এক দেশে ছিল এক রাজা, অন্যসব দেশের রাজার মত সে তার প্রজাদের অনেক ভালবাসতো।
তবে সবাই বলাবলি করত সব লোক দেখানও, সময় সুযোগমত রাজার লোকেরা ঠিকই টুটি চেপে ধরবে। তলে তলে সে নিজেদের স্বার্থ উদ্ধার করত। ক্ষতি করার চেষ্টায় থাকতো।
সে তার প্রজাদের সুখ দেখতে পারতো না। প্রজারা নিজের সম্পতি, মেধা ব্যবহার করে জীবনে ও দেশের সম্মান ও সুখ আনলে তাও দেখতে পারতো না। কেউ নিজের পরিশ্রম ও মেধায় উন্নতি করলে তাকে রাজ্যে একঘরে করা হত। পুরুষ্কার না দিয়ে রাজ্যের সভাসদদের দিয়ে নিয়মিত তিরষ্কার করতো।
সে দেশে এক সময় সবার ঘরে বাতি জ্বলতো না। কিন্তু ধীরে ধীরে সবাই বাতি জ্বালানোর মত সার্মথ অর্জন করলো, তা দেখে সেই রাজার মনে জ্বলুনি। সে নির্দেশ দিলো দিনে দুইবার বাতি নিভিয়ে অন্ধকার করে সবাইকে শাস্তি দিতে হবে। তাই করা হচ্ছে নিয়মকরে। যদিও সে দেশ প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর কিন্তু রাজার সদিচ্ছার কারণে তা ব্যবহার করা হয় না।
সে দেশের সবোর্চ্চ বিদ্যাপিঠের ছাত্ররা চমৎকার ভাবে সকল অন্যায়ের বিরোদ্ধে প্রতিবাদ করতো, তাদের পড়াশোনা যেন ঠিক ভাবে হয় তার জন্য কতিপয় ব্যক্তি ও প্রশাসনের বিরোদ্ধে তারা ব্যতিক্রম সব আন্দোলন করতে লাগল। কিন্তু রাজা সেদিকে ভ্রুক্ষেপ না করে, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে স্বীকৃতি না দিয়ে উল্টা কঠিন কিছু হবার হুমকি দিতে লাগলো।
সে দেশে ছিল আরেক পরাজিত রাজা, যে আগে রাজা থাকার সময় দুর্নীতি ও একই ভাবে দেশের মানুষকে জিম্মি করে রাখতো এই রাজার মতই। বোকা জনতা সে রাজাকে ক্ষমতা থেকে তাড়িয়ে নতুন স্বপ্নে এখনকার রাজাকে ক্ষমতায় বসিয়েছিল। পরাজিত রাজা এই রাজ্যের কতিপয় বিশ্বাসঘাতক ও রাজ্যের স্বাধীনতার পরিপন্থি কতিপয় ব্যক্তিদের সাথে নিয়ে নতুন ভাবে ক্ষমতা দখলের পরিকল্পনা আটছে। অনেক বোকা প্রজারা তাকে সহায়তা করতে উঠে পড়ে লেগেছে। সে রাজা, তরুণদের কথা বলে বুড়ো ভামদের তার দেশের বিদ্যাপিঠ গুলোতে নেতৃত্ব দিয়েছে শুধু মাত্র ক্ষমতা পাবার আশায়। সে রাজা বর্তমান রাজার খারাপ কাজ গুলোর ব্যপারেও প্রজাদের কোন ধরনের সহায়তা করে না আন্দোলনে।
এই দুই রাজার চাপে পড়ে সে দেশের প্রজারা এখন স্বার্থপর হয়ে যাচ্ছে। তারা নিরীহ মানুষকে নিজের হাতে আইন তুলে নিয়ে রাস্তায় হত্যা করে, রাজার খারাপ কাজ গুলো নিয়েও মাথা ঘামায় না, যেন সব তাদের নিয়তি এই ভেবে মেনে নেয়।
তাদের মাঝ থেকে দেশপ্রেম উঠে যাচ্ছে রাজ্যের আগের ও বর্তমান রাজাদের স্বার্থপরতা ও বোকামি দেখে দেখে। তারা হতাশ হয়ে দেশের নামে উল্টা পাল্টা কথা বলে, দেশকে ঘৃণা করতে শুরু করেছে গুটিকয়েক জনের কারণে।
তবে আশার কথা, সে দেশের তরুণরা দুই রাজার সব অপকর্ম ফাসঁ করে নতুন ভাবে দেশপ্রেমে উজ্জিবিত থেকে জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখে। যেকোন সময় কিছু একটা হয়ে যেতে পারে।
বি:দ্র: এই কাহিনী উদ্ভট ও অলস মস্তিস্ক প্রসূত, কারো সাথে মিলে গেল তা শুধুই কাক-কোকিল-শকুন তালীয়।
৯টি মন্তব্য
আদিব আদ্নান
কাক-তাল তা ত দেখতেই পাচ্ছি ।
একটি গান মনে পড়ে গেল…………
গুরু উপায় বল না …………
কোন আলো দেখছি না যে ।
আমার মন
চোখ খুলে বসেন আলো দেখবেন, একটু সময় লাগবে।
লীলাবতী
এই দেশটির শিক্ষিত জনতার প্রায় সবাই ছিল টাউট । আর বেশী কিছু বললাম না ।
আমার মন
বুঝতে পারছি।
বনলতা সেন
আমারও স্বপ্ন ছিল , অন্ধকার পেরিয়ে আলো দেখার ।
আমি আছি , স্বপ্ন নেই ।
আমার মন
স্বপ্ন থামবে না -{@
খসড়া
: এই কাহিনী উদ্ভট ও অলস মস্তিস্ক প্রসূত, কারো সাথে মিলে গেল তা শুধুই কাক-কোকিল-
শকুন তালীয়।
যাই হোক বড় পছন্দ হইছে।
(y)
আমার মন
ধন্যবাদ (y)
জিসান শা ইকরাম
ভালো হইসে 🙂