আড্ডা যখন সোনেলা’র উঠোন ছেড়ে হ্যালভেশিয়ায়!
আহা! 😮 কি দারুন সময় কাটালাম! এতোদিন সোনেলা’র উঠোনে ব্লগারবন্ধুদের সাথে কীবোর্ডের মাধ্যমে কথাকলিতে যে তুমুল আড্ডা চলতো, যেনো সে আড্ডার মেলাই বসেছিলো গত বুধবার ঢাকার নিউ বেইলি রোডের হ্যালভেশিয়াতে।
সেদিনের সে আড্ডায় কীবোর্ডে শব্দমালা নয়, ভারচুয়াল জগত থেকে বাস্তবে উঠে এসে কথা আর হাস্যরসের কলকাকলিতে মুখর ছিলো পুরোটা বিকেল থেকে সন্ধ্যা। \|/ \|/ \|/ হাসাহাসি, আড্ডাবাজি, ফটোসেশন, খাওয়া-দাওয়ায় ক্যামনে জানি ঘড়ির কাটা দৌড়ে চললো। কি অবাক করা ছিলো মিলনমেলার ওই মুহূর্তগুলো! একজন আসছে আর আড্ডাবাজি নতুন করে প্রাণ পাচ্ছে, আবার আরেকজন আসছে আবার নতুন করে হৈ-হুল্লোরে জমে উঠছে! সত্যিই মনে হয়েছিলো, সব বাজির সেরা বাজিই এই আড্ডাবাজি!
সেদিনের সে মুহূর্ত আগ পর্যন্ত কারো সাথে কোন দেখা সাক্ষাত ছিলো না, অথচ একবারের জন্যও মনে হয়নি যে প্রথম দেখা! যেনো আমরা সবাই সবাইকে চিনি, জানি। এর একমাত্র কারন সোনেলা পরিবারের পারিবারিক সম্প্রীতি। সোনেলার উঠোনে আড্ডা দিতে দিতেই একে অন্যের একান্ত কাছের মানুষ হয়ে উঠেছিলাম আমরা।
আনন্দআড্ডাটি আরো বেশি প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছিলো আমাদের নাসির সারোয়ার ভাইয়ের জন্মদিনকে ঘিরে।
তবে মজার ব্যাপার হলো, ছবিহীন একেবারে নাদেখা মানুষগুলোর কাল্পনিক অবয়ব তো একটা মনের মাঝে ছিলোই। দেখা গেলো সরাসরি দেখা হওয়ার পর কারোটা মিলে গেছে, কারোটা কাছাকাছি আর সবচেয়ে মজা লেগেছে কারোটা ছিলো একেবারেই বিপরীত। :D) :D) :D) :D) :D)
আমাদের শুন্য, আকাশযানে শুন্যালয় থেকে মর্ত্যলোকে (মাতৃভূমি) নেমে আসাকে উপলক্ষ করেই ছিলো এ আয়োজন। এজন্য শুন্যকে অনেক ধন্যবাদ আনন্দআড্ডার উছিলা হওয়ার জন্য 🙂 । ধন্যবাদ আয়োজনকারীদের -{@ । আর বিশেষভাবে ধন্যবাদ কষ্ট করে আসার জন্য বন্দনা কবীরকে (3 ।
মিস করেছি অনেককে। মিস করেছি ব্লগার সজীব, লীলাবতী, চঞ্চলা চপলা নীলাঞ্জনাকে। এছাড়াও আরো অনেককেই। মৌনতা রিতু, মিষ্টিজিন, রিমি রুম্মান আরো কতোজন (-3 ।
ভালোলাগার প্রতিটা মুহূর্ত কেটেছে খুব দ্রুত। মাঝেমধ্যেইই এভাবে সোনেলা’র মিলনমেলার আড্ডা ফিরে ফিরে আসুক, সোনেলা পরিবার তার উঠোনের বাইরে এসে মাঝেমধ্যে আনন্দ উচ্ছ্বাসে মেতে উঠুক, প্রাণবন্ত হোক প্রিয় ব্লগাররা সম্মিলিত আড্ডায়।
কতো যে আনন্দমূখর সময় কেটেছে বলে বুঝানো যাবে না। আবারও অসংখ্য ধন্যবাদ আয়োজনকারীদের। -{@ -{@ -{@
*ছবি দিতে না পারার জন্য বিশেষভাবে দুঃখিত। :p
৩৪টি মন্তব্য
রুম্পা রুমানা
কোন এক আড্ডায় যেন আমিও থাকি। সুন্দর অনুভূতি , আপু। আপনার ওয়ালে ছবি দেখে বুঝেছি আড্ডা জমেছিলো বেশ।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
খুব জমেছিলো রে। অবশ্যই সামনের কোন এক আড্ডায় দেখা হবে।
ফারহানা নুসরাত
ছবি দেখতে পেলে খুব ভাল লাগত। সত্যিই এমন মুহূর্তগুলো স্মরণীয় হয়ে থাকে। সবাই অনেক আনন্দ করলেন জেনে ভাল লাগছে। এভাবেই আনন্দের মাঝে কাটুক সবার জীবন। সবাইকে শুভেচ্ছা -{@
মারজানা ফেরদৌস রুবা
সোনেলার ফেসবুক পেজে দিয়েছি, দেখে নিতে পারেন।
ধন্যবাদ আপু এবং শুভেচ্ছা -{@।
ইঞ্জা
অসাধারণ অনুভূতি দারুণ ভাবে প্রকাশ করলেন আপু, আপনাদের আড্ডাই পেয়ে যারপরনাই আমরা সবাই আনন্দিত ছিলাম, আসলে সেই মূহুর্তটিই হয়ে উঠে ছিলো যেন সোনেলার উঠোন যেখানে সোনেলার উপস্থিত সবাই হয়ে উঠেছিল বালক বালিকা আর সেই উঠোনে আবার আমরা হতে চাই বালক বালিকা, আবার বসুক আসর এই কামনা সব সময় থাকবে। -{@
মারজানা ফেরদৌস রুবা
হুম, অসাধারণ অনুভূতি। হাহাহা বালক-বালিকাই বটে।
ইঞ্জা
ভালো থাকবেন আপু। -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
রুবা’পু তুমি এতো সুন্দর কেন?
ইস কেন যে আমি মেয়ে হয়ে জন্মালাম! :p
জানো ভিডিও কলে তোমাদের সবাইকে দেখার পর কি যে আনন্দ হয়েছিলো। আবার যখন চোখের আড়াল হয়ে গেলে, মনটা কি যে খারাপ হলো! মনে হলো ধ্যত্তেরি কেন উঠলাম। ঘুমিয়ে থাকলেই বেশ হতো। সবাই মজা করছে আর আমি বসে আছি। 🙁
জানিনা কবে তোমাদের সবাইকে দেখবো। তবে বিশ্বাস করি মনের টান থাকলে নাকি যে করেই দেখা হয়ে যায়।
আমি জানি সেই দিন একদিন ঠিক আসবে।
নিজের সম্পর্কে একটা কথা জানিয়ে রাখি কথা বলার চেয়ে হাসি আমি বেশী কিন্তু। দেখা হবার পর বিরক্ত হয়োনা যেনো। :p 😀
মারজানা ফেরদৌস রুবা
তোমার থেকে বেশি? মোটেও না। মুলত আমরা সব্বাই সুন্দর। সোনেলা’র উঠোনে বসে আড্ডা দিতে দিতে একে অপরকে এতোই ভালোবেসেছি যে আমরা আমাদের সুন্দরভাবেই দেখি। হ্যাঁ, তোমাকে মিস করেছি খুউব। 🙁
দেখা তো হবেই, নিশ্চিত থেকো।
তুমি যে বেশি হাসাহাসি করো, মাতিয়ে রাখো, সে তো তোমার লিখা থেকেই বুঝি। আমাদের চঞ্চলা চপলা নীলাঞ্জনা না? (3
ইঞ্জা
নীলাপু আপনার হাসিটাই তো বেশ প্রাণচঞ্চল আর এতেই তো আড্ডা জমে যাবে। \|/
নীলাঞ্জনা নীলা
ইস এভাবে ভালোবাসা পেলে যে সমস্যা। বেশী আহ্লাদীপনা শুরু করে দেবো কিন্তু রুবা’পু।
তারপরে সামাল দিতে পারবে তো? 😀
ভালোবাসা তোমায়। -{@ (3
নীলাঞ্জনা নীলা
হ্যান্ডপাম্প ভাইয়া এটা অবশ্য ঠিক। কথার চেয়ে হাসি বেশী। জানেন না তো এই হাসির জন্য পিটুনীও খেয়েছি। 😀
মারজানা ফেরদৌস রুবা
আসো তো আগে, জমিয়ে একটা আড্ডা হয়ে যাবে। আমরা সকলেই তোমাদের জন্য মুখিয়ে আছি।
(3
নীলাঞ্জনা নীলা
সে তো হবেই। হতেই হবে। না হলে খবর করে ছাড়বো না? 😀
মারজানা ফেরদৌস রুবা
:p
\|/ \|/ \|/
ছাইরাছ হেলাল
সম্প্রীতির উদাহরণ হয়ে আবারও কোন এক মিলন মেলার
অপেক্ষায় রইলাম।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ থাকুক সোনেলা’র সোনা ভাই-বোনেরা। (y)
মোঃ মজিবর রহমান
নিরভেজাল এক বিকেল সন্ধ্যা কেটেছে আড্ডার মেলায়।
প্রিয় হেলাল ভায়ের সুরে।
সম্প্রীতির উদাহরণ হয়ে আবারও কোন এক মিলন মেলার
অপেক্ষায় রইলাম।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
আনন্দ-আড্ডা \|/ \|/ \|/
মোঃ মজিবর রহমান
আনন্দ আড্ডায় \|/ \|/ := :=
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
এইতো জীবনের রসলাংশ এ ছাড়া জীবন লাগে না ভালো।আড্ডা জিন্দাবাদ। (3
মারজানা ফেরদৌস রুবা
আড্ডা জিন্দাবাদ। \|/
মৌনতা রিতু
ইশশশ, চোখটা ব্যাথা করবার লাগছে ;(
আপু সত্যি তোমাদের সেদিন খুব ভাল লাগছিল। আমি খুবই মিস করেছি। জানো, কান্না আসতেছিল আমার ছোটদের মতো।
ফেব্রুয়ারীতে হবে আড্ডা আবার, ইনশাল্লাহ্।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
কান্না আসারই কথা রে! আমরাও খুব মিস করেছি।
ইনশাল্লাহ্ ফেব্রুয়ারীতে হবে \|/
মিষ্টি জিন
ছবি দেখেই বুঁঝতে পেরেছি সবাই মিলে খুব মজা করেছেন
নাচিং, ইটিং,হাসাহাসিং সবই হয়েঁছে ।ভীষন ভীষন মিস করেছি আড্ডাবাজী।
;(
ভাবনার একেবারে বিপরীতের কঁথা জাতি জানতে ইচ্ছুক। 😀
ইঞ্জা
\|/
মারজানা ফেরদৌস রুবা
\|/ \|/ \|/
নাসির সারওয়ার
জন্মদিনের কেক, উপহার আর এতো এতো উইশ – সবই বোনাস!
তারপরও বলবো, এ আড্ডা ভালোবাসার আড্ডা। মনে হচ্ছিলো সবাই কত আপন অথচ আজই প্রথম দেখা। ভাবতেই ভালো লাগে। উপলক্ষ শুন্য শুন্যালয় এবং আয়োজনকারিদের ধন্যবাদ দিতেই হচ্ছে এমন সুন্দর একটা সন্ধ্যা দেবার জন্য।
আবার আসুক এই সোনাক্ষন বারে বারে।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
সোনাক্ষন আসুক বারে বারে।
লীলাবতী
না দেখা মানুষদের বাস্তবে দেখা হওয়াটা স্বপ্নকে স্পর্শ করার মত। কবে যে এমন এক আড্ডায় অংশ নিতে পারবো 🙁 শুন্য আপু আসলেন দেশে দেখা হলো না, খুব খারাপ লেগেছে এটি ভেবে। অন্য সবাই দেশে আছেন, দেখা হয়ত হবে, কিন্তু শুন্য আপু আবার কবে আসবেন তা কে জানে 🙁
মারজানা ফেরদৌস রুবা
শুন্য আপু শুন্যালয়ে থাকেন, এটা তোমাকে বুঝতে হবে। তবুও ভাব ভালোবাসা থাকলে দেখা হয়তো হয়েই যাবে কোন এক ক্ষণে।
আচ্ছা, মা কেমন আছেন লীলা?
ব্লগার সজীব
এত্ত সুন্দর একটি আড্ডা অনুষ্ঠিত হলো, তা সোনেলায় একটু জানালেনও না কেহ 🙁 আমরা তো জানলামই না কবে আড্ডা হবে 🙁
মারজানা ফেরদৌস রুবা
আহারে ভাই। হুট করেই হয়তো সিদ্ধান্ত হয়েছে। 🙁
জিসান শা ইকরাম
আপনাকে দেখার খুব ইচ্ছে ছিল, কতবার ভেবেছি ঢাকা যখন থাকবো, আপনার সাথে দেখা করবো। কিন্তু কখনোই তা হয়ে ওঠেনি। এই আড্ডায় আমার ইচ্ছে পুরন করলো। আপনাকে যেমন ভেবেছি, আপনি কিন্তু তেমনই। তা আপনার ভাবনার সাথে চেহারার কার কার বিপরীত তা কিন্তু জানতে চাই 🙂
সুন্দর কিছু সময় কাটালাম আপনাদের সাথে
ধন্যবাদ আপনাকে উপস্থিতির জন্য।