অতসী ঘুম থেকে উঠে আয়নায় দাঁড়িয়ে নিজে দেখে নিল। মনে মনে বলল, নাহ! এভাবে তো কোন অবস্থাতেই ইউনিভার্সিটি যাওয়া যাবে না!তাড়াতাড়ি বাথরুমে গিয়ে অনেকক্ষণ পানি ছিটা দিল মুখে । নাহ এখন ও বুঝা যাচ্ছে ! হাল্কা নাস্তা করে রেডি হয়ে গেল আর আজ পড়ল চোখে লেন্স আর মোটা করে কাজল দিল যাতে চোখের ফোলা টা বুঝা না যায়।
অতসী কে ক্যান্টিনে দেখেই মিলার ডাক এই অতসী এই দিকে আয়। অতসী নিয়ম মাফিক সুন্দর একটা হাসি দিয়ে চেয়ার টেনে বসল।
মিলা- বাহ সুন্দর লাগছে কিন্তু সমস্যা হচ্ছে তুই আজ এই রঙের ড্রেস পড়েছিস কেন?!
অতসী- আমি যে সিঙ্গেল তাই সাইনবোর্ড লাগিয়ে ঘুরছি …। বলেই হাসতে লাগল
মিলা- তুই সিঙ্গেল থাকতে চাস দেখেই সিঙ্গেল নয় তো তোর জন্য তো অনেক ই লাইন ধরে দাঁড়িয়ে আছে যে কোন একটা কে বেছে নিলেই তো হয়। ঐ দেখ তোর রোমিও
অতসী বেশ মেজাজ খারাপ নিয়েই বলল দেখ এই সব ফাইজলামি ভাল লাগে না আমার
হুম ঐ ছেলেটা অতসীর ইউনিভার্সিটির প্রথম দিন থেকেই ফলো করছে । তবে আজ পর্যন্ত ওকে কিছু বলে নি শুধু দূর থেকে দেখে। তাই অতসীও কক্ষনো কিছু বলে নি। আগে ব্যাটা কিছু বলুক তারপর বুঝাবে কত ধানে কত চাল।
সারাদিন বন্ধুদের সাথে সময়টা ভালই কাটাল। আজ ভ্যালেন্টাইন্স ডে সবাই সবার মনের মানুষের সাথে অতসীর অন্য বান্ধবীরাও। হাতে গোনা দু একজন ছাড়া সবাই ব্যাস্ত এই দিনটি নিয়ে। অনেক ই অতসী কে ইনডাইরেক্টলি বোঝাবার ট্রাই করেছে যে ওকে তারা পছন্দ করে কিন্তু অতসীর এগুলতে মন নেই একেবারেই।
অতসী খুব মিস্টি একটা মেয়ে। আজ পর্যন্ত কেউ তাকে গোমড়া মুখে দেখেনি। পড়াশুনা, আড্ডা, মজা করাই ছিল ওর নেশা । সবার সাথে হাসি মুখে কথা বলাই ছিল ওর বড় একটা গুন ।
সন্ধ্যায় হয়ে গেছে বাসার সামনে আসার পরই ওয় সেই হাসি মাখা মুখ টা গম্ভীর হয়ে গেল। বাসায় ঢুকে ই নিজের রুমে চলে গেল । বুয়া এসে বলে গেল নাস্তা দেয়া হয়েছে আপুমনি খেতে আসেন ।
আসছি যাও।
অতসী ফোন টা হাতে নিল। ফোন বুকে নম্বর টা দিকে তাকিয়ে রইল । ফোন কি দিবে না দিবে না সোহান কে……
(১ম পর্ব )
২১টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
শেষ হয়ে গেল এর মধ্যে! যাক অপেক্ষা করি পরের পর্বের জন্য।
ড্রথি চৌধুরী
সবুরে মেওয়া ফলে 😛
জিসান শা ইকরাম
গল্প আরম্ভ হতে না হতেই শেষ হয়ে গেলো………
জমজমাট একটা কাহিনী সামনে অপেক্ষা করছে বুঝতে পারছি।
পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।
ড্রথি চৌধুরী
বাবা ভয় পাচ্ছি লিখতে !! এত বড় বড় রাইটাদের মাঝে আমি তুচ্ছ বালিকণা মাত্র …।
জিসান শা ইকরাম
তুমি অনেক ভালো লিখতে পারো জানি আমি
কতটা ভালো লিখতে পারো তা বলবে সোনেলার লেখকরা……
নিশ্চিন্তে লিখে যাও…… যা ইচ্ছে তাই।
ড্রথি চৌধুরী
😀 \|/
আবু খায়ের আনিছ
অপেক্ষা…………………. (y)
ড্রথি চৌধুরী
🙂 -{@
অপার্থিব
এত ছোট লেখাতে প্রথম পর্ব শেষ করে দেওয়াটা কি ঠিক হল ? আরো একটু বেশি লিখে পোষ্ট করলে পাঠকরা কিছুটা তৃপ্ত হত।
ড্রথি চৌধুরী
হুম আমি কক্ষনো লিখিনি …।তাই কে কি বলবে ভেবেই ছোট করে লিখলাম দেখি কে কি বলে 🙂
অরুনি মায়া
অপেক্ষায় রইলাম আপু পরবর্তী পর্বের জন্য 🙂
ড্রথি চৌধুরী
ধন্যবাদ আপু তোমাদের মত লিখতে পারি না লিখতে গেলেই ভয় করে …
নীতেশ বড়ুয়া
অতসী নিশ্চিত সেদিন লাল পোশাকে ছিল। তাই না? ;?
ভাল্লাগে আমাদের মধ্যে ‘ছেলে-মেয়ের আমি-তুমি মার্কা ভালবাসার কথা না বলে সেই ভালবাসাকে’ ভিন্নভাবে প্রকাশ করে…
শুভেচ্ছা ড্রথি। আনন্দিত হলাম। -{@ -{@
ড্রথি চৌধুরী
আমি জানতাম তুমি এই কথা বলবে কিন্তু উত্তর হচ্ছে না 🙂 -{@
নীতেশ বড়ুয়া
জানতাম আমিও এই প্রত্যুত্তর পাবো কারণ লালের বদলে এখন কালো। তাই না?
ড্রথি চৌধুরী
🙂
নীতেশ বড়ুয়া
(3 -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
আমি অতসী হলে ফোনটা দিতাম না। ফোন কাকে দেয় মেয়েরা নিজে থেকে? উত্তরটা আপনি ভালোই জানবেন।
তবে মন খারাপ হয়েছে এতো তাড়াতাড়ি ফুরিয়ে গেলো?
একটা কথা বলে রাখি আপনার লেখায় কিছু একটা আছে, যা আমার মনকে খুব বেশী ছুঁয়েছে। লিখুন, লিখে চলুন। -{@
ড্রথি চৌধুরী
(3 -{@ 😀 চেষ্টা করছি আপি জানি না পারবো কিনা …।। ধন্যবাদ আপি তোমাদের উৎসাহ পেয়ে অনেক ভাল লাগছে 🙂 হুম আমিও যেমন জানি পাঠকেরাও তেমনি জানি কিন্তু অতসী এখনও ফোন টা দেয় নি …।। 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
মেয়েরা মরে ভালোবেসে। আবার ভালোবেসে জাগিয়েও তোলে। অতসী যেনো মরেনা ভালোবাসা ভুল জায়গায় রেখে। বুঝেছো আপু? -{@ (3
ড্রথি চৌধুরী
🙂 (3 -{@ দেখি কি হয়??!! 😀