ঘরটার দরজায় পা দেওয়ার সেকেন্ডের মধ্যেই আমি বুঝতে পারলাম, এখানে আসার সিদ্ধান্তটা ভুল ছিল! অবশ্য ইচ্ছে করলেই আবার বের হয়ে যেতে পারি; নাসের আর উপেন নিশ্চয়ই এখনো ব্রিজের উপর বসে আছে। কিন্তু ব্যাপারটা আমার জন্যে বিরাট লজ্জাজনক হবে। উভয়সঙ্কটে পড়ে গেছি! কী করা উচিৎ বুঝতে পারছি না। দরজার চৌকাঠের উপর দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ চিন্তা করে ঘরের মধ্যে ঢুকে পড়লাম; যা হয় হবে!
বন্ধুমহলে সাহসী হিসেবে আমার সুনাম আছে। স্কুলের মাঠে ক্রিকেট খেলার সময় বল প্রায়ই পাশের বাঁশঝাড়ের মধ্যে চলে যেত। বাঁশঝাড়কে আমরা বলতাম আড়া। এই আড়ার মধ্যে কয়েক হালি কবর, আর কীভাবে যেন বলটা কোনো না কোনো ভাঙ্গা কবরের মধ্যে গিয়েই পড়ত! আড়ার কবরে নামার অভিজ্ঞতা অনেক বন্ধুরই অল্পবিস্তর থাকলেও বলটা সবসময়ই আমি বের করে আনতাম। কবর থেকে ক্রিকেট বল, এমনকি এরকম পুরনো কবর থেকে মৃতদেহের ক্ষয়ে যাওয়া হাড়গোড় তুলে আনা আমার জন্যে ডালভাত ব্যাপার ছিল!
ঈদের ছুটিতে গ্রামে এসে খবর পেলাম নাসের এসেছে। নাসের আমার ছোটবেলার বন্ধু। আমার চেয়ে বয়সে বছর চারেকের বড় হলেও আমরা ক্লাসমেট ছিলাম। স্কুল শেষ করে সবাই যখন কলেজে ভর্তি হলাম, নাসের তখন শ্রমিক-ভিসায় সৌদি আরব চলে গেল! এই চার বছর আমার সাথে যোগাযোগ ছিল না, দেশে ফেরেছে শুনে দেখা করতে এলাম। কুশলালাপের পরেই নাসের জিজ্ঞেস করল- ‘তোর কি ভূতের নেশা এখনো আছে?’
বললাম, ‘নেশা দূর হয়নি। কিন্তু ভার্সিটির চাপে এখন আর এসব নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় পাই না।’
নাসের বলল, ‘ভূতের খোঁজ পাওয়া গেছে। আজ রাতে চল যাই।’
-‘কোথায়?’
-‘লাশকাটা ঘর।’
নাসের আগে থেকেই হুজুগে-মাতাল কিসিমের ছেলে। কার কাছে কী শুনেছে, আর এখন আমাকে লোভ দেখাচ্ছে! ভূত নিয়ে আমার আলাদা একটা আগ্রহ ছিল, নাসের এটা জানে। প্রায়ই আমি আমাদের গ্রামের শিমূল গাছের নিচে গিয়ে বসে থাকতাম। রাতে। এই গাছে নাকি ভূত আছে, এশার নামাজের পরপরই গাছ থেকে গুনগুন আওয়াজ শোনা যায়। অনেকেই শুনেছে। মুরব্বীরা বলতেন, এগুলো ভূত না, জ্বিন। মানুষের নামাজ শেষ হলে জ্বিনেরা নামাজ পড়ে! জ্বিন-ভুতও যে নামাজ পড়ে এমন আজব তথ্য বিশ্বাস না করলেও ভূত দেখার লোভ সামলাতে পারতাম না।
ও হয়তো পুরোপুরিই আমার সাথে ইয়ার্কি করছে। তবুও জিজ্ঞেস করলাম- ‘কী ঘর বললি?’
নাসের বলল- ‘লাশকাটা ঘর। দেওয়ানতলা ব্রিজের কাছে নদীর পাড়ে একটা ঘর আছে না, ওটা।’
এবার আমি নাসেরের ইয়ার্কির বিষয়টা নিশ্চিত হলাম। দেওয়ানতলা ব্রিজ আমাদের গ্রাম থেকে মাইল দুয়েক উত্তরে। ব্রিজের নিচ দিয়ে সরু যে নদীটা গেছে, সেটা ধরে সিকি মাইল পূর্ব দিকে গেলে একটা পুরনো ঘর আছে। ঘরটা নদীর পাড় ঘেঁষে, বন্যার মৌসুমে ডুবে যায়। আমি যদ্দুর জানি এটা নীলকরদের ঘর ছিল, আমরা বলতাম নীলঘর। নাসেরকে বললাম- ‘গাধা, ওটা তো নীলঘর!’
নাসের বলল, ‘নীলঘর না। ওটা আসলে লাশকাটা ঘর ছিল। মাস খানেক হল ওখানে উৎপাত শুরু করেছে!’
আমি বললাম, ‘কে উৎপাত শুরু করেছে?’
নাসের আমার কথার উত্তর দিল না। বলল, ‘সন্ধ্যেবেলা রেডি থাকিস।’
সন্ধ্যার পর উপেনকে নিয়ে আমরা ব্রিজের কাছে চলে এলাম।
**
ঘরের মধ্যে ভ্যাঁপসা আর ঝাঁঝালো গন্ধ। টর্চ জ্বাললাম। পুরো ঘরে মাকড়সার জাল। দক্ষিণ দিকে একটা পাল্লাবিহীন জানালা। দেওয়াল আর ছাদের পলেস্তারা খসে গেছে। আমি খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতে লাগলাম।
ভয়ে গা গুলিয়ে আসছে। আমি সাহসী, কিন্তু লাশকাটা ঘরে রাত কাটানোর মতো সাহসী কখনোই ছিলাম না। একবার ভাবলাম বের হয়ে যাই। উপেন আর নাসের ব্রিজের উপর বসে আছে; বলেছে আমি বের না হওয়া পর্যন্ত থাকবে। আবার ভাবলাম, বাজিতে হেরে যাওয়া বিষয়টা আমি কখনো মানতে পারব না, অনেকদিন পর্যন্ত মনের মধ্যে খচখচ করবে; তারচে’ বরং দেখিই না কী হয়!
ঘরের মাঝামাঝি জায়গায় উত্তর-দক্ষিণ বরাবর কোমর সমান দেওয়াল। দেওয়ালের ডানদিকে ঘরের দুই অংশে যাতায়াতের জন্যে একটা পথ। আমি খোলা পথটা দিয়ে ঘরের বিপরীত পাশটায় ঢুকলাম। এবং সাথে সাথে বুঝে ফেললাম নাসেরের কথা সত্যি।
এপাশের দেওয়াল কিংবা ছাদের অবস্থা ঘরের অন্য অংশের মতো নাজুক নয়। একদম বামদিকে দেওয়াল ঘেঁষে লম্বা বিছানার মতো একটা উচু জায়গা। খুব সম্ভবত সিমেন্ট দিয়ে বানানো হয়েছিল, এখন অনুমান করা ছাড়া বোঝার উপায় নেই। উল্টোদিকে একটা তিন-স্তরের তাক। অনুমান করলাম এটাও সিমেন্টের হবে। ঘরের কোনায় একটা চেয়ারের মতো উচু জায়গা। আমি মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে গেলাম এটা আসলেই লাশকাটা ঘর ছিল!
সাথে সাথে আমার ভয় কয়েকগুণ বেড়ে গেল। নাসের বলেছে ‘আসল উৎপাতটা’ শুরু হয় মাঝরাতে, এগারোটা-বারোটার দিকে। ঘড়িতে দেখলাম সাড়ে ন’টা। সত্যি-মিথ্যা যা-ই হোক, উৎপাত দেখার জন্যে আরও ঘণ্টা তিনেক বসে থাকার কোনো যুক্তি খুঁজে পেলাম না। অতিরিক্ত সাহস সবসময়ই বোকামি।
আমি বের হওয়ার জন্যে ঘুরে দাঁড়ালাম। সাথে সাথেই খসখস শব্দটা কানে এলো! আমি কান খাড়া করলাম, পলিথিনের শব্দ। টর্চ দিয়ে পুরো ঘরটা দেখলাম, কোথাও পলিথিনের চিহ্নমাত্র নেই। নিজেকে সান্ত্বনা দিলাম- শব্দটা নিশ্চয়ই বাইরে থেকে এসেছে, নদীর পাড়ে পলিথিন থাকতেই পারে। হয়তো ইঁদুর-টিদুর কিছু একটা নিয়ে টানাটানি করছে। আরও কয়েক সেকেন্ড অপেক্ষা করে বের হয়ে এলাম।
বাইরে এসে মনে হল, ব্যাপারটা ঠিক হল না। আমি এখন নাসেরদের কাছে ফিরে গেলে ওরা হাসাহাসি করবে। উপেন টিটকারি করার ব্যাপারে বিশেষভাবে পটু, ওর টিটকারিতে অতিষ্ঠ হয়ে আমরা ওকে কুপেন ডাকতাম। আর তাছাড়া খসখস একটা শব্দ শুনেই ভয় পেয়ে যাওয়ার কোনো কারন নেই। শব্দটা যদি বাইরেই হয়, তাহলে তো ভয়ের কিছু নেই; আর যদি ঘরের মধ্যে হয়, তাহলে সেটা খুঁজে বের করলেই তো ভয়ের কিছু থাকে না। আমি দ্বিতীয়বার ঘরটার ভিতরে ঢুকলাম। এবং আমার জীবনের সবচে’ ভীতিকর রাতের সূচনা হল।
আমি দরজা পার হয়ে ঘরের ভিতরে ঢুকে মাত্র দাঁড়িয়েছি, হঠাৎ শুনলাম একটা কুকুর চিৎকার করে উঠল। আমি চমকে উঠে পিছনে তাকিয়ে অবাক হয়ে গেলাম; ঘরের ঠিক বাইরে, দরজার সামনে দুটো কুকুর দাঁড়িয়ে আছে। অন্ধকারে কুকুরগুলোর চোখ জ্বলজ্বল করছে। একটু পরেই আরেকটা কুকুর হাঁপাতে হাঁপাতে এসে এদের পাশে দাঁড়িয়ে গেল। প্রত্যেকের দাঁড়ানোর ভঙ্গি অস্বাভাবিক। মাঝখানের কুকুরটা লাগাতার চিৎকার করে যাচ্ছে; আর পাশের দুটো চিৎকার করছে কিছুক্ষণ পর পর। কী মনে করে আমি কুকুরগুলোর গায়ের উপর টর্চের আলো ফেললাম। সব থেমে গেল। তিনটা কুকুরই শান্ত হয়ে বসে পড়ল।
ব্যাপারটাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়ার দরকার নেই। আমি ঘরের দ্বিতীয় অংশে ঢোকার জন্যে পা তুলেছি, সাথে সাথে কুকুরত্রয় চিৎকার শুরু করল। আমি খেয়াল করলাম, এদের এবারের চিৎকারের ধরণ আগের চেয়ে আলাদা। আমি ওদের গায়ে আবার আলো ফেললাম, মুহূর্তেই চুপ। বুঝতে পারলাম, আমি আবার ভিতরে যাওয়ার চেষ্টা করার সাথে সাথেই এরা চিৎকার করবে! কুকুরগুলো আমাকে ভিতরে যেতে দিতে চাচ্ছে না কেন! কুকুর বুদ্ধিমান প্রাণী, এরা কি আগে থেকে কিছু বুঝতে পারে? ততক্ষণে আমার জেদ চেপে গেছে। আবার পা বাড়ালাম, কুকুরেরা আবার চিৎকার শুরু করল। জেদের বশে কুকুরের চিৎকারটাকে স্রেফ কাকতালীয় বলে ধরে নিলাম।
ভিতরে ঢুকতেই কেন যেন গা ছমছম করে উঠল! বাইরে থেকে চাঁদের আবছা আলো আসছে। মনে হল, তখনকার দেখা বিছানাটার উপর লম্বা কিছু একটা রাখা হয়েছে! মুহূর্তের মধ্যে চোখ বন্ধ করে ফেললাম। জিনিসটা কী? কে রাখল? মিনিট দুয়েক আগেই এই ঘর থেকে বের হলাম, তখন তো কিছু ছিল না। আমি আপ্রাণ নিজেকে বোঝানোর চেষ্টা করলাম এটা আসলে কিছু না, আলোআঁধারির জন্যে এরকম মনে হচ্ছে। বামদিকে ঘুরে টর্চের আলো ফেললেই দেখব কিছু নেই। কিন্তু আমি আবিস্কার করলাম বামদিকে ঘুরে দাঁড়ানোর ইচ্ছে কিংবা শক্তি কোনোটাই আমার নেই! হঠাৎ খেয়াল করলাম বাইরে কুকুরের আওয়াজ থেমে গেছে। চোখ খুলে ফেললাম সাহস করে। বামদিকে ঘুরে দাঁড়িয়ে অন্ধকারেই বোঝার চেষ্টা করলাম ব্যাপারটা। কিছু নেই। টর্চ জ্বাললাম। পুরো জায়গাটা একদম পরিস্কার।
চোখ বন্ধ করে দেওয়ালে হেলান দিয়ে বসে পড়লাম। একটু আগে যেটা দেখলাম সেটাকে তখন ‘আলোআঁধারির খেলা’ মনে হলেও এখন বুঝতে পারছি ওটা এরকম কিছু ছিল না। আমি অবয়বটা পরিস্কার মনে করছে পারছি। মনে হচ্ছিল চাটাই অথবা বস্তা দিয়ে মোড়ানো কিছু একটা লম্বালম্বি করে রাখা হয়েছে। জিনিসটা কী হতে পারে, লাশ? না, এখানে লাশ কীভাবে আসবে! আমি মনকে ভয়ের পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তি দিতে দিতে সম্ভবত ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। অথবা তন্দ্রা।
ঘুম ভাঙল আবার সেই খসখস শব্দে। স্পষ্ট শুনলাম মোড়ানো পলিথিনের ব্যাগ থেকে কিছু বের করা হচ্ছে। এবার আর চোখ খোলার সাহস হল না। চোখ বন্ধ করেই বোঝার চেষ্টা করলাম শব্দটা কোনদিকে! পলিথিনের শব্দের উৎস খুঁজতে গিয়ে যে শব্দ কানে এলো, সেটা আমার আতংকের সীমা ছাড়িয়ে গেল! আমি পরিস্কার বুঝতে পারলাম দু’জন মানুষ ফিসফিস করে কথা বলছে! কী বলছে সেটা বুঝতে পারছি না, কিন্তু একটা যে নারীকণ্ঠ সে বিষয়ে সন্দেহ নেই। খুব ইচ্ছে করছে চোখ খুলে ফেলি, কিন্তু সাহসে কুলাচ্ছে না।
এভাবে কতক্ষণ কেটেছে বুঝতে পারছি না। একসময় খেয়াল করলাম ফিসফিস শব্দ বন্ধ হয়ে গেছে, সেই সাথে শুরু হয়েছে কুকুরের চিৎকার। কুকুরগুলো কি আমাকে পালাতে বলছে? পালানোর জন্যে এটাই কি মোক্ষম সময়? আমি হামাগুড়ি দিয়ে পূর্ব দিকে সরে যেতে শুরু করলাম। এবং সাথে সাথে ফিসফিস শব্দ শুরু হল। আর পলিথিনের শব্দের পাশাপাশি যোগ হল ধাতব টুংটাং শব্দ। ঝনঝন করে কিছু একটা পড়ে যাওয়ার শব্দও শুনলাম।
এখন মনে হচ্ছে ফিসফিসানি দু’জনের না, তিনজনের। একটা কণ্ঠ খুব করুণ। আমি খুব মনোযোগ দিয়ে শোনার চেষ্টা করলাম। কিছু বুঝতে পারছি না। শুধু মনে হচ্ছে করুণ কণ্ঠটা বলছে- ‘না-না-না, না-না-না, না-না-না…’।
আমার শিরদাঁড়া দিয়ে শীতল স্রোত বয়ে গেল। শব্দগুলো ক্রমেই আমার দিকে সরে আসছে। মনে হল আমি জ্ঞান হারাচ্ছি। উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলাম, পারলাম না। হামাগুড়ি দিয়ে দরজার দিকে এগোতে লাগলাম। দরজার কাছে গিয়ে সর্বশক্তি দিয়ে উঠে দাঁড়ালাম। পিছনের ফিসফিস শব্দের মাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। বুঝতে পারছি আমি মৃত্যুর উপকূলে দাঁড়িয়ে আছি। যেকোনো মুল্যে আমাকে এখান থেকে বের হয়ে যেতে হবে।
বের হয়ে ছুটতে লাগলাম।
**
নাসেররা আমাকে পেয়েছে লাশকাটা ঘর থেকেও অর্ধ-মাইল পূর্ব দিকে। ওরা যেখানে ছিল তার উল্টো দিকে। আমি নাকি কিছুক্ষণ পর পর চিৎকার করে নাসেরের নাম ধরে ডাকছিলাম। রাতের বেলা বলেই হয়তো শব্দটা ওদের কানে পৌঁছেছিল। নাসেররা যখন লাশকাটা ঘরের কাছে এসেছে, ততক্ষণে আমি বিপরীত দিকে অনেকটা এগিয়ে গেছি। ওরা যখন আমার পেয়েছে তখন আমি পাগলের মতো ছুটছিলাম। মুখ দিয়ে ফেনা বের হচ্ছিল। আর আমার সামনে সামনে ছুটছিল তিনটা কুকুর!
২৩টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
আমার আবার ভুতের ভয়, রাতে পড়তে গিয়ে পড়িনি,
ভাল উপস্থাপন, তবে আরও মন দিয়ে লিখলে আরও ভয় পাওয়াতে পারতেন,
অবশ্য এমন ও হতে পারে আমাদের আর ভয় পাওয়াতে চান নি।
মাঝে মাঝে লিখুন ব্যস্ততার মাঝেও।
নাজমুল আহসান
আমি বেশি ভয়ের গল্প লিখতে পারি না। এর আগেও দেখেছি- লেখা শুরু করার সময় ভাবি ভয়ানক কিছু লিখে ফেলব, পরে দেখা যায় রম্য হয়ে গেছে 😀
অনিকেত নন্দিনী
নাশতা খেতে খেতে গল্প পড়তে গিয়েও থেমে গেলাম। লাশের গল্প পরে সময় নিয়ে পড়বো। মন্তব্যও পরে দেবো। 🙂
নাজমুল আহসান
লাশের গল্প না তো, পড়ে ফেলেন :p
অনিকেত নন্দিনী
পড়ে ফেললাম। পড়ে মনে হলো:
১. দুইটা বা চারটা না হয়ে কুকুর তিনটা কেনো? ;?
২. টর্চের আলো ফেললেই কুকুরগুলির চিৎকার থেমে যায় কেনো? 😮
৩. আপনি কি অধিকাংশ সময় চোখ বন্ধ করেই ছিলেন? ;?
৪. চোখ বন্ধ করে থাকলে কানে কম শোনা যায়? ‘না-না-না, না-না-না, না-না-না…’ ছাড়া কিছুই শোনেননি যে! :p
৫. এতোই যদি ডরান তো লাশকাটা ঘরে যাওনের কী দরকারডা আছিলো? -:-
থাক, আর প্রশ্ন না করি। পরে ভুত ফেলাইয়া আমারেই ডরাইবেন। :p
নাজমুল আহসান
এতো প্রশ্ন করলে চইলত? 🙁
খসড়া
আপনার লেখা ভাল লেগেছে, ভুত নেই ফিস ফিস দিয়ে ভুতের অবস্থান সত্যিই চমৎকার।
নাজমুল আহসান
-{@
মোঃ মজিবর রহমান
ভাল লাগলো সুন্দর গোছানো ছিমছাম।
নাজমুল আহসান
সুন্দর গোছানো ছিমছাম এবং ফিসফিস ;?
অরুনি মায়া
ভুতের গল্প খুবি প্রিয় আমার | সেই ছোট বেলা থকেই ভুত খুব প্রিয় | একজন ভুত বন্ধুও আছে আমার 🙂 | গল্প ভাল লেগেছে | আরও আরও ভুতের আর রহস্যের গল্প চাই 🙂
নাজমুল আহসান
ভুতের গল্প লিখতে ভয় পাই 🙁
নাসির সারওয়ার
ভুত ভুত। পালা পালা।
আমি আবার খুবই ডরাই। দেখি আরো কিছু উদ্দার হয় কিনা। পরে আসবো আবার।
নাজমুল আহসান
ঠিকাছে 😀
ড্রথি চৌধুরী
কিচ্ছুক্ষণ আগেই আমি ভাবছিলাম ভয়ের কিছু লিখবো! আপনি জানলেন কি করে?? ;?
ভাল না বেশ ভালই উপস্থাপন করেছেন!! ভয়ের উপর আমার ছোটবেলা থেকেই আগ্রহ! সেই সুবাদে হরর কিছুই পেলেই দেখে ফেলি বা পড়ে ফেলি বা শুনে ফেলি!!…। আমি কিন্তু ভয় ও পাই ^:^
আপনার লিখাটা যদি ব্যাকগ্রাউন্ড হরর কিছু সাউণ্ড দিয়ে পড়া যায় বা শোনানো যায় অল্বত সবাই বেশ ভয় পাবে 🙂 লিখতে থাকুন খুবই ভাল লিখেছেন :c
নাজমুল আহসান
ব্যাকগ্রাউন্ডে সাউন্ড দিয়ে দেব নাকি? :p
মুহাম্মদ আরিফ হোসেইন
লাশ মানেই আমার কাছে ভয় ভাই।
দারুন ভয় পাইছি। যদিও মিসিরআলী হিসেবে আমার ভয় পাওয়া উচিৎ না।
যেটা লাশ সেটা বোধহীন। তাকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। মনের ভয় টাই হইলো আসল বিষয়। 😀
নাজমুল আহসান
যেটা লাশ সেটা বোধহীন। তাকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। (y)
নীলাঞ্জনা নীলা
ভূতের গল্প বা মুভি থেকে আমি বহু—————————————-দূর থাকি।
একটু পড়েছি, তারপরেই থামিয়ে দিয়েছি। -:-
নাজমুল আহসান
আরে ধুর! এটা তো ভূতের গল্প না, ভয়ের কিছু নাই। পড়ে ফেলেন 😀
নীলাঞ্জনা নীলা
একটু পড়েই ঘুমের বারোটা বেজেছে। 🙁
জিসান শা ইকরাম
চরম সাহসিকতা দেখানো একটি গল্প
আমি কোনকিছুর বিনিময়ে এই লাশকাটা ঘরে যাইতাম না
জীবন একটাই, তা ভুতের জন্য খোয়াতে রাজী না।
চমৎকার উপস্থাপনা।
ব্লগার সজীব
ভয়ের একটি হিমশীতল স্রোত বয়ে গেলো আমার অস্থি মজ্জায় (y)