আমারা দেখি অর্জুন কে দেখা মাত্র চিত্রাঙ্গদার নারী সত্তা উন্মোচিত হয়, প্রেম হয়, বাচ্চা হয়………………………………………(যদি আমি বুঝে থাকি),
নিঃসঙ্গ স্বদেশের চরিত্রটি একটি পুরুষের, যে প্রবল সুস্থতা ও অক্লান্ত হৃদয়ে নানান কিছু
করে-টরে বেড়ায়, তা বেড়াক, সমস্যা নেই, কিন্তু প্রবল সমস্যা হঠাৎ করেই তৈরি হয়ে যায়।
রাত্রিবেশি আর্য রমনী (ফর্সা, ব্লন্ড, কোকড়া চুল) সে এসে হঠাৎ হানা দেয়, এক পর্যায়ে
শরীরের স্পর্শকাতর স্থান সমুহ দেখায় ও ছোঁয়ায়, তাতে সে পুরুষটির মানবীয় সত্তা অনুভুতি হয়, সুখ-দুঃখ-হাসি-কান্না-জ্বালা-যন্ত্রণার অনুভব তৈরি হয়,
যাকে আরোগ্যহীন অসুখ বলা হয়েছে,
নিঃসঙ্গ স্বদেশ বলতে পুরুষটি নিজেকে বোঝাতে চেয়েছে;
একটি প্রায় ভুল পরিমার্জনা বলে অনুগ্রহ করে ধর নিন,
ভাল ল্যাখা কবে যে ল্যাকমু কে জানে!!
—————————————————
নিঃসঙ্গ স্বদেশে
আকণ্ঠ নিঃসঙ্গতা পানে মুখিয়ে থেকে
অরণ্যোদ্ধত হয়ে হল্লায় মেতেছি,
কনকনে সুন্দরতম শূন্যতার মুখরা মৌমাছির বেশে
ফুলে ফুলে ফুলমধু নিয়েছি,
ঝড়ঝঞ্ঝায় খালি-পা নিয়ে হেঁটে গেছি
জলাজঙ্গল-মরুভূমি-পাহাড়-পর্বতের তুষার চুড়োয়,
অভাবী স্বভাব নিয়ে বাঘের সওয়ারী করেছি
আত্মহত্যাকে কাঁচকলা দেখিয়ে বাঘের দুধ খুঁজেছি,
বর্ষাজোয়ারে উজিয়েছি কত কত খাল-নদী
এ আমার পূত আগুনে পড়ানো সুস্থ অসুস্থতা, অক্লান্ত হৃদপিণ্ডে;
আচমকা আর্য রূপসীর বেশে রাত্রি এলো
যাদুকাঠি ছুঁইয়ে স্বাস্থ্যবান শরীরী আগুন ঢেলে
স্পর্শমণি আর রক্তপদ্ম মেলে দিলো;
আমার সাধের একান্ত প্রাণের স্বাধীন নিঃসঙ্গ স্বদেশ!!
অসম্ভব পীড়িত হলো, জবুথবু আনারোগ্যতায়;
২৪টি মন্তব্য
মৌনতা রিতু
মাথার উপ্রে দিয়া যাইতেছে।
কি মন্তব্য করুম বুঝবার পারছি না। আর্যরা সুন্দরী ছিল! ইমাজিন করে নেই।
আবার পড়তে হবে।
ছাইরাছ হেলাল
ভালো করে ইমাজিন করুন,
এবং পড়ুন,
মিষ্টি জিন
না দেখুম না স্বদেশ কে।
দেখার ঠিকাদারী নিতে অনেক ঝন্জাট। :p
রাতবিরাতে ডাইনিরা ,শশ্মান সুন্দরীরা হানা দেয়, এঁখন নাকি আবার ব্লন্ড চুলের সুন্দরীরা ও হানা দিয়ে জ্বালান ধরিয়ে দেয়। তা নদী সমুদ্রে এত পানি আঁছে কেনো?
দুইটা ডুব দিলেই তো সব জল পানি হঁয়ে যায়। :D)
এও শিখিয়ে দিতে হবে? :@
ছাইরাছ হেলাল
স্বদেশকে কেউ-ই না দেখা পারবে না।
হানাহানি বন্ধ করার কোন ব্যবস্থা তো নেই, তাই চলছে, চলবেও।
ডুব দিতে চাই, ছোট্ট-খাট্ট একটি ঘাটের ঠিকানা পেলেই এমন ডুব দিব
একেবারে নাখবর হয়ে যাব,
শেখা-শিখি করার আনন্দই আলাদা।
মিষ্টি জিন
ছোট খাট না ,স্বদেশের মহা সাগর ছাডা পোষাবে বলে মনে হঁয় না।
ছাইরাছ হেলাল
আশার বানী কেউ-ই শোনায় না,
মিষ্টি জিন
আশা আপু, বানি বিবি আপনারা কোথায় ? কুবিরাজ আপনাদের বোলায় :D)
ছাইরাছ হেলাল
কইছে আপনারে!!
মোঃ মজিবর রহমান
এ আমার পূত আগুনে পড়ানো সুস্থ অসুস্থতা, অক্লান্ত হৃদপিণ্ডে;
এত্ত কঠিন মাথায় আইতাছেনা বস।
বুঝবার চেস্টায় আছি।
ছাইরাছ হেলাল
আমি নিজেই তো ফকফকা, ব্যাপার না।
ইঞ্জা
মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে পড়লাম, বেশ ক্ষুরধার লেখা লিখেন আপনি, খুব ভালো লাগলো।
ছাইরাছ হেলাল
ভোতা যন্ত্রে এত্ত ধার কিভাবে দেখেন কে জানে ভাই,
ধন্যবাদ অনেক।
ইঞ্জা
ভাইজান উপরে ভোতা দেখালেও ভিতরে কিন্তু খুব ধার আছে যা আমি বুঝতে পারি। (y)
ছাইরাছ হেলাল
আপনি কি হাঁটে কলসি ফাটাতে চান ভাই!!
আবু খায়ের আনিছ
প্রথমে শুধু কবিতা পড়ে মাথার উপ্রে দিয়ে গিয়েছিল তাই মন্তব্য করার মত দুঃসাহস দেখাইনি। এখন কিছুটা সহজ হয়েছে।
এক অকুতোভয় পুুরুষ, যে বাঘের দুধ খুঁজে বেড়ায়, সে নারীর কাছে ভালোবাসায় পরাজিত।
ছাইরাছ হেলাল
একদম ঠিক ধরে ফেলেছেন দেখছি।
নীলাঞ্জনা নীলা
মন ছুঁয়ে গেলো। কবিতার প্রতিটি ভাঁজে ভাঁজে গভীর আবেগ মাখানো।
আপনার এই কবিতাটি পড়ে কবির সুমনের দুটো গান শুধু মনে আসছে। দুটো গানই খুব প্রিয় আমার।
“প্রতিদিন সূর্য ওঠে তোমায় দেখবে বলে
হে আমার আগুণ তুমি আবার ওঠো জ্বলে।” ——সুমনের এই গানটায় ‘তুমি’টা নাকি স্বদেশ এবং বিপ্লব। https://www.youtube.com/watch?v=FHjdRuCBC98
নীলাঞ্জনা নীলা
আর অন্যটি,
“বাঁশুরিয়া বাজাও বাঁশী দেখিনা তোমায়
গেঁয়ো সুর ভেসে বেড়ায় শহুরে হাওয়ায়।”——গান দুটো শুনে দেখুন, মন না ভরে যাবেই না। https://www.youtube.com/watch?v=bozNNrm4vHQ
কুবিরাজ ভাই এই কবিতা আগেও পোষ্ট দিয়েছিলেন। এবারে মনে হয় আবার সম্পাদনা করে দিয়েছেন? 😀 ভালোই করেছেন সম্পাদনা করে। :c
ছাইরাছ হেলাল
দ্বিতীয় গানটি আমার একটি প্রিয় গান,
শুনি প্রায়ই।
আগের লেখাটির সাথে লেখকের ভাবনাটি জুড়ে দিয়েছি মাত্র।
ছাইরাছ হেলাল
প্রথম গানটি শুনিনি আগে, এখন শুনে ভাল লাগল,
আপনি নিজ গুনে ভাল বলছেন, এতটা ভাল কিনা জানিনা,
নীলাঞ্জনা নীলা
আসলে দুটো গানই খুব বেশী ভালো লাগে আমার। সুমনের প্রথম দিকের গানগুলো সমাজের অবক্ষয়কে দারুণভাবে তুলে ধরেছিলো। ধাক্কাও দিয়েছিলো। এখনকার গান অতোটা ভালো লাগেনা।
ভালো কি আসলেই লেগেছে, আমি ঠিক বুঝে উঠতে পারছিনা। 😀
ছাইরাছ হেলাল
শুনে সত্যি ভাল লাগল,
জিসান শা ইকরাম
এই তাহলে শানেনযুল!
ছাইরাছ হেলাল
হুম,
এই- ই,