আহা! শীত,,,
হ্যায় ইয়ে হাকিকাত, ইয়া খাব হ্যায়,
কিউ লাগ রাহা হ্যায় তু পাছ হ্যায়,
আখো কো মেরী পুছো জারা,
চেহরে কি তেরে কিউ পেয়াস হ্যায়,,,
আও নিগাহো মে তুম ডালো
খালি ছে ক্যাফে ম্যায় তুম জ্বালো,
কফি পিয়েঙ্গে বাতে কারেঙ্গে,,তুম জো মিলো; তুম জো মিলোওওওওও তুম জো মিলো, মিলো এক শাম কো।।।
এক সন্ধ্যায় আর কি তাকে কফিতে পাওয়া যাবে? যাকে মন চায় সেতো পাশের বাগানের ফুল। শুধু দেখা যায়, ধরা- ছোঁয়া যায় না।
কোথা থেকে একরাশ শূন্যতা ভর করলো। ভর দুপুরেই যেন ঠোঁট ফেটে ভরা চৈত্র। সময়ের সাথে সব কেন ঠিকঠাক যায় না? খুব করে গুছিয়ে নেবার পরও হঠাত করেই কেমন অগোছালো হয়ে যায়।
ওই বয়সী শীত শীত হাওয়ার মতো, খেতে মন চায়, আবার বেশী খেলেও শরীর সয় না। এমনি করেই মনের বয়স বাড়ে কারও অভাবে- স্বভাবে। পাতা ঝড়ার মতোই কারও অভাবে মন ঝুলে যায়, গাল ঝুলে যায়।
রেজওয়ানা কবীর আর আমি কলেজ ফিরতি পথে বাজারে ঢুকে গেলাম। মনে হলো, অন্ততঃ কিছুখন সবুজ সবুজে ডুবে থাকা যায়।
বরাবরই শীতকাল আমার ভীষন পছন্দের। ব্রকলী আর ফুলকপির সকল রেসিপি ট্রাই করাটা আমার কাছে রীতিমতো লালা ঝরানো ব্যাপার!
সামনের আতংকের বছর আসার আগে আগে সবজি বাজারে কিছুটা স্বস্তি দেখা গেল। পাইকারি জিয়া বাজারে দামও কম। শাক ১০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে, ফুলকপি, বেগুন সব ২৫-৩০ এ চলে এসেছে। মূলা ১০ টাকা।
শশা ৬০ এর উপরেই আছে। গাজর আর একটু বেশী তাই নিলাম না। আর আমার অতো পছন্দও না। রেজওয়ানা পাশ থেকে বললো , নিয়ে নাও গাজর খেলে ত্বক সুন্দর হয়!
ভাবুন, ৮০ টাকা। বয়স কমাতে তাও কিনলাম।
দুপুরে খাওয়া হয়নি। খালি পেটে পথের দু’ধারের ভাপা পিঠা, চিতুই পিঠা জীবে পানি এনে দিল। শহরে শীত দীর্ঘ আর অ্যামেজিং হয়। শুটকি ভর্তা দিয়ে দেড়খানা করে পিঠা খেয়ে নিলাম। ওরে বাবা! ঝাল কাকে বলে। রাজশাহীর কলাই রুটি আর ভর্তার চেয়েও কয়েকগুন ঝাল।
রাজশাহীতে ছোট ভাইয়া কলাই রটি খেয়ে জীব লম্বা করে দিতো। লালা ঝরলে নাকি ঝাল দ্রুত কমে। পদ্মার পাড়ে অনেক খোলা জায়গা বলে এটা করা যেত। এখানে তো আর করা যায় না।
নাক, চোখ, মুখ দিয়ে পানি ঝরছে। এ পানি ঝরাও কিছুটা মনের কষ্ট কমিয়ে দেয়। অন্ততঃ লোককে বলা যায়, কারও অভাবে নয় পোড়া চিতুই খেয়ে এ হাল! শেষ বিকেলের ঠান্ডা বাতাসে মুখ হা করে হাওয়া লাগিয়ে আরাম নিতে নিতে রিকসায় ফিরছি।
খালাতো বোনের ফোন এলো – কিরে অমন পাঙ্গাস মাছের মতো হা করে কই যাস? অসুস্থ নাকি? তোকে কেমন বিভৎস দেখাচ্ছে।
কি বিপদ! এটা নাকি স্বাধীন দেশ। কোনভাবেই লোকজন পিছু ছাড়েনা। মেজাজ খারাপ হয়ে গেল। ফোন কেটে দিলাম।
বোন আবার চুলকানোর জন্য ফোন দিচ্ছে, আমি ধরছি না। এদিকে ঝালে কান দিয়ে ধোয়া বের হচ্ছে, বাসায় গিয়ে লালা ঝরাতে হবে তারপর,,,,
সবাইকে শীতের অ্যামেজিং শুভেচ্ছা ও শুভকামনা ❣️❣️
৫টি মন্তব্য
বন্যা লিপি
আহা কী মনে করিয়ে দিলেন! সেইসব শীতকাল! যা এখনো মনপোড়া স্মৃতি হয়ে রয়েছে মনের কোনে।
রোকসানা খন্দকার রুকু
আসলেই তাই। অশেষ কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা ❣️🥰
মোঃ মজিবর রহমান
কলাই রুটি আর খাওয়ায় হইনা। পাবো কোথায়? অনেক সৃতি সামনে আনয়ন করে দিলেন।
হালিমা আক্তার
শীতের পিঠা। নাম শুনলেই হারিয়ে যাই পিছনের দিন গুলোতে। তবে ঝাল নয় আমার কাছে পিঠা মানেই গুড়, নারকেল, দুধের সমাহার। শুভ কামনা রইলো।
নার্গিস রশিদ
পিঠার ছবি আর লেখা দুটোই চমৎকার । শুভ কামনা।