জয়: অর্পা তুমি ম্যানেজ কর আমি এর ভিতর নেই ।
মিলন: আরে বোকা অত ভয় পাওয়ার কি আছে উনি মানুষই তাই না । চল দেখিস আমি কিভাবে ওনাকে ম্যানেজ করি ।
নমস্কার আঙ্কেল ।
হুম
তোমার নাম কি ?
আমার নাম মিলন আর ওর নাম জয় ।
শুধু নিজের টা বল ওর টা ওই বলবে ।
হ্যাঁ ঠিকই বলেছেন ।
কি কর ?
পড়াশুনা করি স্টুডেন্ট
কোন ক্লাসে?
এই তো এবার সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পরিক্ষা দিলাম ।
রেজাল্ট ?
এখনো রেজাল্ট দেয় নি ।
অহ তার মানে এখন কিছুই কর না বেকার ?
হ্যাঁ আমি বেকার তবে ও মানে জয় চাকুরী করে ।
আবার ওর কথা বলছ ?
সরি ।
আচ্ছা ঠিক আছে তুমি তো সিভিল ইঞ্জিনিয়ার তাই না ?
হুম
ধর যদি আমি একটা দশ ফিট বাই দশ ফিট পাঁচ ইঞ্চি ওয়াল গাঁথুনি করতে চাই তাহলে আমার কতটা ইট লাগবে?
ইয়ে মানে আঙ্কেল একটা ক্যালকুলেটর হবে ?
ক্যালকুলেটর কেন ?
এতটুকু হিসাব করতে ক্যালকুলেটর লাগে?
তুমি পারবে? (জয়কে দেখিয়ে)
হুম
পাঁচশো টা ইট লাগবে ।
একটু বেশী হল না?
বারটা বেশী ধরা হয়েছে অপচয় হিসাবে । গানিতিক হিসাবে লাগে প্রতি স্কয়ার ফিটে ৪.৮৮পিস । আপনার মাপ অনুযায়ী দশ বাই দশ মানে একশ স্কয়ার ফিটে লাগবে ৪৮৮ পিস । অপচয় সহ মোট ৫০০টা ।
গুড । একদম পরিষ্কার মাথা ।
ওর চাকরী হবে ছাড়া কি তোমার হবে?
ওহ মনেই নেই তোমরা কার কাছে এসেছ?
রাজু: বাবা উনিই মাকে হাসপাতালে সিটের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন । দিদিকে রক্ত দিয়েছিলেন ।
অহ ।
যাও দুজনেই ঘরে গিয়ে বস ।
রাজু ওদের জলখাবার দিতে বল ।
ঠিক আছে বাবা ।
আপনারা এই ঘরে আসুন ।
দাদা কি খাবেন?
কিছুনা আগে এক গ্লাস জল দাও ।
তোমার দিদি কই ?
কি হয়েছে ?
রাজু: বাবা ওনাদের ইন্টারভিউ নিচ্ছিলেন । জয় দা পাশ করেছে ।
অর্পিতা: আসলে বাবা তো সারাজীবন মাস্টারি করেছেন । এখনো সবাইকে ছাত্র মনে করেন ।
মিলন: উনি কি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষক ছিলেন ?
চলবে………………………………..
১১টি মন্তব্য
সঞ্জয় কুমার
ভালো হয়েছে চালিয়ে যান । পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম ।
শুন্য শুন্যালয়
হা হা হা, আপনার মন্তব্য পড়ে বেশ মজা পেলাম। লেখা কিন্তু পড়ে যাচ্ছি, শেষ হলে মেগা মন্তব্য আসবে
লেখাটা কিন্তু চাইলে আর একটু বড় করে দিতে পারেন, আমাদের গল্পের মধ্যে আঁটকে রাখার ব্যবস্থা করেছেন বুঝতে পারছি। 🙂
সুন্দর সহজ প্রেমের গল্প, ভালো হয়েছে চালিয়ে যান । পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম । 🙂
মা মাটি দেশ
ঘটনা কি নিজের পোষ্টে নিজেই কমেন্টস।যাক ইটা মাপার হিসাবটা নুতুন জানলাম -{@ (y)
সঞ্জয় কুমার
যদি তোর লেখা পড়ে কেউ কমেন্ট না করে
তবে নিজের লেখায় নিজেই কমেন্ট কর রে ।
রবি ঠাকুর থিওরি ।
জিসান শা ইকরাম
হিসাব নিকাশ একদম পরিস্কার ।
ছোটখাটো আলাপ চারিতায় গল্প এগিয়ে যাচ্ছে ।
শুভ কামনা ।
খসড়া
চলুক।
সঞ্জয় কুমার
অবশ্যই চলবে । মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ
ওয়ালিনা চৌধুরী অভি
ভালো লাগছে গল্প , এমন গল্প বেশী বড় করা ঠিক হবেনা মনে হয় । আমার মতামত জানালাম । -{@
সঞ্জয় কুমার
পরামর্শের জন্যে ধন্যবাদ
ব্লগার সজীব
ভালো লিখেছেন , চলুক (y)
সঞ্জয় কুমার
অবশ্যই চলবে