
দস্যিপনার তালিকায় পাড়ার ছেলেদের মধ্যে আমি ছিলাম এক নম্বরে। গ্রামের প্রতিবেশীদের গাছের ফল চুরি করা থেকে পুকুরের মাছ ধরাতে আমাদের সমকক্ষ আর কেউ ছিলোনা। ছিয়াশি সালের ডিসেম্বরে স্কুল ছুটিতে নানুবাড়ি গিয়েছি। উদ্দেশ্য একটাই- বড় নাতি হিসেবে পাওয়া আদরটুকুর পুরোটাই ছেলেমি দস্যিতে কাজে লাগানো।
যেই ভাবা সেই কাজ, আমার সঙ্গী ছিলো ছোট দুই মামা যারাও স্কুল পড়ুয়া। সে সময় মাথায় সবসময় গিজ গিজ করতো দুষ্টু বুদ্ধি। চোখে খেলা করতো অন্তরিক্ষের নাম না জানা সব আলোর ঝিলিক। মেজোমামার পুকুরের মাছ চুরি করে ধরার পরিকল্পনা হয়েছে আমাদের। না বলে মাছ ধরাতেই যেন আনন্দ!
কিন্তু অতি অল্প সময়ে দ্রুত বেশী মাছ কিভাবে পাওয়া যায়? একেবারে ছোট্ট মামা বলে উঠলো – আমার কাছে বশীকরণ মন্ত্রের বই আছে। সেখানে মাছ ধরার মন্ত্র আছে। কিন্তু সমস্যা হলো সে মন্ত্র আওড়াবে কে? আর মন্ত্রের মশলাপাতি যোগানোর জন্য সাহসী ছেলে লাগবে। উপায় কি?
দুঃসাহসী আমাকে আর পায় কে! বললাম – মামা তুমি সেই সোলেমানী মন্ত্রের বইটি আমাকে দাও। যা হবার হবে। মামা শুধু বললেন পারবিতো? বললাম- হু হু, দেখাই যাক। আমার মনে তখন বড়শিতে গাঁথা অনেক মাছের স্বপ্নে বিভোর। বুকটা ফুলে উঠলো বীরের মতন।
সোলেমানী মন্ত্রের বইটি মামা যোগাড় করেছে মসজীদের ইমাম সাহেবের ছেলেকে বাগিয়ে। সে যে তার বাবার বই চুরি করেছে এটা দুধের বাচ্চাও বুঝবে। অবশেষে বহুল প্রত্যাশিত সোলেমানী যাদুর বই এলো আমার হাতে! তবে সেই সময় ঘুণাক্ষরেও যদি জানতাম -জীবনের সবচেয়ে বড় ভয়ের সম্মুখীন হবো আমি, তাহলে সত্যি বলছি জীবনেও সেই সোলেমানী মন্ত্রের বই হাতে নিতামনা।
পরের দিন- সেই বইয়ের মন্ত্রের কথামত আমি আর দুই মামা হাতে বড়শি নিয়ে যাচ্ছি মেজোমামার পুকুর ঘাটে, উদ্দেশ্য মাছ চুরি করবো। মন্ত্রের শর্তমতে একমুষ্টি কবরের মাটি যোগার করতে হবে। দিন হতে হবে মঙ্গলবার মধ্যদুপুরের সময়। কবরস্থানে যেতে হবে একা। একজন বুজুর্গ মানুষের কবরের মাটি লাগবে যিনি মারা গিয়েছেন অমাবস্যার রাতে! কবরের উপরের মাটি হলে হবে না, ভিতরের মাটি লাগবে।
এরকম মৃত মানুষের খোঁজ পাওয়া মুশকিল। আর আমরা ছোট, এসবের খোঁজ করলে পিটুনি নিশ্চিত। আমার ভোলাভালা নানীকে বলাতেই তিনি বললেন – পাশের গ্রামের এক নামাজী ব্যক্তি এরকম সময়ে মারা গিয়েছেন আর তার কবর হয়েছে ময়দানের মাঠ নামক এক গোরস্থানে। আর পায় কে! এই কবরস্থান একেবারে মামার পুকুরের কাছেই। তবে নানীনে কৌশলে আমাদের মাছ ধরার কথা চেপে গেলাম আমি।
সোলেমানী মন্ত্র মোতাবেক ভর দুপুরবেলা আমি কবস্থানে গিয়েছি। মামা আগেই দেখিয়ে দিয়েছে সে কবর। যেতে হবে একা, তাই মামাকে চলে যেতে বলে আমি বীরদর্পে এগিয়ে গেলাম কবরের কাছে। চারিদিকে শুনশান নীরবতা। খোলা ময়দানে হু হু করে ভেসে আসা বাতাস গায়ে কাঁটা দিয়ে গেলো। ভয় লাগছে এবার, প্রচন্ড ভয়। মনে হচ্ছে কবর থেকে মৃত ব্যক্তিরা আমাকে চেয়ে চেয়ে দেখছে।
মনে মনে ছোটবেলায় শেখা দোয়াদরুদ যা জানতাম সব পড়া শুরু করে দিয়েছি। কবরের কাছে যেতেই বুকে হাতুরীপেটা করছে। ধুক্ ধুক্ শব্দ নিজের কানে ড্রাম বাজানো শুরু করলো। যেই না কবরের চারপাশে ঘেরা বাঁশের বেড়ায় হাত দিলাম আমার শরীরে যেন বিদ্যুৎ খেলে গেল। পুরো শরীর কেঁপে উঠলো মনে হলো। এসবের মাঝে আমি ভুলেই গিয়েছি কবর থেকে মাটি ডানহাতে তোলার সময় যে মন্ত্র বলতে হবে সেটা! উলটোপথে দৌড়ে ছুটে পালাতে চাইলাম কিন্তু মামাদের কাছে ভীতু হিসেবে নিজেকে পরিচয় করানোর ইচ্ছেটাকে জোড় করে দমন করে চেপে রইলাম।
মাটি উপরের হোক আর ভিতরের, কবরের মাটি হলেই হলো। এই ভাবনায় নিজের অদম্য ভয়কে দূরে সরিয়ে যেই ডান হাতে কবরের উপরের মাটিকে স্পর্শ করে একমুষ্টি মাটি নিয়েছি মাথার উপর একটা দাঁড়কাক কর্কশ কাঁ কাঁ শব্দে বাজখাঁই কন্ঠে ডেকে উঠলো। আর যাই কই, ভয়ের চোটে একছুটে সেই যে দৌড় লাগিয়েছি একেবারে পুকুর ঘাটে এসে থামলাম। মুখ হা করে শ্বাস নিতে নিতে মামাকে মুষ্টি খুলে দেখালাম কবরের মাটি!
এবার বই খুলে মাটিতে মন্ত্র পড়ে ফুঁ দিয়ে সেই মাটি ছড়িয়ে দিলাম পুকুরে। যেহেতু মন্ত্র পড়া মাটি তাই তিনজনের বিশ্বাস ছিলো বড়শিতে চারা লাগানো ছাড়াই মাছ আজ উঠবেই উঠবে। সোলেমানী মন্ত্রের জোড় যে অনেক! ঘাটে বসে পুকুরে বরশী ফেলে মাছ ধরার আশায় বসে আছি আমরা তিন সুবোধ বালক!
একঘন্টা যায়, দেড়ঘন্টা যায়, বরশীর ফনা নড়েনা। তারমানে কি? মন্ত্র কি তবে কাজ করছেনা? এক মামা বললো- তুই কবরের মাটি নিয়েছিসতো ঠিকঠাক মতন? আমি জবাবে শুধু বললাম- হু!
এদিকে খিদেয় পেট চোঁ চোঁ করছে। দুপুর গড়িয়ে প্রায় বিকেল। এ সময় মেজোমামা পুকুর ঘাটে আসেন আশেপাশের ক্ষেত দেখতে। আমাদের দেখতে পেলে আজ আর আস্ত রাখবেননা তিনি।
অগত্যা বিফল মনোরথে আমরা বাড়িতে ফিরে এলাম। নানু প্রচন্ড রাগারাগি করলো একা একা মাছ ধরার গল্প শুনে। যদিও সবকথা চেপে গিয়েছিলাম সেদিন। তবে রাতে আমার প্রচন্ড জ্বর এসেছিলো। আর সেই জ্বরে পুরো সাতদিনের ছুটি বিছানায় কেটেছে সে বছর। বড়মামা গঞ্জ থেকে ডাক্তার নিয়ে গিয়ে ঔষধ লিখে নিয়েছিলেন বলে সে যাত্রায় রক্ষা!
নানীর মুখে শুনেছি প্রথম তিনদিন আমার কোনো হুঁশই ছিলো না। জ্বরের ঘোরে আমি নাকি বার বার কবর, মাছ, বড়শী এসব কথা বলেছি। আমার এমন অবস্থায় গ্রামের এক কবিরাজ এসে নানীকে বলেছিলেন- আমার প্রচন্ড ভয় থেকে এমন হয়েছে। তবে কিভাবে তিনি বুঝেছিলেন সেটা আজও রহস্য থেকে গিয়েছে আমার কাছে।
আমাকে বাসায় নিয়ে আসার জন্য আম্মা এসেছিলেন গ্রামে। সবার কাছ থেকে বিদায় নেয়ার সময় মেজোমামা মৃদু হেসে বললেন- মাছ খাবি তা আমাকে বললেই হতো। পুকুরেতো মাছ নেই। তোরা পাজির দল যেদিন মাছ ধরতে গিয়েছিলি তার আগেরদিনই আমি সব মাছ বেঁচে দিয়েছিলামরে! তোর মামার পুকুরের মাছ সব চলে গিয়েছে হাঁটে। মাছ না থাকলে সোলেমানী মন্ত্রে কি আর বরশীতে মাছ গাঁথে? গাঁধার দল সব!!
একথা শুনে আমি নিশ্চিত আমার প্রচন্ড জ্বর দেখে ছোটমামারা ভয়ে সব বলে দিয়েছে মেজোমামাকে। লজ্জায় মাথা লুকানোর জন্য আম্মার কাছে এসে দাঁড়িয়েছিলাম সেদিন। তবে মেজোমামা বা ছোটমামারা আমার রাগী মাকে কিছুই বলেনি সেসব। পাছে তাদের আদরের ভাগ্নেকে শাস্তি পেতে যেনো না হয়।
আমরা আসার সময় মামা বিল থেকে বিশাল সাইজের তিনটি বড় রুই, নদীর চিতল মাছ দিয়েছিলেন। অথচ তাদের ভাগ্নে আজও মাছ খায়না। বছরে দু’এক টুকরো হয়তো মুখে দেই দাওয়াতের বাসায় গেলে। সেখানেতো আর না করা যায় না। কাউকে কাঁটা সহ মাছ চিবিয়ে খাওয়া দেখলে আমার হিংসে হয়। আমি কেন মাছ খেতে পারিনা!!
২৩টি মন্তব্য
শাফিন আহমেদ
হা হা হা ছোট মামাও বিশ্বাস করতো যে সোলেমানী মন্ত্রে মাছ উঠবে । তবে আচমকা দাড় কাকের ডাক শুনে যে ভয় পেয়েছিলেন আর কবর থেকে দুঃসাহসিক ভাবে যে মাটি আনতে গিয়েছিলেন ঐ ব্যাপারগুলোই সারাক্ষন আপনার মনের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছিলো আর এজন্যই জ্বর এসেছিলো। এরকম আমার বন্ধু একবার পুকুরপাড়ে দুপুরবেলা মাছ ধরতে গিয়ে ভয় পেয়েছিলো পরে জ্বর এসেছিল । সবাই বলেছিলো ওর গায় নাকি বদ জ্বীনের বাতাস লেগেছে ।
তৌহিদ
ছোট বেলায় আসলে রোমাঞ্চকর যাই মনে হত বিশ্বাস করে ফেলতাম ভাই। তবে বদ জ্বীনের কথাটি অমূলক নয়। এরকম হয়ই কিন্তু!
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
ইঞ্জা
হো হো হো হা হা হা হি হি হি, সোলেমানি মন্ত্র, হি হি হি হি হা হা হা, সেই সময় এতো সাহসী ছিলেন ভেবেই হাসতেছি। 😄
তৌহিদ
খাড়ান এত্ত হাইসেননা দাদা, আপনাগো ক’য়জনরে সোলেমানী মন্ত্র বান মারমু 😃😃😃
আমার সাহসের আর দেখছেন কি! নিজের বসরে চেয়ার তুলে মাইরা সাসপেন্ড ছিলাম চাকরি থেকে। এই রেকর্ডও আমার আছে দাদা। ☺☺
ইঞ্জা
ওরে বাবা, এতো দেখি আরেক ইঞ্জা, আমিও এক ব্যাংক ম্যানেজারকে চেয়ার তুলে মেরেছিলাম। 😜
শামীম চৌধুরী
হা হা হা…!! তৌহিদ ধন্যবাদ তোমাকে। ৪০ বছর আগে নিয়ে গেলে। এই সোলেমানী তাবিজের বই খুব যত্ন করে রাখতাম আর এর কদরও ছিলোআামর কাছে কোরআন শরীফের পর। কত লোককে যে তাবিজ বানিয়ে দিছি। হা হা হা..। ওজু করে মাথায় টুপি দিয়ে তাবিজ লিখতাম। আমাদের সময় পাউরুটির মোড়ক ছিলো ঘুড়ি বানানো কাগজের। সেই মোড়ক সংগ্রহ করে যত্ন সহকারে তোষকের নীচে রাখতাম।একদিন তাবিজ লিখতে বসছি। আম্মা মনে করেছেন বসে পড়ছি। অনেকক্ষন হয়ে যাওয়ায় উনি সামনে এসে দেখেন এই কাজ মানে তাবিজ লিখছি। পরে পিঠে দু ঘা লাগিয়ে বলে পীর সাহেব হতে চাও। সাথে সাথে বইটি নিয়ে ছিঁড়ে ফেলেন। উনি খুবই বাস্তববাদী নারী ছিলেন।
ধন্যবাদ তোমাকে স্মৃতিচারনের জন্য।
প্রদীপ চক্রবর্তী
গল্প পড়েও হাসছি সবার হাসি দেখেও হাসছি।
সোলেমানি মন্ত্র নাকি চুম্বকের মত কাজ করে।
এমন গল্প আজ প্রথম পড়লাম।
বেশ ভালো লাগলো দাদা।
তৌহিদ
হ্যা দাদা ,সোলেমানী মন্ত্র চুম্বকের মতন কাজ করে। তুকতাক করতে চাইলে করতে পারেন😃😃😃
লেখা পড়ার জন্য ধন্যবাদ দাদা।
তৌহিদ
আপনিও কবিরাজ ছিলেন? তাহলেতো আমি আজ থেকে আপনারে কবিরাজ ভাইয়া বলে ডাকবো ভাইজান। ছোটভাইয়ের উপর মাইন্ড খাইবেন না তো!!
তবে আপনিও যে ছোটবেলায় দস্যিপনায় কম ছিলেননা আপনার মন্তব্যে তা জানলাম।☺☺
মায়েরা এমনি। চারিদিকে তাদের নজর। ফাঁকি দেয়া মুশকিল।
ভালো থাকবেন ভাইয়া।
নাজমুল হুদা
সব সোলেমানী ছেলেরা। সোলেমানী তো মাছ বানায় না । অনেক মজার ছিলো গল্পটা। এক টেনে রহস্য উদঘাটন করতে করতে পড়ে গেছি।
ভাইয়া সুস্থ থাকবেন সবসময় 😍
তৌহিদ
লেখা পড়ার জন্য ধন্যবাদ নাজমুল। ভালো থেকো ভাই।
শুভকামনা রইলো।
রেহানা বীথি
ভাইয়েরই বোন তো আমি, দস্যিপনা কিছু কম করিনি ছোটবেলায়। খুব খুব ভালো লাগলো লেখাটা।
তৌহিদ
ছোটবেলায় যারা দস্যিপনা করে বড় হয়ে তাড়াই শান্ত হয়ে যায় আপু। লেখা পড়ার জন্য ধন্যবাদ আপুমনি।
শবনম মোস্তারী
😁মজার গল্প। ভালো লাগলো দস্যিপনার গল্প। তখন তো ব্যর্থ হয়েছেন, এখন আবার একটু চেষ্টা করতে পারেন মন্ত্র দিয়ে মাছ ধরার,,😁😁
তৌহিদ
গল্পটি পড়েছেন দেখে ভালো লাগলো। তখন মাছ ধরতে ব্যর্থ হয়েছি তবে এবার মানুষের উপর মন্ত্র পড়ে ফুঁ দেব নাকি ভাবছি☺☺
দেখা যাক কি হয়☺
আরজু মুক্তা
আজ হাসি থামবেনা। সেলেমানি মন্ত্র।
😁😂হা হা হি হি।
তৌহিদ
হাসুন হাসুন আর মন্ত্র পড়ে যাকে বশ করতে চান তার উপর ফুঁ দিন আপু। কাজ হবে 😃😃
সাবিনা ইয়াসমিন
সোলেমানি মন্ত্র/তাবিজে অনেক কিছু বশ করা যায় শুনেছি, কিন্তু মাছ! ওটাও ধরা যায়!! শিশু বয়সে মানুষের মন কত নিষ্কলুষ থাকে তাইনা? যেকোনো কিছু সহজে বিশ্বাস হয়ে যায় প্রবল বিশ্বাসের সাথে। আবার অহেতুক ভয় গুলোও জয়ী হয় শিশুদের ভিতরে।
মজার লেখা। ভালো লাগলো খুব। শুভ কামনা 🌹🌹
তৌহিদ
এখনো অজ পারাগাঁয়ে এসব বিশ্বাস করে আপু। আমি নিজে দেখেছি। হ্যা এসব তন্ত্রমন্ত্র দিয়ে নাকি অনেক কিছুই করা যায়। আমি সেই বইয়ে মাছ ধরার মন্ত্র পেয়েছিলাম। কাজ হয় কিনা জানিনা আপু। তবে ছোট বয়সে ভয় পেলে জ্বর আসেই, এটা সত্য।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু।☺
ছাইরাছ হেলাল
সব পড়লাম,বুঝলাম।
কিন্তু ঐ বই-এ কী করে কোবতে লেখা যায়, এমন কিছু আছে কী-না, ঠিক-ঠাক বলুন।
আমার খুব দরকার।
তৌহিদ
ঘটনা কি মহারাজ! কাউরে বশ করতে চান নাকি??☺☺
এইসব বুজরুকিতে কখনওই বিশ্বাস করবেননা। আমরা নিতান্তই সাধারন মানুষ। আমাদের দ্বারা তন্ত্র মন্ত্র হবেনা।
তবে আপনি মসজিদের ইমাম সাহেবের সাথে কথা বলে দেখতে পারেন ☺
মনির হোসেন মমি
এ সব ঘটনা আজকের ছেলে মেয়েদের কাছে স্বপ্ন মনে হবে।কত ভাওতবাজী যে ছিলো তাবিজ নিয়ে।খুব ভাল হয়েছে লেখাটি।
তৌহিদ
অনেকেই ভাঁওতাবাজি করে বটে ভাইটি। লেখা পড়ার জন্য ধন্যবাদ।