‘আহছানিয়া মিশন ক্যান্সার হাসপাতাল’ এর সাথে মূলতঃ সংশ্লিষ্ট এমন কিছু তরুন তরুনী ও তাদের সহযোগীরা গতবছর থেকে ক্যান্সার আক্রান্ত শিশুদের আনন্দ দিতে অন্যান্য উন্নত দেশের শিশু ক্যান্সার রোগীদের জন্যে “Make a Wish” ধাঁচের “ইচ্ছাপূরন” নামের একটি প্লাটফর্ম গড়ে তুলেছে। ছোট্টছোট্ট বাচ্চা শিশুরা, যারা পৃথিবীটাকে ঠিকমতো দেখার আগেই মরনব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে দুর্ভাগ্য কবলিত হয়ে পড়েছে! জীবনের স্বাদ আহ্লাদ রূপ রস গন্ধ বোঝার আগেই ঝরে পড়ার দিন গুনছে! ভাগ্য ভালো হলে এদের কেউ হয়তো সেরে উঠবে।
আগামীকাল ২ জানুয়ারী শনিবার সকাল দশটায় ‘আহছানিয়া মিশন ক্যান্সার হাসপাতাল’ মিরপুর-১৩ (ন্যাম বিল্ডিং ও বি আর টি এ-র এর পাশে) ঠিকানায় এক ঝাক সেচ্ছাসেবী তরুন-তরুনীর সম্মীলনে “ইচ্ছেপূরন” নামের ফ্ল্যাটফর্মে এই অসুস্থ বাচ্চাদের আনন্দ দিতে একটি অনুষ্ঠান করতে যাচ্ছে।
প্রিয় অভিভাবকেরা, আসুন আমাদের নতুন বছরটি শুরু হোক মরনব্যাধি ক্যান্সার আক্রান্ত শিশুদের সাথে কিছুটা সময় কাটিয়ে। ক্ষণিকের জন্যে হলেও আপনার-আমার উপস্থিতিতে ক্যান্সার আক্রান্ত শিশুরা তাদের সকল দুঃখবোধকে থামিয়ে উদ্দীপ্ত হোক এই নতুন বছরের শুরুতে। সকল প্রকার ক্লান্তি-শ্রান্তি, কষ্ট-যন্ত্রণা ভুলে আনন্দের মেলায় তারা ভাসুক। শিশুগুলোর মনে চির অমলিন হোক এই ক্ষণিকের আনন্দেমেলা। ক্যান্সার কোন ছোঁয়াচে রোগ নয়! কেউ দেখতে আসলেই তার এই রোগ হয়ে যাবে না। শিশুদের রক্ত ক্যান্সার অনেক ক্ষেত্রে সেরেও যায়। আপনি আপনার শিশুটিকেও নিয়ে আসুন ওদের সাথে মিতালী করাতে। আর যদি ইচ্ছে হয়, তবে অসুস্থ বাচ্চাগুলিকে আনন্দ দিতে, বসে খেলার উপযুক্ত কিছু ছোটখাটো খেলনাও (বাধ্যতামূলক নয়!) নিয়ে আসতে পারেন।
চলুন, নতুন বছরটি শুরু করি ফুলকলিদের মুখে হাসি উপহার দিয়ে। বছরের শুরুতে ফুলকলিদের নিয়ে এমন একটি অনুষ্ঠান সারা বছরই আপনার সংবেদনশীল মনকে প্রশান্তি এবং আনন্দ দিয়ে যাবে।
আরো অনেক মহত্প্রাণ মানুষের সহায়তায় আরো অনেকের সাথে ড. সামিম উল মাওলা এবং তাঁর স্ত্রী ডা. শরমিন আরা ফেরদৌসী এই হাসপাতালটি গড়ার কাজে তাদের সামান্য সামর্থ্যে কাজ করছেন! তিনিই আমাকে ওখানে উপস্থিত হওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। এমন একজন সম্মানিত ব্যক্তির আমন্ত্রণে আমি নিজে অনেক সম্মানিতবোধ করছি। ———————————————– ম্যাসেজটি তুলে দিলাম।
প্রিয় রুবা,
সালাম! আপনি হয়তো জানেন না যে আমি ক্যান্সার আক্রান্ত মানুষের জন্যে দীর্ঘদিন যাবত কাজ করছি। আমার শেষ চাকরী গ্রামীন ব্যাংকের হেলথ অ্যাডভাইজার পদে ইস্তফা দিয়ে ‘আহছানিয়া মিশন ক্যান্সার হাসপাতাল’ গড়ার কাজে রয়েছি। আমার স্ত্রীও সেনাবাহিনীর একমাত্র শিশু ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ। প্রাইভেট প্রাক্টিস খুব একটা না করে বাচ্চাদের ক্যান্সার নিয়েই কাজ করছে! সে DCH, FCPS, Tata Medical Center-এর ফেলো!
আমাদের দুই মেয়ে ছাত্রী। ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছে ও এইচ এস সি, দিয়েছে। অন্যান্য উন্নত দেশের শিশুক্যান্সারের রোগীদের জন্যে “Make a Wish” ধাঁচের “ইচ্ছাপূরন” নামের একটি প্লাটফর্ম গড়ে তুলেছে। যেখানে তারা এই ক্যান্সার আক্রান্ত শিশু, যাদের অনেকেই হয়তো বাঁচবে না, তাদের মাঝে মধ্যে গিয়ে নানা ভাবে আনন্দ প্রদান করে। তাদের আনন্দ দিতে ছোটখাটো গিফট দেয়, পপুলার রোল প্লে করে, গান বাজনা করে তাদের সাথে নিয়ে! গতবছর থেকেই তারা তাদের বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে আমার স্ত্রীর আয়ত্তাধীনে ২৩-২৪ টি ক্যান্সার শিশুরোগীকে নিয়ে এই সামান্য অনুষ্ঠানটি করে থাকে।
এবারেও আগামী ২ জানুয়ারী শনিবার সকাল দশটায় তারা এই ধরনের একটি ছোট্ট অনুষ্ঠান ‘আহছানিয়া মিশন ক্যান্সার হাসপাতাল’ মিরপুর-১৩ (ন্যাম বিল্ডিং ও বি আর টি এ-র এর পাশে) অনূষ্ঠানটি করবে।
আপনি যদি আপনার প্রিয়জনদের নিয়ে সেদিন ওই সময়ে উপস্থিত থেকে ওদের উৎসাহ দিতেন, খুব ভালো হয়! গতবছরের কিছু ছবিও দিলাম।
লিঙ্কটাও সাথে দিলাম : ইচ্ছে পুরন এর ফেইসবুক পেইজের লিংক
১৪টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
আশাজাগানিয়া মহৎ প্রচেষ্টায় আমাদের ও একজন আমন্ত্রিত এটি দেখে
আরও ভাল লাগল,
এ অসামান্য উদ্যোগের সাফল্য কামনা করি দূর থেকেই।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
ধন্যবাদ হেলালভাই।
উদ্যোগটা আসলেই আক্রান্ত বাচ্চাদের জন্য আশাজাগানিয়াই। আজ নিজের চোখে তাই দেখলাম।
জিসান শা ইকরাম
খুবই ভালো এবং প্রশংসনীয় একটি প্রচেষ্টা
শিশুরা ক্যান্সারে আক্রান্ত…… এমন চিন্তাই আসলে করা যায় না
শিশুরা থাকবে আনন্দের উৎস হয়, এমনটাই ভাবনায় আসে।
যারা ঢাকায় থাকেন,তারা ইচ্ছে করলেই এই অসামান্য অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারেন।
ফেইসবুকে পেইজে লাইক দিলাম,যাতে ভবিষ্যতে এই ইচ্ছে পুরন এর কাজ গুলো দেখতে পারি।
এমন পোষ্ট এর জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
নববর্ষের শুভেচ্ছা -{@
মারজানা ফেরদৌস রুবা
বাচ্চাগুলোকে দেখলে বুঝতেন শরীরের উপর দিয়ে কেমোথেরাপির দখল নিয়ে কাতর হয়ে থাকা বাচ্চারা আজ “ইচ্ছেপূরনে কতোটা উৎফুল্ল ছিলো!
জিসান শা ইকরাম
অনুষ্ঠানটি নিয়ে কিছু লিখুন।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
লিখবো, একটু গুছিয়ে নেই।
মরুভূমির জলদস্যু
আন্তরিক শুভকামনা রইলো ওদের সকলের জন্য।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
ধন্যবাদ।
ব্লগার সজীব
খুবই ভালো একটি উদ্যেগ। ঢাকায় থাকলে অবশ্যই যেতাম এই অনুষ্ঠান দেখতে।ইচ্ছে পুরনের সাথে মানসিক ভাবে সম্পৃক্ত হলাম।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
ধন্যবাদ উদ্যোগটির সাথে মানসিক সম্পৃক্ততার জন্য।
শুন্য শুন্যালয়
এতো ভালো একটি উদ্যোগের কাজে জড়িত সকলকে আমার অন্তর থেকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। খুব ভালো লাগছে এমন একটি ভালো কাজ আমাদের দেশেও হচ্ছে। রুবা আপু মানেই আমাদের চোখের মাঝে কিছু আলোর রশ্মি এনে দেয়া। হ্যাটস অফ। -{@
মারজানা ফেরদৌস রুবা
অনেক ধন্যবাদ শুন্য। আজ অনুষ্ঠানটিতে উপস্থিত হয়ে এতো বেশি ভালো লেগেছে যে বলার নয়। লিখবো। এ নিয়েও বিস্তারিত লিখবো।
হ্যাঁ, আমাদের দেশেও এমন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
নীলাঞ্জনা নীলা
রুবা আপু আপনি আমাদের গর্ব। সোনেলার অহঙ্কার। -{@
মারজানা ফেরদৌস রুবা
-{@ -{@ ধন্যবাদ।