
নেপালের পোখারার পাহাড়ের উপর সারাংকোট এলাকাটা সারাদিন কেমন থাকে জানিনা। প্রায় পাঁচ হাজার ফুট উঁচু সারাংকোটের সানরাইজ ভিউ পয়েন্টে ভোর হতে না হতেই পর্যটকদের পদভারে ব্যাপক সরগরম হয়ে উঠে। অন্নপূর্ণা পর্বতমালার বরফ ঢাকা শ্বেত শুভ্র শরীরে সূর্যের আলোয় যে সোনালি আভা দেখা যায়, সেই মোহনীয় রূপ দেখতে পর্যটকদের উপচে পড়া ভীর। অন্নপূর্ণা মানে অন্নদাত্রী বা অন্নের দেবী। এক সময় এই পর্বতকে শষ্যভাণ্ডারের দেবী মনে করা হত। তাই তাকে ‘অন্নপূর্ণা’ নামে ডাকা হয়।
(২) দূর থেকে দেখা সারাংকোট গ্রাম।
(৩) পোখারা শহর থেকে আধা ঘন্টার মতো সময় পাহাড়ের ঘোরানো পেচানো পথের শেষে দেখা এই মাইল পোষ্ট। সারাংকোট শূন্য কিলোমিটার।
(৪) এখানকার বাড়িগুলো প্রায় একই রকম। বাসিন্দারা তাদের ছাদে চেয়ার পেতে পর্যটকদের বসে ‘অন্নপূর্ণা’র রূপ দেখার সুযোগ করে দেয়। আর পর্যটকদের দেওয়া ১০০ রূপীতে নিজেদের অন্নের ব্যবস্থা হয়। সেই সাথে ক্ষণিকের জন্য কিছু চা বিস্কুট আর স্যুভেনীর বিক্রির কাজটাও সেরে ফেলে।
(৫) পর্যটকদের অপেক্ষা……..
(৬) মাঝখান দিয়ে বয়ে যাওয়া একটা নদীর পাশের গ্রামটা তখনো পুরোপুরি জেগে উঠেনি।
(৭) বুলবুলির মতো দেখতে এই পাখিটা সকালের আগমনী গান গাচ্ছিল।
(৮) মা ও ছানা বকেরাও বাঁশ ঝাড়ের মাথায় চঞ্চল হয়ে উঠছিল।
(৯) একটু দূরে ফেউয়া লেকের আকাশ কিছুটা মেঘে ঢাকা, মেঘে ঢাকা আমাদের মনও। কারণ মেঘ থাকলে অন্নপুর্ণাকে পূর্ণ রূপে দেখা সম্ভব হবে না।
(১০) আশংকা সত্যি করে ঠিকই এক দঙ্গল মেঘ অন্নপূর্ণার চুড়াকে ঢেকে রেখেছিল।
(১১/১২) তবে পাশের কিছু ছোট অংশকে আমরা পরিপূর্ণ ভাবে দেখতে পাচ্ছিলাম।
(১৩) ফেউয়া লেকের উপারের পাহাড় চূড়ায় একটা মন্দির।
(১৪) পথের পসারে স্যুভেনীর।
(১৫) সারাংকোটের জামদানী।
(১৬) এখানে রয়েছে কিছু কমলা গাছও।
(১৭) অনেকে ১০০ রূপীর ছাদে না চড়ে নীচে দাঁড়িয়েই অন্নপূর্ণাকে দেখে নিচ্ছে।
(১৮/১৯) পোখারার অন্যতম আকর্ষন ফেউয়া লেক।
(২০) সারাংকোটে গিয়ে মেঘের আড়াল থেকে ‘অন্নপূর্ণা’র চূড়াকে দেখতে না পারলেও অন্য একদিন ফেউয়া লেকের পাড়ে দাঁড়িয়ে ঠিকই ওর ছবি তুলে নিয়েছিলাম। প্রথম ছবিটাও এই লেকের পাড় থেকেই তোলা।
২৩টি মন্তব্য
মনির হোসেন মমি
অন্নপূর্ণার নাম শুনেছিলাম।এবার দেখলাম!! আপনার অভিজ্ঞ হাতের ছবি ও বর্ননায় দেখা হয়ে গেল একবার। চমৎকার ছবি তুলেন আপনি।এ ছবিগুলো তুলতে নিশ্চয় বেশ সময় ও অপেক্ষার জাল বুনতে হয়েছিল। ধন্যবাদ এমন পোষ্টের জন্য।
কামাল উদ্দিন
হুমম, নেপালে যাওয়াটাই আমার অনেক অপেক্ষার প্রহর গুনতে হয়েছিল……শুভ কামনা জানবেন ভাই।
ফয়জুল মহী
অসাধারণ! শুভ কামনা আপনার জন্য
কামাল উদ্দিন
আপনার জন্যও শুভ কামনা সব সময়।
ছাইরাছ হেলাল
আপনি ভাগ্যবান, প্রথম ছবিটি তুলতে পেরেছে।
আর, নৌকা সহ লেকের ছবিটিও সুন্দর।
কামাল উদ্দিন
ধন্যবাদ বড় ভাই, আমি আসলেই অনেক ভাগ্যবান মনে করি নিজেকে……শুভ সকাল।
সাবিনা ইয়াসমিন
ছবি দেখে মনে হচ্ছে রুপকথার গল্পে শোনা সোনালী পাহাড় দেখছি! দারুণ।
৮ নাম্বার ছবিটা বাঁশঝাড়ের উপর! আগে কখনো উপর থেকে বাঁশঝাড় দেখিনি, আজ দেখলাম 🙂
শুভ কামনা রইলো কামাল ভাই 🌹🌹
কামাল উদ্দিন
আপনার জন্যও রইল আন্তরিক শুভ কামনা আপু।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
৬ নং ছবিটা অসাধারণ। বাকী গুলো ও সুন্দর। এসব ছবি তুলতে অনেক ধৈর্য্য আর সময় দিতে হয়। ঈশ্বর আপনাকে আরো ধৈর্য্য দান করুন শুভ কামনা রইলো
কামাল উদ্দিন
ঠিক ধরেছেন আপু, কোথাও ঘুরতে গেলে ছবি তুলি বলে বরাবরই আমি অন্যদের থেকে পিছিয়ে পড়ি, ভালো থাকবেন সব সময়।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
আমার ও একই সমস্যা হয়। ছবি তুলি বলি পিছিয়ে পড়ি অন্যদের থেকে। ধন্যবাদ ভাইয়া
সুপায়ন বড়ুয়া
অসাধারন ছবি গুলো দেখে
মনটাই ভরে গেলো।
ধন্যবাদ ভাইজান শুভ কামনা।
কামাল উদ্দিন
শুভেচ্ছা জানবেন দাদা
নিতাই বাবু
দয়াময়ের অশেষ কৃপায় বাস্তবে দেখার সুযোগ না হলেও, আপনার পোস্ট হতে সারাংকোট আর অন্নপূর্ণা দেখা হলো। সুন্দর পোস্টের জন্য শুভকামনা থাকলো।
কামাল উদ্দিন
ধন্যবাদ নিতাই দাদা, ভালো থাকুন সব সময়।
হালিম নজরুল
চমৎকার সব অভিজ্ঞতা
কামাল উদ্দিন
হুমম, ধন্যবাদ।
দালান জাহান
অন্নপূর্ণার অপরূপ দৃশ্য ও বর্ণনা শুনে দেখে মুগ্ধ হলাম। খুব সুন্দর জায়গাটা ছুঁয়ে দেখার ইচ্ছে হচ্ছে খুব।
কামাল উদ্দিন
কোন এক সময় হয়তো ছুয়ে ফেলবেন ভাই, ধন্যবাদ।
জিসান শা ইকরাম
অন্নপূর্ণা দেখার শৌভাগ্য হয়েছিল বেশ কয়েক বছর আগে। স্মৃতির মাঝে ডুবে গেলাম আবার৷
শুভ কামনা।
কামাল উদ্দিন
ধন্যবাদ ভাই, সুন্দর স্মৃতিগুলো নিশ্চয়ই মন ভালো করে দেয়।
তৌহিদ
প্রত্যেকটি ছবি অসাধারণ কিন্তু ভাই। অন্নপূর্ণার সৌন্দর্য ছবিতেই যত সুন্দর বাস্তবে নিশ্চিত আরো অদ্ভুত সুন্দর।
কবে যে যাব!!
কামাল উদ্দিন
নেপালে যাওয়াটা কিন্তু কঠিন কিছুই না, এমন কি ওখানে ভিসা ও লাগে না। তাই হয়তো আপনি খুব শীঘ্রই চলে যাবেন…….শুভ সকাল।