চলো, অপরিচিত হই,
এবারের এবেলা-ওবেলায়, মন্ত্রাদি পাঠের সুতোয়,
বিচ্ছিন্নতার জপ-মালা হাতাই।
এসো, মুখোমুখি ছড়িয়ে বসে উষ্ণতা খুঁজি,
জড়াজড়ি করি,
ঢেউ-তুলে শীতলতার আক্ষেপ ভুলে,
প্রণয় রজ্জুতে আষ্টেপৃষ্ঠে বাঁধি, ধ্যানস্থ হই,
বিচ্ছিন্নতার পথে।
তোমায় ওঠার সিঁড়ি ভাঙতে ভাঙতে
বেজায় ক্লান্ত আজ,
ল্যান্ডিং প্লাটফরমটি একটু ছুঁয়েই, ফিরে যাব,
অপরিচিত হয়েই,
চলো,
নিস্তব্ধ নিষিদ্ধ আকাশী নিরালায়,
থাকুমুকুর প্রান্তিকতা ছেঁড়ে, (চুটিয়ে)
প্রবল অপরিচিততায় প্রবেশ করি, রয়ে-সয়ে,
খুউব ধীরে ধীরে;
এসো,
ঘাসের টোটাফাটা স্নিগ্ধতা মেখে, প্রবল অন্তরঙ্গতার স্রোতে
রই-রই করে, ছাতামাথার মত অপরিচিত হই,
এসো, দূরত্বকামি হতে হতে উল্কা ফেলি অর্ঘ্য-আঁধারে;
************************************
ইতিহাসের ধুম্র-সুন্দরীর বয়ান……..১
১৭টি মন্তব্য
মোঃ মজিবর রহমান
ঘাসের টোটাফাটা স্নিগ্ধতা মেখে, প্রবল অন্তরঙ্গতার স্রোতে
রই-রই করে, ছাতামাথার মত অপরিচিত হই,
এসো, দূরত্বকামি হতে হতে উল্কা ফেলি অর্ঘ্য-আঁধারে;
যাইহোক মুগ্ধ হলাম প্রিয়।
ছাইরাছ হেলাল
পড়ার জন্য অবশ্যই ধন্যবাদ।
শুন্য শুন্যালয়
বাপ্রে ভয় পাইছি লেখা পড়ে। অন্তরঙ্গ হতে হতে কেমন করে অপরিচিত হতে হয়, এদেখি হাতেকলমে শিক্ষা।
বিচ্ছিন্নতার জন্যেও মন্ত্রপাঠ আবশ্যক, তা কত পাঁক ঘুরতে হবে তা কিন্তু বলেন নি। ধুম্র-সুন্দরী বুঝি ধোঁয়ায় রেখেই পালিয়েছে? সুন্দরীরা এমনই হয়, সিঁড়ি দেখিয়ে পগার পার, ভাগ্যিস সুন্দরী নই, তাই এক হাত ঈর্ষা সহকারে দেখে নিচ্ছি।
ইতিহাস তুমি কেঁদোনা, পরিবর্তন আসে……………
সুন্দর। ছাতা মাথায় হাঁটলেই যদি অপরিচিত হওয়া যেতো!!
ছাইরাছ হেলাল
আপনি লড়াকুজন, ভয় আপনি পেতেই পারেন-না।
আবার পড়েন,
এটি আসলে বিচ্ছিন্নতার ছলে বেশি বেশি করে ছড়িয়ে, জড়িয়ে যাওয়া (রিভার্সিং লেখা);
আসলে ‘ছাতামাথা’ শব্দটির বানান নিয়ে সমস্যা হচ্ছে, উচ্ছিষ্ট বা অবহেলিত বা অপাংক্তেয় বোঝাতে চেয়েছি,
‘ছাতামাতা’ লিখব কী না বুঝছি না (বুদ্ধি দ্যান)।
পালায়নি সে, আরও কয়েকটি ভাবনা সে বলবে অচিরেই। খান্দানি সম্পর্ক!!
শুন্য শুন্যালয়
বুঝেছি বলেই না ভয় পাইছিলাম। এমন করে অপরিচিত হবার টেকনিক তো পুরাই নতুন সংস্ককরণ, তাই জানতে চাইলাম মন্ত্র টন্ত্র আছে কিনা।
এই ছাতামাথা যে সেই ছাতামাথা হেয়া তো বুঝি নাই 🙂 বুদ্ধি ফ্রি ফ্রি দেওন যাইবে না।
সুন্দরীর ধুম্র টাইটেল রহস্যের উন্মোচন করিয়া লাল ফিতা কাটুন শিঘ্রই।
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই আপনি বুঝেছেন, বুঝবেন-ও!!
এখনই মন্ত্র-ফন্ত্র বলে দেয়া ঠিক হবে না।
ফ্রি-ট্রি কই দেখলেন, কত্ত কিছু লেহি!!
অপেক্ষা করুন অন্নেক কিছুই উন্মোচন হবে, হচ্ছেও!!
নীলাঞ্জনা নীলা
কবিরা ভালোই খেল দেখাতে জানে। সেই কোন যুগে আমার বুড়ো লিখেছিলেন,
“চেনা ফুলের গন্ধস্রোতে ফাগুন-রাতের অন্ধকারে
চিত্তে আমার ভাসিয়ে আনে নিত্যকালের অচেনারে।”
ধুম্র-সুন্দরীর বয়ান শুনলাম। 😀
ছাইরাছ হেলাল
আপনার বুড়ো তো পাক্কা বুড়ো!! কিছুই বাদ রেখে যায়নি,
ভাব শিষ্য অবশ্য অনেক কিছুই লিখতে পারেনি মনের কথা!!
নারী-কথন লেখা কুন ব্যাপার না!!
আরও আছে পাবেন, পাবেন!!
নীলাঞ্জনা নীলা
মনের কথা ক্যাম্নে লিখমু কন? বুজতে পারলে না লিখমু!
কুবিরাজ ভাইও বড়ো নিঠুর, লিখা-টিখা হিখাইয়া দিলেন না। 🙁
ছাইরাছ হেলাল
একটু সাহস নিয়ে লেগে পড়ুন, হয়ে যাবে।
কে আর কাকে শেখায়!! আমার-ই তো সব শেখা হলো না!!
ওগো নিঠুর দরদিয়া……………কী যেন গান খানা!!
মৌনতা রিতু
‘তোমার জীবনে আমার অস্তিত্ব একতিল রাত্রির সমান,
তবু চলো একটা জীবন পার করি এই একতিল রাত্রিরে,
মুখোমুখি বসি, শব্দের জড়তা কাটিয়ে শব্দের জোড়া লাগাই।’
লিখে ফেললাম। ভাল লাগলো ধুম্র সুন্দরীর বয়ান।
ছাইরাছ হেলাল
জোরা যদি লাগানো যায় শব্দ- জুড়ে তাতে একতিলই অনেক তিলের সমান।
সুন্দর প্রতি মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
জিসান শা ইকরাম
আর হইছে অপরিচিত,
প্লান করে আরো কাছে………
বুঝি বুঝি সবই বুঝি।
আগুন রঙের শিমুল
:D)
ছাইরাছ হেলাল
প্লান হইল নাকি!!
খুবই অপরিচিত হলে হয়ত এমনই হয়।
আগুন রঙের শিমুল
তবে তাই হোক –
অপরিচিতের সম্পর্কই থাকুক নাহয়, দাহকাল কাটুক এই ভাবনায় আমিও তোমার মতোই তোমার অপরিচিত।
ঘুর্ণায়মান পৃথিবীর পথে দেখা হয়ে গেলে প্রায় মিলিয়ে যাওয়া অপরিচিতের হাসিতেই হবে বোধন …. মম শিরশি মুন্ডনং দেহি পদবল্লভ মুদাররম তবঃ
– মেলাদিন পর কোন লেখা পইড়া মন ভইরা গেল দাদা (3
ছাইরাছ হেলাল
আমিও মেলাদিন পর এমন সুন্দর মন্তব্য পেয়ে আপ্লুত হলাম।
অপরিচিততা বেঁচে থাকুক জনম জনম।