
এরপর কি হলো মম?
এরপর ছায়ার পেটে তুই যতই বড় হচ্ছিলি ততই ছায়ার মেজাজ খিটখিটে হয়ে উঠতে লাগলো, মেজাজ উঠলে হাতের কাছে যা ছিলো তাই ছুড়ে ভেঙ্গে ফেলতো, মাঝে মাঝে একদম চুপ মেরে যেতো।
ডাক্তার বলেছিলো তোর বাবাকে, তোকে নেওয়াটাই চরম ভুল ছিলো ছায়ার, কারণ ছায়ার অপারেশনের পর ও বাচ্চা নেবে তাই কল্পনা করতে পারেনি ওরা, তোর বাবা বলেছিলো তোকে নষ্ট করে ফেলার জন্য, সেটাই ছায়ার মনে প্রভাব ফেলে।
একদিন আমি অফিস শেষে দেখতে এলাম ছায়াকে, ছায়ার পাশে বসতেই ও আমাকে জড়িয়ে ধরে ভীষণ ভাবে, জড়িয়ে ধরে বললো, বন্ধু ওয়াদা করো প্লিজ ওয়াদা করো, তুমি আমার বাচ্চাকে নিজের মতো করে মানুষ করবে, কখনো ওর মার কথা মনেও আনতে দেবেনা?
আমি অবাক হয়ে বললাম, কেন এমন বলছো?
ছায়া তখন কান্না করতে লাগলো আর বললো, আমি জানি আমার সময় শেষ হয়ে আসছে, আমি বেশিদিন বাঁচবো না।
আমি অভয় দিয়ে বলেছিলাম, তুমি ওসব চিন্তা করছো কেন, তুমি নিশ্চয় ঠিক থাকবে।
ও আমাকে ছেড়ে দিয়ে বললো, আমি চলে গেলে তুমি অনিককে বিয়ে করো, আমার বাচ্চার মা হইয়ো।
আফরিনের দুচোখ ভর্তি জল গড়িয়ে পড়লো।
মম এরপর কি হলো?
ছায়া তখন সাত মাসের গর্ভবতী, হটাৎ খুব পেইন শুরু হলো ওর, তোর বাবা দ্রুত এম্বুলেন্স কল করে ছায়াকে হাসপাতালে নিয়ে যায়, ডাক্তাররা বললো দ্রুত অপারেশন করতে হবে, নাহলে তোকে আর তোর মাকে বাঁচানো যাবেনা, এমনিতেই তোর মার অবস্থা ক্রিটিকেল ছিলো।
ডাক্তাররা তোর বাবাকে বললো, শুধু মাত্র আল্লাহই পারেন এই বিপদ থেকে উদ্ধার করতে।
তোর বাবা পাগলের মতো হয়ে গিয়েছিলো, ডাক্তারকে বললো, প্লিজ আপবারা আমার ছায়াকে বাঁচান।
তোর দাদু, দিদা সবাই তোর বাবাকে ধরে রেখেছিলো, স্বান্তনা দিচ্ছিলো।
ঘন্টা খানেক পর ডাক্তার বেরিয়ে এসে জানালো, মেয়ে হয়েছে কিন্তু প্রিম্যাচ্যুরিটির কারণে তোকে ভেন্টিলেটরে রেখেছে, তোর দাদু দিদারা সবাই তোকে দেখতে গেলো, শুধু আমি আর অনিক ছাড়া।
আধা ঘন্টা পর তোর মাকে বের করে আনা হয় আইসিইউতে নিয়ে যাবার জন্য, তখন ও সেন্সলেস।
অবস্থা খুব খারাপ হচ্ছিলো ওর, ঘন্টা তিনেক পর ডাক্তার এসে আমাদের দুজনকে নিয়ে গেলো ছায়ার কাছে, ছায়া খুব ধীরে তোর বাবাকে আর আমাকে ডাকে, আমরা দুজন কাছে গেলে ছায়া বললো।
বাবু আমি যাচ্ছি, তুমি কান্না করোনা, তুমি আফরিনকে বিয়ে কোরো, ওই হবে আমার মেয়ের মা।
অনিক তখন একদম বোবা, শুধু চোখ দিয়ে জল গড়াচ্ছেই।
ছায়া আমার হাতটা নিয়ে অনিকের হাতে দিলে অনিক তা ছেড়ে দেয়, যা আজ পর্যন্ত আর ধরেনি।
কেন মম?
কারণ তোর বাবার ভালোবাসা ছিলো ছায়া, তোর মা।
আমি ছিলাম ওদের বন্ধু।
তারপর কি হলো?
তোর মা অনুরোধ করেছিলো অনিককে যে ওর বুকে নিতে, অনিক বিছানাতে উঠে ওকে বুকে নেয়, ওই অবস্থাতেই তোর মা চলে যায়, তোর বাবা অনেকক্ষণ বুকে নিয়ে রেখেছিলো তোর মাকে, ডাক্তাররা ছাড়িয়ে নিতে চাইছিলো কিন্তু ও ছাড়ছিলোনা।
তোর দাদু এসে জোর করে ছাড়িয়ে নিয়ে যায় অন্য রুমে, তখন তোর বাবার চোখে এক ফোটা জল ছিলোনা, কেমন যেন শক্ত হয়ে গিয়েছিলো।
এরপর থেকে তোর বাবা আর আগের মতো নেই, সেই হাসি, চকচকে চোখ সব হারিয়ে গেলো, ফিরে এলো রাগ, বদ মেজাজ।
তোর দাদুই তোর নাম রাখলেন, আমি তোর ডাক নাম দিলাম ছায়া, তুই যতই বড় হচ্ছিলি ততই তোর চেহেরাটা ছায়ার মতোই হচ্ছিলো।
আফরিন উঠে গিয়ে আলমিরা থেকে একটা এলবাম এনে দিয়ে বললো, খুলে দেখ।
ছায়া প্রথম কয়েকটা পাতা উল্টালো অবাক হয়ে, ততই অবাক হয়ে বললো, এ তো আমার ছবি, কিন্তু এইসব ড্রেস তো আমি পড়িনা?
বললাম না তুই তোর মায়ের মতোই হয়েছিস?
ছায়া অবাক নয়নে তাকিয়ে বললো, মা একদম আমার মতো ছিলো।
হ্যাঁরে তুই আর তোর মা একি চেহেরার, যেন টুইন।
ছায়া প্রতিটি ছবি উল্টাতে উল্টাতে প্রশ্ন করলো, তুমি এতোদিন এইসব বলোনি কেন মম?
তখন বলার সময় হয়নি বলেই বলিনি, আজ তোর আঠারো তম জন্মদিন, সময় হয়েছে সব খুলে বলার।
বাবা তোমাকে বিয়ে করেনি কেন?
আফরিনের চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়লো।
কি মম বলোনা?
তোর বাবা যে এখনো ছায়াকে ভালোবাসে, আমি আজীবনের বন্ধুই রয়ে গেলাম।
মাকে কোথায় কবর দিয়েছো?
এই কাছের মসজিদ কবরস্থানে।
আমি যাবো।
ঠিক আছে মা, আগামীকাল নিয়ে যাবো।
ছায়া উঠে গিয়ে জড়িয়ে ধরলো আফরিনকে, বললো মম আমি তোমাকে ভালোবাসি।
আমিও তোমাকে খুব ভালোবাসি মামনি।
মম তুমি বিয়ে করোনি কেন জানতে পারি?
আফরিন অতীতে ফিরে গেলো, ছায়ার মৃত্যু শোক অনিককে ঘিরে ধরেছিলো, মেয়েকে হাসপাতাল থেকে যখন রিলিজ দিলো তখন আফরিনই মায়ের আদরে নিজ দ্বায়িত্বে নিয়েছিলো, ও তখন সব ছেড়ে ছুড়ে ফেলে মেয়ের মা হয়ে গেলো, বছর খানেক পর অনিকের ফ্যামিলি এবং আফরিনের মা অনিককে অনুরোধ করেছিলো আফরিনকে বিয়ে করার জন্য, এক সময় অনিকই আফরিনের সাথে কথা বলে জানালো ছায়ার সাথে অনিকের ভালোবাসার গভীরতার কথা, অনিক বলেছিলো যে আফরিনকে বিয়ে করা মানেই ছায়ার প্রতি অবিচার করা, যা অনিক কখনোই পারবেনা।
আফরিনও আর ও কথা চিন্তাই করেনি, যদিও সে মেয়ের দিকে তাকিয়ে এ ঘরেই মেয়ের মা এবং অনিকের বন্ধু হিসাবেই থেকে গিয়েছিলো।
মম আমি বাবার কাছে যাবো।
আফরিন চমকে উঠলো, আতংকে নীল হয়ে গেলো মুখটা, মুখে বলে উঠলো, না না মামনি ভুলেও না, তোমার বাবা আজ পর্যন্ত তোমার মুখ দেখেওনি, দেখবেও না বলেই পণ করে আছে, তুমি সামনে গেলেই ও রেগে যাবে, তখন তোমারও মন খারাপ হবে, সাথে ওরও মন খারাপ হবে।
না মম আজ আমি তোমার কথা শুনবোনা, তুমি আমাকে বাধা দিওনা, বলেই ছায়া এগুলো উপরে ওর বাবার রুমের দিকে, আফরিন তড়িঘড়ি করে ছুটলো মেয়েকে বাধা দিতে, মেয়ে দৌড়ে সিড়ি দিয়ে উপরে উঠে গেলো, সোজা অনিকের রুমের দরজায় গিয়ে নক করে দরজা খুলে ভিতরে প্রবেশ করলো।
ভিতরে প্রবেশ করেই অনিককে সোফায় বসা দেখে দৌড়ে গিয়ে ঝাপিয়ে পড়লো অনিকের বুকে।
বাবা, আমার বাবা, আমি তো কোনো দোষ করিনি, আমি তো তোমাদের ভালোবাসারই প্রতীক, আমি তো তোমাদেরই অংশ।
অনিকের চোখে জলের ধারা বয়ে যেতে লাগলো, এক সময় মেয়েকে জড়িয়ে ধরে বললো, মারে সত্যি তুই ভুল করিসনি, তুই তো আমাদেরই অংশ, বলেই কাঁদতে শুরু করলো অনিক।
বাবা আই লাভ ইউ।
আই লাভ ইউ টু মা।
দরজায় দাঁড়ানো আফরিনের চোখেও অঝোর ধারা, বাবা মেয়ের এই মিলন যে কতো আনন্দের তা কে বা বুঝে, আজ আঠারো বছর পর অনিক কাঁদছে।
সমাপ্ত।
ছবিঃ গুগল।
জনস্বার্থেঃ
২৭টি মন্তব্য
বন্যা লিপি
এটা কি করলো লেখক? যতই পড়ছিলাম ততই দুমড়ে মুচড়ে যাচ্ছিলো বুকের ভেতর।বিয়োগান্তক সমাপ্তি। এতকিছুর পরও ছায়া থাকলো না অনিকের ছায়া হয়ে।
এক মুঠো ভালবাসা রয়ে যায় মুঠোছাড়া……..
ইঞ্জা
ছায়া অবশ্যই রয়েছে মেয়ের মাধ্যমে অনিকের ছায়া হয়ে, ছায়ার এক মুঠো ভালোবাসায় হলো অনিকের আজীবনের পাওয়া।
আন্তরিক ধন্যবাদ আপু, পাশে থেকে ভাইয়ের অনুপ্রেরণা যোগালেন অনেক। 💕
ছাইরাছ হেলাল
শেষটি অনেক সুন্দর হয়েছে, বিশেষ করে ছেলেটির মুখে সংলাপ দিয়ে।
আফরিনের কী হয় সেটি নিয়ে ভাবছিলাম, একবার বলেও ছিলাম, সেটি ও সুন্দর ভাবে ম্যানেজ করেছেন।
অনিকের সাথে মিলিয়ে দিয়ে সুখময় পরিসমাপ্তি সিরিজটি ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে।
এতগুলো পর্ব টেনে নিয়ে যাওয়া সহজ ছিল না।
সফল-সুন্দর শেষের জন্য অবশ্যই ধন্যবাদ, ভাই।
ইঞ্জা
আমি সম্মানিত হলাম ভাইজান, গল্পটার শেষ পর্ব এভাবে ভাবিনি কখনো, গতদিন মাথায় এলো এর পরিসমাপ্তি, আপনাদের ভালো লেগেছে এই অনেক বড় প্রাপ্তি আমার, ভালোবাসা জানবেন।
ধন্যবাদ।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
আমার এখন আফরিনের জন্য খুব খারাপ লাগছে। বেঁচে থেকে এই কষ্ট সহ্য করা দায়। নিঃস্বার্থ ভালোবেসে গেল , জন্ম না দিয়েও মা হলো কিন্তু সংসার, স্বামী পেলো না।অনিক এর ভালোবাসা অনবদ্য , একটা ছেলে কতখানি ভালোবাসলে বৌ মারা যাবার পর ও কাউকে হৃদয়ে জায়গা দেয়না । শেষটা ভালো লেগেছে খুউব। আরো গল্প চাই এমন সুন্দর গল্প । ভালো থাকবেন সবসময় শুভ কামনা রইলো
ইঞ্জা
আফরিনের ত্যাগ ছিলো বন্ধুর জন্য যা আজীবন মনে রাখবে পাঠক কূল, আফরিনকে বিয়ে করে ছায়ার ভালোবাসার অমর্যাদা হোক তা চাইনি আমি, ছায়ার ছাতা হয়ে মেয়ে ফিরে এলো অনিকের জীবনে, অনিকের এক মুঠো ভালোবাসা প্রাপ্তিই ছিলো গল্পের মূল।
পাশে থেকে অনুপ্রেরণা দেওয়ার জন্য ভাইয়ের ভালোবাসা জানবেন আপু, ধন্যবাদ।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
বিয়েটা না দিয়েই ভালো করেছেন । এখানেই আমার বেশী ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ ভাইয়া শুভ কামনা রইলো
ইঞ্জা
ধন্যবাদ নিরন্তর আপু। 🙂
সুপায়ন বড়ুয়া
“দরজায় দাঁড়ানো আফরিনের চোখেও অঝোর ধারা, বাবা মেয়ের এই মিলন যে কতো আনন্দের তা কে বা বুঝে, আজ আঠারো বছর পর অনিক কাঁদছে।”
সুন্দর পরিসমাপ্তি টানলেন ছায়ার প্রতি ভালবাসায় মেয়ের প্রতি ১৮ বছর অবিচার। সবশেষে মেয়েকে ভালবাসার প্রতীক হিসেবে মনে নেয়া। সবকিছু মিলে ভালই লাগলো।
শুভ কামনা।
ইঞ্জা
ধন্যবাদ দাদা, অনিকের এক মুঠোভালোবাসা প্রাপ্তিই ছিলো গল্পের মূল অংশ।
আপনাদের অনুপ্রেরণা আমার গল্পকে এগিয়ে নিয়ে গেছে, ধন্যবাদ আবারও দাদা, ভালোবাসা জানবেন।
তৌহিদ
শেষ পর্ব!! এত তাড়াতাড়ি!!
লেখাটি পড়ে দাদা সত্যিই আবেগে আপ্লুত হলাম। আপনার লেখা এই ধারাবাহিক গল্পে যেমন সামাজিকতার রেশ ছিলো তেমনি পারিবারিক জীবনের নানাবিধ ঘটনা এই গল্পটিকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে। এ যেন আমাদের চারপাশে ঘটে যাওয়া সব বাস্তব চিত্র ফুটে উঠেছে।
ছায়ার শোক ভোলা অনিকের জন্য এত সহজ হবেনা নিশ্চিত তেমনি অনিক আফরিনকে বিয়ে করলেই যে তারা সুখি হতো এমনটা নাও হতে পারতো। তবে শেষের অংশে বাবা মেয়ের মিলন যেন সিনেমাকেও হার মানায়।
আপনার এই ধারাবাহিক লেখার সব পর্বই পড়েছি। হিংসে হয় যে আপনার মত ধারাবাহিক গল্প লিখতে আমি পারিনা কেন? আবার নতুন কোন গল্প নিয়ে অরি সত্ত্বর ফিরে আসুন এটাই কামনা।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ পাঠকের কাছে এমন সব লেখা উপহার দেবার জন্য। ভালো থাকুন সবসময়। শুভকামনা জানবেন দাদা।
ইঞ্জা
আমি সম্মানিত হলাম ভাই, এমন গঠনমূলক মন্তব্য আমার লেখাকে সমৃদ্ধ করেছে, গল্পের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারবো কিনা এক সময় ভাবিয়েছে আমায়, ইচ্ছে ছিলো আরও বড় করি, গত কয়েকদিন আগেই দুপুরের ভাত ঘুমের চেষ্টার সময় মাথায় আসে এই প্লট, এরপর সময় নিয়ে আরম্ভ করি।
এখন আপনাদের ভালো লেগেছে যেনে যারপরনাই আনন্দিত হলাম।
ধন্যবাদ প্রিয়জন। ❤💕
তৌহিদ
শুভকামনা সবসময় দাদা।
ইঞ্জা
ভালোবাসা অফুরান।
জিসান শা ইকরাম
হঠাৎ করেই শেষ করে দিলেন গল্পটি,
শেষ পর্বের রেস অনেক দিন পর্যন্ত থাকবে পাঠক হৃদয়ে।
এই পর্বটি পড়ে মন ভারাক্রান্ত হয়ে গেলো ভাইজান। ছায়া এভাবে চলে যাক তা চাইনি আসলে। অনিক ছায়ার ভালোবাসা দৃষ্টান্ত হয়ে রইল। আর আফরিন যে স্বার্থ ত্যাগ করলো এর তুলনা নেই কোনো। বন্ধু হয়ে থেকে অনিক ছায়ার সন্তানের ম্যা হয়ে থাকলো।
বাবা মেয়ের মিলন দৃশ্য যেন বাস্তবে দেখলাম।
সফল একটি সিরিজ সমাপ্ত করলেন। যে ধৈর্য্য নিয়ে এতগুলো সিরিজ এর মাধ্যমে গল্পকে এগিয়ে নিয়ে এলেন, তার তুলনা নেই। কিভাবে এমন করে লিখেন তাই ভাবি আমি। একটি গল্প তিনটি পর্ব প্রকাশ করেই হাফিয়ে উঠেছিলাম আমি। ধারাবাহিকতা রক্ষা করা অত্যন্ত কঠিন আসলে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা এমন একটি গল্প সিরিজ উপহার দেয়ার জন্য।
” এক মুঠো ভালোবাসা ” কে মিস করবো খুব।
অপেক্ষায় থাকবো আবার কোনো এক নতুন সিরিজের।
শুভ কামনা।
ইঞ্জা
আমি সত্যি সম্মানিত ভাইজান, সাথে আনন্দিতও, মাঝে মাঝে আমিও খেই হারিয়ে ফেলতাম বলে অনেক সময় নিজেকে লেখা থেকে বিরত রেখেছি, এখন আপনি এবং পাঠকদের ভাষায় সফল পরিসমাপ্তি হয়েছে যেন চোখে আনন্দাশ্রু চলে আসলো, আপনাদের ভালোবাসা ও সহযোগিতা ছাড়া এমন করে গল্প লেখা আমার দ্বারা সম্ভব ছিলোনা, সত্যি আমি আপনাকে ধন্যবাদ জানাই আমার মতো অলেখককে সোনেলায় এনে লেখক বানিয়ে দেওয়ার জন্য, আপনাকে স্যালুট ভাইজান।
ধন্যবাদ অনিঃশেষ।
সাবিনা ইয়াসমিন
গল্পের সমাপ্তিটা অনেক সুন্দর আর হৃদয়গ্রাহী করে তুললেন। শুরু থেকেই এই গল্পের ভেতর অনেক চরিত্র এনেছেন, দিয়েছেন আলাদা আলাদা মর্যাদা। আবার গল্পের প্রয়োজনে প্রতিটি চরিত্রকে বাস্তবায়ন করেছেন নিপুণ দক্ষতায়। সব মিলিয়ে “এক মুঠো ভালোবাসা” আপনার সমস্ত ব্লগীয় লেখার মাঝে সেরা অলংকরণ হয়ে রইলো ভাইজান।
অনেক অনেক অভিনন্দন এবং শুভেচ্ছা জানাই।
আশা করছি আগামীতে আপনি আমাদের আরও ধারাবাহিক পোস্ট উপহার দিয়ে পাঠকের মন পরিপূর্ণ করে দিবেন।
ভালো থাকুন ভাইজান,
শুভ কামনা অবিরত 🌹🌹
ইঞ্জা
আপ্লুত হলাম আপু, আমার লেখক জীবন সোনেলাকে দিয়েই শুরু, আমার লেখক স্বত্বাকে ভাইজানই দেখেছিলেন শুধু, আমার লেখা গুলো তাই সোনেলাকে ঘিরেই আবর্তিত হয়, এই গল্পটি সোনেলায় লেখা আমার লেখা সবচেয়ে বড় ধারাবাহিক ছিলো, এতবড় লেখা টেনে নিয়ে যেতে পারবো তা আমিও ভাবিনি, এ শুধু সম্ভব হয়েছে আপনাদের ভালোবাসা ও স্নেহ মায়া মমতার কারণে।
ধন্যবাদ আপু, দোয়া রাখবেন।
পার্থ সারথি পোদ্দার
আমি আপনার এই সিরিজ পুরোটা পড়তে পারিনি ব্লগে লেইট কামার হওয়ায়।তবে আপনার এক মুঠো ভালবাসার ৪৫ পর্ব পেরিয়ে শেষ পর্বের দিকে চোখ বুলাচ্ছিলাম এখন।ভাবছিলাম কতই না সযত্নে আপনি এই গল্পের ধারবাহিকতা রক্ষা করেছেন।
স্যালুট,ইঞ্জা ভাই।
ইঞ্জা
আপ্লুত হলাম ভাই, সুন্দর মন্তব্যে আমি সম্মানিত হলাম।
ধন্যবাদ ভাই।
ফয়জুল মহী
একরাশ মুগ্ধতা । একরাশ ভালো লাগার ভালোবাসা ।
ইঞ্জা
শুভেচ্ছা ও শুভকামনা ভাই, ধন্যবাদ।
সুরাইয়া পারভীন
কয়েকটা পর্ব পড়তে পারিনি। গল্পের শেষ পাতা না পড়লে খুব মিস করতাম এতো সুন্দর সম্পাত্তিটা।
তবে শেষ পর্ব পড়েই যেন পুরো গল্পের তাৎপর্য বুঝতে পারলাম।
হায় এতো কষ্টে পাওয়া ছায়াকে অনিক ধরে রাখতে পারলো না। প্রকৃতির কাছে হেরে গেলো ভালোবাসা।
ছায়া কে আকড়েই আঠারোটা বছর কাটিয়ে দিল অনিক।
আফরিনের এই ত্যাগে তাকে মহৎ হৃদয়ের অধিকারী হলো পাঠকের চোখে। যে তার অবস্থান থেকে ভালোবাসার পরীক্ষা দিয়ে গেলেন। আর সবাই সে পরীক্ষা তে জয়ী হয়েছে।
শেষ পর্যন্ত হৃদয় ব্যথিত হলো পাঠক হৃদয়। অসম্ভব সুন্দর হয়েছে শেষ পর্ব।
ইঞ্জা
আমি সম্মানিত সুন্দর এবং আপনার গঠনমূলক মন্তব্যে, গল্পের মাঝে ভালোবাসা, ত্যাগ তিতিক্ষা থাকবেই কিন্তু সবসময় খেয়াল রাখার চেষ্টা করেছি এর ধারাবাহিকতা ধরে রাখার, আপনাদের অপার ভালোবাসায় আমার সফলতার চাবিকাঠি।
ধন্যবাদ প্রিয় আপু।
নিতাই বাবু
শ্রদ্ধেয় ইঞ্জা দাদা, আপনাত “একমুঠো ভালোবাসা” গল্পের প্রথম পর্ব শুরু হয়েছিল, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, শনিবার থেকে। এপর্যন্ত ৪৬তম পোস্টে শেষ হয়েছে। কিন্তু আমি অধম আপনার লেখা পোস্ট একমুঠো ভালোবাসা পুরোটা পড়তে পারিনি বলে এখন নিজেই আফসোস করছি। এই শেষ পর্বটা পড়ে পুনরায় আপনার লেখা “একমুঠো ভালোবাসা” সবগুলো পোস্ট প্রত্যক্ষ করেছি। সত্যি অসাধারণ এই ভালোবাসার গল্প।
শেষ পর্বে আপনাকে শুভেচ্ছা-সহ শুভকামনা ও ভালোবাসা।
ইঞ্জা
দাদা আফসোসের কিছুই নেই, পড়তে চসিলে নিশ্চয় উপায়ও করে নেবেন, আনন্দিত হলাম আপনার মন্তব্য পেয়ে, ধন্যবাদ দাদা।
সুরাইয়া নার্গিস
শেষ পর্বটা পড়ে আবেগ আপ্লুত হলাম, ছায়ার প্রতি অনিকের ভালোবাসাটা দৃষ্টান্ত হয়ে রইল।
আরিফিনের ত্যাগ সত্যি হৃদয়ে জায়গা করে নিল অনেক সুন্দর একটা সুন্দর।
আমি প্রথম থেকে সবগুলো পর্ব পড়েছিলাম মাঝে ব্যস্ততায় কয়েকটা পর্ব পড়া হয়নি আজ সব গুলো পড়ে শেষ করলাম।
সব মিলিয়ে চমৎকার একটা গল্প পড়লাম, মন ছুঁয়ে গেল।
সত্যি বলতে আপনার লেখা পড়েই ব্লগে আমারও উপন্যাস লেখা শুরু,জানিনা আপনার মতো সুন্দর করে প্ররিসমাপ্তি করতে পারবো কিনা!
তবে চেষ্টা করবো পাঠকদের ভালো কিছু উপহার দিতে।
আপনার প্রতি অনুরোধ থাকবে নতুন আরেকটা গল্প নিয়ে আমাদের মাঝে আসার জন্য, অপেক্ষায় রইললাম।
ভালো থাকবেন।
শুভ কামনা রইল ভাইজান।