
অবচেতন মন,
একসময় ঠিকই জেনে ফেলে এবং মেনে নেয়,
তার জন্য এ পৃথিবীর বরাদ্দ সীমিত।
আক্ষরিক অনুবাদ যাই হোক ;
পরিভাষা অনুসারে সে জীবনের সমীকরণ মেলানোর চেষ্টা করেনা।
যাপনের সংজ্ঞা নিরূপণে বৃথাই সময়ের অপচয় রোধ করতে সে মরিয়া হয়ে কায়িকশ্রমের উপকারিতা আওড়ায়।
জেদি, একরোখা, আবেগপ্রবণ যারা, তারা বলবে, “এ হচ্ছে বিধবার শান্তনা “।
তখন ও মন নিশ্চুপ, তর্ক করার ইচ্ছে কবেই মরে গেছে তার!
দিন শেষে এত আলাপ অপালাপের ভীড়ে ঠিকই সে টের পায়, তার নিজের কোনো গল্প ছিলোনা আজকেও; আমাদের গল্প খোঁজাতো একবারেই বিলাসিতা!
এমন নির্মোহ হওয়ার জন্য ও অনেকের অনেক অভিযোগ।
সূর্যের মত জ্বলতে নিভতে দারুন লাগে তার!
ব্যাথারা কথা বলে,
সে শোনে,
কার কত দোষ ত্রুটি গুনতে ইচ্ছে হয়না।
এগুলো অবচেতনের কাছে জমা রাখা থাকে,
আরো আছে কত নাম না জানা ভাষার অনুবাদ!
প্রাঞ্জলতার অভাবে অপূর্ণই থেকে যায় সেসব বোধ।
মানুষটা কিন্তু মোটাদাগে অমায়িক,
মেদবহুল বন্ধুবৎসল!
ভেতরের অবচেতেনর দণ্ড দিয়েছে সে আজীবন কয়েদ।
৩টি মন্তব্য
মনির হোসেন মমি
ভেতরে গুমরে কাদা মানুষগুলো জীবনের সমীকরণ বুঝে না।সুন্দর হয়েছে।
সাবিনা ইয়াসমিন
অবচেতনতা কে দন্ড! একমাত্র অবচেতনতাই স্বাধীন যাকে চেতনার শেকলে অবরুদ্ধ করা কঠিন।
শান্তনা- সান্ত্বনা 🙂
হালিমা আক্তার
চমৎকার লিখেছো।