ক্লাস সেভেনে পড়ার সময় একটা উপনিষদ এর শ্লোক মুখস্থ করেছিলাম, তখন এর মানেটা বুঝতে পারিনি ।। গত কিছুদিন শ্লোকটা মাথায় অবিরত ঘুরপাক খাচ্ছিল তাই আজ একটু খুঁজতে গিয়ে থ হয়ে গেলাম,
” ওঁ পূর্ণমদ: পূর্ণমিদং পূর্ণাৎ পূর্ণমুদচ্যতে
পূর্ণস্য পূর্ণমেদায় পূর্ণমেবশিষ্যতে ।।”
বাংলা অর্থ : “যা কিছু পরমপূর্ণ থেকে উদভুত হয়েছে, তা সবই পূর্ণ । পরমপূর্ণ, তাই সেটা থেকে, অসংখ্য ও অখন্ড পূর্ণ বিনির্গত হলেও পূর্ণরুপই অবশিষ্ট থাকে ।।”
ভগবান বিষ্ণু দেবকে উপাসনা করে এ শ্লোকে বলা হয়েছে — “তিনি যাঁর ক্ষয় নেই,লোপ নেই,তিনি অপরিবর্তনীয় ।। কি রকম ? … কোন সংখ্যাকে শুন্য দিয়ে ভাগ করলে তার যেমন কিছুই কমেনা — সেই রকম । তিনি প্রকান্ড,তিনি অসীম ।।
°°°° এই শ্লোক রচনার কয়েক হাজার বছর পরে এসে মাত্র গত শতাব্দীতে আমরা জানলাম Uncountable Infinity এর কথা, আশ্চর্য তাই না ?? আমাদের আধুনিক গণিত, alzebra বা ক্যালকুলাস এর অনেক আগে প্রাচীন ভারতের ঋষিদের লিখিত এ সুত্র অকল্পনীয় নয়কি ?? এর সমাধান আবিস্কারে আরো অনেক বছর লাগবে আমাদের গণিতজ্ঞ ও বিজ্ঞানীদের ।।স্বামী বিবেকানন্দ শ্লোকটির ইং রেজী অনুবাদ করেছেন যেভাবে সেটা দিয়ে শেষ করছি , ” The Infinite is thee,
The infinite is that. If you take infinite from infinite, The infinite remains .”
৫টি মন্তব্য
মায়াবতী
অদ্ভুত তো কথা গুলো ! বাহ মুগ্ধ হয়ে পড়ালাম -{@
মোঃ মজিবর রহমান
গুরুত্ব অনেক বুঝার আছে বহুত ।
মৌনতা রিতু
সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি এবং সৃষ্টিকর্তা অসীম। ছোটো একটি শ্লোকে অনেক বড় কথা বলা হলো।
লিখুন এমন এমন শ্লোকগুলি। আমারও একটি শ্লোক বই আছে জমবে ভালো। । শুভ কামনা রইলো।
স্বপন দাস
ধন্যবাদ মৌনতা রিতু
নীলাঞ্জনা নীলা
শূন্য থেকে শুরু, শূন্যে গিয়ে শেষ। মধ্যে যা কিছু, তাও একসময় সময়ের গর্ভে বিলীন হয়ে যায়।
সেই স্কুলে ধর্মশিক্ষা পড়েছিলাম! ভুলেই গেছি সব।
আরোও লিখুন।