বৃ্ষ্টি শেষে রাতটুকু বড় কাতর হয়ে উঠেছিলো বুঝিবা। ভ্রূণ তর সইছিলোনা ফেটে চৌচির হয়ে মাটি ছুঁতে। নিঝুম অজগাঁয়ের বাঁশঝাড়ের খুব নিভৃতে আর্ত করুণ শব্দ ছাপিয়ে যাচ্ছিলো অপ্রোয়জনীয় উপসর্গ প্রসব করার অপেক্ষা। আলোহীন রাত্রি চিরে জন্মাবে বলে যন্ত্রণাদায়ক এক উপসর্গ। নাড়ি ছিঁড়তে অভাব ব্লেড কিংবা ধারালো কিছু একটা। ধাত্রীর হাত তখনো টেনে ধরে আছে গর্ভফুল; অপেক্ষা….. এক পয়সার বলাকা ব্লেড ঘুমন্ত দোকানী বন্ধ কপাট খুলে এগিয়ে দেয় কিশোরি বালিকার হাতে। নাড়ি ছিঁড়ে আলাদা হয় প্রসূত উপসর্গ। প্রসূতি নাখোশ: প্রথম দর্শনেও বিমূখ। চাইলাম কি আর বিধাতা দিলেন কী? অপ্রয়োজনীয় উপসর্গ যেন, জন্মলব্ধ চিৎকার ভুলে নব্য বোধপ্রাপ্ত আঙুলেই খুঁজে নেয় সান্তনা সর্বস্ব তৃপ্তি। গর্ভাধার ছেড়ে বিস্ময় এই পৃথিবী সানন্দে দিয়েছে অধিকার মাটি ছুঁয়ে বেঁচে থাকতে।
বাড়তে থাকা সময় শিখিয়েছে প্রত্যেকদিন- রাত্রি, অপ্রয়োজনীয় উপসর্গ এক তুমি……..
৮টি মন্তব্য
মনির হোসেন মমি
মায়ের সীমাহীন কষ্টের ফসল মানব জনম।নারী জনম সর্বোত্র মানবের মুখ অনুজ্জল যা পুরুষ জন্মের অনুভুতি বিপরীতমুখী। দিন শেষে একেলা এক অপ্রয়োজনীয় উপসর্গ আমরা ।।
বন্যা লিপি
মন্তব্যে ধন্যবাদ ভাই
মোঃ মজিবর রহমান
বিশাল অস্তিত্ব খুজে নিতেই হয়ে ভুমিষ্ট হয়ে। যার যেরকম তকদির আছে আবার কেউ শ্রমে গড়ে তোলে।
বন্যা লিপি
জি….যে যেরকম বোঝে।
মন্তব্যে ধন্যবাদ
বোরহানুল ইসলাম লিটন
অকৃত্রিম অনুভূতির ব্যক্ততা
যদিও প্রত্যেকের সুন্দরভাবে বাঁচার অধিকার আছে
তারপরও কিছু – জন্মই যেন দায় হয়ে দেখা দেয়।
আন্তরিক শুভ কামনা রেখে গেলাম আপনার জন্য।
বন্যা লিপি
অপূর্ব মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।শুভ কামনা
হালিমা আক্তার
সব চাওয়া হয়না পুরন, তবুও বহন করি অতৃপ্ততার তীব্রতা। শুভ কামনা রইলো।
বন্যা লিপি
মন্তব্যে ধন্যবাদ।