ভূমিকা: “জানু” বর্তমানে একটি অতি জনপ্রিয়, সার্বজনীন, লিঙ্গ বৈষম্যহীন শব্দ, ছেলে এবং মেয়ে উভয়ের জন্যই একটি সুখাদ্যকর শব্দ বলেই বিবেচনা করা যায়। জানু শব্দের আভিধানিক অর্থ হাঁটু হলেও তার প্রয়োগ সম্পূর্ণ ভিন্ন। রোমান্টিজমের বিপ্লব ঘটানোর এ এক কিংবদন্তী শব্দ যা বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন দেশে প্রচলিত এবং আঙ্গুল ফুলে কলা গাছের মতো অতি দ্রুত তা জনপ্রিয়তার স্থান দখল করে নিয়েছে।
বর্ণনা: জানু শব্দটি দেশী না বিদেশী তা নিয়ে স্পস্ট কোন ধারণা এখনো পাওয়া যায়নি তবে প্রয়োগিক অর্থে আধুনিক বলেই মনে হয়। জাত, কাল, পাত্র ভেদে এই জানু শব্দটির সাথে না গুণবাচক শব্দের ব্যবহারও লক্ষনীয় যেমন: লক্ষী জানু, ছাগল জানু, পাগল জানু, গাধী জানু, শয়তান জানু, বদমাশ জানু ইত্যাদি। সব জানু’ই দু’পা বিশিষ্ট এক প্রাণী। দেশের সর্বত্র এই জানুদের বিচরণ হলেও, দেশীয় পার্ক, রেস্টুরেন্টই, কেএফসি, পিজ্জাহাটাই তাদেরকে বেশি দেখা যায়।
স্বভাব : জানু শব্দটি সর্বগ্রহিত একটি শব্দ হলেও লক্ষনীয় যে পুলিঙ্গরা সুন্দরী, স্লিম ফিগার, দেখাতে বলিউডের কোন হেরোইনের মতো এবং স্ত্রীলিঙ্গরা, ভারী ওয়ালেট, সুদর্শন, স্মার্ট, ও হিপহপ টাইপের জানুর সন্ধান করে থাকেন। সাধারনত একেকজনের এক বা একাধিক জানু থাকাটাই তাদের মূল স্বভাব (বদ স্বভাব)। একেজনের সভাব একেকরকম হলেও একটি কমন স্বভাব এই যে মেয়ে জানুরা যতই পোকলা দাঁতে কচমচ করে পিজ্জা খায় না কেন পরে বিলটা ছেলে জানুর উপরই এসে পড়বে কারণ সাংবিধানিক অর্থ এই যে ” মেয়ে জানুরা চাহিবা মাত্র ছেলে জানুরা তাদের বিল পরিশোধে বাধ্য থাকিবে”।
উপকারিতা : জানু একটি উপকারী শব্দ, যাদের যাদের এই শব্দের দখল আছে তাদেরকে খুব উদ্দীপনার সাথে পথ চলতে দেখা যায়, ধনীর দুলালদের দেখা যায় তার জানুর পিছনে দৌড়াতে দৌড়াতে পেটের চর্বির কমে যায় অনেকটাই যার কারণে হার্ট এট্যাকের সম্ভাবনা অনেক কমে আসে। ধনীর দুলালীদের মাঝেও অনেক সময় দেখা যায় সত্যিকারের বোধ আসতে যেমন: একটি মানুষকে অর্থ দিয়ে নয় মন দিয়ে বিবেচনা করতে হয়।
অপকারিতা: জানু শব্দের আবির্ভাবের পর অনেক অনেক রোমান্টিক শব্দ ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হতে চলেছে। ওগো, বাবু, ময়না, ওলে ওলে এই শব্দগুলো আজকাল আর তেমন একটি বলতে শুনা যায় না, আধুনিক জানুদের চাইনিজ রেস্টুরেন্ট, পিজ্জাহাট, কেএফসি আসক্তির কারণে দেশের পুরনো ঐতিহ্য পার্কে বসে বাদাম চিবানো আর তেমন দেখা যায় না যার কারণে বাদাম বিক্রেতারা পড়েছে সংকটে। জানুদের মন রক্ষার্থে একের পর এক মিথ্যের আশ্রয় নিয়ে যেভাবে পরিবেশ দূষণ করে চলছে তাতে তাদের বিন্দুমাত্র মাথাব্যথা নেই। সবচেয়ে বড় বিপদজনক হলো ছ্যাঁকা যা এই জানুদের থেকেই উত্পত্তি, গুগল মামাকে জিজ্ঞাসা করে দু একটি সুইসাইড নোট পড়ে নিলে তা বুঝতে পারবেন।
উপসংহার: যতই অপকারিতা থাকুক না কেন এই জানু এখন খুবই প্রয়োজনীয়, দৈনন্দিন জীবন এখন বলতে গেলে এক প্রকার অচল মনে হয় এই জানু ছাড়া। আমরা অচল হই আর না হই মোবাইল কোম্পানিগুলো যে অচল হইবো তাতে কোন সন্দেহ নেই।
==========================================================================
রচনা আরো বড় করার ইচ্ছা আছিলো কিন্তু কোন দিকের জল কোনদিকে গড়াইয়া যায় হেই ভয়ে আর বাড়াইলাম না।
২৫টি মন্তব্য
কৃষ্ণমানব
এহেম এহেম !
গাড়ির গতি থামিয়ে
নেই ।।
প্রথম ক্যাচাল পড়েই উপলব্ধি হয়ছিল আপনি রম্য লেখক !!
চারদিকে যখন থমথমে হয়ে যায় , নির্জন আর আধাঁরে ঘিরে থাকে , তখন এসব রম্য পোষ্ট পড়ার জন্যে হাসোজ্জ্বল ইচ্ছশক্তিরা বেচে থাকার প্রবণতা আরো জোর বাড়ায় !!!
অফটপিক : জানু কি জিনিস একবার দেখতে বড্ড মুণ চায় !
পৃথিবীর বাহিরে যেমন অনেক গ্রহ আছে শুনছি, তেমনে অনেকের জানু আছে শুনছি
কিন্তু এই জীবনে এই প্রাণীটিকে দেখিনি
{একটা কাদার ইমু হবে } :p
আপনার জানু মিলে গেলে তার বর্ণনা দিয়ে একটা রচনা প্রার্থী রহিলাম . . . .
অনটপিক : প্রতিদিন রম্য পোষ্ট দিবেন যেন বেশী বেশী হাসতে হাসতে বেহুশ হই :v
কার্টুন মিশ্রিত ফটু বা গদ্যকার্টুনের উপ্রে দক্ষতা থাকলে বেশ চমকপ্রদ দেখাবে 🙂
আবির
আমি ভাই রম্য লেখক না, কোন লেখকই না খালি খালি ভাই ট্যাগ দিয়া সংসারডারে ডুবায়য়েন না, দোহাই লাগে অধমের। আপনার কমেন্ট গতি আনছে লেখায় ভাইজান, ধন্যবাদ।
“জানু” শব্দ শুনছেন কিন্তু দেখেন নাই এইডা বিশ্বাস করার মতো এতোডা বোকা এখনো হইনাই।
আর গরমের লগে শরম মিশাইয়া কইলাম আমারও জানু আছে কিন্তু তারে নিয়া রচনা লেখলে রক্ষা নাই, এইডা লেখছি তা যদি হুনে তাইলে কি হবে তাও বলা যাচ্ছে না এখানে।
লেখালেখির চেষ্টা থাকবে যদি আপনারা বিরক্ত না হোন।
ছাইরাছ হেলাল
গড়িয়ে পড়াই জলের স্বভাব, তাই গড়ালে সমস্যা নেই, তবে জানুরা গড়াগড়ি দিলে আপনার
গবেষনানূ্যায়ী সমস্যা প্রবল থেকে প্রবলতর হতে পারে।
আশার কথা হলো সোনেলা একজন ঝানু জানু গবেষক পেল। এ ও অনেক পাওয়া জানুদের রাজ্যে।
আবির
আমারে আবার আপনি গবেষক বানাই দিলেন? সমস্যা যদি দেহি প্রবলতর হইয়ে পড়ে তাহলে নাকচুবানি খাওয়ার আগেই কাইটা পরুম। ট্রেনিং লওয়া আচে।
মরুভূমির জলদস্যু
#রচনা আরো বড় করার ইচ্ছা আছিলো কিন্তু কোন দিকের জল কোনদিকে গড়াইয়া যায় হেই ভয়ে আর বাড়াইলাম না।#
আর লাগবে না, যতটুকু বলেছেন তাতেই ….. :D)
আবির
এতো তাড়াতাড়ি থামলে ক্যমনে হইবো ?
সায়ন্তনু
বেশ পাকা মনে হচ্ছে আপনাকে আপনার লেখায়।
আবির
ফরমালিনের যুগে কাচ্চা পাক্কা চিনুন বহুত দায়!
শুন্য শুন্যালয়
হা হা হা, ওগো, ময়না, ওলে ওলে বিলুপ্ত? আপনি যে মহা পাজি টাইপের লেখক তা প্যাঁচাল পড়েই বুঝেছি। এমন লিখলে নিয়মিত মুখের মাসলের ব্যাপক এক্সারসাইজ হবে।
যাই এখন আমার জানুর সাথে কথা বলে আসি 😀
আবির
আমারে পাজি বানাইছে কে তারে যদি পাইতাম তাইলে নাকে দড়ি দিয়া পাড়া ঘুরাইতাম। কি কথা হইলো আমগোরে একটু জানাইয়েন।
স্বপ্ন
আপনি একটি প্রতিভা ভাইয়া।এই প্রতিভা এতদিন কোথায় ছিলো? এমন লেখা দিন প্রতিদিন একটি। আমার জানুটাকে এখনই নক করতে হবে 🙂
আবির
নক কইরেন সমস্যা নাই তবে পকেট সাবধান।
ব্লগার সজীব
আপনি তো থিসিস লিখে ফেললেন ভাই।পোষ্টা পড়ে টাসকি খেয়ে গেলাম (y)
আবির
কেন ভাইয়া, আরো আসবে সামনে।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
হাসালেন যা সবাই পারেন না।ধন্যবাদ আপনাকে। -{@
আবির
ধন্যবাদ আপনাকে
লীলাবতী
অনেক দিন হলো এমন মজাদার পোষ্ট পড়া হয়নি।অনেক অনেক অনেক ভালো লিখেছেন ভাইয়া। পরের পর্বে জল কোনদিকে গড়ায় তা দেখার খব ইচ্ছে 🙂
আবির
এই পর্ব লেইখাই আমি এখন জানু হারা, পরের পর্ব যাওয়ার চিন্তা নাই।
বনলতা সেন
অকাল পক্ক না হলেই বাঁচি।
সুন্দর লেখা।
আবির
কাশি শুনে কি এই সব বয়স বুঝার উপায় আছে?
জিসান শা ইকরাম
জানু টা এপিক পোষ্ট হয়েছে :D)
অসাধারন বললেও কম বলা হবে।
এমন পোষ্ট চাই নিয়মিত।
ডুব দেয়া চলবেনা , শুভ কামনা 🙂
আবির
আপনিতো দিনে দুপুরে শরম দিয়া ফেললেন, ডুব একটু দিছিলাম, তয় আর দিমু না, শুভকামনা আপনার জন্যেও।
খেয়ালী মেয়ে
আহা!!!!!!!!!!!!!!!!আগে রচনা পড়তে বিরক্ত লাগতো–কিন্তু আপনার রচনা তো দেখি দারুন মজার—আরো রচনা পড়তে চাই–
লক্ষী জানু, ছাগল জানু, পাগল জানু, গাধী জানু, শয়তান জানু, বদমাশ জানু———-ইশশশশশশশশ কেউ কোনদিন এই উপমাযোগে ডাকল না :p
আবির
আরে কন কি কন কি? হাচা হাচা কেউ ডাকে নাই? আইচ্চা এইসব ডাকের অডিও সিডি যদি পাওয়া যায় তাহলে জানাবু।
খেয়ালী মেয়ে
অডিও সিডি 😮