সোনেলার মডুরা পারেও বটে !! এত সুন্দর একটি বাগানবাড়ি করেছেন যে মনটাই জুড়িয়ে যায়। যে বাগানবাড়ির প্রবেশদ্বার সবার জন্য খোলা– বাড়ির হাজার দুয়ার দিয়ে  যে কেউ ইচ্ছে করলে প্রবেশ করে মনের কথাগুলো বলে যে কোন দরজা দিয়ে বের হয়ে যেতে পারে—সুন্দর আর শ্যামলীতে ভরিয়ে রেখেছে এখানকার মালিরা, যারা বিভিন্ন ধরণের উদ্ভিদ হতে ফুল আর ফল উৎপাদনে ব্যস্ত—। এখানকার উঠান হতে অবারিত আকাশ দেখা যায়–বাতাস খেলা করে প্রাণ খুলে–কখনো কখানো দুরন্ত বাতাস লেখিকার খোলা চুল উড়িয়ে দৌড় দেয়–লেখিকা বাতাসের পেছনে দৌড়াতে দৌড়াতে রচনা করে ফেলে কবিতা আবার কখনো গল্প–লেখকরাও কম যায় না- সবুজে শ্যামলের মাঝে কত ধরণের লেখাই না তারা লিখে — পারেও বটে—

সুন্দর এই মাটির উঠানে শীতল পাটির আসনে বসে লেখকরা আড্ডা জমায়–মডুরা হাসে আর হাসে–। বলি ও মডু ! শুধু হাসলেতো আর হবে না – একটু চা পানির ব্যবস্থা করলে মন্দ হয় না— মডুরা হতাস করে না –তারা কলাপাতায় মুড়ি, দই, খই, বাতাসা, খেজুরের গুড়ের পায়েস, পিঠা পাঠিয়ে দেয়-সাথে চা ফ্রি—!! আড্ডা আর খাওয়া দাওয়ার মাঝে রচনা হয়ে যায় কত মনের কথার গল্পমালা !! জারি সারি ভাটিয়ালী, ভাওয়াইয়া, দেশের গান, আধুনিক, নজরুল আর রবীন্দ্র সংগীতের আসর বসে !!  কত আনন্দের ঢেউ বয়ে যায়—-। এই আসরে সবাই সবার কথাই ভাবে —কত চিন্তা ! আমাদের কত ব্লগার দেশ বিদেশে আছে, তারা কেমন আছে, লেখা কেন পাঠালো না নীল/সবুজ খামে ! তাদের শরীর ভাল আছে তো !! হুমম  সেই সময়েই হাজির হয় জিসান ভাই আর ছাইরাছ হেলাল ভাই !! কত ইতিহাসের গল্প শুনি !! সেই ইংরেজ আমল থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধের না জানা ইতিহাস !! শুনতে শুনতে আমরা হারিয়ে যাই সেই দিনগুলোতে !! মন আরো সমৃদ্ধ হয়– মনের ভেতর গুছিয়ে নেই সত্যি গল্পগুলো, তুলে রাখি পরম সযতনে-পরের প্রজন্মকে জানাতে হবে সেইসব দিনগুলোর কথা, যেগুলো তাদের জানা খুবই জরুরী—-

এখানে কেউ কাউকেই ডমিনেট করে না, করে না উপহাস। সবার প্রতি সবার রয়েছে এক ধরণের টান–বিনি সুতোর টান–!! এখানে উৎসাহ দেয়, ভুল পথ হতে আলো জ্বালিয়ে নিয়ে যায় সঠিক পথে– তাইতো কাজের অবসরে, পড়ার ফাঁকে, আড্ডার ছলে সবাই জড়ো হয় এই সুন্দর উঠোনে–যে উঠানটা তৈরি করেছিলেন জিসান ভাই আর হেলাল ভাই—-!! এখানে আমরা প্রাণের না বলা কথাগুলো কই, মনের অভিমানগুলো কবিতার ঢংয়ে লিখে ফেলি, কখনোবা গল্প হয়ে যমুনায় ঢেউ তোলে, দেশ বিদেশের ছবি আর কথায় মন ভরে যায়, আবার কখনোবা বিরাঙ্গনাদের কষ্টে মনের দুয়ারে অহংকার ভর করে—। কত ব্লগার আসছে, প্রতিভার সাক্ষর রাখছে– আমরা শিখছি–প্রতিনিয়ত শিখছি আর শিখছি—সোনেলার মাধ্যমে আমরা এই শিখন তুলে দিতে চাই নতুন প্রজন্মের কাছে—

আস হে নবীন,দোর খোলা আছে সোনেলায়

দুয়ার খুলে বসে আছি কলাপতায় সন্দেশ হাতে

মিষ্টি মুখ করাবো, বসতো আগে বকুল গাছের ছায়ে !

ধুলো ঝেরে লেপে দিয়েছি মাটিতে, যত্নতো কিছু রাখিনি বাকি

পাখির গানে, সবুজের টানে, ঝর্ণায় বসে লিখে ফেল দুটি লাইন

হোক না ছোট কিংবা বড়, ক্ষতিতো কিছুই নয়–

তোমরা আস, বসে যাও ঘাসের ডগায় হাতে তুলে একটু শিশির

টুনটুনির গানে, গাদা ফুলের ডালে রচনা করে যাও ভালবাসা —————

 

উৎসর্গ: জিসান ভাই আর ছাইরাছ হেলাল ভাইকে —–
২১ জানুয়ারী,২০১৫

৭১৮জন ৭১৮জন

৮০টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ