তির তিরে চোরা স্রোতের অবগাহনে স্রোতস্বমান জলের ধারা,
ইচ্ছেরা ভেসে রয় অজানা বন্দরে আনন্দের হাত ধরে,
চির চির করে গেঁথে যাওয়া হৃদয় নিয়ে, হে অসমাপ্ত জীবন;
জেগেছ আবার অবাক করা গোলাপ বেলির সুবাসে!
স্ব-কালে মাতি দুর্বার যৌবনে ভিন্ন রূপে ভিন্ন সাজে বুক ঢাকা জ্যোৎস্নার আলোক উৎসবে,
এসো এসো হারাই এ অবগাহনে, বধিবে আমায় আমুলপ্রণয়ে,
অকারণ কারণেও ভালোই লাগে ভাবতে, আকাশের বুকে ঝুলে থাকা মুখবিম্বটুকু
জ্যোৎস্নার তাজে মধ্যরাতের পূর্নিমা স্থির, অস্থির বিলাসী স্বপ্ন গৃহত্যাগের উন্মুখতায়।
নড়ালেই যদি, সমগ্রে নড়াতে?
দারুচিনি দ্বীপ হারিয়ে শোক-দ্বীপে তীর্থ করি,
তবুও ভাবি দাঁড়াবে জীবন জীবনের পক্ষে এক রত্তি হলেও।
মেহজাবিন কে, আবার ও।
৪৪টি মন্তব্য
নীলাঞ্জনা নীলা
স্বপ্নগুলো দৃশ্যমান হলে স্বপ্ন বলে কিছু থাকতো না। ইচ্ছের নূপুর চাইলেও কি পারবে দ্বাপর যুগে যেতে কৃষ্ণের কাছে?
বাঁশী তো কতোজনই বাজায়, সুর মন ছোঁয় একজনেরই। তাই চাইলেই পাওয়া হয়না, আর পেয়ে গেলেও কতোটা আগলে নিতে জানি আমরা? জানিনা কি বললাম! আপনার লেখা বোঝার ক্ষমতা আমার মতো মানুষের কম্মো নয়। বলবেন যদিও ব্লগের কবিগুরু। বলতেই পারেন, কারণ জ্ঞানী মানুষ আপনি। আমার মতো অতি তুচ্ছকে এসব বলে যে দয়া-দাক্ষিণ্য করছেন সেটা অনেক।
যাক ওসব কথা। ডুবুন আরোও মেহজাবিনে। তা বাকীদের কি খবর? কি কি জানি নাম! দেবী-পাখী-রাই-রাত্রি-হেলেন বাপরে পলাই।
ওহ লেখা ভালো লেগেছে। -{@
ছাইরাছ হেলাল
আপনাকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করার ধারণা কোত্থেকে ধার করে আনলেন বুঝলাম না।
আপনাকে মান্য করি বলেই এসব বলা, ভং ধরে বলা বন্ধ করতে পারবেন বলেও মনে হয় না।
ডুবতে যখন বলছেন ই, দেখি নুতন কাউকে নিয়েই ডুবি।
তবে সান্তনা দিচ্ছেন লেখা ভাল হয়ছে তা বুঝতে পারছি।
বাঁশী ও বাজবে সুর ও তুলবে, কোথায় ভিড়বে তরি কে বা জানে!!
নীলাঞ্জনা নীলা
সেই ভালো নতূন কাউকে নিয়েই ডুবুন। সাঁতার ভালোই পারেন মনে হয় তাইতো আকালের নদীতে এতো জল শুধুই আপনার জন্যে।
আচ্ছা তা এতোদিন কাকে নিয়ে ডুব-সাঁতার কাটছিলেন শুনি! ভাব্বার বিষয়। ;? পিলিজ জানাবেন কিন্তু।
ছাইরাছ হেলাল
জলের ব্যবস্থা যখন হয়ছে ভাবছি সাতার চালু রাখব।
নদীতে জল তো সব সময় আসে না,
আপনি সবই জানতে পারবেন, এখানে এলেই।
মেহেরী তাজ
আমার নাম টা দেখি খুব দামি। বড় বড় মানুষের লেখায় নিজের জায়গা করে নেয় লেখকের অজান্তেই। 🙂
মেহজাবিনের দেখা তো পেলাম কিন্তু সবায় কে কোথায়।???
ছাইরাছ হেলাল
শুধু আপনার নামটা নয়, আপনিও দামী, ব্লগের তাজ আপনি।
এই হয়, লিখলাম আপনার কথা আপনার নাম, এখন বলছেন লেখকের অজান্তে।
এটা ঠিক না ভাই,
কথা দিলে কথা রাখি কিন্তু।
সব ভুয়া, নাম সর্বস্ব।
নূতন কিছু লিখুন এবার।
অরুনি মায়া
প্রিয় অস্তিত্বের তরে প্রিয় কিছু একান্ত ইচ্ছে, মন আজ বড় ব্যাকুল
অসময়ের বয়ে আসা মেঘ ঝরিয়ে দিয়ে যায় বিশুদ্ধ শীতল বৃষ্টি
মরে যাওয়া ডালে যখন সবুজের সমারোহ
অবুঝ মন খুঁজে মরে সেই একজনায়, বাঁধিবে যে প্রণয়ের আঁচল,,,,,
ছাইরাছ হেলাল
এত্তো কঠিন করে মন্তব্য করা ঠিক না,উত্তর দিতে জান বরবাদ।
একান্ত ইচ্ছের হাতছানি আমরা বুঝি দেখতেও পাই, শুধু পৌছান হয় না, যাওয়া যায় না সে দারুচিনি দ্বীপে।
শুধু বাঁধেই না বধেও প্রণয়ের আঁচলে।
অরুনি মায়া
একটি গানের লাইন,,,,,
“প্রেম কখনো জীবন হয়ে মৃত্যুকে দূরে ঠেলে দেয়
কখনো মরণ হয়ে মৃত্যুকে কাছে টেনে নেয়,,,,,
প্রেমের মাঝে আমি জীবন দেখিনি, কিন্তু মরণ দেখেছি বারবার।
সাবধান কবি ঐ দূরে মৃত্যুর হাতছানি,,,,
গায়ে পড়ে জীবন খেঁক নদীতে ঝাপ দিবেন না,,,,,,,
ছাইরাছ হেলাল
দেখুন প্রেম নামক কর্মটি লেখাতেই থাকে,রাখিও, অবশ্য অনভিজ্ঞতাও
নিয়ামক এক্ষেত্রে,
আপনাকে ধন্যবাদ, অভিজ্ঞতাকে পরামর্শের দিকে নিয়ে এসেছেন বলে।
জিসান শা ইকরাম
আর কত নড়তে চায় কবি ?
ভালোই নাড়াচ্ছে মনে হয়
নইলে এমন কবিতা বের হয়?
মেহজাবিনকে আবারও বলে ছন্দ পতন কেন?
সারাক্ষণ থাকুক সে কবি হৃদয়ে -{@
ছাইরাছ হেলাল
লৌরালৌরি ভালই চলছে, চলবে ও।
লেখালিখি শুরু হলো মাত্র, অপেক্ষা করুন।
নাসির সারওয়ার
কুবির এই কুবিতাটা পছন হইছে। তয় মনের ইচ্ছাগুলা মনের ঘরেই থাকে, চেনাজানা বা জানাশুনা জায়গায়। মাঝে মধ্যে কেউ কেউ ভাব লয়।
ছাইরাছ হেলাল
এতুক্ষুনে কুবি ঠিক জায়গামত ঠুকে দিয়েছে। এই না হলে হালে গজানো কুবি।
ভাব লওয়া ছাড়া উপায় আছে, মাঠ-ঘাটে মাইর-মুইর খাওয়ার চান্স আছে।
তা কুবি সাহেব, ঝেড়ে দিন খান কতক, পেল্লাই বা গড়পরতা সাইজের।
অনেক দিন তো হলো। কেশে ফেলুন সাহস নিয়ে।
বুকে কফ জমানো ঠিক না শীতের শুরুতে।
নাসির সারওয়ার
আসিতেছে ঝড় তুফান।
শীতের মাঝেও সাবধান।
কুবি ভাই, কুবিতা শুরু অয় কুতায়? এই বলেন না কুবি ভাই। আমি এটটু কুবি অইতাম চাই।
ছাইরাছ হেলাল
কুবি তো আপনি হয়েই আছেন, জোরছে নেমে পড়ুন।
টাইম-টুইম খুপ কম!!
ডরাইলেই ডর, না ডরাইলে কিচ্ছু না।
মোঃ মজিবর রহমান
তির তিরে চোরা স্রোতের অবগাহনে স্রোতস্বমান জলের ধারা,
ইচ্ছেরা ভেসে রয় অজানা বন্দরে আনন্দের হাত ধরে,
চির চির করে গেঁথে যাওয়া হৃদয় নিয়ে, হে অসমাপ্ত জীবন;
কবি ভাই জীবনের শেষ বেলায় এসে এ কি শুনি
অসমাপ্ত !
ইচ্ছেগুলো ঘুরপাক খায় জানতে -অজান্তে
হৃদয়ের গহীনে, শেষে অসমাপ্ত জীবন।
ছাইরাছ হেলাল
বোঝল্লাম না সাধ আহ্লাদ বলতে কি কিচ্ছু থাকতে পারবে না!!
কলি কালে।
লীলাবতী
বুঝি বুঝি সবই বুঝি। কিছু কইলাম না :p রৌশন বজায় থাকুক…… আপনার আর মাহজাবিনের জন্য -{@ -{@
ছাইরাছ হেলাল
আমিও চাই আপনি বুঝুন, রৌশান বজায় থাকিবে আপনাদের সহযোগিতায়,
এর পর হয়ত অন্য কেউ আসবে।
রিমি রুম্মান
মেহজাবিনকে আবার ও… এখানে এসেই থেমে গেল যে !
তারপর ?
বাকিটুকু আসুক… অপেক্ষায় -{@
ছাইরাছ হেলাল
ধুর ও, আপনি এমন সব জায়গা দেখে ফেলেন!!
আমিও আপনার মতই অপেক্ষায়।
আগুন রঙের শিমুল
মেহজাবীন কে ?
বনলতার টুয়েন্টি ফার্স্ট সেঞ্চুরী ভার্সন নাকি 🙂
ছাইরাছ হেলাল
একদম ঠিক ই ধরে ফেলেছেন।
আবু খায়ের আনিছ
কারণে অকারণে ভালো লাগে……………….
ছাইরাছ হেলাল
লাগুক যত খুশি,
নীতেশ বড়ুয়া
শুন্যাপু আর হেলাল ভাইয়া আপনারা দুজনে কবিতা লিখলে বিপদে পড়তে হয় আমার।
শুন্যাপুর কবিতাগুলোতে রুপক অর্থে বা উপমা দিয়ে বলা কথাগুলো অনেকটা ভ্রমের মতো যা অনেক মানে নিয়েই সামনে চলে আসে, তাই ব্যখ্যা করে বুঝতে মন চায়।
আপনার কবিতাগুলোতে উপমাগুলো সরল অংকের সমাধানের মতো। সরল অংকের সমাধান যতোটা কঠিন ঠিক ততোটাই কঠিন আপনার কবিতাকে ভিন্ন ভিন্ন মানেতে নিয়ে ভাবতে যাওয়া কিন্তু সরল অংকের মতো সরল এক ভাবনায় যুঝতে যাওয়া।
আমি তেমন কবিতা পড়িনি, তবে ঝাড়খন্ডে বাস করা কোলকাতার এক দিদির কবিতা পড়েছি প্রায় অনেক। ভাবতাম তাঁর মতো করে উপমা বা রুপক অর্থে ভাবনার ফুলঝুরি ছোটানো কম আছেন। উনার পরে আপয়ান্দের দু’জনকে দেখলাম অনেক কথা খুব অল্প শব্দে উপমা/রুপক অর্থে পরিষ্কার করেই বলে দেন যা পড়ার পর মনে হয়- আমি কেন আগে এমন ভাবিনি বা ভাবতে পারিনি।
;?
নীতেশ বড়ুয়া
একান্ত একটা অভিমত জানাই যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন প্লীজ- বাংলা কবিতার শিরোনাম এই হিন্দিতে না হলে খুবই খুশী হতাম। 🙁
ছাইরাছ হেলাল
একদম ঠিক, এটি আমার কথা,
ঘটনা হলো, যা নাম দিতে চাচ্ছিলাম সেটি শেষ মুহূর্তে বাতিল করে সব ফকফকা।
তাহলে যা হয়, যা মনে হল তাই।
পরে আর পাল্টাইনি ইচ্ছে করেই, খেয়াল করার জন্য অবশ্যই ধন্যবাদ।
নীতেশ বড়ুয়া
🙂 -{@ 🙂
ছাইরাছ হেলাল
আপনি ভাই আমাকে নিয়ে যা খুশি বলুন,
উঁনার সাথে বলে আমাকে হেনস্থা করা কিন্তু ঠিক হচ্ছে না।
আমি যা লিখি তা কবিতা নয়, কোন ভাবেই, কবিতা সম্বন্ধে আমার ধারণা ভিন্নতর।
আপনি কবিতা পড়েছেন কিনা সেটি অ আলোচনায় আনছি না, আর আপনি যে ভাবে যা পড়েছেন তার নাম ও
শুনিনি, অতএব আমার দৌড় স্পষ্ট। যখন যা মনে আসে লিখে ফেলি এখানে, আমরা তো আমরা ভেবেই।
নীতেশ বড়ুয়া
আমি তো এখানে কারো নাম আনিনি!
আপনার মন্তব্য বুঝতে সমস্যা হচ্ছে হেলাল ভাইয়া।
আমার মন্তব্য ভুলে বুঝে থাকলে মডুর প্রতি অনুরোধ রইলো মুছে দেওয়ার জন্য। 🙂
ছাইরাছ হেলাল
ধুর ও, বোঝেও না,
ঐ যে আমাদের শূন্যাপু ভাউ,
খুব ভয় পাই তাকে, শুনেছি তিনিও মটু!!
নীতেশ বড়ুয়া
আমরা আমরাই তো, তাই তো যা মনে হয়েছে তাই বলেছি।
আপনি যা লিখেন তা যদি কবিতা না হয় তবে আমি আজও কোন কবিতাই পড়িনি বলতে হচ্ছে 🙁 🙁 ;(
শুধু কি মটু!! একেবারে গোলগাল গাব্দুগুব্দু মোটু :p
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই আমারা আমরাই, যা খুশি তাই বলি বলাই।
নীতেশ বড়ুয়া
😀 \|/ (3 -{@ 😀
মিথুন
তুমুল আচ্ছন্ন হবার পরে শোক-দ্বীপে তীর্থ করা এ কেমন হলো ভাইয়া? ভালোবাসতে পারাতেই এক সুগন্ধ থাকে। অসমাপ্ত জীবন জেগে উঠলেই বুঝতে পারা যায় জেগে আছি, বেঁচে আছি, ভালোবাসাতেই আছি এখনো।
জীবনকে জীবনের পেছনেই লেলিয়া দেয়া কি ঠিক? তবে স্বপ্ন দেখতে পাওয়া সেও কম কথা নয়। আমি এত কঠিন কবিতা বুঝিনা। 🙁
ছাইরাছ হেলাল
বাপরে, বোঝেন না তাই ই এই অবস্থা!!
বুঝলে তো খবর হয়ে যেত।
স্বপ্ন আমরা দেখি দেখাই ভালোবেসেই, তীর্থে কি যেতে পারি!,
তীর্থে গিয়ে জপ-তপ আর করা হয়ে উঠে না।
কিছু অন্তত আমাদের জন্য লিখুন।
খুদামন্দা এসে গেল যে। লিখে ফেলুন।
মিথুন
খুদামন্দা মানে খিদে লাগেনা এমন জানতাম, বুঝতে পেরেছি লেখা চান না 🙂
ছাইরাছ হেলাল
না খেতে খেতে খিদে মরে গেলে যা হয় সেটা,
বুঝেও না বোঝার ভাবটি ভালই লাগে।
শুন্য শুন্যালয়
এইযে না পেয়েও উল্লাস, জোছনার আলোকে উৎসব, জেগে থাকা, এক রত্তি জীবনের জন্য, দ্বারুচিনি দ্বীপের জন্য আশার টিমটিম আলো জ্বালা এটুকুই সত্যি। বাকি সব মিথ্যে। সাময়িক।
এ লেখা বুঝতে একটুও কষ্ট হয়নি। 🙂 মেহজাবীন কে চিনি, কবি কেও।
ছাইরাছ হেলাল
মগা লন, তাই না!!
আপনাকে জানি, আপনার লেখাকেও চিনি ভাউ।
ইমন
ভালো লাগছে কিন্তু 🙂
ছাইরাছ হেলাল
ও তাই!!