
এই তো এখানে দাঁড়িয়ে ছিল সবুজ ঝলমলে
এক খণ্ড বনভূমি উঁচু নিচুর ঢাল বেয়ে উপত্যকা জুড়ে,
উজ্জ্বল প্রোজ্জ্বলে উচ্ছল প্রাণ উৎসবের সবুজ-শ্যামলে;
ঝিকিমিকি খর চৈত্র-দুপুর
জলভরাতুর ভারী মেঘ বৃষ্টি ভরা বান-জলে
ঠায়-থিতু হয়েই ছিল প্রবল ঘূর্ণি-বাতাসে;
সুরে সুরে গুনগুনিয়েছিল কত কত নাম না-জানাপাখ-পাখালি, ভ্রমর, প্রজাপতি, মৌমাছি আর হরিয়াল;
বৃষ্টি-ধোয়া সবুজে দেহের বাঁকে বাঁকে
ভালোবাসা-বাসির প্রণয় নিঃশ্বাসের গোপন/প্রকাশ্য সুবাস।
এক হীন-গোধূলি-বেলায় বুনো বিস্ময়ের অসীম শূন্যতায়
অনুভব করি, উধাও হয়েছে সাধের বনাঞ্চলটি,
অর্থহীন বিপুল অনুনয় বিনয় পেছনে ফেলে;
এসিড বৃষ্টি/সিডোর/ভয়ঙ্কর ভূমিকম্প/ আম্ফান/বন্যা!!
নাকি কোন দানোর হুঙ্কারে চূর্ণ-বিচূর্ণ!
কেউ জানেনা;
শুধু ফেলে রেখে গেছে কিছু বিশীর্ণ-বিশুষ্ক লাল-হলুদ পাতা।
****************************************************************************************************************
মৃত্যুর হাঁটা পথে পায়ে পা-ফেলে
ক্রমাগত হেঁটে যাচ্ছি বিভাজিত হবো বলে,
এ এক অমোঘ নিয়তি;
সই করা মৃত্যু পরোয়ানা ঝুলে আছে
দৃশ্যত অদৃশ্যতায়, বিয়োগ চিহ্নের মত;
এঁকে রাখা দেয়াল গ্রাফিতি
কখন যে জেনে-অজান্তে খসে পড়বে
আগাম জানান দিয়ে না-দিয়েও।
এ যেন হঠাৎ উল্টে পড়া বোবা-ভাস্কর্য
সারা শরীরে গেঁথে আছে অবিশ্বাসের পেরেক;
চির-ঘুমের শীতল পাটিতে শুয়ে তবুও ভাবি,
অলৌকিক ভাবে হলেও, পবিত্রতার দেশে
এবার/আবার দেখা হবে, সবার সাথে, ঝর্ণা-জল-স্নানে।
——— —- —- —- ————————- —————————————————
– হু, বলুন
– মন ভালো লাগছে না, উদাস লাগছে।
– কোবতের ফল?
– উহু, ভাবছি যদি হঠাৎ মরে যাই তাহলে কে কে আমার কথা মনে রাখবে
– কেউ রাখবে না। বড়জোর দিন দুই, তারপর সবাই ভুলে যায়।
– আসলেই, এই সোনেলার কথাই ধরুন। এখানে পরপর দুইদিন না এলেই কেউ কাউকে মনে রাখে না। মরে গেলে কেউ স্বরণ করবে?
– না। একটা শোকবার্তা পোস্ট দেয়া হবে, স্টিকি করে দুইদিন রাখাও যেতে পারে, এর বেশি কিছু না।
– তাহলে?
– যে কটা দিন পাওয়া যায় লেখালেখিতে থাকুন।
– তথাস্তু। আপনিও এই সময়ে আমার আশেপাশেই থাকুন, মরে গেলে বলতে পারবেন সাবিনা জি আমার স্বজন ছিলেন।
আর মহারাজ, মন দিয়ে শুনুন,
,এবারেই শুভেচ্ছা দিচ্ছি এরপরে আট’শ, নয় ’শ তে জিড়িয়ে নেয়া যাবে না। সোজা গিয়ে হাজার দুয়ারী হবেন, মানে হাজারেই পৌঁছাতে হবে।
২৩টি মন্তব্য
তৌহিদুল ইসলাম
সাতশততম পোষ্টের জন্য ব্লগার সাইরাছ হেলাল ভাইকে অভিনন্দন জানাই। মিষ্টিমুষ্টি রেডি করেন। বিস্তারিত মন্তব্য নিয়ে পরে আসছি।
আরজু মুক্তা
মা গো ৭০০!!!!!
আমি তো জোরে হাঁটলেও পারবো না।
খালিমুখে কি আর মিষ্টি কথা বলা যায়?
তরুতলে সুরার পাত্র থাক বা না থাক। হেলাল ভাই এর ৭০০ কবিতার পোস্ট মোর্টেম করলেও আমি কাটিয়ে দিতে পারি রবিনসন ক্রুসো হয়ে।
অভিনন্দন অভিনন্দন অভিনন্দন।🌹🌹🌹🌹
রোকসানা খন্দকার রুকু
কি সপ্পোনাস আমি তো একশর পরে আর লেখা খুঁজে পাই না। আর সাতশত। আমি কবে যেন দেখলাম ছুঁই ছুঁই করছে।
একেই বলে কচ্ছপের গতি। অনেক অনেক ভালোবাসা রইলো ভাইয়া। আল্লাহ আপনাকে সুস্থ রাখুন ও আরও কোটি কোটি লিখার তৌফিক দান করুক।
আর সাবিনা আপু আপনাকেও ধন্যবাদ আমাদের মনে করিয়ে দেয়ার জন্য। চাইলেই সম্ভব।
সাবিনা ইয়াসমিন
ধন্যবাদ।
মনির হোসেন মমি
সাতশ পোষ্ট!!
অভিনন্দন।উপহার স্বরূপ শুনুন কবিরাজ।
https://www.youtube.com/watch?v=IUxGdffr4MU
কামাল উদ্দিন
আমারও কিন্তু ৭০০ পোষ্ট হয়ে গেছে, এই মাত্র ৫৪৬টা পোষ্ট কম 🙂
কামাল উদ্দিন
মহারাজকে অভিনন্দন, আমিও আপনার সাথে সূর মিলিয়ে বলি মহারাজকে হাজার দুয়ারি প্রাসাদে দেখতে চাই।
সাবিনা ইয়াসমিন
ধন্যবাদ কামাল ভাই।
শুভ কামনা আপনার জন্য 🌹🌹
জিসান শা ইকরাম
মন্তব্যে শুভেচ্ছা আর অভিনন্দন দিয়ে মন ভরবে না,
আবার আসিবো ফিরে, বার বার
অপেক্ষায় থাকুন।
জিসান শা ইকরাম
বাই দ্যা রাস্তা, ফিচার ফটুকের ফটো তোলকের নাম কি আপনি জানেন? ♪♪♪♪♪
সাবিনা ইয়াসমিন
আপনার কমেন্ট পড়ে মনে হচ্ছে ফটোগ্রাফারকে আমি চিনি 🙂
হালিমা আক্তার
অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি কিছুদিনের মধ্যেই আমরা হাজার পোস্ট এর শুভেচ্ছা জানাতে পারবো।
ছাইরাছ হেলাল
বিস্ময়ানুভূতিতে ’হা-দশা’, পুরোটাই কপি-পেস্ট!!
এমন শুভেচ্ছা-লেখা সোনেলা এই প্রথম দেখলো ন’বছরে।
এখানে আপনার লেখা খুঁজে পাচ্ছি না।
অবশ্যই ধন্যবাদ। সময় দেয়ার জন্য।
সাবিনা ইয়াসমিন
আমি সব সময়ই ইউনিক, এটা কিন্তু আপনার জানা।
ভালো থাকবেন 🌹🌹
সুপর্ণা ফাল্গুনী
বাহ্ মহারাজের লেখা দিয়েই চমৎকার শুভেচ্ছা পোস্ট! হেলাল ভাই আমিও চাই হাজারের দুয়ারে আপনার পদধূলি শীঘ্রই। অফুরন্ত অভিনন্দন ও শুভকামনা রইলো। সাবিনা আপুকে অসংখ্য ধন্যবাদ শুভেচ্ছা পোস্ট দেয়ার জন্য। দুজনের জন্য ই শুভ সকাল
সাবিনা ইয়াসমিন
ধন্যবাদ।
তৌহিদুল ইসলাম
ছাইরাছ হেলাল ভাই সোনেলা ব্লগের অন্যতম স্বপ্নদ্রষ্টা। তার লেখা গল্প, কবিতায় পাঠক আধুনিকতার ছোঁয়া খুঁজে পান সবসময়। তার লেখায় সমসাময়িক বিষয়কে কবিতার পঙক্তিমালায় শব্দের শৈল্পিক কারুকাজে এমনভাবে ফুটিয়ে তোলার নিগূঢ় রহস্যের ব্যাখ্যা দেয়া আমার মত নগণ্য পাঠকের কাছে এক কথায় অসম্ভব একটি কাজ।
আপনি যদি সাহিত্য ভালোবাসেন এবং তার লেখা খুব মনোযোগ দিয়ে পড়েন তাহলেও তাকে নিয়ে এবং তার লেখায় মন্তব্য করতে গিয়ে যেসব অভিজ্ঞতার মাঝ দিয়ে আপনাকে যেতে হবে তার নমুনা হচ্ছে-
প্রথমবার লেখাটি মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে কিন্তু কি মন্তব্য করবেন তা ভাবার জন্য আবারো সে লেখাটি আপনাকে পড়তে হবে। এরপর মন্তব্য লিখে প্রকাশ করার আগে মন্তব্যটি ঠিক হলো কিনা যা লেখার সাথে মানানসই সেটা বোঝার জন্য তার লেখাটিকে পুনরায় আপনাকে পড়ে সবকিছু ঠিক থাকলে কেবলমাত্র তখনই মন্তব্যটি প্রকাশ করতে হবে।
অর্থাৎ কমপক্ষে পুরো তিনবার পড়ার মত ধৈর্যশীল এবং মনোযোগী পাঠক হলেই কেবলমাত্র এটি সম্ভব। আর সেকারণেই তিনি আমার চোখে একজন অনন্য অসাধারণ লেখক যিনি লেখার মাধ্যমে পাঠককে তার নিজের লেখা বারংবার পড়ানোর এক নিপুণ কারিগর।
ব্লগ অন্তপ্রাণ ব্লগার হেলাল ভাই আমাদের জন্য অনুসরণীয় একজন লেখক। তিনি ব্লগে আমাদের সবাইকে যেভাবে গাইড করেন তা শুধু একজন সহব্লগার হিসেবে নয় একজন মানুষ হিসেবেও অনন্য দৃষ্টান্ত রেখেছেন।
তাকে মন থেকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।
তৌহিদুল ইসলাম
এত সুন্দর একটি শুভেচ্ছা পোষ্ট উপহার দেয়ায় ব্লগার সাবিনা আপু আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ জানাই। সহব্লগারদের প্রতি আপনার এই অনুভূতি প্রকাশ আমাদের সকল ব্লগারদের জন্যই শিক্ষামূলক হতে পারে।
শুভকামনা জানবেন।
সাবিনা ইয়াসমিন
ধন্যবাদ তৌহিদ ভাই। সহ ব্লগারদের প্রতি আপনার আন্তরিকতাও দৃষ্টান্তের দাবী রাখে।
সোনেলায় যতদিন থাকবো মিলেমিশে থাকবো, এটাই প্রত্যাশা করি।
ভালো থাকুন, শুভ কামনা 🌹🌹
পপি তালুকদার
সাতশত পোষ্টের জন্য ভাইয়াকে অভিনন্দন ও শুভকামনা রইলো।
সুন্দর পোষ্টের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই।
সাবিনা ইয়াসমিন
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ 🌹🌹
রেজওয়ানা কবির
এতগুলো লেখা, আমিতো দেখেই অবাক,এরকম এত্তগুলা লেখা এরকম অসাধারণ লেখকের পক্ষেই সম্ভব,যতই বলি হয়ত কম হয়ে যাবে,অনেক অনেক অভিনন্দন হেলাল ভাই,এভাবেই আরও অনেক লেখায় আমাদের মাতিয়ে রাখুন,ভালো থাকুন,সুস্থ থাকুন,এই কামনা। সাবিনা আপুকেও অনেক ধন্যবাদ এরকম সুন্দর করে শুভেচ্ছা পোস্ট দেয়ার জন্য।
সাবিনা ইয়াসমিন
ধন্যবাদ রেজওয়ানা।
শুভ কামনা রইলো 🌹🌹