আচ্ছা শুনো যে কারণে ফোন দিয়েছি।
জ্বি মা বলুন।
না বলছিলাম কি, বিয়ের তো এক বছর হয়ে গেলো, এদিকে আমরা দুই বুড়ো-বুড়ি আরও বুড়ো হচ্ছি, তোমাদের সেই খেয়াল আছে?
ছায়া অবাক হয়ে বললো, মা আমি বুঝতে পারিনি?
বলছি তোমাদের প্ল্যানিং কি, কিছু চিন্তা ভাবনা করছো কি?
ছায়া না বুঝে আমতা আমতা করে বললো, মা আপনাদের কিছু লাগবে, অনিককে বলি কথা বলতে?
ওর সাথে তো কথা বলবো, আগে তোমার সাথে বলি।
জ্বি মা বলুন।
এ বয়সে আমাদের তো আর চাওয়ার কিছুই নেই, শুধু দেখতে চাই নাতি নাতনিদের মুখ।
ছায়া চমকে উঠলো।
কি কিছু বলছোনা যে, নাকি আরও সময় নেবে?
মা, আমি অনিকের সাথে কথা বলি?
একি শুধু অনিকের ব্যাপার, আমি চাই আগামী বছর যেন তুমি মা হও।
চিন্তিত ছায়া বললো, জ্বি মা।
খুশি হলাম মা, তোমরা প্ল্যানিং শুরু করো, আমি এখন রাখছি, ঘুমাবো।
সালাম।
ওয়ালাইকুম আসসালাম।
ছায়া চিন্তিত মনে ব্রেকফাস্ট টেবিলে দিচ্ছে, অনিক এসে জিজ্ঞেস করলো, আনকেল কই আসেননি?
ছায়া চমকে উঠলো দেখে বললো, কি ব্যাপার তোমাকে চিন্তিত মনে হচ্ছে?
তুমি কি যেন বললে?
বলছিলাম আংকেল কই?
কই বাবা তো এখনো আসেনি, দেখো তো এখনো ঘুম কিনা?
অনিক উঠে গিয়ে দরজা নক করে ভিতরে প্রবেশ করে দেখলো রওশনের বাবা মাত্র ঘুম থেকে উঠলেন।
কি আংকেল আজ কি অসুস্থ লাগছে?
না বাবা, ঘুম একটু গাড়ো হয়েছিলো?
আচ্ছা আপনি ফ্রেস হয়ে আসুন, আমরা অপেক্ষা করছি।
আচ্ছা আসছি বাবা।
অনিক বের হয়ে টেবিলে বসে ব্রেকফাস্ট শুরু করলো।
বাবা কি আসছেন?
একটু সময় লাগবে, মাত্র উঠেছেন।
ওহ।
তা তুমি কি নিয়ে চিন্তায় ছিলে বললে নাতো?
মা ফোন দিয়েছিলো।
তাই, তা কি বললো মা।
যার ভয় করেছিলাম তাই হলো অনিক, বলেই চিন্তিত ছায়া অনিকের দিকে তাকালো।
মানে কি, কিসের ভয় করেছিলে?
মা বললো, উনারা নাতি নাতনির মুখ দেখতে চান, ভয়ার্ত মুখে তাকালো অনিকের দিকে।
অনিকও চিন্তিত হলো, ছায়ার দিকে তাকিয়ে বললো, আচ্ছা তুমি চিন্তা করোনা, আমি ভেবে দেখছি, বলেই বাকি ডিমটা মুখে দিয়ে উঠে বেডরুমের দিকে এগুলো।
অনিককে রুমের দিকে এগুতে দেখে ছায়াও পিছন পিছন গেলো, ভিতরে প্রবেশ করে অনিকের মুখোমুখি হলো।
আমি, আমি এই ভয়টাই পাচ্ছিলাম অনিক।
টাইয়ের নটটা ঠিক করতে করতে বললো, এতে ভয়ের কি আছে, বললাম তো আমি দেখছি।
ছায়া অনিকের হাত ধরে ওর দিকে ফিরিয়ে বললো, কিভাবে?
কিভাবে কি, দরকার হলে আমরা বাচ্চা একটা পালক নিবো।
এতে সমস্যা মিটবে তো অনিক?
কেন মিটবে না?
বাবা মাকে বলতে পারবে যে আমরা বাচ্চা দত্তক নিবো?
তা কেন বলবো, বলবো তোমার বাচ্চা।
এতো সহজ, কোন প্রেগন্যান্ট হলাম না, বাচ্চা হয়ে গেলো?
অনিক চিন্তিত মনে বললো, তাও তো কথা।
তাহলে কি করবো বলো?
অনিক ছায়ার দুই কাঁদে হাত দিয়ে বললো, দেখো সব সমস্যার সমাধান আছে, আমাকে একটু ভাবতে দাও, বলেই ছায়ার ভয়ার্ত কম্পমান ঠোঁটে চুমু খেয়ে বললো, আমি যতক্ষণ আছি ততক্ষণ চিন্তা করবেনা, এখন বিদায় দাও, অফিসে অনেক কাজ পড়ে আছে।
অনিককে বিদায় দিয়ে ছায়া চিন্তিত মনে এগুলো কিচেনের দিকে, রওশনের বাবা বসে আছেন ব্রেকফাস্ট করার জন্য।
বিয়ের পর উনিও চলে যেতে চেয়েছিলেন অনিকের ফ্যামিলির সাথে, কিন্তু অনিক বললো, এখন যেয়ে কি করবেন, ওখানে তো কেউ অপেক্ষা করে নেই আংকেল, আপনার ছেলে তো এইখানে, ছেলের বউও আছে এইখানে, তাহলে কেন যাবেন?
রওশনের বাবা অনিককে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ছিলেন, এরপর উনি থেকে যান, আজ এক বছর পর উনি দেশে যাচ্ছেন উনার সম্পত্তি গুলো একবার দেখে আসার জন্য, মনে মনে ঠিক করেছেন পারলে কিছু বিক্রি করে তা ছায়ার জন্য রেখে দেবেন এফডি করে।
ছায়া ব্রেকফাস্ট দিয়ে বললো, বাবা আপনি খান, ততক্ষণে আমি আপনার ব্যাগ ঘুঁচিয়ে ফেলি।
ঠিক আছে মা, কিন্তু তোকে এত চিন্তিত মনে হচ্ছে কেন?
কই নাতো, ছায়া হাসতে চেষ্টা করলো।
ঠিক আছে তুমি যাও মা, আমি খেয়ে নিই।
….. চলবে।
ছবিঃ গুগল।
জনস্বার্থেঃ
৪০টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
এই বার শাশুড়ির আসল রূপ লেখক কীভাবে সামলান! সেটাই দেখার বিষয়।
ইঞ্জা
হাঁ ভাইজান, এখন দেখার কি ঘটে, বিশজয়টা স্বাভাবিক নয় কি?
ভালোবাসা জানবেন ভাইজান।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
বললাম না রহস্য অপেক্ষা করছে? ভাইয়া খুব ভালো লাগছে গল্পটা। ভালো থাকবেন সবসময় শুভ কামনা রইলো
ইঞ্জা
রহস্য বলবোনা আপু, বলবো সামাজিকতার বেড়াজাল, পরে যা হবে তা ইতিহাস।
ধন্যবাদ আপু।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
হুম কিছু যে একটা আছে পরবর্তী তে আমাদের জন্য সেটার আভাস পেয়েছি
ইঞ্জা
😁 আমাদের ব্লগের কর্ণধারদের একজন আপনি, স্বাভাবিক ভাবেই কিছুটা আন্দাজ তো করতেই পারেন। 😆
সুপর্ণা ফাল্গুনী
🤭🤭🤭শরম লাগে। কিছু না থাকলে বিয়েতেই গল্প শেষ হবার কথা, তারপর আফরিনের বিষয়টি নিশ্চিত করলেন, সুখ তো চিরস্থায়ী নয় তাই একজন নারী মা হতে পারবেনা এটা আমাদের সমাজ এখনো পুরোপুরি মেনে নিতে পারে না। তাই মনে হলো কিছু একটা কিন্তু আছে। 🙂🙂🙂🙂
ইঞ্জা
সত্যি তাই, গল্পটি বিয়েতেই শেষ করতে চেয়েছিলাম কিন্তু মাথায় অন্য কিছু ঘুরপাক খেলো, তাই আবার এগুলাম।
ধন্যবাদ আপু, গল্পটি মন দিয়ে পড়ছেন দেখে আপ্লুত হলাম।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
আপনাকেও ধন্যবাদ ভাইয়া। শুভ কামনা রইলো আপনার ও আপনার গল্পের জন্য
ইঞ্জা
শুভেচ্ছা অনিমেষ
জিসান শা ইকরাম
সুখের সংসারে অশনি সংকেতের পদধ্বনি শুনতে পাচ্ছি।
মা বাবার নাতি নাতনীর আকাংখা অনিক ছায়া কিভাবে সামলায় তা জানার অপেক্ষায় রইলাম।
ভালো থাকবেন ভাইজান।
শুভ কামনা।
ইঞ্জা
অশনি সংকেত বলা যায় কি ভাইজান, আমি বলবো সামাজিকতার বেড়াজালে ছায়া ও অনিক, এইতো হওয়ার কথা নাকি?
ভালো থাকবেন ভাইজান, ধন্যবাদ।
জিসান শা ইকরাম
হ্যা ঠিক বলেছেন। বাবা মা সব সময়ই চান তাদের ছেলে মেয়ের সন্তান হোক।
শুভ কামনা ভাইজান।
ইঞ্জা
জ্বি ভাইজান, ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানবেন।
শামীম চৌধুরী
মন দিয়ে পড়লাম আপনার একমুঠো ভালোবাসা। দুই মুঠো ভালোবাসা দিতে পারলে সংসারটা বাঁচবে। আমরা কোন সংসারে অশনি সংকেত শুনতে চাই না।
ধন্যবাদ ভাইজান সুন্দর একটা লেখা শেয়ার করার জন্য।
ইঞ্জা
সংসারে ঝামেলা তো থাকবেই, তা আবার মিটবে ভাই, নাহলে যে জীবনের ছন্দপতন হয়ে যাবে।
অপরিসীম ধন্যবাদ ভাই।
শামীম চৌধুরী
কৃতার্থ
ইঞ্জা
শুভেচ্ছা ভাই
সাবিনা ইয়াসমিন
সুখের মূহুর্তে ছায়ার চিন্তিত হবার কারণ জানা গেলো। গতানুগতিক ধারায় শাশুড়ীর চাওয়া উপস্থাপন হয়েছে। এখন দেখার পালা, অনিক কিভাবে সব সামাল দেয়।
পরের পর্বের অপেক্ষায় আছি,
শুভ কামনা রইলো ভাইজান 🌹🌹
ইঞ্জা
জ্বি আপু, এ স্বাভাবিকই ছিলো, এখন দেখার বিষয় অনিক ছায়া বিষয়টিকে কিভাবে সামলায়।
দ্রুতই পাবেন আপু, সময় পাওয়াতে গল্প এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি, দোয়া করবেন।
ধন্যবাদ নিরন্তর আপু।
সঞ্জয় মালাকার
দাদা, মুঠো ভরা ভালোবাসা দিতে পারলে সংসারটা বাঁচবে।
পড়ে মুগ্ধ হলাম দাদ , ভালো থাকবেন সবসময় শুভ কামনা।
পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
ইঞ্জা
আন্তরিক ধন্যবাদ দাদা, আমি চাই মুঠোয় মুঠোয় ভালোবাসা দিতে, ধন্যবাদ।
সঞ্জয় মালাকার
আপনাকেও ধন্যবাদ দাদা,
ভালো থাকবেন সবসময়।
ইঞ্জা
শুভেচ্ছা জানবেন দাদা।
ফয়জুল মহী
লেখা চমৎকার
ইঞ্জা
অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ভাই।
সুপায়ন বড়ুয়া
এতো সুন্দরী বউ থাকলে মাথা আর ঠিক থাকে?
হা হা সবার মাথা কি দু:শ্চিন্তা ভর করে ?
ভাল লাগলো। শুভ কামনা।
ইঞ্জা
সত্যি তাই দাদা, সত্যি বলতে কি বউ সুন্দরী হোক আর না হোক, ভালোবাসাটা অকৃত্রিম হোক।
ধন্যবাদ সতত দাদা।
সুরাইয়া পারভীন
একজন মা চাইবেই তার ছেলের সন্তান
মানে নাতি নাতনি আসুক আর তাদের নিয়ে
বাকি সময়টুকু কাটাতে। এটা দোষের কিছু নয়
ছায়া মা হতে পারবে না এটাও ছায়া দোষ নয়
দেখা যাক সিচ্যুয়েশন কোন দিকে মোড় নেয়
ইঞ্জা
হাঁ আপু, এইটিও সামাজিকতার একটি অংশ, যদিও উনারা জানেন না ছায়ার সমস্যা আছে।
অপরিসীম ধন্যবাদ আপু, ভালো থাকবেন।
সুরাইয়া পারভীন
আপনিও ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন সবসময় ভাইয়া।
ইঞ্জা
শুভেচ্ছা আপু
সুরাইয়া নার্গিস
ভাইজান দারুন লাগছে গল্পের প্রতিটা পর্ব, এটাও ভালো লাগছে।
সব বাবা মা চায় পরিবারে নতুন অথিতি অসুক, অনিকের বাবা মায়ের চাওয়াটা স্বাভাবিক।
ছায়ার চিন্তার কারন আছে শ্বাশুড়ী মায়ের আচরন হয়ত গল্পের নতুর মোড় নিবে।
অনিকে সার্পোট থাকলে আশা করছি খুব বেশি সমস্যার সমুখীন ছায়া হবে না।
পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ভাইজান।
ইঞ্জা
জ্বি আপু, এইসব তো আমাদের জীবনেরই অঙ্গ, এখন দেখার অপেক্ষা কি হয়।
ধন্যবাদ অনিমেষ আপু।
তৌহিদ
আসলে আমাদের সমাজে নাতিনাতনির মুখ দেখবে বলে ছেলে বা মেয়ের বাবা মা উদগ্রীব থাকেন। এটা উপরওয়ালার ইচ্ছে। অনেকেরই বাচ্চাকাচ্চা হয়না। দেখা যায় দোষ এসে পড়ে বৌয়ের ঘারে! এখানেও সেরকম কিছু হবে কিনা কে জানে। দাম্পত্য জীবনে ভালোবাসাটাই আসল।
আশাকরি অনিক ছায়া মিলে একটা সুন্দর সমাধানে আসবে। তাদের বাবা মা যেন ভুল না বোঝে।
ইঞ্জা
অনিক ছাড়া ওর পরিবারের কেউই জানেনা ছায়া মা হতে পারবেনা, যাও চান্স আছে তা মাত্র ১%, সমস্যাটা আরও গুরুতর ভাই।
ভালোবাসা জানবেন ভাই।
শিরিন হক
যতটুকু পড়লাম ভালো লাগলো। বাকিটা নিশ্চই পড়বো কথা দিলাম।
ইঞ্জা
আপ্লুত হলাম আপু,
ইঞ্জা
আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
হালিম নজরুল
এবার সন্তান প্রাপ্তির আকাঙ্ক্ষা