
ফেসবুকে ইতালিফেরত প্রবাসী এক বাঙালিকে দেখলাম ভিডিওতে চিল্লায় চিল্লায় বলছে- ফাক ইউ!! ফাক ইউ মাদারল্যান্ড!!
হাতেগোনা কয়েকজন বাদে অসভ্য ইতর শ্রেণীর এইসমস্ত লোক একটি লকডাউন কাউন্ট্রি থেকে দেশে এসেছে মূর্খের মত। অথচ একবারও এদেশের জনগনের কথা, তাদের পরিবারের কথা মাথায় আনেনি! দেশে আসলে কোয়ারিন্টাইনে থাকতেই হবে এটাই নিয়ম তা তারা মানতে চাইছেনা। এরাই হুন্ডির মাধ্যমে দেশে অবৈধভাবে ফাঁকি দিয়ে অর্থ পাচার করে আর দেশে এসে ফোরটুইন্টি দেখায়!
দেশে নতুনভাবে দু’জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন যাদের একজন ইতালী অন্যজন জার্মান ফেরত প্রবাসী। এই মূহুর্তে দেশে অন এরাইভাল ভিসা বন্ধ এবং যুক্তরাজ্য ছাড়া করোনার প্রকোপ বেশী এমন দেশ থেকে যাত্রী আসাযাওয়া বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার যা আরও দু’দিন আগে নিলে আজ কিছু অসভ্যদের দেখতে হতোনা।
করোনাভাইরাস এখন পর্যন্ত ৩৮০ বার তার নিজের গঠন পরিবর্তন করেছে। যার ফলে সুনির্দিষ্টভাবে কার্যকরী ওষুধ এখনো আবিস্কার করা যায়নি। করোনাভাইরাসকে এ শতাব্দীর সবচেয়ে অসভ্য এটাকিং ভাইরাস বলা হচ্ছে।
তবে আশার বাণী হচ্ছে এদেশে করোনাভাইরাস তার গঠনপ্রকৃতি পরিবর্তিত করতে ইচ্ছুক হবেনা বলে মনে হয়! একইরকম থাকবে। তখন করোনা ছড়িয়ে পড়বে আরও সহজভাবে। কারন সে আশেপাশে তাকিয়ে দেখবে তার চেয়েও অসভ্য হচ্ছে বিদেশফেরত বাঙালিদের মনস্তাত্ত্বিক গঠনপ্রকৃতি, যা আরও ভয়াবহ।
অথচ বিদেশে মাথারঘাম পায়ে ফেলে কষ্ট করে কর্ম করা অমানুষগুলি আজ নিজের দেশের সামান্য অব্যবস্থাপনাকে মেনে নিতে পারছেনা বলে গালিগালাজ করছে। সেইসব মানুষ কি করে হোম কোয়ারান্টাইনে থেকে নিজেদের পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখবে যাদের এত কলুষিত মন? নিজেদের এবং পরিবারের সদস্যদের পরিচ্ছন্নতা তারা নিজেরাই রাখতে পারবে কিনা সেটাই প্রশ্নবিদ্ধ! তাদের সাথে যারা মিশবে তারাওতো ঝুঁকিতে থেকে যাবে।
হ্যা, এটা হতে পারে যে তারা একধরনের আতঙ্ক থেকে এমনটা করেছেন। কারন সাথে অনেক শিশু রয়েছে এবং আশকোনা হজ্জ ক্যাম্পে জীবনযাপনের মান উন্নত নয়। কিন্তু তাদের বুঝতে হবে এটা উন্নত ইউরোপ নয়, বাংলাদেশ। ইতালিফেরত প্রবাসীদের প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে ছেড়ে দেয়া হয়েছে এবং তাদের সরকারি তত্বাবধানে হোম কোয়ারিন্টাইনে রাখা হবে। কিন্তু এদেশে হোম কোয়ারিন্টাইন কতটা কার্যকরী এবং ফলপ্রসূ হবে তা ভাবনার বিষয়।
তারা যদি এতই ভালো চাইতো তাহলে এদেশে নিজেরা এক একটি করোনার এটোমবোমা হয়ে আসতোনা। এরা তারাই যারা প্রবাসে গিয়ে এদেশকে, দেশের মাটিকে ভালোবাসে আর দেশের সামান্য ত্রুটিবিচ্যুতিতে ধিক্কার জানায়। বলি বিদেশে যারা এত কষ্ট করে দেশে এসে কি তারা লাটসাহেব হয়ে যায়?
সব সহ্য হয়, বাংলাদেশকে কেউ গালি দিলে রক্ত টগবগ করে ওঠে। তাদের জন্য করোনা নয় আর্মির ডান্ডিই হচ্ছে উপযুক্ত অস্ত্র। অসভ্যের দল!!
২৭টি মন্তব্য
সুপায়ন বড়ুয়া
যারা দেশ ও মাতৃভুমি নিয়ে গালাগাল করে
তাদের জন্ম নিয়ে উঠতেই পারে।
ওরা বেজন্মা জানাই ধিক্কার।
ভালই লিখলেন। শুভ কামনা।
তৌহিদ
হয়তো তাদেরও কিছু অসুবিধা ছিল তাই বলে দেশকে গালি দিতে হবে এটা গ্রহণযোগ্য নয় ।ভালো থাকবেন দাদা।
রেহানা বীথি
সামান্য জ্ঞানটুকুও নেই এদের। এমন ভয়াবহ পরিস্থিতিতেও অসভ্যতা দেখাতে একটুও বাধে না। আসলে এরা জাত অসভ্য।
তৌহিদ
ইউরোপের মতো দেশে থেকেও এরা ভদ্রতা জ্ঞান শিখেনি। আশ্চর্য হতে হয় এমন কর্মকাণ্ডে। ভালো থাকবেন আপু।
ছাইরাছ হেলাল
আল্লাহ আমাদের এই মহা দুর্যোগ থেকে রক্ষা করবেন এই আশাই রাখি।
তৌহিদ
ভয়াবহ পরিস্থিতি যাতে এদেশে তৈরি না হয় এটাই কাম্য ভাই। আল্লাহ রহমত করুন।
ভাল থাকবেন।
আলমগীর সরকার লিটন
ভাল লেখেছেন——————-
তৌহিদ
ধন্যবাদ।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
এরা চরম বেয়াদব, অসভ্য। এদের এমন শান্টিং দেয়া উচিত আর্মি দিয়ে যাতে করে কখনো উল্টাপাল্টা ভাবতে গেলেও মাইরের কথা মনে করে সব ঠিকঠাক মতো করবে। বিদেশ গেলেই এরা দেশের ব্যাপারে উদাসীন, নাক সিটকানো ভাব দেখায়। বিদেশে গিয়ে মেথরগিরি করে দেশে আসলেই লাটসাহেবী দেখায়।
তৌহিদ
ভাবতে অবাক লাগে এরা বাঙালি। দেশের বাইরে থেকে এরা কামলাগিরি করে অনেকেই আবার দেশে এসে ফুটানি দেখায়। অথচ একবারও করোনার বাবা ও তার কথা তারা চিন্তা করলো না।
ঠিক বলেছেন, এদের জন্য শান্টিং দরকার। ভালো থাকবেন আপু।
ফয়জুল মহী
সাবলীল সুন্দর উপস্থাপন । একমাত্র আল্লাহই রক্ষাকর্তা ।
তৌহিদ
এই বিপদ থেকে আল্লাহর রহমত করুন। ভাল থাকবেন ভাই।
প্রদীপ চক্রবর্তী
এরা চরম অসভ্য নিকৃষ্ট।
.
ধন্যবাদ সমসাময়িক লেখনীর জন্য।
তৌহিদ
সবাই কিন্তু এমন নয় দাদা, অনেক ভালো মানুষও আছেন। ভাল থাকবেন।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
এস.জেড বাবু
ভালো মন্দ সব জায়গাতেই সবসময় বিরাজমান, আপনার শব্দের ব্যাবহার তা নিশ্চিত করে। খুশি হলাম সকল প্রবাসীদের এক নজরে না দেখার মতো ধৈর্যশক্তি আপনার আছে তাই।
শুভেচ্ছা।
আমার ইতালিয়ান সিটিজেন, বাচ্চাদের পড়াশোনা এবং আমার বাবার মৃত্যূর পর দেশে ব্যাবসা আপডেট করছি এবং পাশাপাশি ওখানকার ব্যাবসাটা ধরে রেখেছি। সুদীর্ঘ সময়ে যে শিক্ষাটা প্রবাস আমাকে দিয়েছে তা হলো- “কুকুরের লেজ বাঁকাই থাকে”। ওরা ওখানেও একইরকম। ওই দেশের পরিবেশ তাদের স্বভাবে পরিবর্তন আনতে পারে নাই।
সে থাকুক ইউরুপে বা আরও পশ্চিমা উন্নত কোন দেশে। সুযোগ পেলেই এরা স্বরূপে ফিরে আসে।
আমি শিউর, এই ছেলে আট দশ বছর পর দেশে ফিরেছে এবং নিজের পরিবারের কাছে যাওয়ার মতো সময়, তার সহ্য হচ্ছে না।
স্বভাবত তাকে দেশের / বিশ্বের এই ক্রান্তিকালে সব ধরনের সহযোগিতা নিজে থেকে করার কথা ছিলো- যা বুঝার মত ক্ষমতা ও তার নেই।
মসজিদে ও জুতা চোর থাকে,
প্রবাস !! সে তো উন্মুক্ত পরিসর।
তৌহিদ
ভাই সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ জানাই প্রথমেই। আপনি বিষয়টা পজিটিভ ভাবে নিয়েছেন। আসলে প্রবাসীরা অনেক কষ্ট করে বিদেশে। দেশের জন্য রেমিটেন্স পাঠায়। তাদের কষ্ট অস্বীকার্য। কিন্তু দেশের প্রতি তাদের সবার মনোভাব এক রকম নয় মনে হয়।
কিছু মানুষ কোনদিনও মনেপ্রাণে ভালো হয়না, তাদের সংখ্যাটা নেহায়েতই কম। তবে গতকাল যা ঘটেছে একজন বাঙালি হিসেবে লজ্জিত হয়েছি। যত যাই কিছু হোক দেশকে গালি দেওয়া মোটেই উচিত নয়।
ভালো থাকবেন ভাই, শুভকামনা সবসময়।
ত্রিস্তান
আট দশ বছর অপেক্ষা করতে পারলে আট দশ দিন ও অপেক্ষা করা যায়। আসল কথা হলো ওদেরকে সজ্জক্যাম্পে ফ্লোরিং করতে হতো। ওদের সেটা পছন্দ হয়নি। ওদের জন্য দরকার ছিলো হোটেল সোনারগাঁও বুকিং দেওয়া। তাইলে কোন উচ্চবাচ্য করতো না।
তৌহিদ
এইটা ভালো কথা বলেছেন ভাই।
সুরাইয়া নার্গিস
অসাধারণ লেখা।
শুভ কামনা
তৌহিদ
আপনার জন্য শুভকামনা আপু। ভালো থাকবেন।
হালিম নজরুল
করোনাভাইরাস এখন পর্যন্ত ৩৮০ বার তার নিজের গঠন পরিবর্তন করেছে। যার ফলে সুনির্দিষ্টভাবে কার্যকরী ওষুধ এখনো আবিস্কার করা যায়নি। করোনাভাইরাসকে এ শতাব্দীর সবচেয়ে অসভ্য এটাকিং ভাইরাস বলা হচ্ছে।
———–সতর্কতা সর্বোত্তম
তৌহিদ
জ্বী ভাই, সচেতনতা জরুরি।
ভালো থাকবেন।
কামাল উদ্দিন
আসলে যে দেশগুলোতে করোনার পাদুর্ভাব খুব বেশী সেখান থেকে আমাদেশের লোকজন বেঁচে থাকার জন্য ফিরে আসছে, এটা অস্বাভাবিক কিছুই নয়। আবার বিদেশ থেকে ভাইরাস নিয়ে টোটাল ফ্যামেলী ধ্বংস কিংবা সারা বাংলাদেশে এটা ছড়িয়ে পড়ুক এটা আমরা চাইনা বলেই সরকার ওদের বিধি নিষেধের আওতায় এনেছে। আর এটা মেনে নেওয়া আমাদের দেশ প্রেমেরই নামান্তর। এমন অসংলগ্ন আচরণ অবশ্যই কাম্য নয়। ওর জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিৎ।
তৌহিদ
তারা চাইবে ক্ষমা!! আজ খবরে দেখলাম একজন হাসপাতাল থেকে পালিয়েছে, কেউ বিয়ে বাড়িতে, কেউ বাড়ি থেকে বাইরে বেড়িয়ে দিব্যি হাটাচলা করছে। বোঝেন অবস্থা!!
এদের শান্টিং দেয়া ছাড়া গতি নাই ভাই।
কামাল উদ্দিন
আমাদের সকলের বেঁচে থাকার জন্য অবশ্যই ওদের উপর কঠোর হতেই হবে।
জিসান শা ইকরাম
হোম কোয়ারিন্টাইন মোটেই কার্যকরী হবেনা। আজ তিনজন নতুন আক্রান্তের মধ্যে দুই শিশু, একজন নারী। ইটালি ফেরৎ প্রবাসী দ্বারা আক্রান্ত এরা। এদের মাধ্যমেই ছড়াবে ভাইরাস।
কোনো অবস্থাতেই ইতালি থেকে ফিরে আসা প্রবাসীদের ছেড়ে দেয়া উচিৎ হয়নি।
তৌহিদ
নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও আজ আরও ৯২ জন এসেছে ইউরোপ থেকে!! মানবিকতা দেখাতে গিয়ে মানুষ কিন্তু বিরাট হুমকীর সম্মুখীন হচ্ছে।
কি যে হবে!! সাবধান থাকবেন ভাই।