পাহাড়ি মেঘের বাধা উজিয়ে
স্বপ্নে-স্বপ্নে দিবা-স্বপ্নে দিব্য-স্বপ্নে বেঁধে ফেলি
একান্ত একান্তে আমারই কুটির;
শীতোষ্ণতার নিকুচি করি;
বাত-জ্বর পীত-জ্বর তোয়াক্কা করি না,
নিঃশব্দ চিৎকারে অধিকারে নেব আমারই কুটির।
পাগল করা জ্বলজ্বলে জ্বালা ধরানো উজ্জ্বলন্ত ময়ূরের
যৌথ-অযৌথ সাতার মানি না,
শিথিল এলো চুলে মহাস্থবির হবো;
অর্জন-বিসর্জনের বৈধব্যে;
হতভম্বগুলো আড়াআড়ি দাঁড়াবে পথ আগলে
বিষম খেয়ে ভিমরী খাবে,
অনুষজ্ঞহীনতায় চুপচাপ বুঝে নেব নিজেকে;
মমিভুত স্থবিরতায়।
—————————————————————————————-
‘দিলাম জুড়ে সূঁচের খোঁচায় যা থাকে কপালে।‘
মৌনতা রিতু সুন্দর-সাবলিল ভাবে শঙ্কাহীন চিত্তে এমন করে বলতেই পারেন;
সূঁচী-শিল্প-কর্ম সবাই পারে না, যেমন আমি পারিনি, প্রবল-প্রতুল চেষ্টা-চরিত্র করেও,
তবে পণ্ডশ্রমে সফল হয়েছি ভেবে ভাল লাগছে!!
১৮টি মন্তব্য
মৌনতা রিতু
ওরে! শেষমেষ কেউ তো লিখলো নামটা ধরে। তাও এমন কবি!
দারুন সব ধারালো, চকচকে শব্দের পাশে
সূঁচের খোঁচায় এলোমেলো ফোঁড়ে ভেষে ওঠে কিছু এবড়োথেবড়ো শব্দ আমার। ভয়ে নির্ভয়ে, প্রচন্ড এক আল্লাদ নিয়ে জুড়ে দেই।
নিজের সে আনাড়ি ফোঁড় ভেসে উঠলে লজ্জায় মরে যাই।
না আছে তা শ্রী, না আছে তার স্নীগ্ধতা।
তবু জুড়ে দেই যদি কখনো সোজা হয় সে শব্দ।
‘তপবনের সে কুটিরে দুষ্মন্ত কোনো রাজা আসুক না আসুক, প্রিয়ংবদা সখি আমার প্রিয় কথা বলুক আর না বলুক, আমার সে ভেন্নাপাতার কুটিরে বনমল্লিকা জড়িয়ে দিব। যার নাম বনজ্যোৎস্না। ময়ূরের নাচ দেখব বলে নীল আকাশকে ডেকে বলব, মেঘ জমাও বর্ষা নামাও।
দিবা স্বপ্ন আমার স্পষ্ট বড়।”
দেখলেন আবারো জুড়ে দিলাম! জানি না এ অভ্যাস কবে যাবে।
হুম, যেদিন দাবড়ানি দিবেন সেদিন যাবে।
কৃতজ্ঞ রইলো কবি। সত্যিই অবাক হয়েছি। সকালে উঠে এমন একটা লেখা দেখব ভাবতেই পারিনি। আজ দিনটা খারাপ যেতেই পারে না।
ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন কবি। এমন করে লিখুন। অন্তত শিখতে চাই গুরু।
ছাইরাছ হেলাল
সখি তো দেখছি না, খোদ প্রিংবদাকেই তো দেখতে পাচ্ছি;
বনমল্লিকা, বনজ্যোৎস্না, ময়ূর নাচ, নীলাকাশ!! সব জড়ো করে ফেলেছে!! আমাদের জন্য কিছুই তো
ফেলে রাখলেন না!!
তবে বর্ষা অবশ্যই নামাতে যাচ্ছি।
কেউ দাবড়ানি দিচ্ছে না, দেবেও না।
গরু কোথায় পেলেন!! কৈ আমি তো কিচ্ছুটি দেখতে পাচ্ছি না।
মৌনতা রিতু
গরু! নাউজুবিল্লাহ্।
বাপরে, প্রিয়ংবদা হলে তো আমার ঘাড়ের উপরে ভর করা ঝগড়াঝাঁটির ভূতের আপোদ সব বিদায় হতো।
শিখছি প্রিয়ংবদা হওয়া।তাই তো কবিতায় ডুব দিছি।
ছাইরাছ হেলাল
ঝগড়াভূত এবার পালিয়ে বাঁচবে।
শিখেতো ফেলেছেন, এবার আমাদের শেখানোর পালা।
ডুবাডুবি করুন, আমাদের সোনেলাকে সাথে রাখলেই হবে।
নীলাঞ্জনা নীলা
দিব্যচক্ষুটা যে কোথায় হারিয়ে ফেললাম আমি! খুঁজে না পেলে শব্দের সাথে বাক্যের শুভদৃষ্টিও যে হবেনা। উফ কোথায় যে পাই!! 🙁
ভাবছেন মাথা কি খারাপ হয়ে গেলো, কি ছাইপাঁশ লিখছি! মাথাটা সুস্থই তো ছিলোনা। দিব্যচক্ষু হারানোর ফলে একটা লাভ হয়েছে, বাক্য-সূচের ভেতর কবিতা-সুতো পরিয়ে কাব্যিক আল্পনাকে এলোমেলো করে দিতে পারবোনা। এ কবিতায় যে আমার শান্তসুন্দরী আপু’র ভাবনা আছে।
সত্যি বলছি কবিতায় ডুব মেরেছি কিন্তু!
দারুণ! দারুণ!! এবং দারুণ!!! :c 😀
ছাইরাছ হেলাল
দিব্যচক্ষু ঠিকই আছে দেখতে পাচ্ছি।
তা না হলে এমন সুন্দর করে দেখতে পেতেন না।
শান্তসুন্দরী আপুটা কিডা!!
হ্যা, তার মত করে ভাবতে চেয়েছি, কী পেরেছি তাও আপনি ভালই জানেন। কবিগুরু।
মৌনতা রিতু
আমিই সেই নীলনদের শান্তসুন্দরী😍।ইডা আমি।
ছাইরাছ হেলাল
ওরে বাবা আগে বলবেন না!!
নীলাঞ্জনা নীলা
আরে জানেন না তো দিব্যচক্ষুর সন্ধানে বিজ্ঞাপনও দিয়েছি কুবিরাজ ভাই। 😀
ছাইরাছ হেলাল
চক্ষুটা একটু ধার দিয়েন, কাম আছে।
মৌনতা রিতু
নীলাআপু এত্তোগুলো ভালবাসা নিও।😍😍
ছাইরাছ হেলাল
তলে তলে না, এ দেখছি উপ্রে উপ্রে দিয়েই জল অনেক দূর গড়িয়েছে!!
নীলাঞ্জনা নীলা
ভালোবাসা নিলাম এবং দিলামও তোমাকে শান্তসুন্দরী আপু। (3
ছাইরাছ হেলাল
বেশি বেশি দ্যান, হৃদয় কাত করে ঢেলে দিন!
জিসান শা ইকরাম
আমারই একান্ত কুটির থাকবে আমারই অধিকারে,
লেখাটির উৎস কি মৌনতা রিতু? মিস করে ফেলেছি মনে হয় অনেক কিছু 🙂
ছাইরাছ হেলাল
প্রেমে অপ্রেমে বেঁধে ফেলি এক ঘর
সে এক শুন্য ঘর, সে ঘর আমার ভেন্নাপাতার।
সব ঋতুতে তার নড়েচড়ে বসা,
কিবা শীত, কিবা বরষা, কিবা ঝড়, কিবা রোদ,
শুধু অমাবস্যায় তীরতীরে বাতাসে শরীরে কাঁপন না ধরালেও, মনে কাঁপন তোলে
ছুঁয়ে আসার উষ্ণতায় ছটফট মন মনন। শুক্লপক্ষে এক রুপোর আলোয় আলোময় এ ভেন্নাপাতার ঘর আমার।
মনের জোরের যে সূচ আছে, তা দিয়ে গেঁথে চলি এক এক ভেন্না পাতা।
বরষায় তার একরকম গাঁথুনি,
শীতে আর এক রকম।
আমার এ একার ঘরে গগন বিদারী এক হাহাকার আমার।
তা শুধু আমার।
না পাওয়ার এক হাহাকারের এক ভেন্নাপাতার ঘর আমার।’
===============================================
একাকীত্বের প্রেমে প্রেম—— এই শিরোনামের লেখায় এটি রিতুজির মন্তব্য!!
আমিও তাঁর মত একটি মন্তব্য করার চেষ্টা করেছি মাত্র।
জিসান শা ইকরাম
ও আচ্ছা, মৌনতা রিতুও তাহলে মন্তব্য কবিতা দিয়ে করে! দারুন ইম্প্রেসিভ
ছাইরাছ হেলাল
আমিও তেমনই ভাবি।