
গত কয়েকদিন আগে ঢাকা ইউনিভার্সিটির ছাত্র আত্মহত্যা করলো শুধু মাত্র একটি মেয়েকে না পাওয়ার বেদনায়।
বলিউড ফ্লিম সুপারস্টার সুশান্ত সিং আত্মহত্যা করলো গলায় দড়ি দিয়ে, ইতিমধ্যে বেশ নামকরা ভারতীয় অভিনেতা আত্মহত্যা করলো বিষন্নতার কারণে, কিন্তু কেন এই আত্মহত্যা বা নিজেকে নিজে খুন করা?
আসুন জানি গুগল উইকিপিডিয়া কি বলে।
আত্মহত্যা বা আত্মহনন (ইংরেজি: Suicide) হচ্ছে কোনো ব্যক্তি কর্তৃক ইচ্ছাকৃতভাবে নিজের জীবন বিসর্জন দেয়া বা স্বেচ্ছায় নিজের প্রাণনাশের প্রক্রিয়াবিশেষ, ল্যাটিন ভাষায় সুই সেইডেয়ার থেকে আত্মহত্যা শব্দটি এসেছে, যার অর্থ হচ্ছে নিজেকে হত্যা করা। যখন কেউ আত্মহত্যা করেন, তখন জনগণ এ প্রক্রিয়াকে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করে।
ডাক্তার বা চিকিৎসকগণ আত্মহত্যার চেষ্টা করাকে মানসিক অবসাদজনিত গুরুতর উপসর্গ হিসেবে বিবেচনা করে থাকেন, ইতোমধ্যেই বিশ্বের অনেক দেশেই আত্মহত্যার প্রচেষ্টাকে এক ধরনের অপরাধরূপে ঘোষণা করা হয়েছে, অনেক ধর্মেই আত্মহত্যাকে পাপ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
যিনি নিজেই নিজের জীবন প্রাণ বিনাশ করেন, তিনি – আত্মঘাতক, আত্মঘাতী বা আত্মঘাতিকা, আত্মঘাতিনীরূপে সমাজে পরিচিত হন।
প্রতিবছর প্রায় দশ লক্ষ মানুষ আত্মহত্যা করে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-এর মতে প্রতি বছর সারা বিশ্বে যে সব কারণে মানুষের মৃত্যু ঘটে তার মধ্যে আত্মহত্যা ত্রয়োদশতম প্রধান কারণ।
কিশোর-কিশোরী আর যাদের বয়স পঁয়ত্রিশ বছরের নিচে, তাদের মৃত্যুর প্রধান কারণ হচ্ছে আত্মহত্যা।নারীদের তুলনায় পুরুষদের মধ্যে আত্মহত্যার হার অনেক বেশি, পুরুষদের আত্মহত্যা করার প্রবণতা নারীদের তুলনায় তিন থেকে চার গুণ।
প্রাচীন এথেন্সে যদি কোন ব্যক্তি রাষ্ট্রের অনুমোদন ব্যতিরেকে আত্মহত্যা করত তাহলে তাকে সাধারণ কবরস্থানের সম্মান দেয়াকে অস্বীকার করা হত, তাকে কবরস্থ করা হত শহরের বাইরে অবস্থিত কোন জায়গায় একা শুধু তাই নয় তার জন্য কোন স্মৃতিফলক ও ব্যবহার করতে দেয়া হতনা।
তবে সামরিক পরাজয়ের মোকাবেলা করার জন্য এটি গ্রহণযোগ্য পদ্ধতি বলে মনে করা হতো, প্রাচীন রোমে আত্মহত্যা প্রাথমিকভাবে অনুমোদিত ছিল, পরে এটি অর্থনৈতিক খরচের কারণে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে একটি অপরাধ বলে অভিহিত হয়েছিল, প্লেটোর দ্বিধাবিভক্ত অবস্থায় প্রেক্ষাপটে অ্যারিস্টটল আত্মহত্যার সব ধরনের পন্থার নিন্দা জানিয়েছিলেন।
রোমে কিছু আত্মহত্যার কারণ যেমন- গ্ল্যাডিয়েটর যুদ্ধে স্বেচ্ছাসেবক মৃত্যু, অন্যের জীবন বাঁচাতে, অন্যের জীবন রক্ষা করার জন্য, শোকের ফলে, ধর্ষণের জন্য লজ্জা থেকে মুক্তি পেতে, শারীরিক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি, সামরিক পরাজয়ের মতো অসহিষ্ণু পরিস্থিতিতি থেকে অব্যাহতি বা অপরাধমূলক সাধনা সাধারণ বিষয় ছিল।
আত্মহত্যাকে খ্রিস্টান ইউরোপে একটি পাপ হিসাবে গণ্য করা হয়েছিল এবং ৪৫২ সালে Arles এর কাউন্সিলে তাকে শয়তানের কাজ হিসেবে নিন্দা করা হয়েছিল, মধ্যযুগে চার্চ করডোবার শহীদদের ক্ষেত্রে যেমন শহীদ হওয়ার বাসনা আত্মঘাতী ছিল তাই তাকে আলোচ্য আলোচনার বাইরে রাখা হয়েছিল, এই বিরোধ এবং মাঝে মাঝে সরকারী বিধিবিধান সত্ত্বেও সপ্তদশ শতকের শেষের দিক পর্যন্ত আত্মহত্যার বিষয়ে ক্যাথলিক মতবাদ পুরোপুরি নিষ্পত্তি হয়নি। ফ্রান্সের লুই চতুর্দশ এর ১৬৭০ সালে জারি করা ফৌজদারি অধ্যাদেশটি অত্যন্ত খারাপ ছিল, এমনকি সময়ের জন্যও: মৃত ব্যক্তির শরীরটি রাস্তায় টেনে আনা হত, মাথা নিচু করে তারপর আবর্জনা দিয়ে আবৃত করা হত। উপরন্তু, ব্যক্তির সমস্ত সম্পত্তি জব্দ করা হত।
রেনেসাঁর সময় থেকে আত্মহত্যার প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি ধীরে ধীরে পরিবর্তন শুরু হয়েছিল। জন ডন এর কাজ ‘বাইথানটোস’ আত্মহত্যার প্রথম আধুনিক সুরক্ষার মধ্যে একটি ছিল, যিশু, শিমসন এবং শুলের মতো বাইবেলের পরিচয়ের আচার থেকে সাক্ষী এবং নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে আত্মহত্যার অনুমোদনের জন্য যুক্তি ও প্রকৃতির ভিত্তিতে আর্গুমেন্ট উপস্থাপন করেছিল ।
আত্মহননের সময় শুরু হওয়া সমাজের সেক্যুলারিজম আত্মহত্যার প্রতি ঐতিহ্যগত ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল এবং বিষয়টি নিয়ে আরও আধুনিক দৃষ্টিকোণ নিয়ে এসেছিল। ডেভিড হিউম অস্বীকার করেন যে আত্মহত্যা একটি অপরাধ ছিল কারণ এটি কোনও ব্যক্তিকে প্রভাবিত করেনি এবং সম্ভাব্য ব্যক্তিটির সুবিধার জন্য ছিল বলে তিনি মনে করেন। তার ১৭৭৭ প্রবন্ধে আত্মহত্যা এবং আত্মার অমরত্ব নিয়ে তিনি নিখুঁতভাবে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ” কেন আমি একটি করুণ অস্তিত্বকে দীর্ঘায়িত করবো, কিছু অসার সুবিধা যা জনসাধারণ হয়তো আমার কাছ থেকে গ্রহণ করতে পারে,?” পাবলিক মতামত এছাড়াও উপলব্ধ করা যেতে পারে; ১৭৮৬ সালে টাইমস পত্রিকায় “আত্মহত্যা কি সাহসের কাজ?” এর উপর একটি প্রবল বিতর্ক শুরু হয়েছিল। ঊনবিংশ শতাব্দীর দিকে ইউরোপে আত্মহত্যার ঘটনা পাপ থেকে উন্মাদনার কারণে সৃষ্ট ঘটনায় স্থানান্তরিত হয়েছিল । যদিও এই সময়ের মধ্যে আত্মহত্যা বেআইনি ছিল, এটি ক্রমশ উপহাসমূলক মন্তব্যের লক্ষ্য হয়ে ওঠেছিল, যেমন গিলবার্ট এবং সুলেভান বাদ্যযন্ত্র মিকডো দিয়ে যিনি ইতিমধ্যেই নিজেকে হত্যা করেছিল এমন ব্যক্তিকে উপহাস করেছিল ।
১৮৭৯ সালের মধ্যে ইংরেজরা আত্মহত্যা ও হত্যাকাণ্ডের মধ্যে পার্থক্য করতে শুরু করেছিল, যদিও আত্মহত্যার ফলে সম্পত্তি জব্দ করা হত। ১৮৮২ সালে মৃত ব্যক্তিদের ইংল্যান্ডে দিনের বেলা দাফন করার অনুমতি দেয়া হয়েছিল এবং বিংশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে পশ্চিমা বিশ্বের বেশির ভাগ দেশে আত্মহত্যা বৈধ হয়ে উঠেছিল । আত্মহত্যা শব্দটি প্রথম আত্মত্যাগের স্থলাভিষিক্ত হয়েছিল ১৭০০ সালের পূর্বেই যা প্রায়ই পশ্চিমে আত্মহত্যার একটি রূপ হিসেবে চিহ্নিত ছিল।
সূত্রঃ গুগল উইকিপিডিয়া।
আমরা এতক্ষণ জানছিলাম আত্মহত্যা বিষয়ে, এখন জানি এর ফল কি?
সত্যিকার অর্থে আত্মহত্যা কোনো সলিউশন কি, নাকি সব কিছু থেকে পালিয়ে বাঁচা?
আমার মতে যে আত্মহত্যা কখনোই কোনো সলিউশন হতে পারেনা, এতে না আত্মহত্যাকারীর লাভ, না তার পরিবারের লাভ, বরঞ্চ একটি পরিবারের আজীবনের কান্না হয়ে থাকে।
আত্মহত্যাকারী তো সবকিছু থেকে পালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে থেকেই নিজেকে নিজে খুন করে, এতে কি সে লাভবান হয়েছে?
না প্রশ্নই উঠেনা, এ জীবন ত্যাগ করে সে যে অন্য পাড়ে পাড়ি জমালো, সে কিভাবে ওখানে ভালো থাকবে, মুসলিম ধর্ম সহ অনেক ধর্মেই মহা পাপ, যদি মহা পাপই হয়ে থাকে তাহলে নিশ্চয় সে অন্য পাড়েও ভালো নেই তা বলাই বাহুল্য।
আবার যে আত্মহত্যা করেছে, সেকি চিন্তা করেছে যে মা তাকে পেটে ধরেছে, মৃত্যুর সামিল যন্ত্রণা সয়ে জন্ম দিয়েছে, যে মা সন্তানকে মাটিতে রাখেনি পিঁপড়ায় ধরবে বলে, সারাক্ষণ কোলে পিঠে রেখেছে, তার গু, প্রস্রাব নিজ হাতে পরিস্কার করেছে, নিজের বুকের দুধ খাইয়ে বড় করেছে, সেই মা কিভাবে সহ্য করবে সন্তানের পালিয়ে যাওয়া?
যে বাবা সন্তানকে বড় করার জন্য নিজের সকল সুখ স্বাচ্ছন্দ বিসর্জন দিয়েছে, সেই বাবা কি ভাবে সহ্য করে সন্তানের অকাল মৃত্যু?
হয়ত একটি পরিবারের শেষ ভরসা ছিলো সেই আত্মহত্যাকারী, তার পালিয়ে যাওয়াকে সেই পরিবারের কি অবস্থা হবে, সে কি একবার ভেবেছে?
ভাবলে হয়ত আত্মহত্যা সে করতোনা।
সুতরাং অনুরোধ করবো, প্লিজ আত্মহত্যাকে কখনোই সলিউশন ভাববেন না, আত্মহত্যার কথা মাথায় আসলেই ঝেড়ে ফেলে দিন, ভাবুন আপনি বেঁচে থাকলে কিভাবে সমস্যার সমাধান করতে পারেন, নিশ্চয় পথ বেরুবেই।
আত্মহত্যা মহা পাপ, আত্মহত্যা যে করে সে জানেনা, তার সাথে সাথে তার পরিবারও খুন হয় তারই হাতে।
সুতরাং আত্মহত্যার কথা মাথায় এলে নিজের জন্মদায়িনী মার কথা ভাবুন, বাবার কথা ভাবুন, ভাই বোনদের কথা ভাবুন, ওদের কাছে যান, মাকে, বাবাকে জড়িয়ে ধরে রাখুন কিছুক্ষণ, নিশ্চয় আপনার ভুল ভাঙ্গবেই।
ভালো থাকবেন সবাই, সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন।
সমাপ্ত।
ছবিঃ গুগল।
৪৩টি মন্তব্য
সুপর্ণা ফাল্গুনী
প্রথমেই একটু আপত্তি আছে ভাইয়া ভারতের অভিনেতা সুশান্ত আত্নহত্যা করেনি এটা এখন পুরো পরিষ্কার। আমি প্রথমদিনেই ওর ডেডবডির ছবি দেখেই বুঝেছি এটা আত্নহত্যা নয়। আপনার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও এর ফলাফল নিয়ে যা বললেন আমি শিহরিত। আত্নহত্যা কোন ধর্মেই সাপোর্ট করে না , হিন্দু ধর্মে তো ঠিকমত অন্ত্যেষ্টিক্রিয়াও করা হতো না এমন মৃত্যুতে । ইংরেজদের বিষয়টি জানা ছিলো না । খুব ভালো লাগলো আপনার পোষ্ট টি। শুভ কামনা রইলো অহর্নিশি
বন্যা লিপি
ছোটদি আপনার সাথে আমিও একমত। ভারতীয় অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত আত্মহত্যা করেন নি। ওটা একটা পরিকল্পিত হত্যা।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ধন্যবাদ আপু
ইঞ্জা
আপু আপত্তি করবেন না প্লিজ, সুশান্ত অলরেডি ডিক্লেয়ার সুসাইড করেছে, বাকিটা তদন্তের উপরে নির্ভর করছে, আসুন আমরা অপেক্ষা করি রেজাল্টের।
আজকের লেখাটা যুথি আপুর এক শেয়ারের কারণে মাথায় আনলাম।
আসলে কোনো ধর্মেই আত্মহত্যা মেনে নেয়না, আসলে নেওয়াও উচিত না, আমি তো বলবো কাপুরুষরাই আত্মহত্যা করে।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ভাইয়া সব জেনে বুঝে ও এটা বলা ঠিক হবে না আত্নহত্যা বলে তার হত্যাকে চাপা দিতে উঠে পড়ছে মুম্বাই পুলিশ, তার খুনীরা। আপনি নিজে বলেন কোন দৃষ্টিকোন থেকে মনে হয় এটা আত্নহত্যা?একটা প্রমান, যুক্তি ও দেয়া যাবে না এটা আত্নহত্যা। জেনে বুঝে আমরাও যদি তোতা পাখির মতো মুখস্থ বুলি আওরাই তবে সে জানার কোন মানেই হয় না। অন্যায় যে করে আর সহে সমান অপরাধী । আমরা কিছু করতে পারবোনা কিন্তু সত্যি বলতে বাধা কোথায়?
ইঞ্জা
যেহেতু বিষয়টা তদন্ত হচ্ছে, এ ব্যাপারে কিছু না বলাই শ্রেয় আপু।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ভাইয়া তদন্তে কি হবে সেই আশায় বসে নেই।কারন এখানে অনেক বিশাল কিছু জড়িয়ে আছে, শ্রীদেবী যেভাবে মারা গেছে সেটাও বিশ্বাসযোগ্য নয় কিন্তু আমি এটা জানি, বিশ্বাস করি সে আত্নহত্যা করেনি। এটাই আমার স্বান্তনা। আপনার মতামত আপনার কাছে। ধন্যবাদ ভাইয়া
ইঞ্জা
জ্বি আপু, ভালো থাকবেন।
বন্যা লিপি
শিহরিত এবং দুর্দান্ত তথ্যবহুল পোষ্ট ভাইজান। আত্মহত্যা কখনোই সমাধান হতে পারেনা। তবুও যিনি বা যারা এ পথে যান, জীবনের কাছ থেকে বিতশ্রদ্ধ হয়েই জীবনাবসান ঘটান। জানা শোনা কয়েকটা ঘটনা আছে, এর আগে সাবিনা আর আজ আপনার পোষ্ট পড়ে ইচ্ছে করছে নিজের মতো কিছু লিখতে। আশা আছে লিখবো কিছু।
আপনাকে সাধুবাদ ভাইজান এমন পোষ্টের জন্য।
ইঞ্জা
আপু আসলে সুশান্ত সিং আত্মহত্যা করেছে সেটাতেই সবাই স্ট্যান্ড করছে, অবশ্য তদন্ত চলছে, দেখা যাক কি হয়।
ইঞ্জা
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু। 😊
বন্যা লিপি
সুশান্ত সুইসাইড করেনাই, তাঁকে পরিকল্পিত হত্যা করে সুইসাইড ডিক্লেয়ার করার জোড় চেষ্টা চালানো হচ্ছে। ভেতরগত বহুত কাহিনীর জেড় ধরে এ হত্যাকান্ড ঘটানো হয়েছে।
তদন্ত যাই হোক উচ্চপর্যায়ের তদন্ত বা সুষ্ঠ তদন্ত কখনোই হবে বলে মনে হয় না। কারন নেপথ্যের গডফাদাররা বহুত বহুত বড় ফাদার/ আব্বাজান।
বন্যা লিপি
ধন্যবাদ দিয়া কি ভাত খামু😏
ইঞ্জা
দেখা যাক আপু, আমরা এখানে তর্ক করলেও ওদের কিছু যাউ আসবেনা, দেখিনা তদন্তে কি বেরিয়ে আসে।
ধন্যবাদ আপু।
ইঞ্জা
খেয়ে দেখতে পারেন, বেশ মিষ্টি। 😉
নিতাই বাবু
মান-অভিমান, আর বিষন্নতা নিয়েই এসব বেশি ঘটে থাকে দাদা। আমার একমাত্র ছেলেটাও অভিমান করে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছে। পরে অবশ্যই যানতে পারি প্রেমে বিরক্তির পরিস্থিতিতে ও এ-কাজ বেছে নেয়। আর কিছুই লিখতে পারছি না, দাদা। আবার নতুন করে মনে পড়ে গেলো!
ইঞ্জা
কষ্ট পেলাম দাদা ছেলের কথা শুনে, তবুও বলবো আত্মহত্যায় সব শেষ করেনা, ছেলে আত্মহত্যা করে চলে গেলো কিন্তু কষ্টটা আপনারা এখনো বয়ে বেড়াচ্ছেন।
নিতাই বাবু
ঠিক তা-ই দাদা। সেই থেকে আজ অবধি সারারাত একা একা জেগে থাকি।
ইঞ্জা
বেশ কষ্ট, এইটা আমি বুঝি দাদা। 😢
ফয়জুল মহী
সুশান্ত মরেছে অনেক দিন হয়েছে । সে কাপুরুষ বিধায় মরে পৃথিবী হতে পালিয়েছে। তার দেহও পচে মাটি হয়েছে আর আমরা এখনো তাকে ভুলি নাই আহারে ভালোবাসা আহারে সম্পর্ক । আপনার লেখার নিচের অংশ পড়ে মনে পড়লো ময়মনসিংহের ফুলপুরে মাইক্রোবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুকুরে পড়ে শিশুসহ একই পরিবারের ৮ জন নিহত হয়েছেন । একটা শিশু বাবার বুকে চেপে ধরা ছবিতে দেখলাম। এটাই ভালোবাসা মা বাবার । তবে কিছু ব্যতিক্রমও আছে ক্ষেত্রবিশেষ।
ইঞ্জা
হাঁ ভাই, ছবিটা আমিও দেখে হাহাকার করেছি, তবুও বলবো আত্মহত্যা হলো নিজেকে খুন করা আর এক্সিডেন্টের মা বাপ নেই। 😢
ছাইরাছ হেলাল
আপনার সাথে একমত, আত্মহত্যা কোন কিছুর সমাধান নয় কোনভাবেই।
সে যে ভাবেই হোক, একজন মানুষ কতখানি দুঃখগ্রস্ত হলে সে এই পথ বেছে নেয় তা শুধু সেই ভুক্তভোগী জানে।
শুনেছি হেমিংওয়ে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছিলেন।
ইঞ্জা
কতটা দুঃখ গ্রস্ত হলে মানুষ আত্মহত্যা করতে পারে ভাইজান, হয়ত কিছুটা অপেক্ষা করে চেষ্টা করলে কি দুঃখটা ভুলানো যেতোনা?
আমার কষ্ট লাগে কেউ যদি আত্মহত্যা করে।
আলমগীর সরকার লিটন
আসলে পরিস্থিতি এমন হয় তখন মাথার ভিতর কিছু থাকে রাগে অভিমানে আত্মহত্যা করে সুন্দর এক বিষয়ে অনেক কিছু জানলাম প্রিয় ইঞ্জা দা
ইঞ্জা
কেন ভাই, রাগ দুঃখ কষ্ট সবারই আছে, কিন্তু আত্মহত্যা কখনোই সমাধান হতে পারেনা। 😢
আলমগীর সরকার লিটন
তারপরও ভুলবুঝাবুঝির কেমন জানি সমাধান হয়ে যায়
ইঞ্জা
সমাধান আবশ্যক, ভুল বুঝাবুঝির অবকাশ থাকেনা।
আরজু মুক্তা
এখন স্কুলগুলোতে নৈতিক শিক্ষা চালু করা উচিত। সেই সাথে বাবা মায়েরও উচিত কোয়ালিটি টাইম দেয়া। যাতে তারা তাদের বাবা মাকে বন্ধু মনে করে। তাদের দুঃখগুলো শেয়ার করে। পারিবারিক শিক্ষা খুব জরুরি। সেই সাথে ধর্ম ও সাংস্কৃতিক চর্চাও দরকার।
ইঞ্জা
এই এতক্ষণে পয়েন্ট এলো, সত্যি আপনার সাথে শতভাগ সহমত আপু।
সুপায়ন বড়ুয়া
কোনো ধর্মেই আত্মহত্যা মেনে নেয়না,
আসলে নেওয়াও উচিত না,
কাপুরুষরাই আত্মহত্যা করে।
সুন্দর পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ
ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।
ইঞ্জা
অতি সত্য বলেছেন দাদা, কোনো ধর্মেরই মেনে নেওয়া উচিতও না, এই পৃথীবি কাপুরুষদের নয়।
ধন্যবাদ দাদা।
শামীম চৌধুরী
আমি এক কথায় বলবো, আত্মহত্যা শুদুই মাত্র লিজের সঙ্গে নিজের প্রতারানা।
ইঞ্জা
একেই কাপুরুষতা বলে ভাই, এমন কাপুরুষের এই পৃথীবিতে কোনো জায়গা নেই।
তৌহিদ
আত্মহত্যা কখনই সমস্যার সমাধান হতে পারেনা। কোন ধর্মেই আত্মহত্যার কথা বলা নেই। যারা আত্মহত্যা করে তারা আসলে পরিস্থিতির শিকার। যার দায় ব্যক্তির নিজের, পরিবারের, সমাজের। সঠিক মানসিক স্বাস্থ্য শিক্ষাই পারে জাতির মেধাকে টিকিয়ে রাখতে।
সকলের বোধদয় হোক। এত সুন্দরভাবে বিস্তারিত লেখার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ দাদা। শুভকমনা সবসময়।
ইঞ্জা
সম্পূর্ণ একমত ভাই, এর জন্য দায়ী শুধু আত্মহত্যাকারীর নয়, তার পারিপার্শ্বিক অবস্থাও এর জন্য দায়ী, কিন্তু কিছু আত্মহত্যা আছে যেমন পরীক্ষায় ফেল, প্রেমে ব্যার্থ, এইসবের জন্য দায়ী কারা জানতে মন চাই।
আপনার ভালো লেগেছে লেখা শুনে খুব ভালো লাগলো, ধন্যবাদ ভাই।
রেজওয়ানা কবির
কি লিখবো বুঝতেছি না।আত্নহত্যা বিষয়টি শুনলেই কেমন অদ্ভুত একটা অনুভূতি হয়।খুব খারাপ লাগে।
ইঞ্জা
সত্যি খারাপ লাগারই কথা, বিশেষ করে কোনো ইয়াং কেউ আত্মহত্যা করে তখন নিজেকে স্বান্তনা দিতে পারিনা।
অরুণিমা মন্ডল দাস
কেউ কি ইচ্ছে করে জীবন দিতে চায় পরিস্থিতি মানুষকে অনেককিছু করায়?
ইঞ্জা
পরিস্থিতি মানুষকে নয় দিদি, মানুষই পরিস্থিতি কন্ট্রোল করে।
রোকসানা খন্দকার রুকু।
এর আগেও পড়েছি।কি লিখব ।এটার আসলে কোন বব্যাখ্যা নেই॥ তবে পারিবারিক বন্ধন দৃঢ় না হওয়া একটা কারন। বন্ধু বান্ধব কম থাকা এসব।
অনেক তর্ক বিতর্ক হল। তারপরও আমি বলব
শুশান্তকে মারা হয়েছে কারন আত্নহত্যাকারীর সাধারণ কিছু সিমটম থাকে।যেমন-গলার ক্ষত গভীর হওয়া,জীবে কামড় দেয়া, মুখের বিকৃতি, কাপড় ছিঁড়ে ফেলা কিংবা খুলে ফেলা,বীর্য বের হওয়া এসবের কোনটিই তার মাঝে ছিলনা। আর সাধারন পরিবারের মানুষ যখন অনেক কস্ট করে নিজেকে তৈরি করে তখন সে আত্নহত্যা করতে পারেনা।আমরা কমবেশি সবাই ডিপ্রেশনের ওষুধ খাই।এটা কোন বিশেষ কারন নয়।
একদফা মাস্টারী করে ফেললাম।
শুভ কামনা ভাইয়া।
ইঞ্জা
বেশ গুরুগম্ভীর বিশ্লেষণ, যদিও আমি বলবো ভারতের সিবিআইয়ের হাতে তদন্ত গেছে, ওরা কখনো মিস করেনা, দেখা যাক কি হয়।
সাবিনা ইয়াসমিন
আত্মহত্যা কখনোই কোনো কিছুর সমাধান হতে পারে না। পৃথিবীতে মানুষ যা কিছু করে সব বেঁচে থাকার জন্যে। মৃত্যু একদিন না একদিন এম্নিতেই হয়। তার জন্য এতো আয়োজন করে নিজেকে হত্যা করার কি দরকার! দুঃখ সহ্য করতে না পারলে মানুষ এম্নিতেই মরে যায়, কেন নিজেকে নিজের খুনি বানাতে হবে!
স্বার্থপর, আত্মমগ্ন, মানসিক ভাবে অসুস্থ এবং জ্ঞানপাপীরা আত্মহত্যা করে। কোনো সাধারণ বিবেক-বোধবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ আত্মহত্যা করে না। অন্তত যার মধ্যে মানবিক গুণাবলির কিছুটা হলেও অবশিষ্ট থাকে, সেই ব্যক্তি কখনো নিজেকে হত্যা করতে পারে না।
ইঞ্জা
সম্পূর্ণ একমত আপু, ধন্যবাদ।